গণজাগরণ মঞ্চের বিভক্তি হতাশাব্যঞ্জক- বিশেষ সাক্ষাৎকারে : নাসির উদ্দীন ইউসুফ by এ কে এম জাকারিয়া
বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দীন
ইউসুফের জন্ম ঢাকায়, ১৯৫০ সালে। একজন নাট্য, সাংস্কৃতিক ও চলচ্চিত্র
ব্যক্তিত্ব হিসেবেই বর্তমানে বেশি পরিচিত। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের
সভাপতি নাসির উদ্দীন ইউসুফ গ্রাম থিয়েটার ও ঢাকা থিয়েটারসহ বিভিন্ন
সাংস্কৃতিক সংগঠনের মূল সংগঠক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। যুদ্ধাপরাধীদের
বিচারের দাবিতে সোচ্চার একজন ব্যক্তিত্ব হিসেবে শাহবাগের আন্দোলনের সঙ্গে
সক্রিয়ভাবে জড়িত হয়ে পড়েন। প্রথম আলোর সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি কথা বলেছেন
এই আন্দোলন, এর বর্তমান দশা ও সাম্প্রতিক বিভক্তি নিয়ে। সাক্ষাৎকার
নিয়েছেন এ কে এম জাকারিয়া
প্রথম আলো আজকে গণজাগরণ মঞ্চের যে বিরোধ, এর কারণ কী বলে মনে করেন?
নাসির উদ্দীন ইউসুফ দেশের মানুষ যে আবেগ নিয়ে এই গণজাগরণের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল, এর নেতৃত্ব তার মূল্যায়ন করতে ব্যর্থ হচ্ছেন বলেই আজ এই বিভক্তি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে অন্যায় ও অনাচারের বিরুদ্ধে এ ধরনের একটি জাগরণ হতে পারে, এটা তো আমাদের কারোর ধারণার মধ্যেই ছিল না। জনগণ, বিশেষ করে তরুণেরা এর সঙ্গে যেভাবে যুক্ত হয়েছেন, তা ছিল অভাবিত। কোনো নেতৃত্ব থেকে পরিকল্পনা করে তো আর এই গণজাগরণ হয়নি, ঘটনা ঘটে গেছে। কিন্তু এরপর এর যে সাংগঠনিক ও কর্মসূচিনির্ভর কাঠামো প্রয়োজন ছিল, তা করা যায়নি। ফলে এই বিরোধ।
প্রথম আলো আপনি নিজেও তো এই গণজাগরণ মঞ্চের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে শুরু থেকে জড়িত ছিলেন।
নাসির উদ্দীন ইউসুফ ৫ ফেব্রুয়ারি যখন কাদের মোল্লার রায় ঘোষণা করা হয়, তখনই ট্রাইব্যুনালের বাইরে এসে বলেছিলাম যে আমরা শহীদ পরিবার ও মুক্তিযোদ্ধারা এই রায় মানি না। শাহবাগে যখন এর প্রতিবাদে লোকজন জড়ো হয়েছে, তখন নিজের তাগিদেই সেখানে গিয়েছি। যাঁরা এটাকে সংগঠিত করার চেষ্টা করেছেন তাঁরা আমাকে ডেকেছেন। আমি তাঁদের সঙ্গে থেকেছি, পরামর্শ দিয়েছি। তখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সব কটি ছাত্রসংগঠন এর সঙ্গে যুক্ত ছিল, তাদের নেতারাও ছিলেন। বিভিন্ন পেশাজীবী ও সাংস্কৃতিক সংগঠনও সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে এই জাগরণকে এগিয়ে নিতে। একে একটি সাংগঠনিক রূপ দেওয়ার জন্য ‘গণজাগরণ মঞ্চ’ তৈরি করা, ইমরান এইচ সরকারকে এর মুখপাত্র করা—এগুলো সবই সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেই ঠিক করা হয়েছে। এই সময়গুলোতে আমি এর সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত থেকেছি।
প্রথম আলো অনেকে বলেন যে আপনি সরকারের তরফ থেকে এই মঞ্চে যুক্ত হয়েছেন।
নাসির উদ্দীন ইউসুফ আমি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমার নিজের তাগিদেই গিয়েছি। হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধা যে কারণে গেছেন, আমিও সেই একই কারণে শাহবাগে গেছি। কাদের মোল্লার রায় প্রত্যাখ্যান করেছি। শাহবাগের এই আন্দোলনকে আমি একটি বিস্ফোরণ বলে মনে করি। অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা মানুষের ক্ষোভের বিস্ফোরণ। কেউই জানত না এটা এই আকার ধারণ করবে, সরকারেরও তা জানার কথা নয়। তবে এটা ঠিক যে শুরু থেকেই এই আন্দোলনে যুক্ততার কারণে সরকার বিভিন্ন সময়ে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তারা কী করতে পারে, সে সম্পর্কে জানতে চেয়েছে।
প্রথম আলো আপনি কী পরামর্শ দিয়েছেন?
