‘সিটি ওভার নাইটে’ নতুন রূপে নবীন তারকা নায়লা নাঈম
সাম্প্রতিক সময়ে অত্যন্ত পরিচিত এক নাম
নায়লা নাঈম। মিডিয়াতে মডেলিং-এর মধ্য দিয়েই পরিচিতি ঘটে তাঁর। তবে অল্পসময়ে
তাঁর অভিনয় দক্ষতাও মুগ্ধ করেছে দর্শক ও নির্মাতাদের। সম্প্রতি তিনি
নায়িকা হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন ‘মারুফ টাকা ধরে না’ শিরোনামে একটি
চলচ্চিত্রে। এই ছবিতে তিনি চিত্রনায়ক মারুফের বিপরীতে জুটি বেঁধে অভিনয়
করবেন। প্রিয়.কম বিনোদনকে আলোচিত এই মডেল-অভিনেত্রী বললেন তাঁর বর্তমান
কর্মব্যস্থতা ও বাংলাদেশের চলচ্চিত্র নিয়ে ভাবনার কথা। নায়লা নাঈমের
সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন ফারহাত আহমেদ-
মিডিয়ায় আসার পেছনের গল্প?
ছোটবেলা থেকেই আমার মিডিয়াতে কাজ করার ইচ্ছে ছিল। একসময়ের বিখ্যাত মডেলদের দেখে এই ইচ্ছেটা আরো প্রবল হয়। ডেণ্টাল কলেজে পড়ার সময় মনে হল পড়াশোনার পাশাপাশি কিছু করার সুযোগ আছে, তখন থেকেই মনে হল মডেলিং করার কথা। যেখানে আমি আমার মেধা ও সৌন্দর্যকে কাজে লাগিয়ে ভালো কিছু করতে পারবো।
প্রথম দিকে মডেলিং করাটা শখের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও আস্তে আস্তে যখন সাফল্য আসতে শুরু করলো, আমার কাজের প্রশংসা পেতে থাকলাম। নতুন নতুন সৃজনশীল, গঠনমূলক ও ভালো কাজের প্রস্তাব আসতে শুরু করলো, তখন থেকে আমি মডেলিং এ আরো প্রাধান্য দিয়ে পেশা হিসাবে কাজ করা শুরু করলাম। আমার ক্যামেরায় তোলা কিছু ছবি নতুন মডেলদের নিয়ে কাজ করে এরকম একটি মডেলিং এজেন্সির কাছে জমা দিই যারা নতুনদেরকে মডেলদেরকে গ্রুমিং করে। সেখানে নতুনদের মধ্যে আমি বেশ ভালো কাজ করতে থাকি। পরবতীতে ভিট, ইউ-গট-দ্য লুক প্রতিযোগীতায় আমি শীর্ষ দশের মধ্যে থাকি। এরপর আমাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক ভালো কাজের মাধ্যমে মডেলিং-এ আমি আমার স্থান করে নিই। এরপর থেকে নাটকে ও সিনেমায় কাজ করার প্রস্তাব পাচ্ছি।
‘রান আউট’ সিনেমাতে আইটেম গান ?
রান আউট মুভির আইটেম গানটি আমার জীবনের অন্যতম সেরা অভিজ্ঞতা। আমার ও রানআউট টিমের অক্লান্ত পরিশ্রমে ও চেষ্টায় ৫২ ঘন্টা শুটিং এ আইটেম গানটির চিত্রায়ন করা হয়। আমি কোরিওগ্রাফার আসাদ, সহকারী কোরিওগ্রাফার রূপমনি এবং আমার সাথের ১০ জন পারফর্ম করা ছেলে মেয়ের কথা কখনোই ভুলবো না। তাদের আন্তরিকতা ও সহযোগীতা ছাড়া সফলভাবে গানটির শ্যুটিং করা কখনোই সম্ভব ছিল না। পরিচালক, প্রযোজক এবং অন্য সবার সহযোগীতায় আমরা আমাদের সেরা পারফরমেন্স দেয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করি, সিনেমা হলে গিয়ে গানটি দেখে আপনাদের সবার ভালো লাগবে।
‘ভোট ফর ঠোঁট’ বাহারি পোশাকে নায়লা নাঈম- কেমন সাড়া পেয়েছেন?
‘ভোট ফর ঠোঁট’ এ পারফর্মিং মডেল হিসাবে দেখতে পাচ্ছেন আমাকে। গানটির প্রয়োজন অনুযায়ী আধুনিক পোশাক নির্বাচন করা হয়। প্রেক্ষাগৃহ ভিজ্যুয়াল ফ্যাক্টরি প্রোডাকশনের থ্রিলিং এই মিউজিক ভিডিওতে সম্পূর্ণ ভিন্ন উপস্থাপনায় ও ভিন্ন আঙ্গিকে থ্রিলিং এই মিউজিক ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে আমাকে এবং প্রীতম ভাইকে। আমি ইতিমধ্যে প্রচুর ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি সবার কাছে থেকে। গানটি এবং মিউজিক ভিডিওতে আমাদের উপস্থিতি দর্শকদের সবার কাছে ভালো লেগেছে বলে ভালো লাগছে।
দেশীয় সিনেমার ভবিষ্যৎ কেমন ? উন্নয়নের জন্য কি প্রয়োজন বলে মনে করেন?
