ভারতে নৌ ও সেনাপ্রধান নিয়োগ নিয়ে উত্তপ্ত রাজনীতি
ভারতের নৌবাহিনীপ্রধান নিয়োগের ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠতা মেনে চলার দীর্ঘদিনের রেওয়াজ কংগ্রেস সরকার লঙ্ঘন করায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। নৌবাহিনীর পর এখন সেনাবাহিনীর ক্ষেত্রে কী ঘটবে, তা দেখতে সামরিক বাহিনীর পাশাপাশি রাজনৈতিক অঙ্গনেও কৌতূহল দেখা দিয়েছে। ভারতের বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল বিক্রম সিং আগামী ৩১ জুলাই অবসর নিচ্ছেন। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পরবর্তী সেনাপ্রধান নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এমন প্রেক্ষাপটে বিজেপি আগামী ১৬ মের আগে ‘তড়িঘড়ি’ সেনাপ্রধান নিয়োগ না দিতে সরকারকে সতর্ক করে দিয়েছে। ১৬ মে লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার কথা রয়েছে। আইএনএস সিন্ধুরত্ন নামের একটি ডুবোজাহাজ দুর্ঘটনার পর অ্যাডমিরাল ডি কে যোশী গত ২৬ ফেব্রুয়ারি আকস্মিক পদত্যাগ করেন। জ্যেষ্ঠতা অনুসারে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় নৌ-কমান্ডার ভাইস অ্যাডমিরাল শেখর সিনহার নতুন নৌবাহিনীপ্রধান হওয়ার কথা ছিল। তবে সরকার তাঁর কনিষ্ঠ নৌ স্টাফের উপপ্রধান রবিন ধাওয়ানকে গত বৃহস্পতিবার নৌবাহিনীপ্রধান করে।
সূত্র জানায়, হতাশ শেখর সিনহা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে একটি চিঠি দিয়েছেন। এতে তিনি সরকারকে জানান, তাঁর চেয়ে ছয় মাসের কনিষ্ঠ রবিনের অধীনে তিনি চাকরি করতে পারবেন না। সরকার তাঁর প্রতি ‘সুবিচার’ করতে না পারলে তিনি ‘স্বেচ্ছায় অবসর’ নেবেন। নৌবাহিনীর পর এখন ভারতের সেনাবাহিনীতেও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বর্তমান প্রধানের অবসরে যাওয়ার দুই মাস আগেই নতুন সেনাপ্রধানের নাম ঘোষণা করা হয়। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকেই বেছে নেওয়া হয়। সে হিসেবে উপ সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল দলবির সিংকে সেনাপ্রধান করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বিজেপির জ্যেষ্ঠ নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, ‘পরবর্তী সেনাপ্রধান বা লোকপাল নির্বাচনের মতো বড় বিষয়ে আমাদের প্রত্যাশা হচ্ছে, আমরা একটা নির্বাচনের মাঝপথে রয়েছি। যেখানে আচরণবিধির মডেল কার্যকর রয়েছে, সেখানে অন্তত ১৬ মে পর্যন্ত এসব বিষয় বন্ধ রাখতে হবে।’ পিটিআই।
No comments