নাসির উদ্দীন ইউসুফ: আমরা নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলার সহায়তা চেয়েছি। সরকার সেটা করেছেও। শাহবাগের আন্দোলনে সরকারের যে সহযোগিতা তা প্রত্যক্ষ নয়। অনেকে আন্দোলনের কর্মীদের পানি বা খাবার পাঠানোর কথা বলেন। এসব বিভিন্ন মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবেই পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে সরকার-সমর্থক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যেমন ছিল, তেমনি এর বাইরেও ছিল।
প্রথম আলো শাহবাগের আন্দোলনকে সরকার নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে চাওয়ার কারণেই আন্দোলন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে অনেকে মনে করেন।
নাসির উদ্দীন ইউসুফ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল, কিন্তু সরকার এর নিয়ন্ত্রণ নিতে চায়নি। তবে এটাও ঠিক যে সরকার এখান থেকে তার বিরোধিতার বিষয়টিকেও মানতে পারেনি। গণজাগরণ মঞ্চ থেকে একবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও করার কথা উঠেছিল। খুব স্বাভাবিক কারণেই ছাত্রলীগ তা মেনে নেয়নি। তারা বিরোধিতা করেছে। ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অনুষ্ঠান নিয়েও সংগঠকদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিয়েছিল। অনেক ছাত্রসংগঠন এর সঙ্গে যুক্ত ছিল, প্রত্যেকের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। মঞ্চের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যখন মিলছে না, তখন আমরা দেখলাম ছাত্রলীগ সরে গেছে। এতে আন্দোলন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমি তো মনে করি, নিজেদের স্বার্থে হলেও সরকারের উচিত ছিল এই আন্দোলনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে এখনো যুক্ত থাকা। অংশগ্রহণ কমিয়ে দিয়ে সরকার ভুল করেছে।
প্রথম আলো যদি বলি প্রয়োজন ফুরিয়েছে বলেই সরকার সরে গেছে।
নাসির উদ্দীন ইউসুফ শাহবাগের গণজাগরণ যে চেতনা নিয়ে হয়েছে, তার প্রয়োজন আওয়ামী লীগের জন্য ফুরিয়ে গেছে বলে মনে হয় না। এই আন্দোলনের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সক্রিয়ভাবে জড়িত থাকা উচিত ছিল। অতীতে দেখেছি যে আওয়ামী লীগ যখন গণ-আদালত ছেড়েছে, তখন আন্দোলন ছোট হয়েছে। আমি মনে করি, আওয়ামী লীগসহ বাম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সবারই উচিত মিলেমিশে এই আন্দোলনে যুক্ত থাকা।
প্রথম আলো শাহবাগ আন্দোলনের সময় সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সক্রিয় ভূমিকার কথা শোনা যায়।
নাসির উদ্দীন ইউসুফ তাদের উপস্থিতি ছিল এবং তা চোখে পড়েছে। তারা বিভিন্ন সময় আমাদের সঙ্গে কথা বলেছে। আমাদের সুবিধা-অসুবিধার কথা জেনেছে। বিভিন্ন সময়ে আমাদের তথ্যও দিয়েছে। নিরাপত্তার ব্যাপারে আমাদের পরামর্শ দিয়েছে।
প্রথম আলো গণজাগরণ মঞ্চের বিভক্তি এখন এই পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে যে এর মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারকে অন্য পক্ষ অব্যাহতি দিয়েছে। শুরুতে তাঁর মুখপাত্র হওয়ার বিষয়টি কি সর্বসম্মত ছিল?
