কথাসাহিত্যের বহুমাত্রিক শাহেদ আলী by আহমদ বাসির
শাহেদ
আলী বাংলা সাহিত্যের অনন্যসাধারণ একজন কথাশিল্পগুী। মাত্র ৭০টি ছোটগল্পগু ও
একটি উপন্যাস রচনা করেই তিনি বাংলা কথাসাহিত্যের উচ্চাসনে অধিষ্ঠিত
হয়েছেন। ভাষা আন্দোলনে অবিস্মরণীয় অবদান, অধ্যাপনা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে
তোলা, নানারকম পত্রপত্রিকা সম্পাদনা, তমদ্দুন মজলিস গঠন, চিন্তা ও মনন
চর্চা এবং অনুবাদকর্মের মধ্য দিয়ে তার মেধা ও ব্যক্তিত্ব বিচিত্রভাবে
বিকশিত হয়েছে। ১৯২৫ সালের ৩০ জুন বর্তমান সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার
মাহমুদপুর গ্রামে শাহেদ আলীর জন্ম। ১৯৪৩ সালে সুনামগঞ্জ সরকারি জুবিলি
হাইস্কুল থেকে প্রবেশিকা, ১৯৪৫ সালে এমসি কলেজ থেকে আইএ, ১৯৪৭ সালে
ডিস্টিংশনসহ বিএ এবং ১৯৫০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে এমএ
পাস করেন তিনি। ১৯৪৪ সাল থেকে ৪৬ সাল পর্যন্ত ‘মাসিক প্রভাতী’ এবং ১৯৪৫
থেকে ৫০ সাল পর্যন্ত ভাষা আন্দোলনের নির্ভীক মুখপত্র ‘সাপ্তাহিক সৈনিক’
সম্পাদনা করেন। ১৯৫৫ সালে ‘দৈনিক বুনিয়াদ’ সম্পাদক, ১৯৫৬ সালে ‘দৈনিক
মিল্লাত’-এর সহকারী সম্পাদক, ১৯৬২ সাল থেকে ইসলামিক একাডেমি পত্রিকার
(পরবর্তীকালে ইসলামিক ফাউন্ডেশন পত্রিকা) সম্পাদক, ১৯৬৩ সাল থেকে ‘মাসিক
সবুজ পাতা’র সম্পাদক এবং আল্লামা ইকবাল সংসদ গবেষণা পত্রিকার সম্পাদক
হিসেবেও তার রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ অবদান। কর্মজীবনে শাহেদ আলী বগুড়া আজিজুল
হক কলেজ, রংপুর কারমাইকেল কলেজ, চট্টগ্রাম সিটি কলেজ এবং মিরপুর বাংলা
কলেজে দীর্ঘদিন অধ্যাপনা করেন। বাংলা একাডেমির ফেলো ও নির্বাচিত কাউন্সিলর,
ইসলামিক একাডেমির (বর্তমানে ইসলামিক ফাউন্ডেশন) প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারি
হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন দীর্ঘদিন। ১৯৮২ সালে তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের
অনুবাদ ও সংকলন বিভাগের পরিচালক হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। জীবনের শেষ
প্রান্তে এসেও বহু মূল্যবান গবেষণা পত্রিকা সম্পাদনা ও সংকলনের সঙ্গে একক
এবং যৌথভাবে জড়িত ছিলেন তিনি।
শাহেদ আলীর প্রথম ছোটগল্পগু ‘অশ্রু’ ১৯৪০ সালে ‘সওগাত’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। গল্পটি তার কোনো গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত হয়নি। ১৯৫৩ সালে প্রকাশিত হয় তার ছোটগল্প গ্রন্থ ‘জিবরাইলের ডানা’। মাত্র ৭টি ছোটগল্পগু গ্রন্থটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এ গ্রন্থের নাম গল্পটিকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ ও পশ্চিম বাংলায় যত ঘটনা ঘটেছে বাংলা সাহিত্যের আর কোনো একক ছোটগল্প নিয়ে সম্ভবত এত ঘটনা ঘটেনি। গল্পটি বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হচ্ছে, বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষকে আলোড়িত করেছে। সত্যজিৎ রায়, মৃণাল সেন, জহির রায়হান, জ্যোতির্ময় রায়, নৃপেণ গঙ্গোপাধ্যায়সহ বহু চলচ্চিত্র পরিচালক গল্পগুটি নিয়ে সিনেমা করতে চেয়েছেন। যদিও আজ পর্যন্ত গল্পটি নিয়ে কোনো সিনেমা নির্মিত হয়নি। গল্পটি রুশ, ইংরেজি, উর্দুসহ বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে। এ গল্পগু সম্পর্কে ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হলে একশ্রেণীর ধর্মপ্রাণ মুসলমান শাহেদ আলীকে মুরতাদ ঘোষণা করেছিল এবং ঢাকার রাজপথে তার ফাঁসির দাবিতে মিছিল-সমাবেশও হয়েছিল। পরে অবশ্য আন্দোলনকারীরা তাদের ভুল বুঝতে পেরেছিল এবং শাহেদ আলীর কাছে ক্ষমাও চেয়েছিল।
‘জিবরাইলের ডানা’র পর তার আরও পাঁচটি ছোটগল্পগু গ্রন্থ প্রকাশিত হয়।
১৯৬৩ সালে ‘একই সমতলে’, ১৯৮৫ সালে ‘শা নযর’, ১৯৮৬ সালে ‘অতীত রাতের কাহিনী’ ও ‘অমর কাহিনী’ এবং ১৯৯২ সালে ‘নতুন জমিনদার’- এই ছয়টি গ্রন্থের ৫৭টি গল্প ছাড়াও ১৩টি অগ্রন্থিত গল্পের কথা জানা যায়। এ ছাড়াও তার কিছু গল্প বিভিন্ন পত্রপত্রিকার পাতায় ছড়িয়ে-ছিঁটিয়ে থাকতে পারে। শাহেদ আলীর একমাত্র উপন্যাস ‘হৃদয় নদী’ প্রকাশিত হয় ১৯৬৫ সালে।
অনুবাদ সাহিত্যে রয়েছে শাহেদ আলীর বেশকিছু অসামান্য কাজ। বিশ্বখ্যাত ইহুদি সাংবাদিক লিও পোল্ড, যিনি পরবর্তীকালে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন, মুহাম্মদ আসাদ নাম ধারণ করেছিলেন তার বিশ্বনন্দিত গ্রন্থ ‘মক্কার পথ’, হিরাডোটাসের বিখ্যাত ইতিহাস গ্রন্থ ‘ইতিবৃত্ত’, কেবিএইচ কোনান্ট-এর ‘আধুনিক বিজ্ঞান ও আধুনিক মানুষ’, মুহাম্মদ আসাদের ‘ইসলামে রাষ্ট্র ও সরকার পরিচালনার মূলনীতি, মেজর আবদুল হামিদ রচিত ‘ককেশাসের মহানায়ক ইমাম শামিল’ এবং জেরোমি কাসোপিনোর ‘ডেইলি লাইফ অব এনশিয়েন্ট রোম’ তার উল্লেখযোগ্য অনুবাদকর্ম।
চিন্তা ও মননশীলতার চর্চায়ও শাহেদ আলী সমানভাবে নিবেদিত ছিলেন। এ ক্ষেত্রে তার গ্রন্থ ‘তরুণ মুসলিমের সমস্যা’, ‘তাওহীদ’, ‘বুদ্ধির ফসল আত্মার আশিস’, ‘মুক্তির পথ’, ‘একমাত্র পথ’, ‘জীবন নিরবচ্ছিন্ন’, ‘জীবনদৃষ্টি ও ‘সাম্প্রদায়িকতা’ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এ ছাড়াও শাহেদ আলীর গ্রন্থ ‘বাংলা সাহিত্যে চট্টগ্রামের ভূমিকা’, ‘ফিলিস্তিনে রুশ ভূমিকা’, ‘সাম্রাজ্যবাদ ও রাশিয়া’, ‘বিপর্যয়ের হেতু’ এবং শিশুসাহিত্য ‘সোনারগাঁয়ের সোনার মানুষ’, ছোটদের ‘ইমাম আবু হানিফা’ ও ‘রুহীর প্রথম পাঠ’ ব্যাপকভাবে পঠিত গ্রন্থ। তিনি ‘ইকোনোমিক অর্ডার অব ইসলাম’ ও ‘ইসলাম ইন বাংলাদেশ’ নামে দুটি ইংরেজি গ্রন্থও রচনা করেছেন। গ্রন্থ দুটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আলোচিত ও মূল্যায়িত হয়েছে। ‘ইসলামী সংস্কৃতির রূপরেখা’ নামে উল্লেখযোগ্য একটি সংকলন গ্রন্থও তিনি সম্পাদনা করেছেন।
অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৬৪ সালে কথাসাহিত্যে তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার, ১৯৭০ সালে কথাসাহিত্যে ‘তমঘা-ই-ইমতিয়াজ’ ১৯৮১ সালে ভাষা আন্দোলন পদক, ১৯৮৫ সালে মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন স্ব^র্ণপদক, ১৯৮৬ সালে ইসলামিক ফাউন্ডেশন পুরস্কার, ১৯৮৯ সালে একুশে পদক, ১৯৯২ সালে দুবাই সাহিত্য পুরস্কার, ১৯৯৭ সালে জাসাস পুরস্কার, ২০০০ সালে মাতৃভাষা পদক ও সেলুলাস সাহিত্য পুরস্কার, ১৯৯৭ সালে ফররুখ স্মৃতি পুরস্কার, ১৯৯৮ সালে রাগীব-রাবেয়া সাহিত্য পুরস্কার, ২০০২ সালে মরণোত্তর জাসাস স্ব^র্ণপদক ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পুরস্কার লাভ করেন। ২০০০ সালে কথাশিল্পী শাহেদ আলীকে সব শ্রেণী-পেশার মানুষের পক্ষ থেকে জাতীয় সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। ২০০১ সালের ৬ নভেম্বর তিনি ঢাকায় ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি ছিলেন তমদ্দুন মজলিসের সভাপতি।
শিক্ষাবিদ হিসেবে শাহেদ আলীর নামের সঙ্গে অধ্যাপক শব্দটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়েছে। ফলে কথাশিল্পী হিসেবেও তিনি অধ্যাপক শাহেদ আলী নামেই পরিচিতি লাভ করেছিলেন। বাংলা সাহিত্যের অনবদ্য কথাশিল্পী হিসেবে স্ব^ীকৃত ও নন্দিত এই জীবনশিল্পগুীর অবদান প্রকৃতপক্ষে নানামাত্রিক। বিশেষ করে চিন্তাচর্চা ও অনুবাদ কর্মেও তিনি রেখে গেছেন অবিস্মরণীয় অবদান।
শাহেদ আলীর প্রথম ছোটগল্পগু ‘অশ্রু’ ১৯৪০ সালে ‘সওগাত’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। গল্পটি তার কোনো গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত হয়নি। ১৯৫৩ সালে প্রকাশিত হয় তার ছোটগল্প গ্রন্থ ‘জিবরাইলের ডানা’। মাত্র ৭টি ছোটগল্পগু গ্রন্থটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এ গ্রন্থের নাম গল্পটিকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ ও পশ্চিম বাংলায় যত ঘটনা ঘটেছে বাংলা সাহিত্যের আর কোনো একক ছোটগল্প নিয়ে সম্ভবত এত ঘটনা ঘটেনি। গল্পটি বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হচ্ছে, বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষকে আলোড়িত করেছে। সত্যজিৎ রায়, মৃণাল সেন, জহির রায়হান, জ্যোতির্ময় রায়, নৃপেণ গঙ্গোপাধ্যায়সহ বহু চলচ্চিত্র পরিচালক গল্পগুটি নিয়ে সিনেমা করতে চেয়েছেন। যদিও আজ পর্যন্ত গল্পটি নিয়ে কোনো সিনেমা নির্মিত হয়নি। গল্পটি রুশ, ইংরেজি, উর্দুসহ বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে। এ গল্পগু সম্পর্কে ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হলে একশ্রেণীর ধর্মপ্রাণ মুসলমান শাহেদ আলীকে মুরতাদ ঘোষণা করেছিল এবং ঢাকার রাজপথে তার ফাঁসির দাবিতে মিছিল-সমাবেশও হয়েছিল। পরে অবশ্য আন্দোলনকারীরা তাদের ভুল বুঝতে পেরেছিল এবং শাহেদ আলীর কাছে ক্ষমাও চেয়েছিল।
‘জিবরাইলের ডানা’র পর তার আরও পাঁচটি ছোটগল্পগু গ্রন্থ প্রকাশিত হয়।
১৯৬৩ সালে ‘একই সমতলে’, ১৯৮৫ সালে ‘শা নযর’, ১৯৮৬ সালে ‘অতীত রাতের কাহিনী’ ও ‘অমর কাহিনী’ এবং ১৯৯২ সালে ‘নতুন জমিনদার’- এই ছয়টি গ্রন্থের ৫৭টি গল্প ছাড়াও ১৩টি অগ্রন্থিত গল্পের কথা জানা যায়। এ ছাড়াও তার কিছু গল্প বিভিন্ন পত্রপত্রিকার পাতায় ছড়িয়ে-ছিঁটিয়ে থাকতে পারে। শাহেদ আলীর একমাত্র উপন্যাস ‘হৃদয় নদী’ প্রকাশিত হয় ১৯৬৫ সালে।
