জিতেই চলেছে বাংলাদেশ
‘একজন নয়, দলের ১১ জনকে পারফরমেন্স করতে হবে।’- দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি হওয়ার আগে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার দলকে এমনই মন্ত্র দিয়েছিলেন। সেই মন্ত্রে উজ্জীবিত টাইগাররা জয় তুলে নিয়েছে ৬৮ রানে। এই জয়ে ৫ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশ এগিয়ে গেল ২-০ ব্যবধানে। প্রথম ম্যাচে সাকিব আল হাসান সেঞ্চুরি ও ৪ উইকেট নিয়ে দলকে ৮৭ রানের জয় উপহার দিয়েছিলেন। কিন্তু গতকাল সাকিবের ব্যাটে শূন্য আর বল হাতে এক উইকেটের পরও দল জয় ছিনিয়ে এনেছে সম্মিলিত নৈপুন্যে। টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে তামিম ইকবাল ও বিজয়ের ১৫৮ রানের জুটি। শেষ দিকে মুমিনুল হকের অপরাজিত ৩৩ মিলে জিম্বাবুয়ের জন্য লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৫২ রানের। তবে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফির পরপর তিন আঘাতে মনোবল ভেঙে যায় জিম্বাবুয়ের। এরপর কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা চালালেও শেষ পর্যন্ত আরাফাত সানির ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ১৮৩ রানে গুটিয়ে যায় চিগুম্বুরার দল। দলের পক্ষে সাকিব ছাড়াও একটি উইকেট নিয়েছেন পেসার আল আমিন হোসেন। সাগরিকায় এই জয়ের পর বাংলাদেশের সামনে এখন সিরিজ জয়ের স্বপ্ন। ঢাকায় ২৬শে নভেম্বর তৃতীয় ম্যাচটি জিতে নিলেও সেই স্বপ্ন পূরণ হবে বাংলাদেশের। ২৯১তম ম্যাচে এটি বাংলাদেশের ৮২তম জয়।
প্রথম ওভারে মাশরাফির ধীরে করা শেষ বলটি মাসাকাদজা কভারে মারতে গিয়ে ব্যাট আড়াআড়িভাবে চালান। কিন্তু বলটি নিচু হয়ে ব্যাটে ছুঁয়ে স্টাম্প ভেঙে দেয়। দলীয় ১ রানে উইকেট হারালেও ভড়কে যায়নি জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় উইকেটে সিকান্দার রাজা ও ভুসিমুজি সিবান্দা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। ৩৬ রানের জুটি গড়ে কিছুটা সফলও হন। কিন্তু দলীয় ৩৭ রানে আবারও মাশরাফির আঘাত। সিবান্দা মাশরাফির বলটি অবশ্য না খেলে থামিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ব্যাট ছুঁয়ে সরাসরি স্টাম্পে আঘাত করে। ১৫ বলে ২১ রান করা সিবান্দাকেও মাশরাফি বোল্ড করে প্রতিরোধ লড়াই থামিয়ে দেন। এবার সিকান্দার রাজা ব্রেন্ডন টেইলরকে নিয়ে আবারও শুরু করেন ঘুড়ে দাঁড়ানোর লড়াই। কিন্তু হঠাৎ বল হাতে জ্বলে ওঠা মাশরাফির হাত থেকে যেন নিস্তার নেই জিম্বাবুঢের টপ আর্ডারদের। ৮.৩ ওভারের সময় মাশরাফির শর্ট বলটি খেলতে চেয়েছিলেন রাজা। কিন্তু বলটি ব্যাটে ও প্যাডে আঘাত লেগে উড়ে যায় আকাশের দিকে। কিন্তু সেই মুহূর্তে আসল কাজটি করেছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। পেছনের দিকে দৌড়ে গিয়ে শর্ট কভারে শেষ মুহূর্তে লাফিয়ে ওঠে তালু বন্দি করেন রাজাকে। দলের স্কোর বোর্ডে সংগ্রহ তখন মাত্র ৪০। এরপর অভিজ্ঞ টেইলর দলের নবাগত সোলেমান মিরেকে নিয়ে হাল ধরার চেষ্টা করেন। কিন্তু মিরে উইকেটে টিকে থাকলেও সলোমন টেইলর। আরাফাত সানির বলে ৮ রানেই বিদায় নেন তিনি।
