ন্যান্সি ও তাঁর মনের এক্স–রে by ফারুক ওয়াসিফ
জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ন্যান্সির বড় অমঙ্গল ঘটেনি, এটা দারুণ খুশির ব্যাপার। অমঙ্গল হলে খুব দুঃখের কারণ ঘটত। এই একটি ব্যাপারে অন্যের ব্যর্থতায় আমরা খুশি হব, বাহবা দেব। মনেও রাখব এ এক ট্র্যাজিক ঘটনা; একজনের ব্যক্তিগত বিপর্যয় অন্য কারও মশকরার উপলক্ষ হতে পারে না। আত্মহত্যার চেষ্টাকারী অথবা আত্মহত্যাকারীকে দোষ দেওয়ার সংস্কৃতি চালু আছে। কিন্তু এই কলঙ্কের কালিটা কার হাতে? কাউকে কেন আত্মহত্যায় বাধ্য বা প্ররোচিত হতে হয়, ন্যান্সির খবরের উষ্ণ সেনসেশনাল আমেজ তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়। তাহলে কি ধরেই নেওয়া হয়েছিল ন্যান্সি আর ‘স্বাভাবিক’ জীবনে ফিরবেন না? তাঁর পরিবার আছে, দুটি শিশুসন্তান আছে। এমন উপস্থাপন এদের জন্যও কষ্টের। আত্মহত্যা–চেষ্টার সংবাদ দিতে গিয়ে সাংবাদিকতা নিজেই আত্মহত্যা করলে আর যাব কোথায়!
কয়েকটি অনলাইন পত্রিকা অসুস্থ ন্যান্সির এমন ছবি ছেপেছে, যা তিনি সুস্থ অবস্থায় কখনোই তুলতে দিতেন না। বেশ কটি খবরের কাগজে, টেলিভিশনে এবং ফেসবুক ও ব্লগ ফোরামে ন্যান্সিবিষয়ক খবরে গুজব ও সমালোচনার প্রতিযোগিতা চলছিল। তাঁর অসুস্থকালীন ভিডিও ও ছবি প্রচার ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনের দোষে দুষ্ট হতে পারে। তাঁর খুবই নাজুক অবস্থার ঘটনা ও ছবির বিশেষ অ্যাঙ্গেল আবিষ্কারের মধ্যে আঙুল-তোলা অভিযোগ আছে। কোনো মানুষ যখন মৃত্যুর দিকে ঝুঁকতে থাকেন, তখন তাঁর দরকার পাশে থাকার মানুষ; নীতি বা যুক্তির মোল্লা-মাতবরি নয়। এসব তাঁর ভক্তদেরও নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করবে। তাই আত্মহত্যা বা তার চেষ্টার খবর যেন কারও জীবনকে আরও কঠিন না করে। এটা অবশ্যই খবরের যোগ্য বিষয়, তবে পরিবেশনে কিছু বিষয় মানা দরকার।
সংবাদ-নৈতিকতাই সাংবাদিকতা। খবরে কেমন বার্তা যাচ্ছে, সেদিকে খেয়াল রাখা উচিত। পাঠকের অবশ্যই আগ্রহ থাকবে জানার, কিন্তু সীমাটা ঠিক করে নিতে হবে সাংবাদিকদেরই। কোন আগ্রহ সংগত আর কোনটা অসংগত, সে বিষয়েও বোঝাপড়া লাগবে। খবর আত্মহত্যা কমাতে যেমন পারে, তেমনি পারে উসকানি দিতেও। সন্ত্রাস, ধর্ষণ, আত্মহত্যার সংবাদের প্রতি গণমাধ্যমের অতি-উৎসাহ কাউকে সন্ত্রাস, ধর্ষণ অথবা আত্মঘাতের ‘সংবাদ’ হতে উৎসাহী করতে পারে। একটি আত্মহত্যার অতি প্রচার, একই অবস্থায় থাকা অনেককে একইভাবে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিতে পারে। যৌন নিপীড়ন ও সামাজিক অসম্মানে আত্মহত্যার ঢল আমরা দেখেছি। পৃথিবীর অনেক দেশেই আত্মহত্যাকারীর নাম, আত্মহত্যার বিশদ পদ্ধতি, ব্যবহৃত পদার্থ ও তার পরিমাণ এবং অন্তিম চিঠি প্রকাশে নৈতিক বাধা আছে। বিখ্যাত না হলে আত্মহত্যাকারীর ছবি দেওয়া উচিত না। বিখ্যাতদের বেলায়ও ছবি বা ভিডিওকে হতে হবে স্বাভাবিক অবস্থার। আত্মহত্যার চেষ্টা আর আত্মহত্যার মৃত্যুর মধ্যে পার্থক্য করতে হবে। ‘আত্মহত্যা-চেষ্টা’র খবর যত কম হবে, ততই এর প্রকোপ কমবে বলে ভাবা হয়। মানুষের শরীর ও মনের নিজস্ব কিছু অধিকার আছে: এই দুইয়ের কোনো কিছুকে ইচ্ছার বাইরে জনসমক্ষে আনলে ভেতরের মানুষটা বিপন্ন বোধ করতে পারে। যখন কেউ মানসিক ও শারীরিকভাবে অপরের সাহায্য/ সহমর্মিতা/চিকিৎসার মুখাপেক্ষী; তখন তাঁর দুর্বলতাকে জনসমক্ষে আনা ঠিক নয়। মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসার ট্রমা কাটিয়ে ওঠায়ও এগুলো বাধা।
