বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে কাশ্মীর
ভারতীয় সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার থেকে নামছে জম্মু-কাশ্মীর থেকে উদ্ধার করে আনা বন্যাদুর্গত ব্যক্তিরা। ছবি: এএফপি |
ভারত ও পাকিস্তানে বন্যায় মৃতের সংখ্যা গতকাল সোমবার বেড়ে ৩২০ জনে দাঁড়িয়েছে। ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে গত ৬০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে প্রলয়ংকরী এ বন্যায় অন্তত ১৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রতিবেশী পাকিস্তানে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬০ জন। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কয়েক দিনের টানা ভারী বর্ষণজনিত বন্যায় দুই দেশের কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে কাশ্মীরের অধিকাংশ অঞ্চল। খবর এএফপি ও বিবিসির। ভারত-নিয়ন্ত্রিত জম্মুতে সামান্য উন্নতি হলেও কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগরের বেশির ভাগ এলাকাসহ কাশ্মীর উপত্যকায় বন্যা-পরিস্থিতির ক্রমেই অবনতি হচ্ছে। সেনানিবাসসহ রাজধানীর বেশির ভাগ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। কোথাও কোথাও দোতলা ভবন পর্যন্ত পানি উঠেছে। আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে হাজারো মানুষ। ত্রাণের আশায় দিন গুনছে তারা। যাপন করছে মানবেতর জীবন।
সেনা হেলিকপ্টার থেকে ধারণ করা ভিডিও দৃশ্যে দেখা গেছে, শ্রীনগরের সব কটি গ্রাম পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত রোববার আকাশপথে বন্যা-পরিস্থিতি সরেজমিনে ঘুরে দেখার পর একে জাতীয় বিপর্যয় বলে আখ্যায়িত করেছেন।শ্রীনগরের বেশির ভাগ এলাকাই এখন পানিবন্দী। বিদ্যুৎ ও টেলি যোগাযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বহু মানুষ কোনোক্রমে নিরাপদ এলাকায় সরে যেতে পারলেও অনেকেই আশ্রয় নিয়েছে তিন বা চারতলার বারান্দায় কিংবা বহুতল ভবনের ছাদে। সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার কখন তাদের উদ্ধার করবে সেই প্রতীক্ষা করছে তারা। সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কয়েক হাজার সেনা, বিমানবাহিনীর সদস্য, পুলিশ ও অন্যান্য জরুরি ত্রাণকর্মী নৌকা ও হেলিকপ্টার নিয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর, বেলুচিস্তান ও পাঞ্জাবে গত কয়েক দিনে বন্যায় অন্তত ১৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। পানিবন্দী হয়েছে পড়েছে কয়েক লাখ মানুষ। প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ রোববার পাঞ্জাবের রাজধানী শিয়ালকোটে বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত আছে।
No comments