আমি জামায়াতের যত বিরোধী তার থেকেও বেশি হজের বিরোধী -লতিফ সিদ্দিকী
ইসলামের চতুর্থ স্তম্ভ হজের তীব্র সমালোচনা করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। তিনি বলেছেন, আমি হজ ও তাবলীগের ঘোরতর বিরোধী। আমি জামায়াতে ইসলামীর যত বিরোধী তার থেকেও বেশি হজ ও তাবলীগের বিরোধী। এ হজে যে কত ম্যানপাওয়ার নষ্ট হয়। হজের জন্য ২০ লাখ লোক আজ সৌদি আরবে গেছে। এদের কোনও কাম নেই। এরা কোন প্রডাকশন দিচ্ছে না। শুধু রিডাকশন দিচ্ছে। শুধু খাচ্ছে আর দেশের টাকা দিয়ে আসছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়েরও সমালোচনা করেন এই আওয়ামী লীগ নেতা। টক শো আলোচকদের গালিগালাজও করেন তিনি। লতিফ সিদ্দিকীর এ বক্তব্যের ভিডিও গতকাল থেকে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যমুনা টেলিভিশনে তা প্রচার করা হয়।
নিউ ইয়র্কে জ্যাকসন হাইটসের পালকি পার্টি সেন্টারে রোববার স্থানীয় সময় বিকালে যুক্তরাষ্ট্রস্থ ‘টাঙ্গাইল জেলা সমিতি’ কর্তৃক সংবর্ধনা দেয়ার অনুষ্ঠানে লতিফ সিদ্দিকী বক্তৃতা করেন। এটি সংবর্ধনা সভা হলেও আর কারও বক্তব্য প্রদানের সুযোগ ছিল না। মন্ত্রীর হাতেই মাইক ছিল। অনুষ্ঠানের পরিচালকও ছিলেন না। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকী বলেন, এভারেজে যদি বাংলাদেশ থেকে এক লাখ লোক হজে যায় প্রত্যেকের পাঁচ লাখ টাকা করে ৫০০ কোটি টাকা খরচ হয়। হজ কিভাবে এসেছে তারও এক অভিনব ব্যাখ্যা হাজির করেছেন তিনি। তিনি বলেন, আব্দুল্লাহর পুত্র মুহাম্মদ (সা.) চিন্তা করলেন এ জাজিরাতুল আরবের লোকেরা কিভাবে চলবে। তখন একটা ব্যবস্থা করলেন যে আমার অনুসারীরা প্রতি বছর একবার একসঙ্গে মিলিত হবে। এর মধ্য দিয়ে একটা আয়-ইনকামের ব্যবস্থা হবে। তাবলীগ জামায়াতের সমালোচনা করে আবদুল লতিফ সিদ্দিকী বলেন, তাবলীগ জামায়াত প্রতি বছর ২০ লাখ লোকের জমায়েত করে। নিজেদের তো কোন কাজ নেই। সারা দেশের গাড়িঘোড়া তারা বন্ধ করে দেয়। ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রসঙ্গে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ভূমিকা প্রসঙ্গে এক দর্শক প্রশ্ন করলে মন্ত্রী বলেন, কথায় কথায় আপনারা জয়কে টানেন কেন? ‘জয় ভাই’ কে? জয় বাংলাদেশ সরকারের কেউ নয়। সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। মন্ত্রী হিসেবে সে সিদ্ধান্ত কার্যকর করি আমি। টক শো আলোচকদের অশ্রাব্য ভাষায় আক্রমণ করে তিনি বলেন, আগে আমরা রাগ উঠলে বলতাম ... (সংবাদপত্রে প্রকাশের অযোগ্য)। এখন যারা টেলিভিশনে গিয়ে কথা বলে তাদের আমি বলি টকমারানি। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে মন্ত্রী বারবার উত্তেজিত হয়ে উঠেন। একজন সাংবাদিককে ধমক দিয়ে তিনি বলেন, আমি কি তোমার মতো কথা বলবো? আমি আমার মতো কথা বলবো। তুমি এখানে আসলা কেন? তোমাকে কে আসতে বলেছে? এ সভার মঞ্চে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, নির্বাহী সদস্য শাহানারা রহমান, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ড. শাহজাহান মাহমুদ, যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ও নিউ জার্সির প্লেইন্স বরো সিটির কাউন্সিলম্যান ড. নূরন্নবী, বিজ্ঞানী ড. জিনাত নবী, আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান খান ইউসুফজয়ী সালু প্রমুখ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন আবদুল লতিফ সিদ্দিকী।
