বিএনপির বোধোদয় হোক by মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন
পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিলের পর থেকেই মানুষের মাঝে ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হতে থাকে। এ ক্ষোভকে শক্তিতে পরিণত করে রাজপথের আন্দোলনের মাধ্যমে একটি পক্ষপাতহীন ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সরকারের কাছ থেকে আদায় করতে বিএনপি যে সমর্থ হয়নি, এটি দিবালোকের মতো সত্য। কেন সমর্থ হয়নি? এর কারণ কি বিএনপি অনুসন্ধান করেছে? মনে হয় না। কারণ অনুসন্ধান করলে বিএনপির কর্মকাণ্ডের মধ্যেই তার প্রতিফলন দেখা যেত। বিএনপি ৫ জানুয়ারির আগে যে অবস্থায় ছিল, বর্তমানেও সে অবস্থায়ই আছে।
বিএনপির নির্দলীয় সরকারের দাবিটি গণতান্ত্রিক। এর প্রতি বাংলাদেশের ৯০ শতাংশ মানুষের সমর্থন ছিল। এ দাবি আলোর মুখ কেন দেখেনি তা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ প্রয়োজন, প্রয়োজন এর যথাযথ কারণ অনুসন্ধান; না হলে বিএনপির আন্দোলন আবার হোঁচট খাবে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন।
জামালপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নীলফামারী, নাটোর ও কিশোরগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে খালেদা জিয়ার জনসভা দেখে মনে হয়, জনগণ বিএনপির সঙ্গে আছে। এখন এ জনতার শক্তিকে বিএনপি কীভাবে কাজে লাগাতে চায়- সেটিই বড় প্রশ্ন। আন্দোলনে সাফল্য পেতে হলে এ জনতার শক্তিকে রাজপথে আনতে হবে; কিন্তু এখন পর্যন্ত এর কোনো আলামত দেখা যাচ্ছে না।
প্রসঙ্গত, তৃণমূলের বিএনপির সঙ্গে কেন্দ্রের বিএনপির পার্থক্য নির্ণয় করা যায় অনায়াসে। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা নজিরবিহীন ধৈর্য ও অসীম কষ্ট সহিষ্ণু এবং অসাধারণ সাংগঠনিক দক্ষতার অধিকারী। যেকোনো প্রতিকূল অবস্থায়ও তারা দলের হাল শক্তভাবে ধরে রাখতে বদ্ধপরিকর। বিএনপির দুর্বলতা মূলত কেন্দ্রীয় পর্যায়ে। এ দুর্বলতা কাটিয়ে উঠাই বিএনপির সামনে এখন বড় চ্যালেঞ্জ। দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে হলে ব্যর্থ, অযোগ্য, পলায়নপর, অরাজনৈতিক ও ভীতু-কাপুরুষ নেতাদের পদ থেকে সরিয়ে দিতে হবে। পলায়নপর ও কাপুরুষোচিত মনোবৃত্তির কারণে ত্যাগী ও সাহসী কর্মীদের মন ভেঙে যায়, তারা রাজপথে নামার সাহস হারিয়ে ফেলে। বিরোধ যখন তুঙ্গে ওঠে, তখনই নেতৃত্ব প্রকাশের সময়। মানুষের বিপদে যে সামনে এসে দাঁড়ায়, তাকে মানুষ নেতার মর্যাদা দেয়।
পঞ্চাশের দশকের গোড়ায় পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরুকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেছিল, ভারত রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ কী? উত্তরে নেহেরু বলেছিলেন, বিশ্ব অর্থনীতি এখন নিয়ন্ত্রণ করছে ইংল্যান্ড, এটা অদূর ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন হয়ে ভারতের অনুকূলে আসার সম্ভাবনা আছে। বর্তমান বিশ্ব অর্থনীতির গতি-প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ করলে প্রতীয়মান হয়, পণ্ডিত নেহেরুর কথাই সত্য হতে যাচ্ছে। এ দূরদর্শিতার কারণেই নেহেরুকে পণ্ডিত বলা হতো। বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশের ভবিষ্যত কী? এ প্রশ্ন আজ রাজনীতিকদের কাছে, বিশেষ করে ক্ষমতাসীনদের কাছে। কিন্তু এ প্রশ্নের উত্তর দেশের বর্তমান নেতৃত্বের কাছে আছে বলে মনে হয় না।
ভোটবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে একটি অনৈতিক সরকার দেশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। একটা দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বাংলাদেশকে আচ্ছন্ন করেছে। এ থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে যে সাংঘর্ষিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে, তাতে নিশ্চিত বিপর্যয়ের দিকে ধাবিত হবে দেশ। ধ্বংসের মুখোমুখি এসে দাঁড়াবে ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতি। ক্ষতিগ্রস্ত হবে কৃষি, তৈরি পোশাক শিল্প এবং জনশক্তি রফতানি।