নাসির উদ্দীন ইউসুফ ইমরান ব্লগার ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের একটি সংগঠনের আহ্বায়ক ছিলেন। শাহবাগের আন্দোলনের সূচনা করার ক্ষেত্রে তাঁরা সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। ফলে যদিও শুরুতে ছাত্রলীগসহ বাম ছাত্রসংগঠনগুলো এই আন্দোলনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিল, কিন্তু নেতা বা মুখপাত্র হিসেবে ইমরানকেই বেছে নেওয়া হয়। একটি নতুন মুখ, ক্লিন ইমেজ—এসবও বিবেচনায় ছিল। সবাই মিলে আলোচনা করেই এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আজা যাঁরা তাঁর বিরোধিতা করছেন, তাঁকে অব্যাহতি দিয়েছেন, তাঁরাও শুরু থেকে ইমরানের নেতৃত্বে আন্দোলন করেছেন।
প্রথম আলো ইমরানকে অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়টি আপনি কীভাবে দেখছেন?
নাসির উদ্দীন ইউসুফ ইমরান গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র হয়েছেন একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে। এভাবে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া ঠিক হয়নি। নেতৃত্ব বা আন্দোলন নিয়ে কোনো সমস্যা বা ভুল-বোঝাবুঝি হয়ে থাকলে তা নিয়ে আলাপ-আলোচনা হতে পারত। শুরুতে যাঁরা জড়িত ছিলেন, সবাইকে ডেকে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেত। গণজাগরণ মঞ্চ এমন একটি মঞ্চ, যেখানে বিভিন্ন দল ও মতের লোকজন রয়েছেন। তাই একধরনের যৌথ সিদ্ধান্তের ভিত্তিতেই এখন এর কার্যক্রম পরিচালিত হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।
প্রথম আলো গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনের সময় বিভিন্ন সূত্র থেকে আসা অর্থ ও এর ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অনেকের মতে চাঁদাবাজি ও আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনাও ঘটেছে। আপনার মন্তব্য কী?
নাসির উদ্দীন ইউসুফ আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ খুবই দুঃখজনক। বড় কোনো ধরনের আর্থিক সহায়তা আসার ঘটনা ঘটেছে বলে আমার জানা নেই। তবে জবাবদিহির জন্য অর্থের পরিমাণ যা-ই হোক, এর হিসাব থাকা দরকার এবং পাওয়া অর্থ ও ব্যয় নথিবদ্ধ থাকা প্রয়োজন। অর্থই সবচেয়ে বড় সন্দেহ ও অবিশ্বাস তৈরি করে। কিন্তু এ ধরনের কিছু হয়েছে বলে আমি মনে করি না। ইমরান বলেছেন যে হিসাব রাখা হয়েছে এবং তা প্রকাশ করা হবে। সে ক্ষেত্রে সন্দেহ ও অবিশ্বাস কেটে যাবে। তবে আমাদের জানার বাইরে যদি কেউ মঞ্চের নামে অর্থ নিয়ে থাকে, তার দায় তো গণজাগরণ মঞ্চ নিতে পারে না।
প্রথম আলো এখন তো গণজাগরণ মঞ্চ বিভক্ত হয়েছে, দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি চলছে। আবার শাহবাগের আন্দোলন অনেক আগেই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে। শুরুতে এর কৌশলে কোনো ভুল ছিল বলে মনে করেন কি?
নাসির উদ্দীন ইউসুফ আমি মনে করি যে শাহবাগের আন্দোলন বা সেখানে অবস্থান করে যে আন্দোলন হয়েছে, তা দীর্ঘায়িত করা উচিত হয়নি। সংসদে যখন আইন পাস করে আপিল করার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে, তখনই উচিত ছিল রাস্তায় অবস্থান নেওয়ার আন্দোলন থেকে সরে আসা। বলা উচিত ছিল যে আমাদের প্রাথমিক দাবি আদায় হয়েছে, ফলে শাহবাগে অবস্থানের বিষয়টি থেকে আমরা সরে আসছি; তবে সব যুদ্ধাপরাধীর বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে, প্রয়োজনে আবার আমরা মাঠে নামব। কিন্তু যখন এ ধরনের প্রস্তাব এসেছে তখন বিরোধিতা হয়েছে। আমি নিজেও বিরোধিতার শিকার হয়েছি।
প্রথম আলো শাহবাগ আন্দোলন থিতিয়ে যাওয়া বা বিতর্কিত হওয়ার ক্ষেত্রে আরও কিছু কি কাজ করেনি?