নিউ ইয়র্কে জ্যাকসন হাইটসের পালকি পার্টি সেন্টারে রোববার স্থানীয় সময় বিকালে যুক্তরাষ্ট্রস্থ ‘টাঙ্গাইল জেলা সমিতি’ কর্তৃক সংবর্ধনা দেয়ার অনুষ্ঠানে লতিফ সিদ্দিকী বক্তৃতা করেন। এটি সংবর্ধনা সভা হলেও আর কারও বক্তব্য প্রদানের সুযোগ ছিল না। মন্ত্রীর হাতেই মাইক ছিল। অনুষ্ঠানের পরিচালকও ছিলেন না। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকী বলেন, এভারেজে যদি বাংলাদেশ থেকে এক লাখ লোক হজে যায় প্রত্যেকের পাঁচ লাখ টাকা করে ৫০০ কোটি টাকা খরচ হয়। হজ কিভাবে এসেছে তারও এক অভিনব ব্যাখ্যা হাজির করেছেন তিনি। তিনি বলেন, আব্দুল্লাহর পুত্র মুহাম্মদ (সা.) চিন্তা করলেন এ জাজিরাতুল আরবের লোকেরা কিভাবে চলবে। তখন একটা ব্যবস্থা করলেন যে আমার অনুসারীরা প্রতি বছর একবার একসঙ্গে মিলিত হবে। এর মধ্য দিয়ে একটা আয়-ইনকামের ব্যবস্থা হবে। তাবলীগ জামায়াতের সমালোচনা করে আবদুল লতিফ সিদ্দিকী বলেন, তাবলীগ জামায়াত প্রতি বছর ২০ লাখ লোকের জমায়েত করে। নিজেদের তো কোন কাজ নেই। সারা দেশের গাড়িঘোড়া তারা বন্ধ করে দেয়। ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রসঙ্গে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ভূমিকা প্রসঙ্গে এক দর্শক প্রশ্ন করলে মন্ত্রী বলেন, কথায় কথায় আপনারা জয়কে টানেন কেন? ‘জয় ভাই’ কে? জয় বাংলাদেশ সরকারের কেউ নয়। সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। মন্ত্রী হিসেবে সে সিদ্ধান্ত কার্যকর করি আমি। টক শো আলোচকদের অশ্রাব্য ভাষায় আক্রমণ করে তিনি বলেন, আগে আমরা রাগ উঠলে বলতাম ... (সংবাদপত্রে প্রকাশের অযোগ্য)। এখন যারা টেলিভিশনে গিয়ে কথা বলে তাদের আমি বলি টকমারানি। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে মন্ত্রী বারবার উত্তেজিত হয়ে উঠেন। একজন সাংবাদিককে ধমক দিয়ে তিনি বলেন, আমি কি তোমার মতো কথা বলবো? আমি আমার মতো কথা বলবো। তুমি এখানে আসলা কেন? তোমাকে কে আসতে বলেছে? এ সভার মঞ্চে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, নির্বাহী সদস্য শাহানারা রহমান, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ড. শাহজাহান মাহমুদ, যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ও নিউ জার্সির প্লেইন্স বরো সিটির কাউন্সিলম্যান ড. নূরন্নবী, বিজ্ঞানী ড. জিনাত নবী, আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান খান ইউসুফজয়ী সালু প্রমুখ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন আবদুল লতিফ সিদ্দিকী।
No comments