ম্যান বুকার পুরস্কারের জন্য প্রস্তাবিত লেখক ও বই by শামস আরেফিন
এবারই
প্রথম ম্যান বুকার পুরস্কার সবজাতি-গোষ্ঠীর জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। তাই
ম্যান বুকার প্রাইজ ২০১৪তে প্রথমবারের মতো দু’জন আমেরিকান ও তিনজন ব্রিটিশ
প্রস্তাবিত বুকার পুরস্কার বিজেতাদের সংক্ষিপ্ত তালিকায় স্থান পেয়েছে। যে
কোনো ধরনের জাতি-গোষ্ঠীর জন্য পুরস্কার উন্মুক্ত করার ফলে সম্ভাবনা দেখা
দিয়েছে- আমেরিকার উৎকৃষ্টমানের সাহিত্য ব্রিটেনের পুরস্কারে প্রাধান্য বজায়
রাখবে। কিন্তু অবশেষে ‘ম্যান বুকার পুরস্কারের’ প্রস্তাবিত তালিকায় মাত্র
দু’জন আমেরিকান জায়গা পেয়েছেন। একজন ‘জশুয়া ফেরেস’ আর অপরজন ‘ক্যারেন জয়
ফোউলার’। এ তালিকায় অস্ট্রেলিয়ান লেখক ‘রিচার্ড ফ্লানাগন’ সেই সঙ্গে তিন
ব্রিটিশ নাগরিক ‘হাওয়ার্ড জ্যাকবসন’, নীল মুখার্জি ও আলি স্মিথও আছেন।
বুকার পুরস্কারের পরিমাণ ৫০ হাজার ইউকে পাউন্ড। এবার এই সংক্ষিপ্ত তালিকায়
উড়শুলা কে লে গুইন-এর দ্য বুন ক্লকস উপন্যাসটি বাদ পড়েছে। অথচ ৬০০ পৃষ্ঠার
এই মেটাফিকশনাল উপন্যাস খুবই মেধাবী হাতের রচনা। প্রতিবারের মতো তেরজনের
দীর্ঘ তালিকার তুলনায় এবারের জুরি বোর্ড মাত্র ছ’জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা
প্রকাশ করেছে।
এবারের নির্বাচিত বইগুলো হল, জোশুয়া ফেরেস-এর ‘টু দ্য রাইস অ্যাগেইন অ্যাট অ্যা ডিসেন্ট হাউয়ার, রিচার্ড ফ্লানাগনের, ‘ দ্য ন্যারো রোড টু দ্য ডিপ নর্থ’, কারেন জো ফোউলারের ‘উই আর অল কম্পিলিটলি বিসাইড আউয়ারসেলভস’, হাওয়ার্ড জ্যাকবসনের ‘জে ’, নিল মুখার্জির ‘দ্য লাইভ অব আদার’স, আর আলী স্মিথের ‘হাউ টু বি বোথ’।
উল্লেখ্য, ‘টু দ্য রাইস অ্যাগেইন অ্যট অ্যা ডিসেন্ট হাউয়ার’ বইটি প্রাচীন ‘অ্যামলাকাইটস’ বংশদের অধঃপতন নিয়ে লেখা। এই বইটি আশ্চর্য ও অতিআশ্চর্য ঘটনাবলীতে ভরপুর। পুনরুত্থিত হওয়ার পর অতীতের কোনো সময়ে কী ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়, মূলত উপন্যাসটি তা ঘিরেই। এখানে রহস্যের ওপর বিশ্বাস বা অবিশ্বাসের দোলাচালে পাঠক হাঁটতে হবে। ভাষাগত দিক থেকে বইটি খুবই সচল আবার কখনও গতিহীন। এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ বই অনেকটা রম্যগল্পের মতো রসেরও আধার। অন্যদিকে ‘দ্য ন্যারো রোড টু দ্য ডিপ নর্থ’ পাঠক যদি বইটির কাহিনীতে ততটা আলোড়িত না হলেও, উপন্যাসে সময়ের ব্যবহার, বর্ণনাভঙ্গির