খাদের কিনারে অনেকেরই জীবন চলে। এর মধ্যে কেউ পিছলে দাগের বাইরে চলে গেলে, তাঁকে ফিরিয়ে আনতে না পারুন, আরও কমজোরি করে দেবেন না। এসব অসংগত খবরে তাঁর যে ভাবমূর্তি তৈরি হবে, তা তাঁর উঠে দাঁড়ানোর পথের কাঁটা। ফলে আত্মহত্যা-কাল তাঁর আর ফুরাবে না। এ রকম দীর্ঘ আত্মহত্যা-কাল পার হতে হতে মাইকেল জ্যাকসন পড়ে গেছেন। হলিউডি অভিনেতা রবিন উইলিয়ামসও রেহাই পাননি উৎকট আগ্রহ থেকে। যেকোনো অনামা মানুষ যতটা নজরদারি, শাসানো ও চরিত্রবিচারের বিছাতু থেকে আবরু পায়, জনপ্রিয় তারকারা তা পান না। অথচ তাঁরাও মানুষ। তাঁদেরও পরিবার-পরিজন থাকে, দুর্বলতা ও সংকট থাকে। সেসবকে খোঁচানো গণপিটুনির মতোই গণনিষ্ঠুরতা।
মৃত্যু প্রসঙ্গটাই শোকের। পবিত্রতার চাদরে সব মৃত্যুকেই ঢেকে রাখা উচিত। আত্মহত্যা-চেষ্টার জন্য কাউকে বিড়ম্বিত করার আগে ভাবা উচিত, মৃত্যু প্রসঙ্গকে পবিত্রতা ও শোকের ঢাকনার বাইরে আনা ঠিক কি না? জীবনের মতো আত্মহত্যাও সমাজ-সংসারের শাসনের অধীন। সেই শাসন যদি কেবল অভিযোগ করে, ছোট চোখে দেখে, তাহলে আত্মহত্যাকাতর মানুষ কোথায় যাবে? ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়’ লেখা থাকে অন্তিম চিঠিতে। তা হলেও দায় থাকে। আত্মহত্যা কারও করুণ-কঠিন বাস্তবতার শেষ ‘অ্যাকশন’। আত্মহত্যার চেষ্টার মধ্যে যে চেতনা অবশ করা দুঃখ দেখে না, মৃত্যু তার কাছে ঘটনামাত্র, জীবনের পরাজয় সে দেখে না।
ব্যক্তির জটিল ও গোপনীয় মনের এক্স-রে করা সাংবাদিকের কাজ না। কীভাবে এ রকম বিপর্যয় এড়ানো যায়, সেই আশার জায়গাগুলো তুলে ধরাই তাঁর দায়িত্ব। আত্মহত্যার কারণগুলো চরিত্রগতভাবেই গোপনীয়। অনেক সময় এর ব্যাখ্যা মেলে না। তাই আত্মহত্যা বিষয়ে সেনসেশনাল হওয়ার বদলে এ নিয়ে কথা বলার ধরনে যত্নবান হওয়া দরকার। আত্মহত্যার প্রাইভেট কারণ ঘেঁটে এটাই জানবেন, এর জন্ম পাবলিক সংস্কৃতির কারখানায়। সমাজ-সম্পর্কের মহাসড়কে এর যাত্রা নিয়ত চলমান। মানুষ বসবাস করে সামাজিক সম্পর্কের জালের মধ্যে। এই জাল তাকে ভরসা দেয়, আশা দেয়। যার সেই জাল ছিঁড়ে যায় অথবা সমাজ যাকে সেই জালের বাইরে ফেলে দেয়, তার পক্ষে একা একা উঠে দাঁড়ানো কঠিন। সেখানেই সমাজের দায়িত্ব তাকে আবার তুলে আনার।
আইনের দিক থেকে ঠিক থাকলেও নৈতিক বিচারে আত্মহত্যা কথাটা ভুল। সব হত্যাই খুন, আত্মকে খুন করাও খুন। সেই খুন একজনে করে না, সমাজের সম্মিলিত অবস্থা এর জন্য দায়ী। আত্মহত্যার মধ্যে পরোক্ষ হত্যা দেখুন, বিপন্নতা দেখুন, কলঙ্ক দেখবেন না। কিছু করার থাকলে করতে হবে আগেই। জীবনানন্দ দাশের ভাষায়, ‘মানুষটা ম’রে গেলে যদি তাকে ওষুধের শিশি/ কেউ দেয়-বিনি দামে-তবে কার লাভ?’