এরপরের চিত্র অবশ্য কিছুটা ভিন্ন। নিজের দ্বিতীয় ম্যাচেই যোগ্যতার প্রমাণ দিতে শুরু করেন মিরে। ৫ম উইকেটে চাকাভার সঙ্গে গড়ে তোলেন ৬৫ রানের জুটি। দলের ব্যাটিং বিপর্যয় সামলে এই জুটি দলকে শতরানের সীমা পার করে নেন। তবে দলীয় ১১৫ রানের সময় ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা জুটি ভেঙে দেন পেসার আল আমিন হোসেন। ৫৩ বলে ৩২ রান করা চাকাভাকে মিড অফে তালু বন্দি করেন অধিনায়ক মাশরাফি। কিনু্ত মিরে এক প্রান্ত আগলে ধরে লড়াই চালিয়ে যান। তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডে ফিফটি। তবে ফিফটি তোলার পর তাকে আগে বাড়তে দেননি সাকিব আল হাসান। ৭৯ বলে ২ চারে ৫০ রান করা মিরের উইকেটটাই সাকিবের একমাত্র প্রাপ্তি। এই তরুণের লড়াই শেষ হলে ১৪০ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। তবে এমন বিপর্যয়ের মাঝেও লড়াই চালিয়ে যান অধিনায়ক চিগুম্বুরা। কিন্তু ৩৮ রান করে দলকে এগিয়ে নেয়ার পথে সাব্বির আহম্মেদ রুম্মানের দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ের শিকার। রুবেলের বলে পানিয়াঙ্গারা মিড অফে বল ঠেলে দিয়েছিলেন। এক রান নেয়ার জন্য ছুটতে চাইলে অপর প্রান্তে অধিনায়ক চিগুম্বুরা একটু দেরিতেই সাড়া দেন। আর ততক্ষণে সাব্বিরের সরাসরি ছোড়া বল সরাসরি স্টাম্প ভেঙে দিলে অধিনায়কের লড়াই শেষ হয়। এরপর আরাফাত সানির ক্যারিয়ার সেরা স্পিন জাদুতে ৪৪.৫ ওভারেই ১৮৩ রানেই গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। পানিয়াঙ্গারা, নাইম্বু ও কামাগুজিকে সরাসরি বোল্ড করে ২৯ রান খরচ করেই তুলে নেন ৪টি উইকেট।
এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার তামিম ও এনামুল হক এনে দেন উড়ন্ত সূচনা। ১৫৮ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় রানের ভিত গড়ে দেন। ৩২.৫ ওভার পর্যন্ত কোন উইকেট না হারালেও এর পরে ছোটখাট একটি ঝড় বয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংসে। তামিম ৭৬ রানে আউট হন ৩২.৬ ওভারের সময়। প্রথমবারের মতো ওয়ান ডাউনে দলের দায়িত্ব নিতে এসে ৩৪ ওভারের প্রথম বলেই সময় শূন্য রানেই ফিরেন আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকানো সহ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তার বিদায়ের পর ৮০ রান করা বিজয় অবশ্য জিম্বাবুয়ের দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ের শিকার। পানিয়াঙ্গারার বলটি ব্যাট ছুঁয়ে আকাশে উঠলে সিবান্দা পয়েন্টে অনেকটা উড়ে গিয়েই ধরে ফেলেন বলটি। এরপর ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পেয়ে ব্যাট করতে আসেন সাব্বির রহমান রুম্মান। কিন্তু সাকিবের মতো ব্যর্থ এই মারমুখী ব্যাটসম্যান। অভিষেক ম্যাচে ৪৪ রান করলেও দ্বিতীয় ম্যাচে আউট হন শূন্য রানে। তবে মুশফিকুর রহীমের ২৭ রান ও শেষ মুহূর্তে মুমিনুল হকের অপরাজিত ৩৩ রানে মান রক্ষা হয় দলের। নির্ধারিত ওভার শেষ হয় ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫১ রানে।
প্রথম ওভারে মাশরাফির ধীরে করা শেষ বলটি মাসাকাদজা কভারে মারতে গিয়ে ব্যাট আড়াআড়িভাবে চালান। কিন্তু বলটি নিচু হয়ে ব্যাটে ছুঁয়ে স্টাম্প ভেঙে দেয়। দলীয় ১ রানে উইকেট হারালেও ভড়কে যায়নি জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় উইকেটে সিকান্দার রাজা ও ভুসিমুজি সিবান্দা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। ৩৬ রানের জুটি গড়ে কিছুটা সফলও হন। কিন্তু দলীয় ৩৭ রানে আবারও মাশরাফির আঘাত। সিবান্দা মাশরাফির বলটি অবশ্য না খেলে থামিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ব্যাট ছুঁয়ে সরাসরি স্টাম্পে আঘাত করে। ১৫ বলে ২১ রান করা সিবান্দাকেও মাশরাফি বোল্ড করে প্রতিরোধ লড়াই থামিয়ে দেন। এবার সিকান্দার রাজা ব্রেন্ডন টেইলরকে নিয়ে আবারও শুরু করেন ঘুড়ে দাঁড়ানোর লড়াই। কিন্তু হঠাৎ বল হাতে জ্বলে ওঠা মাশরাফির হাত থেকে যেন নিস্তার নেই জিম্বাবুঢের টপ আর্ডারদের। ৮.