আইএস দমনে যুক্তরাষ্ট্রের নয়া জোট গঠন
যুক্তরাষ্ট্রের ওবামা প্রশাসন গতকাল শুক্রবার জানিয়েছে, ইরাক ও সিরিয়া থেকে ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিদের দমনে তারা জোট গঠন করেছে। ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনের বাইরে অত্যন্ত কম সময়ের মধ্যে আয়োজিত এক আলোচনায় অংশ নেয় যুক্তরাষ্ট্রসহ ব্রিটেন, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জার্মানি, তুরস্ক, ইতালি, পোল্যান্ড ও ডেনমার্ক। এই জোট আইএস দমনে দুটি দীর্ঘ কৌশল নিয়েছে। এগুলো হলো ইরাক ও সিরিয়ায় জোটভুক্ত দেশগুলোর ভূমিতে যুদ্ধের সক্ষমতা বাড়ানো আর এ সময় বিমান থেকে জঙ্গিগোষ্ঠীর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত বোমা বর্ষণ। আইএস বিলুপ্ত হওয়া না পর্যন্ত এই কৌশলে যুদ্ধ চলবে। গতকাল নিউইয়র্ক টাইমস-এর এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে। এদিকে বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আইএস জঙ্গিদের মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সম্মত হয়েছে ইরান। ইরাকের উত্তরে আইএস জঙ্গিদের মোকাবিলায় প্রচেষ্টা জোরদার করতে ইরাকে অবস্থিত মার্কিন সেনাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবে ইরান। ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি এ ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছেন।
মার্কিন সেনাদের সঙ্গে এই প্রচেষ্টার সমন্বয় করতে রেভল্যুশনারি গার্ডের একজন ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাকে নিয়োগ দিয়েছেন এই সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা। অগ্রবর্তী বাহিনী গঠনের সিদ্ধান্ত: ইউক্রেনে রাশিয়ার কথিত ‘হস্তক্ষেপের’ জবাবে পূর্ব ইউরোপে ন্যাটোর প্রতিরক্ষাব্যবস্থা জোরদার করার একটি পরিকল্পনা অনুমোদন করেছেন ২৮ দেশের এই সামরিক জোটের নেতারা। যুক্তরাজ্যের ওয়েলসে চলমান সম্মেলনে ন্যাটোর মহাসচিব অ্যান্ডারস ফগ রাসমুসেন গতকাল এ কথা জানিয়েছেন। খবর এএফপি ও রয়টার্সের। সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে গৃহীত পরিকল্পনার আওতায় একটি ‘অগ্রবর্তী’ বাহিনী গঠন করা হবে, যেটি দ্রুত পদক্ষেপ নেবে। এই বাহিনীর জন্য ন্যাটোর নতুন সদস্য পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোতে সামরিক অস্ত্র-সরঞ্জাম এমন অবস্থায় রাখা হবে, যাতে সংকটকালে সেগুলো দ্রুততার সঙ্গে কাজে লাগানো যায়। বিশেষ করে সাম্প্রতিক ইউক্রেন সংকটের প্রেক্ষাপটে রাশিয়ার ‘আগ্রাসী’ তৎপরতায় শঙ্কিত পূর্ব ইউরোপের ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোকে আশ্বস্ত করতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো। দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে তিন বাল্টিক রাষ্ট্র এস্তোনিয়া, লাটভিয়া ও লিথুয়ানিয়া। সাড়ে তিন হাজার সেনা দেবে যুক্তরাজ্য: ন্যাটোর নতুন বাহিনীর জন্য সাড়ে তিন হাজার সেনাসদস্য দিতে যুক্তরাজ্য প্রস্তুত রয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন গতকাল এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘সদস্যদেশগুলোকে এমন একটি অগ্রবর্তী বাহিনী গঠনের বিষয়ে সম্মত হতে হবে, যেটি দুই থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে বিশ্বের যেকোনো স্থানে মোতায়েন করা যাবে।... সবাই এ বিষয়ে একমত হলে যুক্তরাজ্য সাড়ে তিন হাজার সেনা দেবে।’
No comments