সাক্ষাৎকার -বিকল্প রাজনৈতিক শক্তির প্রয়োজন বাড়ছে by উৎপল রায়
বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)-র সাধারণ সম্পাদক কমরেড খালেকুজ্জামান বলেছেন, আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘাতময় রাজনীতির মধ্যেই অবস্থান করছে। এদের কাছে জনগণের প্রত্যাশা শুধু হতাশাই বাড়াবে। এরা অহিংসার বাণী ছড়িয়ে সহিংসতায় লিপ্ত হয়। একারণেই দ্বি-দলীয় দুর্বৃত্তায়িত-দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতির বাইরে বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি গড়ে ওঠার গণচাহিদা
ক্রমাগত বাড়ছে। মানবজমিনের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সমপ্রচার নীতিমালা শাসকের সঙ্গে দেশের জনগণের দূরত্ব বাড়াবে। এছাড়া, বিচারপতিদের অভিশংসন প্রক্রিয়া সংসদের হাতে চলে গেলে বিচার বিভাগে রাজনীতিকরণ আরও বাড়বে।
বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের সামগ্রিক কার্যক্রম কিভাবে দেখছেন- এমন প্রশ্নে খালেকুজ্জামান বলেন, জনমত ও জনসমর্থনের ভিত্তিতে ক্ষমতায় আসা এবং জনকল্যাণ সাধনের প্রক্রিয়ায় উন্নয়ন ও সার্বিক অগ্রগতির দিকে দেশকে এগিয়ে নেয়ার সনাতন পদ্ধতি ও প্রক্রিয়ার কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে গেছে বলে তারা (সরকার) মনে করেন। তাই ক্ষমতায় এসে জনমত ও জনসমর্থন লাভ করার বিকল্প পদ্ধতির এক বিরল দৃষ্টান্ত তারা স্থাপন করেছেন। এ কারণে প্রতি মুহূর্তে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ফিরিস্তি প্রচার করছে সরকার। জনগণের চোখের সামনে উন্নয়ন তৎপরতার চিত্র হাজির রাখার এ অনন্ত প্রয়াস চলছেই। সে জন্য সমপ্রচার, বিচার-আচার, প্রথা-প্রতিষ্ঠান সব কিছুকে তারা তাদের মতো করে সাজিয়ে গুছিয়ে নিতে চাইছে। কিন্তু কয়লা ঘষে কালিমা দূর করার এ ব্যর্থ প্রয়াস শাসকদের কতটা ক্ষতি করবে তার পরিমাপ করা গেলেও দেশ ও জনগণের ক্ষতির পরিমাপ করা কঠিন হয়ে পড়বে।
এক্ষেত্রে রাজপথে বিরোধী দল হিসেবে বিএনপির ভূমিকা কতটুকু সফল বলে মনে করেন- এমন প্রশ্নে বাসদের এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের ব্যর্থতা বিএনপির সফলতা, আর বিএনপির ব্যর্থতা আওয়ামী লীগের সফলতা- বিষয়টা এক রকম হলেও একে কাজে লাগাবার দক্ষতা বিএনপির চেয়ে আওয়ামী লীগের বেশি। বিগত সময়ে (২০১৪) ক্ষমতা দখলের চূড়ান্ত লড়াই-এ বিএনপি হেরে গেছে। বিএনপির ব্যর্থতাকে পুঁজি করে সমগ্র গণআন্দোলনের সম্ভাবনাকে নাকচ করে দিয়ে তাদের শাসন-শোষণকে নিরাপদ রাখতে সময় পার করছে আওয়ামী লীগ। বিএনপি আওয়ামী লীগকে সেই সুযোগ যেমন তৈরি করে দিচ্ছে, তেমনি জনজীবনের সমস্যাকে শক্ত হাতে ধরে জনগণের নিকটবর্তী হওয়ার পথও পরিহার করে চলেছে। অতীতের ভ্রান্ত রণকৌশল, হামলা-মামলা, দলীয় অভ্যন্তরীণ সংহতিতে ঘাটতি ও জনআস্থা কুড়িয়ে ঘুরে দাঁড়াবার সামর্থ্য বিএনপি অর্জন করতে পারছে না। এ কারণে এখনও সামগ্রিক দুরবস্থা বৃহৎ এই রাজনৈতিক দলটি কাটিয়ে উঠতে পারছে না।
