‘মৃত্যু চাইনি, নিশ্চিন্তে একটু ঘুমোতে চেয়েছি’ by মাহমুদ মানজুর
মৃত্যু চাইনি, নিশ্চিন্তে একটু ঘুমোতে
চেয়েছি। সত্যি বলছি পালানোর ইচ্ছে আমার নেই। কারণ, জীবন অনেক সুন্দর। যেটা
এখন আরও বেশি উপলব্ধি করতে পারছি। এটা ঠিক আমি ঘুমের ট্যাবলেট খেয়েছি। তবে
সেটা নেহায়েত নিশ্চিন্তে একটু ঘুমের লোভে। বিলিভ মি। কথাগুলো বেশ আবেগ
জড়ানো কণ্ঠে বললেন হাসপাতাল থেকে সদ্য মুক্ত ন্যান্সি। মঙ্গলবার দুপুরে
স্বামী নাজিমুজ্জামান জায়েদসহ ভাইয়ের রামপুরাস্থ বাসায় উঠেছেন ন্যান্সি।
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে মুঠোফোনে কথা হয় তার সঙ্গে। যার উল্লেখযোগ্য অংশ তুলে
ধরেছেন মাহমুদ মানজুর
কেমন আছেন?
ভাল আছি। বেশ সুস্থ আছি। দুশ্চিন্তার কারণ নেই। তবে শরীরটা এখনও বেশ দুর্বল।
এটাই স্বাভাবিক। ৬০টি ঘুমের বড়ির ধকল তো আর এতো সহজে যাওয়ার নয়
আমাকে নিয়ে আর কত মিথ্যা প্রচারণা চলবে বলুন তো? আমাকে কি আপনারা বাঁচতে দেবেন না? বিষণ্নতা কাটানোর জন্য ডাক্তারের পরামর্শে গেলো ক’মাস ধরে ঘুমের ট্যাবলেট সেবন করতাম। তাই আমার কাছে দুই পাতা ঘুমের ট্যাবলেট ছিল। সেদিন মানসিক অবস্থা ভালো ছিল না বলে জেদেরবসে সেখান থেকে আমি আট-দশটি বড়ি খেয়েছিলাম। স্বাভাবিকভাবেই আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি। ব্যাস এটুকুই। অথচ এই ক’দিনে কতরকম বাজার কাটতি গল্প প্রকাশ পেয়েছে পত্রিকা-টিভিতে! আমি তীব্র ঘৃণা জানাই এসব মনগড়া খবরের।
আট-দশটি হলেও কম নয়। কিন্তু হঠাৎ ঘুমের বড়ি সেবনের কারণ কি?
আপনারা অবশ্যই জানেন, গেল সাত আট মাস ধরে আমি কি ধরনের পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে এগুচ্ছিলাম। এ নিয়ে মানবজমিনেই তো কয়েক দফা সংবাদ প্রকাশ পেয়েছে। আমার স্টেজ শো দিনের পর দিন বাতিল হয়ে যায়। ফেসবুকে বসতে পারি না। একাউন্ট গায়েব হয়ে যায়। বিটিভিতে ব্ল্যাক লিস্টেড। আয়োজক-প্রযোজকরা বলে আমার গান নাকি চলে না। নানামাত্রিক রাজনীতির শিকার হচ্ছি আমি। এসব মিলিয়ে প্রফেশনাল ক্যারিয়ার নিয়ে দারুণ হতাশায় ভুগছিলাম। তাই ঈদের পর এতো কষ্ট করে সাজানো মগবাজারের ভাড়া ফ্ল্যাট ছেড়ে গ্রামের বাড়ি চলে যাই। সেদিন (শনিবার) এসব ভেবে নিজেকে খুব তুচ্ছ মনে হয়েছে। ঘুম আসছিল না। তাই হাতের কাছে পেয়ে মায়ের ঘুমের বড়ি গিলে ফেললাম।
এটা কি হতাশার জীবন থেকে বিদায় নেয়ার আশায়?
বিশ্বাস করুন আমি মৃত্যু চাইনি, নিশ্চিন্তে একটু ঘুমোতে চেয়েছি। আমার রোদেলা-নায়লাকে ফেলে পালানোর সাহস আমার নেই। কারণ, জীবন অনেক সুন্দর। যেটা এখন আরও বেশি উপলব্ধি করতে পারছি। এটা ঠিক আমি ঘুমের বড়ি খেয়েছি। তবে সেটা নেহায়েত নিশ্চিন্ত একটু ঘুমের লোভে। বিলিভ মি।
এবার কি হতাশা কাটিয়ে নতুন করে ভাববেন?
