ঐতিহাসিক প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দিল তিউনিসীয়রা
তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন এক তরুণী। ২০১১ সালে আরব বসন্তে বেন আলীর পতনের পর গতকাল দেশটির মানুষ প্রথমবারের মতো সরাসরি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দেন। |
‘আরব বসন্ত’ আন্দোলনের সূচনা হওয়া তিউনিসিয়ায় কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে ঐতিহাসিক প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে গতকাল রোববার। তিউনিসিয়ার গণতন্ত্রে উত্তরণের জন্য এই নির্বাচনকে খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী মেহেদি জোমা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে স্বাগত জানিয়েছেন। খবর এএফপি ও বিবিসির। ২০১১ সালের আরব বসন্তের পর তিউনিসিয়ায় এটাই প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এতে মোট ২৭ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী অশীতিপর বেজি কাইদ এসেবসি (৮৭) জনপ্রিয়তার দিক থেকে এগিয়ে আছেন। তাঁর ধর্মনিরপেক্ষ দল নিদা তিউনিস গত মাসের পার্লামেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছে। এসেবসির অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিদায়ী প্রেসিডেন্ট মুনসেফ মারজুকি। গতকালের নির্বাচনে প্রায় ৫৩ লাখ ভোটারের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার কথা।
কোনো প্রার্থী ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পেলে আগামী ৩১ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে। কট্টর ইসলামপন্থীরা সহিংসতা ঘটাতে পারে, এই আশঙ্কায় ভোটকেন্দ্রগুলোর আশপাশে ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। গতকাল রাজধানী তিউনিসের উপকণ্ঠে একটি কেন্দ্রে ভোট দিতে গিয়ে সমর্থকদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বেজি কাইদ এসেবসি। এ সময় তিনি ‘তিউনিসিয়া দীর্ঘজীবী হোক’ বলে স্লোগান দেন। ২০১১ সালে তিউনিসিয়ার একনায়ক জাইন আল আবেদিন বেন আলীর বিরুদ্ধে গণবিক্ষোভ শুরু হয়। দেশটির গণতন্ত্রকামী মানুষের টানা আন্দোলনের ফলে ওই বছরই পদত্যাগে বাধ্য হন ১৯৮৭ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করা বেন আলী। সেই থেকে দেশটিতে রাজনৈতিক সংকট চলছে। তিউনিসিয়ার আন্দোলনের সাফল্যে উজ্জীবিত হয়ে অনেক আরব দেশের মানুষই সংস্কারের দাবিতে পথে নামে। দেশে দেশে শুরু হয় আরব বসন্ত নামে পরিচিতি পাওয়া আন্দোলন।
No comments