ফারুক ওয়াসিফ: সাংবাদিক ও লেখক।
bagharu@gmail.com
কয়েকটি অনলাইন পত্রিকা অসুস্থ ন্যান্সির এমন ছবি ছেপেছে, যা তিনি সুস্থ অবস্থায় কখনোই তুলতে দিতেন না। বেশ কটি খবরের কাগজে, টেলিভিশনে এবং ফেসবুক ও ব্লগ ফোরামে ন্যান্সিবিষয়ক খবরে গুজব ও সমালোচনার প্রতিযোগিতা চলছিল। তাঁর অসুস্থকালীন ভিডিও ও ছবি প্রচার ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনের দোষে দুষ্ট হতে পারে। তাঁর খুবই নাজুক অবস্থার ঘটনা ও ছবির বিশেষ অ্যাঙ্গেল আবিষ্কারের মধ্যে আঙুল-তোলা অভিযোগ আছে। কোনো মানুষ যখন মৃত্যুর দিকে ঝুঁকতে থাকেন, তখন তাঁর দরকার পাশে থাকার মানুষ; নীতি বা যুক্তির মোল্লা-মাতবরি নয়। এসব তাঁর ভক্তদেরও নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করবে। তাই আত্মহত্যা বা তার চেষ্টার খবর যেন কারও জীবনকে আরও কঠিন না করে। এটা অবশ্যই খবরের যোগ্য বিষয়, তবে পরিবেশনে কিছু বিষয় মানা দরকার।
সংবাদ-নৈতিকতাই সাংবাদিকতা। খবরে কেমন বার্তা যাচ্ছে, সেদিকে খেয়াল রাখা উচিত। পাঠকের অবশ্যই আগ্রহ থাকবে জানার, কিন্তু সীমাটা ঠিক করে নিতে হবে সাংবাদিকদেরই। কোন আগ্রহ সংগত আর কোনটা অসংগত, সে বিষয়েও বোঝাপড়া লাগবে। খবর আত্মহত্যা কমাতে যেমন পারে, তেমনি পারে উসকানি দিতেও। সন্ত্রাস, ধর্ষণ, আত্মহত্যার সংবাদের প্রতি গণমাধ্যমের অতি-উৎসাহ কাউকে সন্ত্রাস, ধর্ষণ অথবা আত্মঘাতের ‘সংবাদ’ হতে উৎসাহী করতে পারে। একটি আত্মহত্যার অতি প্রচার, একই অবস্থায় থাকা অনেককে একইভাবে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিতে পারে। যৌন নিপীড়ন ও সামাজিক অসম্মানে আত্মহত্যার ঢল আমরা দেখেছি। পৃথিবীর অনেক দেশেই আত্মহত্যাকারীর নাম, আত্মহত্যার বিশদ পদ্ধতি, ব্যবহৃত পদার্থ ও তার পরিমাণ এবং অন্তিম চিঠি প্রকাশে নৈতিক বাধা আছে। বিখ্যাত না হলে আত্মহত্যাকারীর ছবি দেওয়া উচিত না। বিখ্যাতদের বেলায়ও ছবি বা ভিডিওকে হতে হবে স্বাভাবিক অবস্থার। আত্মহত্যার চেষ্টা আর আত্মহত্যার মৃত্যুর মধ্যে পার্থক্য করতে হবে। ‘আত্মহত্যা-চেষ্টা’র খবর যত কম হবে, ততই এর প্রকোপ কমবে বলে ভাবা হয়। মানুষের শরীর ও মনের নিজস্ব কিছু অধিকার আছে: এই দুইয়ের কোনো কিছুকে ইচ্ছার বাইরে জনসমক্ষে আনলে ভেতরের মানুষটা বিপন্ন বোধ করতে পারে। যখন কেউ মানসিক ও শারীরিকভাবে অপরের সাহায্য/ সহমর্মিতা/চিকিৎসার মুখাপেক্ষী; তখন তাঁর দুর্বলতাকে জনসমক্ষে আনা ঠিক নয়। মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসার ট্রমা কাটিয়ে ওঠায়ও এগুলো বাধা।