অনুবাদ সাহিত্যে রয়েছে শাহেদ আলীর বেশকিছু অসামান্য কাজ। বিশ্বখ্যাত ইহুদি সাংবাদিক লিও পোল্ড, যিনি পরবর্তীকালে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন, মুহাম্মদ আসাদ নাম ধারণ করেছিলেন তার বিশ্বনন্দিত গ্রন্থ ‘মক্কার পথ’, হিরাডোটাসের বিখ্যাত ইতিহাস গ্রন্থ ‘ইতিবৃত্ত’, কেবিএইচ কোনান্ট-এর ‘আধুনিক বিজ্ঞান ও আধুনিক মানুষ’, মুহাম্মদ আসাদের ‘ইসলামে রাষ্ট্র ও সরকার পরিচালনার মূলনীতি, মেজর আবদুল হামিদ রচিত ‘ককেশাসের মহানায়ক ইমাম শামিল’ এবং জেরোমি কাসোপিনোর ‘ডেইলি লাইফ অব এনশিয়েন্ট রোম’ তার উল্লেখযোগ্য অনুবাদকর্ম।
চিন্তা ও মননশীলতার চর্চায়ও শাহেদ আলী সমানভাবে নিবেদিত ছিলেন। এ ক্ষেত্রে তার গ্রন্থ ‘তরুণ মুসলিমের সমস্যা’, ‘তাওহীদ’, ‘বুদ্ধির ফসল আত্মার আশিস’, ‘মুক্তির পথ’, ‘একমাত্র পথ’, ‘জীবন নিরবচ্ছিন্ন’, ‘জীবনদৃষ্টি ও ‘সাম্প্রদায়িকতা’ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এ ছাড়াও শাহেদ আলীর গ্রন্থ ‘বাংলা সাহিত্যে চট্টগ্রামের ভূমিকা’, ‘ফিলিস্তিনে রুশ ভূমিকা’, ‘সাম্রাজ্যবাদ ও রাশিয়া’, ‘বিপর্যয়ের হেতু’ এবং শিশুসাহিত্য ‘সোনারগাঁয়ের সোনার মানুষ’, ছোটদের ‘ইমাম আবু হানিফা’ ও ‘রুহীর প্রথম পাঠ’ ব্যাপকভাবে পঠিত গ্রন্থ। তিনি ‘ইকোনোমিক অর্ডার অব ইসলাম’ ও ‘ইসলাম ইন বাংলাদেশ’ নামে দুটি ইংরেজি গ্রন্থও রচনা করেছেন। গ্রন্থ দুটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আলোচিত ও মূল্যায়িত হয়েছে। ‘ইসলামী সংস্কৃতির রূপরেখা’ নামে উল্লেখযোগ্য একটি সংকলন গ্রন্থও তিনি সম্পাদনা করেছেন।
অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৬৪ সালে কথাসাহিত্যে তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার, ১৯৭০ সালে কথাসাহিত্যে ‘তমঘা-ই-ইমতিয়াজ’ ১৯৮১ সালে ভাষা আন্দোলন পদক, ১৯৮৫ সালে মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন স্ব^র্ণপদক, ১৯৮৬ সালে ইসলামিক ফাউন্ডেশন পুরস্কার, ১৯৮৯ সালে একুশে পদক, ১৯৯২ সালে দুবাই সাহিত্য পুরস্কার, ১৯৯৭ সালে জাসাস পুরস্কার, ২০০০ সালে মাতৃভাষা পদক ও সেলুলাস সাহিত্য পুরস্কার, ১৯৯৭ সালে ফররুখ স্মৃতি পুরস্কার, ১৯৯৮ সালে রাগীব-রাবেয়া সাহিত্য পুরস্কার, ২০০২ সালে মরণোত্তর জাসাস স্ব^র্ণপদক ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পুরস্কার লাভ করেন। ২০০০ সালে কথাশিল্পী শাহেদ আলীকে সব শ্রেণী-পেশার মানুষের পক্ষ থেকে জাতীয় সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। ২০০১ সালের ৬ নভেম্বর তিনি ঢাকায় ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি ছিলেন তমদ্দুন মজলিসের সভাপতি।
শিক্ষাবিদ হিসেবে শাহেদ আলীর নামের সঙ্গে অধ্যাপক শব্দটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়েছে। ফলে কথাশিল্পী হিসেবেও তিনি অধ্যাপক শাহেদ আলী নামেই পরিচিতি লাভ করেছিলেন। বাংলা সাহিত্যের অনবদ্য কথাশিল্পী হিসেবে স্ব^ীকৃত ও নন্দিত এই জীবনশিল্পগুীর অবদান প্রকৃতপক্ষে নানামাত্রিক। বিশেষ করে চিন্তাচর্চা ও অনুবাদ কর্মেও তিনি রেখে গেছেন অবিস্মরণীয় অবদান।
No comments