বর্তমানে দেশে যে সংকট চলছে, তিন বছর আগেও তা ছিল না। সমস্যাগুলো সুকৌশলে সৃষ্টি করা হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের মধ্য দিয়ে মূলত সংকটের আবির্ভাব। সরকার আদালতের ওপর দায় চাপিয়ে একতরফাভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছে। উচ্চ আদালত আরও দুটি নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করা যেতে পারে বলে মত দিয়েছিলেন। কিন্তু সরকার আদালতের মতকে কোনো গুরুত্ব দেয়নি। আর তাতেই সংকটের সূত্রপাত। ফলে দেশ এখন এক অনিশ্চিত সময় অতিক্রম করছে।
বিগত দিনে রাজনৈতিক অস্থিরতায় প্রচুর সম্পদ ধ্বংস হয়েছে, অনেক প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করলে বোঝা যায়, সুকৌশলে জাতিকে বিভক্তির দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। রাষ্ট্রের মালিক জনগণ, রাষ্ট্রের ভিত্তিও জনগণ; জনগণকে বিপন্ন করে রাষ্ট্র এগিয়ে যেতে পারে না। অযাচিত শক্তি প্রয়োগ সমস্যা সমাধানের পথ নয়। এভাবে কোনো সমস্যার সমাধান হয়েছে- পৃথিবীতে এমন নজির নেই। সমস্যা কেন সৃষ্টি হয়, সেদিকে নজর দিতে হবে। কোনো সামাজিক শক্তিকে বিপথে ঠেলে দেয়া অপরিণামদর্শী কাজ।
রাজনীতির মূলধারা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে ক্ষমতাসীনরা দমন-পীড়ন ও হত্যার পথ বেছে নেয় এবং অযাচিত শক্তি প্রয়োগ করে পরিস্থিতি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা চালায়। বর্তমান ক্ষমতাসীন দলও তাই করছে। তারা রাজনীতিকে রাজনীতি দিয়ে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়ে প্রশাসনিক শক্তির ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। এ প্রবণতা ক্ষমতাসীনদের জন্য ভবিষ্যতে অশনি সংকেত হয়ে আবির্ভূত হতে পারে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমন করার পরিণতি যে কখনও ভালো হয় না, তার প্রমাণ রয়েছে ভূরি ভূরি। আশা করি সরকার ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেবে।
যারা দেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তাদের আচরণ দায়িত্বহীন হওয়ার সুযোগ নেই। দায়িত্বহীন নেতৃত্বের কাছে দেশের অগ্রগতি আশা করা যায় না। এটা কি সরকার উপলব্ধি করে? প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, একাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনা হতে পারে। প্রশ্ন হল, সে আলোচনা শুরু হচ্ছে না কেন? ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার মধ্যে কোনো প্রশান্তি আছে বলে তো মনে হয় না। একাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছতে হবে। তাহলেই অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা কেটে যাবে। রাজনীতিকরা আসীন হবেন মর্যাদার আসনে।
মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন : রাজনৈতিক বিশ্লেষক
বিএনপির নির্দলীয় সরকারের দাবিটি গণতান্ত্রিক। এর প্রতি বাংলাদেশের ৯০ শতাংশ মানুষের সমর্থন ছিল। এ দাবি আলোর মুখ কেন দেখেনি তা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ প্রয়োজন, প্রয়োজন এর যথাযথ কারণ অনুসন্ধান; না হলে বিএনপির আন্দোলন আবার হোঁচট খাবে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন।
জামালপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নীলফামারী, নাটোর ও কিশোরগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে খালেদা জিয়ার জনসভা দেখে মনে হয়, জনগণ বিএনপির সঙ্গে আছে। এখন এ জনতার শক্তিকে বিএনপি কীভাবে কাজে লাগাতে চায়- সেটিই বড় প্রশ্ন। আন্দোলনে সাফল্য পেতে হলে এ জনতার শক্তিকে রাজপথে আনতে হবে; কিন্তু এখন পর্যন্ত এর কোনো আলামত দেখা যাচ্ছে না।
প্রসঙ্গত, তৃণমূলের বিএনপির সঙ্গে কেন্দ্রের বিএনপির পার্থক্য নির্ণয় করা যায় অনায়াসে। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা নজিরবিহীন ধৈর্য ও অসীম কষ্ট সহিষ্ণু এবং অসাধারণ সাংগঠনিক দক্ষতার অধিকারী। যেকোনো প্রতিকূল অবস্থায়ও তারা দলের হাল শক্তভাবে ধরে রাখতে বদ্ধপরিকর। বিএনপির দুর্বলতা মূলত কেন্দ্রীয় পর্যায়ে। এ দুর্বলতা কাটিয়ে উঠাই বিএনপির সামনে এখন বড় চ্যালেঞ্জ। দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে হলে ব্যর্থ, অযোগ্য, পলায়নপর, অরাজনৈতিক ও ভীতু-কাপুরুষ নেতাদের পদ থেকে সরিয়ে দিতে হবে। পলায়নপর ও কাপুরুষোচিত মনোবৃত্তির কারণে ত্যাগী ও সাহসী কর্মীদের মন ভেঙে যায়, তারা রাজপথে নামার সাহস হারিয়ে ফেলে। বিরোধ যখন তুঙ্গে ওঠে, তখনই নেতৃত্ব প্রকাশের সময়। মানুষের বিপদে যে সামনে এসে দাঁড়ায়, তাকে মানুষ নেতার মর্যাদা দেয়।