৩ ওভারের সময় মাশরাফির শর্ট বলটি খেলতে চেয়েছিলেন রাজা। কিন্তু বলটি ব্যাটে ও প্যাডে আঘাত লেগে উড়ে যায় আকাশের দিকে। কিন্তু সেই মুহূর্তে আসল কাজটি করেছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। পেছনের দিকে দৌড়ে গিয়ে শর্ট কভারে শেষ মুহূর্তে লাফিয়ে ওঠে তালু বন্দি করেন রাজাকে। দলের স্কোর বোর্ডে সংগ্রহ তখন মাত্র ৪০। এরপর অভিজ্ঞ টেইলর দলের নবাগত সোলেমান মিরেকে নিয়ে হাল ধরার চেষ্টা করেন। কিন্তু মিরে উইকেটে টিকে থাকলেও সলোমন টেইলর। আরাফাত সানির বলে ৮ রানেই বিদায় নেন তিনি।
এরপরের চিত্র অবশ্য কিছুটা ভিন্ন। নিজের দ্বিতীয় ম্যাচেই যোগ্যতার প্রমাণ দিতে শুরু করেন মিরে। ৫ম উইকেটে চাকাভার সঙ্গে গড়ে তোলেন ৬৫ রানের জুটি। দলের ব্যাটিং বিপর্যয় সামলে এই জুটি দলকে শতরানের সীমা পার করে নেন। তবে দলীয় ১১৫ রানের সময় ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা জুটি ভেঙে দেন পেসার আল আমিন হোসেন। ৫৩ বলে ৩২ রান করা চাকাভাকে মিড অফে তালু বন্দি করেন অধিনায়ক মাশরাফি। কিনু্ত মিরে এক প্রান্ত আগলে ধরে লড়াই চালিয়ে যান। তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডে ফিফটি। তবে ফিফটি তোলার পর তাকে আগে বাড়তে দেননি সাকিব আল হাসান। ৭৯ বলে ২ চারে ৫০ রান করা মিরের উইকেটটাই সাকিবের একমাত্র প্রাপ্তি। এই তরুণের লড়াই শেষ হলে ১৪০ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। তবে এমন বিপর্যয়ের মাঝেও লড়াই চালিয়ে যান অধিনায়ক চিগুম্বুরা। কিন্তু ৩৮ রান করে দলকে এগিয়ে নেয়ার পথে সাব্বির আহম্মেদ রুম্মানের দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ের শিকার। রুবেলের বলে পানিয়াঙ্গারা মিড অফে বল ঠেলে দিয়েছিলেন। এক রান নেয়ার জন্য ছুটতে চাইলে অপর প্রান্তে অধিনায়ক চিগুম্বুরা একটু দেরিতেই সাড়া দেন। আর ততক্ষণে সাব্বিরের সরাসরি ছোড়া বল সরাসরি স্টাম্প ভেঙে দিলে অধিনায়কের লড়াই শেষ হয়। এরপর আরাফাত সানির ক্যারিয়ার সেরা স্পিন জাদুতে ৪৪.৫ ওভারেই ১৮৩ রানেই গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। পানিয়াঙ্গারা, নাইম্বু ও কামাগুজিকে সরাসরি বোল্ড করে ২৯ রান খরচ করেই তুলে নেন ৪টি উইকেট।
এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার তামিম ও এনামুল হক এনে দেন উড়ন্ত সূচনা। ১৫৮ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় রানের ভিত গড়ে দেন। ৩২.৫ ওভার পর্যন্ত কোন উইকেট না হারালেও এর পরে ছোটখাট একটি ঝড় বয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংসে। তামিম ৭৬ রানে আউট হন ৩২.৬ ওভারের সময়। প্রথমবারের মতো ওয়ান ডাউনে দলের দায়িত্ব নিতে এসে ৩৪ ওভারের প্রথম বলেই সময় শূন্য রানেই ফিরেন আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকানো সহ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তার বিদায়ের পর ৮০ রান করা বিজয় অবশ্য জিম্বাবুয়ের দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ের শিকার। পানিয়াঙ্গারার বলটি ব্যাট ছুঁয়ে আকাশে উঠলে সিবান্দা পয়েন্টে অনেকটা উড়ে গিয়েই ধরে ফেলেন বলটি। এরপর ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পেয়ে ব্যাট করতে আসেন সাব্বির রহমান রুম্মান। কিন্তু সাকিবের মতো ব্যর্থ এই মারমুখী ব্যাটসম্যান। অভিষেক ম্যাচে ৪৪ রান করলেও দ্বিতীয় ম্যাচে আউট হন শূন্য রানে। তবে মুশফিকুর রহীমের ২৭ রান ও শেষ মুহূর্তে মুমিনুল হকের অপরাজিত ৩৩ রানে মান রক্ষা হয় দলের। নির্ধারিত ওভার শেষ হয় ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫১ রানে।
No comments