খাদের কিনারে অনেকেরই জীবন চলে। এর মধ্যে কেউ পিছলে দাগের বাইরে চলে গেলে, তাঁকে ফিরিয়ে আনতে না পারুন, আরও কমজোরি করে দেবেন না। এসব অসংগত খবরে তাঁর যে ভাবমূর্তি তৈরি হবে, তা তাঁর উঠে দাঁড়ানোর পথের কাঁটা। ফলে আত্মহত্যা-কাল তাঁর আর ফুরাবে না। এ রকম দীর্ঘ আত্মহত্যা-কাল পার হতে হতে মাইকেল জ্যাকসন পড়ে গেছেন। হলিউডি অভিনেতা রবিন উইলিয়ামসও রেহাই পাননি উৎকট আগ্রহ থেকে। যেকোনো অনামা মানুষ যতটা নজরদারি, শাসানো ও চরিত্রবিচারের বিছাতু থেকে আবরু পায়, জনপ্রিয় তারকারা তা পান না। অথচ তাঁরাও মানুষ। তাঁদেরও পরিবার-পরিজন থাকে, দুর্বলতা ও সংকট থাকে। সেসবকে খোঁচানো গণপিটুনির মতোই গণনিষ্ঠুরতা।
মৃত্যু প্রসঙ্গটাই শোকের। পবিত্রতার চাদরে সব মৃত্যুকেই ঢেকে রাখা উচিত। আত্মহত্যা-চেষ্টার জন্য কাউকে বিড়ম্বিত করার আগে ভাবা উচিত, মৃত্যু প্রসঙ্গকে পবিত্রতা ও শোকের ঢাকনার বাইরে আনা ঠিক কি না? জীবনের মতো আত্মহত্যাও সমাজ-সংসারের শাসনের অধীন। সেই শাসন যদি কেবল অভিযোগ করে, ছোট চোখে দেখে, তাহলে আত্মহত্যাকাতর মানুষ কোথায় যাবে? ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়’ লেখা থাকে অন্তিম চিঠিতে। তা হলেও দায় থাকে। আত্মহত্যা কারও করুণ-কঠিন বাস্তবতার শেষ ‘অ্যাকশন’। আত্মহত্যার চেষ্টার মধ্যে যে চেতনা অবশ করা দুঃখ দেখে না, মৃত্যু তার কাছে ঘটনামাত্র, জীবনের পরাজয় সে দেখে না।
ব্যক্তির জটিল ও গোপনীয় মনের এক্স-রে করা সাংবাদিকের কাজ না। কীভাবে এ রকম বিপর্যয় এড়ানো যায়, সেই আশার জায়গাগুলো তুলে ধরাই তাঁর দায়িত্ব। আত্মহত্যার কারণগুলো চরিত্রগতভাবেই গোপনীয়। অনেক সময় এর ব্যাখ্যা মেলে না। তাই আত্মহত্যা বিষয়ে সেনসেশনাল হওয়ার বদলে এ নিয়ে কথা বলার ধরনে যত্নবান হওয়া দরকার। আত্মহত্যার প্রাইভেট কারণ ঘেঁটে এটাই জানবেন, এর জন্ম পাবলিক সংস্কৃতির কারখানায়। সমাজ-সম্পর্কের মহাসড়কে এর যাত্রা নিয়ত চলমান। মানুষ বসবাস করে সামাজিক সম্পর্কের জালের মধ্যে। এই জাল তাকে ভরসা দেয়, আশা দেয়। যার সেই জাল ছিঁড়ে যায় অথবা সমাজ যাকে সেই জালের বাইরে ফেলে দেয়, তার পক্ষে একা একা উঠে দাঁড়ানো কঠিন। সেখানেই সমাজের দায়িত্ব তাকে আবার তুলে আনার।
আইনের দিক থেকে ঠিক থাকলেও নৈতিক বিচারে আত্মহত্যা কথাটা ভুল। সব হত্যাই খুন, আত্মকে খুন করাও খুন। সেই খুন একজনে করে না, সমাজের সম্মিলিত অবস্থা এর জন্য দায়ী। আত্মহত্যার মধ্যে পরোক্ষ হত্যা দেখুন, বিপন্নতা দেখুন, কলঙ্ক দেখবেন না। কিছু করার থাকলে করতে হবে আগেই। জীবনানন্দ দাশের ভাষায়, ‘মানুষটা ম’রে গেলে যদি তাকে ওষুধের শিশি/ কেউ দেয়-বিনি দামে-তবে কার লাভ?’
ফারুক ওয়াসিফ: সাংবাদিক ও লেখক।
bagharu@gmail.com
No comments