নিশ্চয়তা, গল্প হঠাৎ থমকে যাওয়ার প্রবণতা, এরপর গল্পের সচলতায়ন, সময় নিয়ে লেখকের কিছুটা স্বেচ্চারিতা ও দুঃসাহসিক ঘটনার পটভূমি দেখে চমকিত হবেন। সেই সঙ্গে মনোযোগ আকর্ষণের জন্য ‘উই আর অল কম্পিলিটলি বিসাইড আউয়ারসেলভস’ বইটিও দারুণ। কারণ এ পর্যন্ত দুষ্টু ছেলেমেয়েদের পিতা-মাতা নিয়ে অনেক উপন্যাস লেখা হয়েছে। কিন্তু এরপরও যদি কোনো উপন্যাস রোমহর্ষক আনন্দময়, হৃদপিণ্ড চমকে যাওয়া মতো হয়, তবে তা ফোউলারের এই দশম উপন্যাসটিই হবে। মনে হবে উপন্যাসের পটভূমি যেন চিরন্তন বাস্তব।
তালিকাভুক্ত উপন্যাসের মাঝে হাওয়ার্ড জ্যাকবসনের ‘জে ’ লেখা অন্যান্য উপন্যাসের মতো পাঠকের বিভ্রমের কারণ হবে। কিন্তু তার অন্যান্য রচনার মতোই এখানেও সেই ভয়ঙ্কর নিষ্ঠুর বুদ্ধিমত্তার পরিচয় পাওয়া যায়, যা অনেকটা আকর্ষণীয়। এখানে সামান্য খুঁটিনাটি তর্কবিতর্ক মানব-মানবীর সম্পর্কের চিরন্তর বিষয় দেখানো হয়েছে। কিন্তু গুণগত দিক থেকে একে জর্জ ওরওয়েলের উপন্যাসের তুলনা করা যায়। নির্বাচিত সংক্ষিপ্ত তালিকায় অন্যান্য বইয়ের তুলনায় নিল মুখার্জির ‘দ্য লাইভ অব আদার’স দ্য কাস্ট উপন্যাসটি অনেক বড়। যা পড়তে পাঠকদের অনেক সময়ের প্রয়োজন হবে। উপন্যাসের প্রথমাংশের চরিত্রগুলোর পরিচয় দিতে সময় নিয়েছেন লেখক। কিন্তু এখানকার কাহিনীটি পাঠককে আঁকড়ে ধরে রাখার মতো আকর্ষণীয়। উপন্যাসে রয়েছে অসংখ্য মোড় বা টাইমবোম। যা যে কোনো সময়, আমাদের প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গির বইয়ের পৃথিবীকে পরিবর্তন করে দিতে পারে। সবশেষে আলী স্মিথের ‘হাউ টু বি বোথ’ পাঠ করে পাঠককে বলতে হবে, লেখিকার দুর্দান্ত সাহস আছে লেখনীর। খুবই তীক্ষè-সৃষ্টিশীল লেখার ক্ষমতা পাঠককে শেষ পৃষ্ঠা পর্যন্ত পড়তে বাধ্য করবে। উল্লেখ্য, আগামী ১৪ অক্টোবর ম্যান বুকার পুরস্কার বিজেতার নাম ঘোষণা করা হবে।
এবারের নির্বাচিত বইগুলো হল, জোশুয়া ফেরেস-এর ‘টু দ্য রাইস অ্যাগেইন অ্যাট অ্যা ডিসেন্ট হাউয়ার, রিচার্ড ফ্লানাগনের, ‘ দ্য ন্যারো রোড টু দ্য ডিপ নর্থ’, কারেন জো ফোউলারের ‘উই আর অল কম্পিলিটলি বিসাইড আউয়ারসেলভস’, হাওয়ার্ড জ্যাকবসনের ‘জে ’, নিল মুখার্জির ‘দ্য লাইভ অব আদার’স, আর আলী স্মিথের ‘হাউ টু বি বোথ’।