আমাদের দেশীয় সিনেমার ভবিষ্যৎ বেশ ভালো। অনেক নতুন নতুন প্রতিভাময় অভিনেতা, অভিনেত্রী, পরিচালক ও প্রযোজকরা আসছেন সিনেমায় কাজ করতে। পাশাপাশি ঢালিউডে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে, নতুন ধরনের আধুনিক গল্প নিয়ে অনেক নতুন নতুন কাজ হচ্ছে। মানুষ আবার সিনেমা হলে সিনেমা দেখতে যাচ্ছেন। তবে, আমি মনে করি আমাদের দেশে সিনেমা হলে সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে এবং উন্নতমানের অত্যধুনিক সুবিধাসম্পন্ন সিনেমা হলের সংখ্যা বাড়াতে হবে। এসব পদক্ষেপ গ্রহন করা হলে, আমরা আরো বেশি দর্শক আশা করতে পারি এবং আরো ব্যবসাসফল ছবি আশা করতে পারি ।
ঢালিউড সিনেমার আইটেম গান কি বলিউডের কাছাকাছি পৌঁছাতে পারবে? এর জন্য কী কী পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন?
আইটেম গান আমাদের চলচিত্রে নতুন সংযোজন। আইটেম গানের উপর নির্ভর করে বলিউডের অনেক সিনেমা ব্যবসা সফল হয়ে থাকে। আমাদের দেশের প্রযোজক এবং পরিচালকদের এই ব্যাপারটা বুঝতে হবে। আইটেম গানের জন্য যথোপযুক্ত বাজেট বরাদ্দ করতে হবে, প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে। সেক্ষেত্রে, দেশীয় সিনেমার আইটেম গান বলিউডের কাছাকাছি পৌঁছাতে পারার সম্ভাবনা আছে বলে আমি মনে করি।
বর্তমান কর্ম ব্যস্ততা? সামনে দর্শকরা আপনার নতুন কী কী কাজ দেখতে পাবে?
‘মারুফ টাকা ধরে না’ সিনেমায় আমাকে দেখতে পাবেন। সম্প্রতি সিনেমাটিতে চুক্তি বদ্ধ হয়েছি। এতে চিত্রনায়ক মারুফের বিপরীতে আমাকে দেখা যাবে। এছাড়া ‘Black Zang Bigg Spade’ খ্যাত সোহান এবং আসিফের সাথে ‘City Over Night’ একটা মিউজিক ভিডিওতে নতুন রূপে ভিন্ন উপস্থানপনায় দেখা যাবে আমাকে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা?
আমি সিনেমাতে ভালো কাজের মাধ্যমে নিজের একটি স্থান করে নিতে চাই। এছাড়া অদূর ভবিষ্যতে নিজেকে একজন সফল ডেন্টিস্ট হিসাবে দেখতে চাই।
মিডিয়ায় আসার পেছনের গল্প?
ছোটবেলা থেকেই আমার মিডিয়াতে কাজ করার ইচ্ছে ছিল। একসময়ের বিখ্যাত মডেলদের দেখে এই ইচ্ছেটা আরো প্রবল হয়। ডেণ্টাল কলেজে পড়ার সময় মনে হল পড়াশোনার পাশাপাশি কিছু করার সুযোগ আছে, তখন থেকেই মনে হল মডেলিং করার কথা। যেখানে আমি আমার মেধা ও সৌন্দর্যকে কাজে লাগিয়ে ভালো কিছু করতে পারবো।
প্রথম দিকে মডেলিং করাটা শখের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও আস্তে আস্তে যখন সাফল্য আসতে শুরু করলো, আমার কাজের প্রশংসা পেতে থাকলাম। নতুন নতুন সৃজনশীল, গঠনমূলক ও ভালো কাজের প্রস্তাব আসতে শুরু করলো, তখন থেকে আমি মডেলিং এ আরো প্রাধান্য দিয়ে পেশা হিসাবে কাজ করা শুরু করলাম। আমার ক্যামেরায় তোলা কিছু ছবি নতুন মডেলদের নিয়ে কাজ করে এরকম একটি মডেলিং এজেন্সির কাছে জমা দিই যারা নতুনদেরকে মডেলদেরকে গ্রুমিং করে। সেখানে নতুনদের মধ্যে আমি বেশ ভালো কাজ করতে থাকি। পরবতীতে ভিট, ইউ-গট-দ্য লুক প্রতিযোগীতায় আমি শীর্ষ দশের মধ্যে থাকি। এরপর আমাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক ভালো কাজের মাধ্যমে মডেলিং-এ আমি আমার স্থান করে নিই। এরপর থেকে নাটকে ও সিনেমায় কাজ করার প্রস্তাব পাচ্ছি।
‘রান আউট’ সিনেমাতে আইটেম গান ?