সরকারের করা সমপ্রচার নীতিমালা নিয়ে খালেকুজ্জামান বলেন, সমপ্রচার নীতি গণমুখী হতে পারে আবার গণবিরোধীও হতে পারে। নীতিটি জনগণের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা ও অধিকার সমপ্রসারণের উদ্দেশ্যে যেমন হতে পারে আবার তা সঙ্কুচিত বা খর্ব করার জন্যও হতে পারে। ফলে একটা সমপ্রচার নীতি হচ্ছে বলেই তা গ্রহণযোগ্য হয়ে যেতে পারে না। কি ধরনের সরকার কোন সময়ে, কি পদ্ধতিতে, কোন উদ্দেশ্যে (গোপন এবং প্রকাশ্য) নীতিমালার রূপরেখা প্রণয়ন করেছে, তা বিবেচনায় নেয়া প্রয়োজন। তিনি বলেন, বিগত ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন জনগণের সন্তুষ্টি ও অংশগ্রহণে হয়নি। সরকার গঠনে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য যতজন নির্বাচিত প্রতিনিধি দরকার হয় তার চেয়ে বেশি সদস্য বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছে। ফলে ভোটারদের মধ্যে অতৃপ্তির প্রশ্নবোধক চিহ্ন ক্ষতচিহ্নের মতো অস্বস্তি তৈরি করেছে। যতক্ষণ না জনগণের সন্তুষ্টি ও অংশগ্রহণে আরেকটি নির্বাচন না হচ্ছে এই অতৃপ্তি ঘুচবে না। এই পরিস্থিতিতে সমপ্রচার নীতিমালাতে যেভাবে বিধি-নিষেধের ডালপালা ছড়ানো হয়েছে তা জনগণের সঙ্গে শাসকদের দূরত্ব বাড়াতে সাহায্য করবে।
সমপ্রচার নীতিমালা অপরিহার্য ছিল কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে খালেকুজ্জামান বলেন, রেডিও, টিভি ইত্যাদির লাইসেন্স দলীয় ও স্বার্থ-সুবিধার বিবেচনায় যে ভাবে বিগত দিনে দেয়া হয়েছে। এর পরিবর্তে যোগ্যতার একটা মানদণ্ড ও আইনগত ভিত্তি দেয়া দরকার ছিল যা এই নীতিমালাতে নেই। তাছাড়া, আরও সমপ্রচার মাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মীবাহিনীর বেতন কাঠামো, চাকরির স্থায়িত্ব ও আইনানুগ সুবিধা, অধিকার প্রাপ্তির নিশ্চয়তা এবং জীবনের নিরাপত্তা বিধানে রাষ্ট্রীয় সহায়তা ইত্যাদির কোন উল্লেখ যেখানে নেই সেখানে তা এমনিতেই অর্থহীন হয়ে যায়। ফলে সরকারের দিক থেকে প্রয়োজন দেখা দিলেও জনগণ এবং সমপ্রচার সম্পৃক্ত মহলের কাছে এর কোন প্রয়োজন কিংবা অপরিহার্যতা ছিল না বলা যায়।
বিচারপতিদের অভিশংসন প্রক্রিয়া কি বিচার বিভাগকে রাজনীতিকরণ করবে- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, বিচার বিভাগ দলীয় রাজনীতিকরণের শিকার এমনিতেই হয়ে আছে। নিম্ন আদালত প্রত্যক্ষভাবে নির্বাহী কর্তৃত্বের অধীনে। উচ্চ আদালতও পরোক্ষ কর্তৃত্বাধীন। উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রেও ১০ বছরের ওকালতি কিংবা ১০ বছরের জজিয়তি ছাড়া যোগ্য বিচারক নিয়োগের কোন মানদণ্ড কিংবা আইন নেই। এর জন্য আলাদা কোন সচিবালয়ও নেই। এখন অভিশংসনের অর্থ দাঁড়াবে, আমরা দলীয় বিবেচনায় বিচারকের নিয়োগ দিচ্ছি ভবিষ্যতে দলীয় বিবেচনায় ছাঁটাই করার ব্যবস্থাপত্র থাকবে।
দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের বাইরে বাম বলয় গড়ে তুলতে বামদলগুলো কতটা সক্রিয়- এমন প্রশ্নে বাসদ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা সক্রিয় অনেকদিন থেকেই। এটা শুভ ইঙ্গিতবহ। বাম গণতান্ত্রিক শক্তি ও গণআন্দোলনের শক্তি বিকাশের সম্ভাবনাকে দৃশ্যমানতায় নিয়ে আসা এখন সময়ের ব্যাপার। তিনি বলেন, দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের সংলাপ হলে এক চেয়ারে দু’জনের এক সঙ্গে, একই সময়ে বসার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়তো করা যাবে কিন্তু স্থান সংকুলান হবে কিভাবে? সকালের সরকার আর বিকালের সরকার, এভাবেও তো সরকার গঠন কিংবা চালানো সম্ভব নয়। আর একজনের বিনাশকে যদি আরেক জনের অস্তিত্বের শর্ত বানিয়ে ফেলি তাহলে সংলাপ আর প্রলাপ সমার্থক হয়ে পড়ে। ক্ষমতা ছাড়বো না আর ক্ষমতায় থাকতে দেবো না- এই মনোভাবের তালগাছ মার্কা সংকল্প না ছাড়া পর্যন্ত কার্যকর সংলাপ বা সংলাপের পরিস্থিতি তৈরি করা কঠিন।
আওয়ামী লীগ-বিএনপি সমঝোতায় না আসা আগামীদিনের রাজনীতির জন্য অশনি সংকেত কিনা- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে তারা আবার পরস্পরের প্রতি দোষারোপের ধুলা উড়িয়ে জনজীবনের সমস্যাকে অদৃশ্য করে রাখবে। উভয় পক্ষের রাজনীতিকে এভাবেই তারা চাঙ্গা করে রাখতে চাইবে। সংঘাতময় পরিস্থিতি পাল্টাতে হলে বিকল্প শক্তিশালী রাজনৈতিক শক্তি ও গণজোয়ারের প্লাবন সৃষ্টি করতে হবে। মানুষের দৃষ্টিকে এখন সেদিকে নিয়ে যেতে হবে।
বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের সামগ্রিক কার্যক্রম কিভাবে দেখছেন- এমন প্রশ্নে খালেকুজ্জামান বলেন, জনমত ও জনসমর্থনের ভিত্তিতে ক্ষমতায় আসা এবং জনকল্যাণ সাধনের প্রক্রিয়ায় উন্নয়ন ও সার্বিক অগ্রগতির দিকে দেশকে এগিয়ে নেয়ার সনাতন পদ্ধতি ও প্রক্রিয়ার কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে গেছে বলে তারা (সরকার) মনে করেন। তাই ক্ষমতায় এসে জনমত ও জনসমর্থন লাভ করার বিকল্প পদ্ধতির এক বিরল দৃষ্টান্ত তারা স্থাপন করেছেন। এ কারণে প্রতি মুহূর্তে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ফিরিস্তি প্রচার করছে সরকার। জনগণের চোখের সামনে উন্নয়ন তৎপরতার চিত্র হাজির রাখার এ অনন্ত প্রয়াস চলছেই। সে জন্য সমপ্রচার, বিচার-আচার, প্রথা-প্রতিষ্ঠান সব কিছুকে তারা তাদের মতো করে সাজিয়ে গুছিয়ে নিতে চাইছে। কিন্তু কয়লা ঘষে কালিমা দূর করার এ ব্যর্থ প্রয়াস শাসকদের কতটা ক্ষতি করবে তার পরিমাপ করা গেলেও দেশ ও জনগণের ক্ষতির পরিমাপ করা কঠিন হয়ে পড়বে।