নাসির উদ্দীন ইউসুফ আগেই বলেছি, শাহবাগের আন্দোলন কোনো সংগঠিত কাঠামো থেকে হয়নি। কোনো নেতার ডাকে সাড়া দিয়ে কেউ এখানে আসেনি। এটা ছিল জনগণের ক্ষোভের প্রকাশ। বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন ও অসংখ্য পেশাজীবী সংগঠন এর পেছনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। কিন্তু চূড়ান্ত বিচারে একটি সমন্বিত কাঠামো দাঁড় করে একে একটি সাংগঠনিক রূপ দেওয়া যায়নি। গণজাগরণ মঞ্চের বিরুদ্ধে একটি গোষ্ঠীর ধারাবাহিক মিথ্যা প্রচারণা আছে, যাতে মহল বিশেষ সফলও হয়েছে—সবকিছু মিলিয়েই রাস্তার আন্দোলনটি থিতিয়ে যায়।
প্রথম আলো সরকার হেফাজতের ভয়ে ভীত হয়ে শাহবাগ থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছে বলে মনে করেন কি?
নাসির উদ্দীন ইউসুফ এটা ঠিক নয়। তবে সরকার সম্ভবত মনে করেছে যে শাহবাগকে সমর্থন ও চলতে দিতে থাকলে বিপরীত শক্তিও বাড়তে থাকবে। সরকার যদি কোনো পক্ষের সঙ্গেই জড়িত না থাকে, তবে দুই পক্ষকেই সামাল দেওয়া সহজ হবে। জামায়াতের উত্থান ও ধর্মীয় রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্য সরকারের জন্য চিন্তার কারণ। ফলে সরকারকে তো নানা কৌশল নিতেই হবে।
প্রথম আলো গণজাগরণ মঞ্চের বিভক্তি কি সে ধরনের কোনো কৌশল?
নাসির উদ্দীন ইউসুফ এ ক্ষেত্রে সরকারের কোনো কৌশল বা চাপ কাজ করেছে বলে মনে করি না। গণজাগরণ মঞ্চ থেকে ছাত্রলীগ অনেক আগেই সরে গেছে। তবে গণজাগরণ মঞ্চের সঙ্গে সম্প্রতি সরকার যে আচরণ করেছে, তা উচিত হয়নি। মঞ্চের কর্মীদের ওপর এ ধরনের লাঠিপেটা কি এড়ানো
যেত না? গণজাগরণ মঞ্চ থেকে যা উচ্চারিত হয়েছে, তা তো আওয়ামী লীগের পক্ষেই যাওয়ার কথা।
প্রথম আলো শাহবাগের আন্দোলনকে আপনি একটি বিস্ফোরণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এর প্রতিক্রিয়া কী হয়েছে সমাজে? আর গণজাগরণ মঞ্চের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েই আপনার মতামত কী?
নাসির উদ্দীন ইউসুফ গণজাগরণ মঞ্চের বর্তমান পরিস্থিতি জাতিকে আশাহত করেছে। যখন গণজাগরণ মঞ্চ নিয়ে এ ধরনের ঘটনা ঘটে, তখন আমি উত্তরবঙ্গে ছিলাম। লোকজন আমাকে প্রশ্ন করেছে, বলেছে, আপনারা তো সব শেষ করে দিলেন। আমি আশা করি, সবাই মিলে এই পরিস্থিতি সামলে ওঠা যাবে। তবে শাহবাগের আন্দোলন যে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, তার প্রভাব আগামী দিনের বাংলাদেশ টের পাবে। এই আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত হয়েছিলেন যে লাখো-কোটি মানুষ, যে তরুণেরা—তাঁরাই আগামী দিনের বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবেন। তাঁরা হয়তো এখন সংগঠিত অবস্থায় নেই, কিন্তু শাহবাগ যে আলো ছড়িয়েছে, তা তাঁরা অস্বীকার করবেন কীভাবে? যে স্কুলছাত্রটি শাহবাগে এসেছিল, সে একে ভুলে যাবে কেমনে?
প্রথম আলো অনেক ধন্যবাদ।
নাসির উদ্দীন ইউসুফ আপনাকে ধন্যবাদ।
No comments