আক্রান্ত সাংবাদিক -পুলিশ গ্রেপ্তার করে, দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়
গত দুই দিনে ঢাকা, সিলেট ও বরিশালে তিনজন সাংবাদিক আক্রমণের শিকারে পরিণত হয়েছেন। ঢাকায় দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার বার্তা সম্পাদককে তাঁর কার্যালয় থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। ওই পত্রিকা নাকি ‘মিথ্যা ও বানোয়াট খবর প্রকাশ করে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে। এ ছাড়া পুলিশ বাহিনীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেছে’।
অভিযোগ গুরুতর সন্দেহ নেই। এ ধরনের অভিযোগের সামান্য ভিত্তি থাকলেও তা রাষ্ট্র ও সমাজের জন্য হুমকি, সেটাও সত্য। কিন্তু অভিযোগের সত্যতা যাচাই করা হয়েছে কি? তার আগেই সাংবাদিক গ্রেপ্তার ও পুলিশি হয়রানি উদ্বেগের বিষয়। কারণ, মামলার জন্য তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। সাংবাদিক সমাজ প্রথম থেকেই এই আইনের অপপ্রয়োগের আশঙ্কা করছিল। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে প্রেস কাউন্সিলে যাওয়া যায়। দৈনিক পত্রিকার সাংবাদিকদের কেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনে জড়ানো হলো, তার পরিষ্কার ব্যাখ্যা থাকা দরকার। অন্যথায় এ ধরনের মামলা ও গ্রেপ্তার স্বাধীন সাংবাদিকতার ওপর আঘাত হিসেবেই সবাই ধরে নেবে।
দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সিেলটের বিশেষ প্রতিনিধিকে গ্রেপ্তার করার পর ‘ধর্ষণ’ মামলা জুড়ে দেওয়া হয়েছে। সিলেটের সাংবাদিকেরা দাবি করছেন, একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে নিয়ে তাঁর করা এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন মানবজমিন পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর পুলিশ ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়েছে। পুলিশ অবশ্য এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। এখন এর সুষ্ঠু তদন্ত ও পুরো ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
অন্যদিকে রাতে কাজ শেষে বাসায় যাওয়ার পথে দৈনিক সমকাল পত্রিকার বরিশাল ব্যুরোপ্রধানকে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে জখম করেছে। পেশাগত কারণে শত্রুতার জের ধরে তাঁর ওপর হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কোথায় তাহলে আইনশৃঙ্খলা?
কিছু লেখার কারণে গ্রেপ্তার-মামলা-মোকদ্দমা-হামলা চালিয়ে যেভাবে সাংবাদিকতা পেশাকে অনিরাপদ করে তোলা হচ্ছে, তা দেশ বা সরকারের জন্য মঙ্গলজনক হবে না। অতীতে সাংবাদিক দমনের সব চেষ্টাই ব্যর্থ হয়েছে। এটা সবাই জানে।
অভিযোগ গুরুতর সন্দেহ নেই। এ ধরনের অভিযোগের সামান্য ভিত্তি থাকলেও তা রাষ্ট্র ও সমাজের জন্য হুমকি, সেটাও সত্য। কিন্তু অভিযোগের সত্যতা যাচাই করা হয়েছে কি? তার আগেই সাংবাদিক গ্রেপ্তার ও পুলিশি হয়রানি উদ্বেগের বিষয়। কারণ, মামলার জন্য তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। সাংবাদিক সমাজ প্রথম থেকেই এই আইনের অপপ্রয়োগের আশঙ্কা করছিল। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে প্রেস কাউন্সিলে যাওয়া যায়। দৈনিক পত্রিকার সাংবাদিকদের কেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনে জড়ানো হলো, তার পরিষ্কার ব্যাখ্যা থাকা দরকার। অন্যথায় এ ধরনের মামলা ও গ্রেপ্তার স্বাধীন সাংবাদিকতার ওপর আঘাত হিসেবেই সবাই ধরে নেবে।
দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সিেলটের বিশেষ প্রতিনিধিকে গ্রেপ্তার করার পর ‘ধর্ষণ’ মামলা জুড়ে দেওয়া হয়েছে। সিলেটের সাংবাদিকেরা দাবি করছেন, একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে নিয়ে তাঁর করা এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন মানবজমিন পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর পুলিশ ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়েছে। পুলিশ অবশ্য এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। এখন এর সুষ্ঠু তদন্ত ও পুরো ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
অন্যদিকে রাতে কাজ শেষে বাসায় যাওয়ার পথে দৈনিক সমকাল পত্রিকার বরিশাল ব্যুরোপ্রধানকে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে জখম করেছে। পেশাগত কারণে শত্রুতার জের ধরে তাঁর ওপর হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কোথায় তাহলে আইনশৃঙ্খলা?
কিছু লেখার কারণে গ্রেপ্তার-মামলা-মোকদ্দমা-হামলা চালিয়ে যেভাবে সাংবাদিকতা পেশাকে অনিরাপদ করে তোলা হচ্ছে, তা দেশ বা সরকারের জন্য মঙ্গলজনক হবে না। অতীতে সাংবাদিক দমনের সব চেষ্টাই ব্যর্থ হয়েছে। এটা সবাই জানে।
No comments