এক্ষেত্রে রাজপথে বিরোধী দল হিসেবে বিএনপির ভূমিকা কতটুকু সফল বলে মনে করেন- এমন প্রশ্নে বাসদের এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের ব্যর্থতা বিএনপির সফলতা, আর বিএনপির ব্যর্থতা আওয়ামী লীগের সফলতা- বিষয়টা এক রকম হলেও একে কাজে লাগাবার দক্ষতা বিএনপির চেয়ে আওয়ামী লীগের বেশি। বিগত সময়ে (২০১৪) ক্ষমতা দখলের চূড়ান্ত লড়াই-এ বিএনপি হেরে গেছে। বিএনপির ব্যর্থতাকে পুঁজি করে সমগ্র গণআন্দোলনের সম্ভাবনাকে নাকচ করে দিয়ে তাদের শাসন-শোষণকে নিরাপদ রাখতে সময় পার করছে আওয়ামী লীগ। বিএনপি আওয়ামী লীগকে সেই সুযোগ যেমন তৈরি করে দিচ্ছে, তেমনি জনজীবনের সমস্যাকে শক্ত হাতে ধরে জনগণের নিকটবর্তী হওয়ার পথও পরিহার করে চলেছে। অতীতের ভ্রান্ত রণকৌশল, হামলা-মামলা, দলীয় অভ্যন্তরীণ সংহতিতে ঘাটতি ও জনআস্থা কুড়িয়ে ঘুরে দাঁড়াবার সামর্থ্য বিএনপি অর্জন করতে পারছে না। এ কারণে এখনও সামগ্রিক দুরবস্থা বৃহৎ এই রাজনৈতিক দলটি কাটিয়ে উঠতে পারছে না।
সরকারের করা সমপ্রচার নীতিমালা নিয়ে খালেকুজ্জামান বলেন, সমপ্রচার নীতি গণমুখী হতে পারে আবার গণবিরোধীও হতে পারে। নীতিটি জনগণের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা ও অধিকার সমপ্রসারণের উদ্দেশ্যে যেমন হতে পারে আবার তা সঙ্কুচিত বা খর্ব করার জন্যও হতে পারে। ফলে একটা সমপ্রচার নীতি হচ্ছে বলেই তা গ্রহণযোগ্য হয়ে যেতে পারে না। কি ধরনের সরকার কোন সময়ে, কি পদ্ধতিতে, কোন উদ্দেশ্যে (গোপন এবং প্রকাশ্য) নীতিমালার রূপরেখা প্রণয়ন করেছে, তা বিবেচনায় নেয়া প্রয়োজন। তিনি বলেন, বিগত ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন জনগণের সন্তুষ্টি ও অংশগ্রহণে হয়নি। সরকার গঠনে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য যতজন নির্বাচিত প্রতিনিধি দরকার হয় তার চেয়ে বেশি সদস্য বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছে। ফলে ভোটারদের মধ্যে অতৃপ্তির প্রশ্নবোধক চিহ্ন ক্ষতচিহ্নের মতো অস্বস্তি তৈরি করেছে। যতক্ষণ না জনগণের সন্তুষ্টি ও অংশগ্রহণে আরেকটি নির্বাচন না হচ্ছে এই অতৃপ্তি ঘুচবে না। এই পরিস্থিতিতে সমপ্রচার নীতিমালাতে যেভাবে বিধি-নিষেধের ডালপালা ছড়ানো হয়েছে তা জনগণের সঙ্গে শাসকদের দূরত্ব বাড়াতে সাহায্য করবে।