উল্লেখ্য, ‘টু দ্য রাইস অ্যাগেইন অ্যট অ্যা ডিসেন্ট হাউয়ার’ বইটি প্রাচীন ‘অ্যামলাকাইটস’ বংশদের অধঃপতন নিয়ে লেখা। এই বইটি আশ্চর্য ও অতিআশ্চর্য ঘটনাবলীতে ভরপুর। পুনরুত্থিত হওয়ার পর অতীতের কোনো সময়ে কী ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়, মূলত উপন্যাসটি তা ঘিরেই। এখানে রহস্যের ওপর বিশ্বাস বা অবিশ্বাসের দোলাচালে পাঠক হাঁটতে হবে। ভাষাগত দিক থেকে বইটি খুবই সচল আবার কখনও গতিহীন। এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ বই অনেকটা রম্যগল্পের মতো রসেরও আধার। অন্যদিকে ‘দ্য ন্যারো রোড টু দ্য ডিপ নর্থ’ পাঠক যদি বইটির কাহিনীতে ততটা আলোড়িত না হলেও, উপন্যাসে সময়ের ব্যবহার, বর্ণনাভঙ্গির নিশ্চয়তা, গল্প হঠাৎ থমকে যাওয়ার প্রবণতা, এরপর গল্পের সচলতায়ন, সময় নিয়ে লেখকের কিছুটা স্বেচ্চারিতা ও দুঃসাহসিক ঘটনার পটভূমি দেখে চমকিত হবেন। সেই সঙ্গে মনোযোগ আকর্ষণের জন্য ‘উই আর অল কম্পিলিটলি বিসাইড আউয়ারসেলভস’ বইটিও দারুণ। কারণ এ পর্যন্ত দুষ্টু ছেলেমেয়েদের পিতা-মাতা নিয়ে অনেক উপন্যাস লেখা হয়েছে। কিন্তু এরপরও যদি কোনো উপন্যাস রোমহর্ষক আনন্দময়, হৃদপিণ্ড চমকে যাওয়া মতো হয়, তবে তা ফোউলারের এই দশম উপন্যাসটিই হবে। মনে হবে উপন্যাসের পটভূমি যেন চিরন্তন বাস্তব।
তালিকাভুক্ত উপন্যাসের মাঝে হাওয়ার্ড জ্যাকবসনের ‘জে ’ লেখা অন্যান্য উপন্যাসের মতো পাঠকের বিভ্রমের কারণ হবে। কিন্তু তার অন্যান্য রচনার মতোই এখানেও সেই ভয়ঙ্কর নিষ্ঠুর বুদ্ধিমত্তার পরিচয় পাওয়া যায়, যা অনেকটা আকর্ষণীয়। এখানে সামান্য খুঁটিনাটি তর্কবিতর্ক মানব-মানবীর সম্পর্কের চিরন্তর বিষয় দেখানো হয়েছে। কিন্তু গুণগত দিক থেকে একে জর্জ ওরওয়েলের উপন্যাসের তুলনা করা যায়। নির্বাচিত সংক্ষিপ্ত তালিকায় অন্যান্য বইয়ের তুলনায় নিল মুখার্জির ‘দ্য লাইভ অব আদার’স দ্য কাস্ট উপন্যাসটি অনেক বড়। যা পড়তে পাঠকদের অনেক সময়ের প্রয়োজন হবে। উপন্যাসের প্রথমাংশের চরিত্রগুলোর পরিচয় দিতে সময় নিয়েছেন লেখক। কিন্তু এখানকার কাহিনীটি পাঠককে আঁকড়ে ধরে রাখার মতো আকর্ষণীয়। উপন্যাসে রয়েছে অসংখ্য মোড় বা টাইমবোম। যা যে কোনো সময়, আমাদের প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গির বইয়ের পৃথিবীকে পরিবর্তন করে দিতে পারে। সবশেষে আলী স্মিথের ‘হাউ টু বি বোথ’ পাঠ করে পাঠককে বলতে হবে, লেখিকার দুর্দান্ত সাহস আছে লেখনীর। খুবই তীক্ষè-সৃষ্টিশীল লেখার ক্ষমতা পাঠককে শেষ পৃষ্ঠা পর্যন্ত পড়তে বাধ্য করবে। উল্লেখ্য, আগামী ১৪ অক্টোবর ম্যান বুকার পুরস্কার বিজেতার নাম ঘোষণা করা হবে।
No comments