ভাবতে তো হবেই। আমি তো এক জীবনে কারও কোন ক্ষতি করিনি। তবুও কেন মানুষ আমার ক্ষতিটা করে যাচ্ছে অনবরত। এসব মাথায় এলে তো আর ভাল লাগে না। রাতের পর রাত নির্ঘুম কেটে যায়। সত্যি বলি, আমি একটু ঘুমোতে চাই। দীর্ঘ নিশ্চিত ঘুম দিতে চাই। আমি নোংরা রাজনীতির শিকার হতে চাই না। একজন ক্ষুদ্র শিল্পী হিসেবে আমি আমার স্বাভাবিক জীবনের গ্যারান্টি চাই রাষ্ট্রযন্ত্রের কাছে। আমি এটাও চাই না আমার সুখের পরিবারের দিকে মিডিয়াগুলো সন্দেহের দিকে তাকাক। আমার জন্য সবাই একটু দোয়া করবেন।
ভাল আছি। বেশ সুস্থ আছি। দুশ্চিন্তার কারণ নেই। তবে শরীরটা এখনও বেশ দুর্বল।
এটাই স্বাভাবিক। ৬০টি ঘুমের বড়ির ধকল তো আর এতো সহজে যাওয়ার নয়
আমাকে নিয়ে আর কত মিথ্যা প্রচারণা চলবে বলুন তো? আমাকে কি আপনারা বাঁচতে দেবেন না? বিষণ্নতা কাটানোর জন্য ডাক্তারের পরামর্শে গেলো ক’মাস ধরে ঘুমের ট্যাবলেট সেবন করতাম। তাই আমার কাছে দুই পাতা ঘুমের ট্যাবলেট ছিল। সেদিন মানসিক অবস্থা ভালো ছিল না বলে জেদেরবসে সেখান থেকে আমি আট-দশটি বড়ি খেয়েছিলাম। স্বাভাবিকভাবেই আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি। ব্যাস এটুকুই। অথচ এই ক’দিনে কতরকম বাজার কাটতি গল্প প্রকাশ পেয়েছে পত্রিকা-টিভিতে! আমি তীব্র ঘৃণা জানাই এসব মনগড়া খবরের।
আট-দশটি হলেও কম নয়। কিন্তু হঠাৎ ঘুমের বড়ি সেবনের কারণ কি?
আপনারা অবশ্যই জানেন, গেল সাত আট মাস ধরে আমি কি ধরনের পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে এগুচ্ছিলাম। এ নিয়ে মানবজমিনেই তো কয়েক দফা সংবাদ প্রকাশ পেয়েছে। আমার স্টেজ শো দিনের পর দিন বাতিল হয়ে যায়। ফেসবুকে বসতে পারি না। একাউন্ট গায়েব হয়ে যায়। বিটিভিতে ব্ল্যাক লিস্টেড। আয়োজক-প্রযোজকরা বলে আমার গান নাকি চলে না। নানামাত্রিক রাজনীতির শিকার হচ্ছি আমি। এসব মিলিয়ে প্রফেশনাল ক্যারিয়ার নিয়ে দারুণ হতাশায় ভুগছিলাম। তাই ঈদের পর এতো কষ্ট করে সাজানো মগবাজারের ভাড়া ফ্ল্যাট ছেড়ে গ্রামের বাড়ি চলে যাই। সেদিন (শনিবার) এসব ভেবে নিজেকে খুব তুচ্ছ মনে হয়েছে। ঘুম আসছিল না। তাই হাতের কাছে পেয়ে মায়ের ঘুমের বড়ি গিলে ফেললাম।
এটা কি হতাশার জীবন থেকে বিদায় নেয়ার আশায়?
বিশ্বাস করুন আমি মৃত্যু চাইনি, নিশ্চিন্তে একটু ঘুমোতে চেয়েছি। আমার রোদেলা-নায়লাকে ফেলে পালানোর সাহস আমার নেই। কারণ, জীবন অনেক সুন্দর। যেটা এখন আরও বেশি উপলব্ধি করতে পারছি। এটা ঠিক আমি ঘুমের বড়ি খেয়েছি। তবে সেটা নেহায়েত নিশ্চিন্ত একটু ঘুমের লোভে। বিলিভ মি।
এবার কি হতাশা কাটিয়ে নতুন করে ভাববেন?
ভাবতে তো হবেই। আমি তো এক জীবনে কারও কোন ক্ষতি করিনি। তবুও কেন মানুষ আমার ক্ষতিটা করে যাচ্ছে অনবরত। এসব মাথায় এলে তো আর ভাল লাগে না। রাতের পর রাত নির্ঘুম কেটে যায়। সত্যি বলি, আমি একটু ঘুমোতে চাই। দীর্ঘ নিশ্চিত ঘুম দিতে চাই। আমি নোংরা রাজনীতির শিকার হতে চাই না। একজন ক্ষুদ্র শিল্পী হিসেবে আমি আমার স্বাভাবিক জীবনের গ্যারান্টি চাই রাষ্ট্রযন্ত্রের কাছে। আমি এটাও চাই না আমার সুখের পরিবারের দিকে মিডিয়াগুলো সন্দেহের দিকে তাকাক। আমার জন্য সবাই একটু দোয়া করবেন।
No comments