সমপ্রচার নীতিমালা অপরিহার্য ছিল কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে খালেকুজ্জামান বলেন, রেডিও, টিভি ইত্যাদির লাইসেন্স দলীয় ও স্বার্থ-সুবিধার বিবেচনায় যে ভাবে বিগত দিনে দেয়া হয়েছে। এর পরিবর্তে যোগ্যতার একটা মানদণ্ড ও আইনগত ভিত্তি দেয়া দরকার ছিল যা এই নীতিমালাতে নেই। তাছাড়া, আরও সমপ্রচার মাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মীবাহিনীর বেতন কাঠামো, চাকরির স্থায়িত্ব ও আইনানুগ সুবিধা, অধিকার প্রাপ্তির নিশ্চয়তা এবং জীবনের নিরাপত্তা বিধানে রাষ্ট্রীয় সহায়তা ইত্যাদির কোন উল্লেখ যেখানে নেই সেখানে তা এমনিতেই অর্থহীন হয়ে যায়। ফলে সরকারের দিক থেকে প্রয়োজন দেখা দিলেও জনগণ এবং সমপ্রচার সম্পৃক্ত মহলের কাছে এর কোন প্রয়োজন কিংবা অপরিহার্যতা ছিল না বলা যায়।
বিচারপতিদের অভিশংসন প্রক্রিয়া কি বিচার বিভাগকে রাজনীতিকরণ করবে- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, বিচার বিভাগ দলীয় রাজনীতিকরণের শিকার এমনিতেই হয়ে আছে। নিম্ন আদালত প্রত্যক্ষভাবে নির্বাহী কর্তৃত্বের অধীনে। উচ্চ আদালতও পরোক্ষ কর্তৃত্বাধীন। উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রেও ১০ বছরের ওকালতি কিংবা ১০ বছরের জজিয়তি ছাড়া যোগ্য বিচারক নিয়োগের কোন মানদণ্ড কিংবা আইন নেই। এর জন্য আলাদা কোন সচিবালয়ও নেই। এখন অভিশংসনের অর্থ দাঁড়াবে, আমরা দলীয় বিবেচনায় বিচারকের নিয়োগ দিচ্ছি ভবিষ্যতে দলীয় বিবেচনায় ছাঁটাই করার ব্যবস্থাপত্র থাকবে।
দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের বাইরে বাম বলয় গড়ে তুলতে বামদলগুলো কতটা সক্রিয়- এমন প্রশ্নে বাসদ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা সক্রিয় অনেকদিন থেকেই। এটা শুভ ইঙ্গিতবহ। বাম গণতান্ত্রিক শক্তি ও গণআন্দোলনের শক্তি বিকাশের সম্ভাবনাকে দৃশ্যমানতায় নিয়ে আসা এখন সময়ের ব্যাপার। তিনি বলেন, দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের সংলাপ হলে এক চেয়ারে দু’জনের এক সঙ্গে, একই সময়ে বসার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়তো করা যাবে কিন্তু স্থান সংকুলান হবে কিভাবে? সকালের সরকার আর বিকালের সরকার, এভাবেও তো সরকার গঠন কিংবা চালানো সম্ভব নয়। আর একজনের বিনাশকে যদি আরেক জনের অস্তিত্বের শর্ত বানিয়ে ফেলি তাহলে সংলাপ আর প্রলাপ সমার্থক হয়ে পড়ে। ক্ষমতা ছাড়বো না আর ক্ষমতায় থাকতে দেবো না- এই মনোভাবের তালগাছ মার্কা সংকল্প না ছাড়া পর্যন্ত কার্যকর সংলাপ বা সংলাপের পরিস্থিতি তৈরি করা কঠিন।
আওয়ামী লীগ-বিএনপি সমঝোতায় না আসা আগামীদিনের রাজনীতির জন্য অশনি সংকেত কিনা- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে তারা আবার পরস্পরের প্রতি দোষারোপের ধুলা উড়িয়ে জনজীবনের সমস্যাকে অদৃশ্য করে রাখবে। উভয় পক্ষের রাজনীতিকে এভাবেই তারা চাঙ্গা করে রাখতে চাইবে। সংঘাতময় পরিস্থিতি পাল্টাতে হলে বিকল্প শক্তিশালী রাজনৈতিক শক্তি ও গণজোয়ারের প্লাবন সৃষ্টি করতে হবে। মানুষের দৃষ্টিকে এখন সেদিকে নিয়ে যেতে হবে।
No comments