লতিফ সিদ্দিকী ঢাকায়
আওয়ামী
লীগ ও মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কৃত আবদুল লতিফ সিদ্দিকী গ্রেফতারি
পরোয়ানা মাথায় নিয়েই দেশে ফিরেছেন। রোববার রাত ৮টা ২১ মিনিটে তিনি এয়ার
ইন্ডিয়ার একটি বিমানে করে হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে
পৌঁছান। পৌঁছার পরপরই ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে ভিআইপি লাউঞ্জের দোলনচাঁপায়
বসিয়ে রাখে। এ সময় তার সঙ্গে কাউকেই সাক্ষাৎ করতে দেয়া হয়নি। ৯টা ৪০ মিনিটে
একাকী একটি সাদা পাজেরো জিপে করে দ্রুত বিমানবন্দর ছেড়ে চলে যান। তবে তিনি
কোথায় সে ব্যাপারে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানা যায়নি। লতিফ সিদ্দিকীর দেশে
ফেরার খবর পেয়েই তাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে আহলে
সুন্নাত ওয়াল জামাত। গতকাল
রাতে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল যুগান্তরকে বলেন,
লতিফ সিদ্দিকীর দেশে ফেরার খবরে প্রধানমন্ত্রী উষ্মা প্রকাশ করেছেন। তার
বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ২৮ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে
এক সভায় হজ নিয়ে বক্তব্যের জেরে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েন লতিফ সিদ্দিকী।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যপদ থেকেও তাকে সরানো হয়। হজ নিয়ে
মন্তব্যের জন্য ধর্ম অবমাননার অভিযোগে লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে ঢাকাসহ
দেশের বিভিন্ন আদালতে কয়েক ডজন মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি
পরোয়ানাও জারি হয়েছে। নিউইয়র্কে ওই অনুষ্ঠানে লতিফ সিদ্দিকী বলেছিলেন,
‘আমি কিন্তু হজ আর তাবলিগ জামাতের ঘোরতর বিরোধী। আমি জামায়াতে ইসলামীর যতটা
বিরোধী, তার চেয়ে বেশি হজ আর তাবলিগের বিরোধী।’ এর ব্যাখ্যায় তিনি
বলেন, বিপুলসংখ্যক মানুষ হজে যাওয়ায় দেশের অর্থ আর শ্রমশক্তির ‘অপচয়’ হয়।
তার এই বক্তব্য প্রচার হলে তা নিয়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।
বিভিন্ন ইসলামী দল লতিফ সিদ্দিকীকে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেয়ার দাবি তোলে। তাকে গ্রেফতারের দাবি জানায় বিএনপি। বিভিন্ন স্থানে এই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলাও হতে থাকে। এরই মধ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে অপসারণ করা হয় লতিফ সিদ্দিকীকে। আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকেও তাকে বাদ দেয়া হয়। এরপর থেকে লতিফ সিদ্দিকী পশ্চিমবঙ্গে অবস্থান করছিলেন। টাঙ্গাইলে প্রভাবশালী সিদ্দিকীদের বড় ভাই ৭৭ বছর বয়সী লতিফ সিদ্দিকী টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসন থেকে পাঁচবার সংসদ সদস্য হয়েছেন। গত মহাজোট সরকারের পাট ও বস্ত্রমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন লতিফ সিদ্দিকী। শেখ হাসিনা টানা দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর চলতি বছরের শুরুতে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান তিনি। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর সামরিক শাসনামলে মুক্তিযোদ্ধা লতিফ সিদ্দিকীকে প্রায় ছয় বছর কারাগারে কাটাতে হয়। এরশাদের আমলে স্ত্রী লায়লা সিদ্দিকী জাতীয় পার্টির নারী সংসদ সদস্য হওয়ার পর মুক্তি পান তিনি।
বিভিন্ন ইসলামী দল লতিফ সিদ্দিকীকে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেয়ার দাবি তোলে। তাকে গ্রেফতারের দাবি জানায় বিএনপি। বিভিন্ন স্থানে এই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলাও হতে থাকে। এরই মধ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে অপসারণ করা হয় লতিফ সিদ্দিকীকে। আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকেও তাকে বাদ দেয়া হয়। এরপর থেকে লতিফ সিদ্দিকী পশ্চিমবঙ্গে অবস্থান করছিলেন। টাঙ্গাইলে প্রভাবশালী সিদ্দিকীদের বড় ভাই ৭৭ বছর বয়সী লতিফ সিদ্দিকী টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসন থেকে পাঁচবার সংসদ সদস্য হয়েছেন। গত মহাজোট সরকারের পাট ও বস্ত্রমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন লতিফ সিদ্দিকী। শেখ হাসিনা টানা দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর চলতি বছরের শুরুতে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান তিনি। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর সামরিক শাসনামলে মুক্তিযোদ্ধা লতিফ সিদ্দিকীকে প্রায় ছয় বছর কারাগারে কাটাতে হয়। এরশাদের আমলে স্ত্রী লায়লা সিদ্দিকী জাতীয় পার্টির নারী সংসদ সদস্য হওয়ার পর মুক্তি পান তিনি।
No comments