নওয়াপাড়ায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে আওয়ামী লীগ নেতা নিহত
অভয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ
সম্পাদক ও নওয়াপাড়া পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোল্লা ওলিয়ার
রহমানকে (৫৫) সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করেছে। রোববার সকাল ৭টার দিকে
নওয়াপাড়া বাইপাস সড়কের গুয়াখোলা মধ্যপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
মোল্লা ওলিয়ার রহমান একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। খুলনা থেকে প্রকাশিত দৈনিক জন্মভূমির নওয়াপাড়া ব্যুরো প্রধানও ছিলেন তিনি।
তাকে হত্যার প্রতিবাদে দলীয় নেতাকর্মী, সমর্থক ও বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী রোববার বাইপাস সড়কসহ যশোর-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে দিনভর বিক্ষোভ করেছে। ঘটনার পরপরই বন্ধ হয়ে যায় নওয়াপাড়া শহরের সব দোকানপাট। পুলিশ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ইউনুস আলী নামের এক যুবককে আটক করেছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, মোল্লা ওলিয়ার রহমান প্রতিদিনের মতো রোববারও প্রাতঃভ্রমণে বের হন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মালেকও তার সঙ্গে ছিলেন। বাইপাস সড়ক দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে ডিএন টেক্সটাইল মিলের দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। এ সময় গুয়াখোলা মধ্যপাড়ার আরাফাত মসজিদের সামনে পৌঁছলে মোটরসাইকেলে অস্ত্রধারী তিন সন্ত্রাসী খুব কাছ থেকে মোল্লা ওলিয়ারকে লক্ষ্য করে দুটি গুলি করে। গুলি দুটি তার বুকে লাগে। তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে আবদুল মালেক চিৎকার শুরু করেন। সন্ত্রাসীরা তাকেও গুলি করতে উদ্যত হয়। কিন্তু ততক্ষণে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসায় সন্ত্রাসীরা দ্রুত পালিয়ে যায়। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সকালে ওলিয়ার রহমানকে গুলি করার খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধরা বিভিন্ন স্থানে টায়ার ও আসবাবপত্র জ্বালিয়ে যশোর-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে। এ সময় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হয় হাজারও মানুষকে। বিকাল পর্যন্ত এ বিক্ষোভ চলছিল। দুপুরে তার লাশ নওয়াপাড়ায় এসে পৌঁছালে হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। কান্নায় ভেঙে পড়েন দলীয় নেতাকর্মী, সাংবাদিক, মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা। নওয়াপাড়া পৌরসভায় প্রথম, শংকরপাশা মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে দ্বিতীয় ও সিরাজকাঠি গ্রামে তৃতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে দাফন করা হয়।
মোল্লা ওলিয়ার রহমানকে হত্যার কারণ কী তাৎক্ষণিকভাবে তা জানাতে পারেনি কেউই। অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছয়রুদ্দিন আহমেদ বলেন, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে সরখোলা গ্রামের হাকিম মোল্লার পুত্র ইউনুস আলীকে আটক করা হয়েছে।
মোল্লা ওলিয়ার রহমান একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। খুলনা থেকে প্রকাশিত দৈনিক জন্মভূমির নওয়াপাড়া ব্যুরো প্রধানও ছিলেন তিনি।
তাকে হত্যার প্রতিবাদে দলীয় নেতাকর্মী, সমর্থক ও বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী রোববার বাইপাস সড়কসহ যশোর-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে দিনভর বিক্ষোভ করেছে। ঘটনার পরপরই বন্ধ হয়ে যায় নওয়াপাড়া শহরের সব দোকানপাট। পুলিশ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ইউনুস আলী নামের এক যুবককে আটক করেছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, মোল্লা ওলিয়ার রহমান প্রতিদিনের মতো রোববারও প্রাতঃভ্রমণে বের হন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মালেকও তার সঙ্গে ছিলেন। বাইপাস সড়ক দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে ডিএন টেক্সটাইল মিলের দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। এ সময় গুয়াখোলা মধ্যপাড়ার আরাফাত মসজিদের সামনে পৌঁছলে মোটরসাইকেলে অস্ত্রধারী তিন সন্ত্রাসী খুব কাছ থেকে মোল্লা ওলিয়ারকে লক্ষ্য করে দুটি গুলি করে। গুলি দুটি তার বুকে লাগে। তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে আবদুল মালেক চিৎকার শুরু করেন। সন্ত্রাসীরা তাকেও গুলি করতে উদ্যত হয়। কিন্তু ততক্ষণে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসায় সন্ত্রাসীরা দ্রুত পালিয়ে যায়। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সকালে ওলিয়ার রহমানকে গুলি করার খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধরা বিভিন্ন স্থানে টায়ার ও আসবাবপত্র জ্বালিয়ে যশোর-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে। এ সময় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হয় হাজারও মানুষকে। বিকাল পর্যন্ত এ বিক্ষোভ চলছিল। দুপুরে তার লাশ নওয়াপাড়ায় এসে পৌঁছালে হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। কান্নায় ভেঙে পড়েন দলীয় নেতাকর্মী, সাংবাদিক, মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা। নওয়াপাড়া পৌরসভায় প্রথম, শংকরপাশা মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে দ্বিতীয় ও সিরাজকাঠি গ্রামে তৃতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে দাফন করা হয়।
মোল্লা ওলিয়ার রহমানকে হত্যার কারণ কী তাৎক্ষণিকভাবে তা জানাতে পারেনি কেউই। অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছয়রুদ্দিন আহমেদ বলেন, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে সরখোলা গ্রামের হাকিম মোল্লার পুত্র ইউনুস আলীকে আটক করা হয়েছে।
No comments