হাসিনা-মোদি’র বৈঠক অনিশ্চিত
সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে কাল নেপাল যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিকাল ৩টা নাগাদ তাকে বহনকারী বিমানটি কাঠমান্ডুর উদ্দেশে ঢাকা ছেড়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রীর সফর নিয়ে রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বাসস গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে জানিয়েছে- ২৬শে নভেম্বর নেপালের প্রধানমন্ত্রী এবং আফগানিস্তান ও মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক হবে। তবে খবরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে শেখ হাসিনার বৈঠক হবে কিনা তার কোন উল্লেখ নেই। ওই রিপোর্টের সূত্র ধরে কাঠমান্ডু সফরে থাকা পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হকের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি মানবজমিনকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন-এটা নিশ্চিত। সেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর শীর্ষ নেতারাও যোগ দিচ্ছেন। এক সঙ্গে থাকার সুবাদে সম্মেলনে এবং সাইড লাইনে তাদের দেখা-সাক্ষাৎ, কথাবার্তা হবে। দ্বিপক্ষীয় বৈঠকও হতে পারে। কিন্তু কখন কার সঙ্গে কার সাক্ষাৎ বা বৈঠক হবে তার অনেক কিছুই এখনও চূড়ান্ত হয়নি। নেপালের প্রধানমন্ত্রী এবং আফগানিস্তান ও মালদ্বীপ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক হচ্ছে মর্মে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে বাসস যে খবর দিয়েছে তার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ, বিশেষ করে সেখানে প্রত্যাশিত ‘মোদি-হাসিনা বৈঠক’ প্রসঙ্গে উল্লেখ না থাকার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, এমন ইভেন্টে শেষ মুহূর্তে অনেক কিছু ঠিক হয়। বিভিন্ন নেতার সঙ্গে শেখ হাসিনার বৈঠকের বিষয়ে কাজ চলছে। হাসিনা-মোদি বৈঠক হবে কিনা, বাংলাদেশ কিংবা ভারত কোন পক্ষ এজন্য সুনির্দিষ্টভাবে কোন প্রস্তাব করেছে কিনা এমন একাধিক প্রশ্নে সচিব এখনই কোন মন্তব্য বা বক্তব্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
সফরের বিস্তারিত: বাসস জানিয়েছে, দু’দিনব্যাপী সার্ক শীর্ষ সম্মেলন আগামী ২৬শে নভেম্বর কাঠমান্ডুর ভ্রীকুটি ম-পে অবস্থিত রাষ্ট্রীয় সভাগৃহে (নগর মিলনায়তন) শুরু হবে। অষ্টাদশ সার্ক শীর্ষ সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক’। মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে প্র্রধানমন্ত্রী ও তার সফর সঙ্গীরা ঢাকা ত্যাগ করবেন। ওই দিন নেপালের স্থানীয় সময় চারটা ১৫ মিনিটে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছবেন তারা। বিমানবন্দরে উষ্ণ অভ্যর্থনা শেষে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে এক আনুষ্ঠানিক মোটর শোভাযাত্রা সহকারে হোটেল ক্রাউন প্লাজা সোয়েলটি-কাঠমান্ডুতে নিয়ে যাওয়া হবে। নেপাল সফর কালে তিনি সেখানে অবস্থান করবেন। ২৬শে নভেম্বর অষ্টাদশ সার্ক সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে সদস্য দেশগুলোর রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থাকবেন ও ভাষণ দিবেন। সেখানে একটি ফটো সেশনেও অংশ নিবেন। প্রথম দিন সম্মেলনের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালা, আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট ড. আশরাফ গণি এবং মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিন আবদুল গাইয়ুম-এর সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়াও, ওই দিন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী অন্যান্য দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সঙ্গে হোটেল ক্রাউন প্লাজা সোয়েলটিতে নেপালের প্রধানমন্ত্রীর আয়োজিত ভোজসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন। ২৭শে নভেম্বর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং অন্য রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা অবকাশের জন্য হেলিকপ্টার যোগে নেপালের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র ধুপিখেল-এ যাবেন। একই দিন, ধুপিখেল থেকে ফিরে তারা শীর্ষ সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। অন্য রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাঠমান্ডুর রাষ্ট্রপতি ভবনে নেপালের প্রেসিডেন্ট ড. রামবরণ যাদবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। তারা নেপালের রাষ্ট্রপতির দেয়া ভোজসভায়ও যোগ দেবেন। আগামী ২৮শে নভেম্বর দুপুর ১২টা পাঁচ মিনিটে তিনি দেশে ফিরবেন।
সফরের বিস্তারিত: বাসস জানিয়েছে, দু’দিনব্যাপী সার্ক শীর্ষ সম্মেলন আগামী ২৬শে নভেম্বর কাঠমান্ডুর ভ্রীকুটি ম-পে অবস্থিত রাষ্ট্রীয় সভাগৃহে (নগর মিলনায়তন) শুরু হবে। অষ্টাদশ সার্ক শীর্ষ সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক’। মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে প্র্রধানমন্ত্রী ও তার সফর সঙ্গীরা ঢাকা ত্যাগ করবেন। ওই দিন নেপালের স্থানীয় সময় চারটা ১৫ মিনিটে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছবেন তারা। বিমানবন্দরে উষ্ণ অভ্যর্থনা শেষে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে এক আনুষ্ঠানিক মোটর শোভাযাত্রা সহকারে হোটেল ক্রাউন প্লাজা সোয়েলটি-কাঠমান্ডুতে নিয়ে যাওয়া হবে। নেপাল সফর কালে তিনি সেখানে অবস্থান করবেন। ২৬শে নভেম্বর অষ্টাদশ সার্ক সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে সদস্য দেশগুলোর রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থাকবেন ও ভাষণ দিবেন। সেখানে একটি ফটো সেশনেও অংশ নিবেন। প্রথম দিন সম্মেলনের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালা, আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট ড. আশরাফ গণি এবং মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিন আবদুল গাইয়ুম-এর সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়াও, ওই দিন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী অন্যান্য দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সঙ্গে হোটেল ক্রাউন প্লাজা সোয়েলটিতে নেপালের প্রধানমন্ত্রীর আয়োজিত ভোজসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন। ২৭শে নভেম্বর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং অন্য রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা অবকাশের জন্য হেলিকপ্টার যোগে নেপালের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র ধুপিখেল-এ যাবেন। একই দিন, ধুপিখেল থেকে ফিরে তারা শীর্ষ সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। অন্য রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাঠমান্ডুর রাষ্ট্রপতি ভবনে নেপালের প্রেসিডেন্ট ড. রামবরণ যাদবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। তারা নেপালের রাষ্ট্রপতির দেয়া ভোজসভায়ও যোগ দেবেন। আগামী ২৮শে নভেম্বর দুপুর ১২টা পাঁচ মিনিটে তিনি দেশে ফিরবেন।
No comments