পঞ্চাশের দশকের গোড়ায় পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরুকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেছিল, ভারত রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ কী? উত্তরে নেহেরু বলেছিলেন, বিশ্ব অর্থনীতি এখন নিয়ন্ত্রণ করছে ইংল্যান্ড, এটা অদূর ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন হয়ে ভারতের অনুকূলে আসার সম্ভাবনা আছে। বর্তমান বিশ্ব অর্থনীতির গতি-প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ করলে প্রতীয়মান হয়, পণ্ডিত নেহেরুর কথাই সত্য হতে যাচ্ছে। এ দূরদর্শিতার কারণেই নেহেরুকে পণ্ডিত বলা হতো। বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশের ভবিষ্যত কী? এ প্রশ্ন আজ রাজনীতিকদের কাছে, বিশেষ করে ক্ষমতাসীনদের কাছে। কিন্তু এ প্রশ্নের উত্তর দেশের বর্তমান নেতৃত্বের কাছে আছে বলে মনে হয় না।
ভোটবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে একটি অনৈতিক সরকার দেশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। একটা দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বাংলাদেশকে আচ্ছন্ন করেছে। এ থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে যে সাংঘর্ষিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে, তাতে নিশ্চিত বিপর্যয়ের দিকে ধাবিত হবে দেশ। ধ্বংসের মুখোমুখি এসে দাঁড়াবে ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতি। ক্ষতিগ্রস্ত হবে কৃষি, তৈরি পোশাক শিল্প এবং জনশক্তি রফতানি।
বর্তমানে দেশে যে সংকট চলছে, তিন বছর আগেও তা ছিল না। সমস্যাগুলো সুকৌশলে সৃষ্টি করা হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের মধ্য দিয়ে মূলত সংকটের আবির্ভাব। সরকার আদালতের ওপর দায় চাপিয়ে একতরফাভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছে। উচ্চ আদালত আরও দুটি নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করা যেতে পারে বলে মত দিয়েছিলেন। কিন্তু সরকার আদালতের মতকে কোনো গুরুত্ব দেয়নি। আর তাতেই সংকটের সূত্রপাত। ফলে দেশ এখন এক অনিশ্চিত সময় অতিক্রম করছে।
বিগত দিনে রাজনৈতিক অস্থিরতায় প্রচুর সম্পদ ধ্বংস হয়েছে, অনেক প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করলে বোঝা যায়, সুকৌশলে জাতিকে বিভক্তির দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। রাষ্ট্রের মালিক জনগণ, রাষ্ট্রের ভিত্তিও জনগণ; জনগণকে বিপন্ন করে রাষ্ট্র এগিয়ে যেতে পারে না। অযাচিত শক্তি প্রয়োগ সমস্যা সমাধানের পথ নয়। এভাবে কোনো সমস্যার সমাধান হয়েছে- পৃথিবীতে এমন নজির নেই। সমস্যা কেন সৃষ্টি হয়, সেদিকে নজর দিতে হবে। কোনো সামাজিক শক্তিকে বিপথে ঠেলে দেয়া অপরিণামদর্শী কাজ।
রাজনীতির মূলধারা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে ক্ষমতাসীনরা দমন-পীড়ন ও হত্যার পথ বেছে নেয় এবং অযাচিত শক্তি প্রয়োগ করে পরিস্থিতি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা চালায়। বর্তমান ক্ষমতাসীন দলও তাই করছে। তারা রাজনীতিকে রাজনীতি দিয়ে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়ে প্রশাসনিক শক্তির ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। এ প্রবণতা ক্ষমতাসীনদের জন্য ভবিষ্যতে অশনি সংকেত হয়ে আবির্ভূত হতে পারে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমন করার পরিণতি যে কখনও ভালো হয় না, তার প্রমাণ রয়েছে ভূরি ভূরি। আশা করি সরকার ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেবে।
যারা দেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তাদের আচরণ দায়িত্বহীন হওয়ার সুযোগ নেই। দায়িত্বহীন নেতৃত্বের কাছে দেশের অগ্রগতি আশা করা যায় না। এটা কি সরকার উপলব্ধি করে? প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, একাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনা হতে পারে। প্রশ্ন হল, সে আলোচনা শুরু হচ্ছে না কেন? ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার মধ্যে কোনো প্রশান্তি আছে বলে তো মনে হয় না। একাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছতে হবে। তাহলেই অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা কেটে যাবে। রাজনীতিকরা আসীন হবেন মর্যাদার আসনে।
মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন : রাজনৈতিক বিশ্লেষক
No comments