রান আউট মুভির আইটেম গানটি আমার জীবনের অন্যতম সেরা অভিজ্ঞতা। আমার ও রানআউট টিমের অক্লান্ত পরিশ্রমে ও চেষ্টায় ৫২ ঘন্টা শুটিং এ আইটেম গানটির চিত্রায়ন করা হয়। আমি কোরিওগ্রাফার আসাদ, সহকারী কোরিওগ্রাফার রূপমনি এবং আমার সাথের ১০ জন পারফর্ম করা ছেলে মেয়ের কথা কখনোই ভুলবো না। তাদের আন্তরিকতা ও সহযোগীতা ছাড়া সফলভাবে গানটির শ্যুটিং করা কখনোই সম্ভব ছিল না। পরিচালক, প্রযোজক এবং অন্য সবার সহযোগীতায় আমরা আমাদের সেরা পারফরমেন্স দেয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করি, সিনেমা হলে গিয়ে গানটি দেখে আপনাদের সবার ভালো লাগবে।
‘ভোট ফর ঠোঁট’ বাহারি পোশাকে নায়লা নাঈম- কেমন সাড়া পেয়েছেন?
‘ভোট ফর ঠোঁট’ এ পারফর্মিং মডেল হিসাবে দেখতে পাচ্ছেন আমাকে। গানটির প্রয়োজন অনুযায়ী আধুনিক পোশাক নির্বাচন করা হয়। প্রেক্ষাগৃহ ভিজ্যুয়াল ফ্যাক্টরি প্রোডাকশনের থ্রিলিং এই মিউজিক ভিডিওতে সম্পূর্ণ ভিন্ন উপস্থাপনায় ও ভিন্ন আঙ্গিকে থ্রিলিং এই মিউজিক ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে আমাকে এবং প্রীতম ভাইকে। আমি ইতিমধ্যে প্রচুর ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি সবার কাছে থেকে। গানটি এবং মিউজিক ভিডিওতে আমাদের উপস্থিতি দর্শকদের সবার কাছে ভালো লেগেছে বলে ভালো লাগছে।
দেশীয় সিনেমার ভবিষ্যৎ কেমন ? উন্নয়নের জন্য কি প্রয়োজন বলে মনে করেন?
আমাদের দেশীয় সিনেমার ভবিষ্যৎ বেশ ভালো। অনেক নতুন নতুন প্রতিভাময় অভিনেতা, অভিনেত্রী, পরিচালক ও প্রযোজকরা আসছেন সিনেমায় কাজ করতে। পাশাপাশি ঢালিউডে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে, নতুন ধরনের আধুনিক গল্প নিয়ে অনেক নতুন নতুন কাজ হচ্ছে। মানুষ আবার সিনেমা হলে সিনেমা দেখতে যাচ্ছেন। তবে, আমি মনে করি আমাদের দেশে সিনেমা হলে সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে এবং উন্নতমানের অত্যধুনিক সুবিধাসম্পন্ন সিনেমা হলের সংখ্যা বাড়াতে হবে। এসব পদক্ষেপ গ্রহন করা হলে, আমরা আরো বেশি দর্শক আশা করতে পারি এবং আরো ব্যবসাসফল ছবি আশা করতে পারি ।
ঢালিউড সিনেমার আইটেম গান কি বলিউডের কাছাকাছি পৌঁছাতে পারবে? এর জন্য কী কী পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন?
আইটেম গান আমাদের চলচিত্রে নতুন সংযোজন। আইটেম গানের উপর নির্ভর করে বলিউডের অনেক সিনেমা ব্যবসা সফল হয়ে থাকে। আমাদের দেশের প্রযোজক এবং পরিচালকদের এই ব্যাপারটা বুঝতে হবে। আইটেম গানের জন্য যথোপযুক্ত বাজেট বরাদ্দ করতে হবে, প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে। সেক্ষেত্রে, দেশীয় সিনেমার আইটেম গান বলিউডের কাছাকাছি পৌঁছাতে পারার সম্ভাবনা আছে বলে আমি মনে করি।
বর্তমান কর্ম ব্যস্ততা? সামনে দর্শকরা আপনার নতুন কী কী কাজ দেখতে পাবে?
‘মারুফ টাকা ধরে না’ সিনেমায় আমাকে দেখতে পাবেন। সম্প্রতি সিনেমাটিতে চুক্তি বদ্ধ হয়েছি। এতে চিত্রনায়ক মারুফের বিপরীতে আমাকে দেখা যাবে। এছাড়া ‘Black Zang Bigg Spade’ খ্যাত সোহান এবং আসিফের সাথে ‘City Over Night’ একটা মিউজিক ভিডিওতে নতুন রূপে ভিন্ন উপস্থানপনায় দেখা যাবে আমাকে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা?
আমি সিনেমাতে ভালো কাজের মাধ্যমে নিজের একটি স্থান করে নিতে চাই। এছাড়া অদূর ভবিষ্যতে নিজেকে একজন সফল ডেন্টিস্ট হিসাবে দেখতে চাই।
No comments