নারীর বয়স নির্ধারণে পুরুষ চিকিত্সক নয়: হাইকোর্ট
নারীর বয়স নির্ধারণের পরীক্ষায় পুরুষ
চিকিত্সকদের অংশ না নিতে বলেছেন হাইকোর্ট। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের
মহাপরিচালককে এ কথা বলেছেন আদালত। ধর্ষণের শিকার নারীর (বয়স) পরীক্ষায়
আদালতের নির্দেশ অনুসারে নারী চিকিত্সক নিয়োগ না দেওয়ায় স্বাস্থ্য
অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে আজ (২০ এপ্রিল) আদালতে হাজির হতে নির্দেশ
দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ২ এপ্রিল ওই নির্দেশ দেন আদালত। নির্দেশ অনুসারে আজ
আদালতে হাজির হন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক দীন মোহাম্মদ নুরুল হক। এ সময় তাঁকে
এ কথা বলেন আদালত।
একই সঙ্গে আজ এ-সংক্রান্ত রুল নিষ্পত্তি করেন বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি এ বি এম আলতাফ হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী শ ম রেজাউল করিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিত্ রায়।
শুনানিতে রেজাউল করিম বলেন, আদালতের নির্দেশ অনুসারে নারী চিকিত্সক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আদালতের আদেশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। তবে তা রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে।
পরে দীন মোহাম্মদ নুরুল হকের উদ্দেশে আদালত বলেন, ‘আপনারা তদারকি করবেন। নারীর বয়স নির্ধারণে কোনো পুরুষ (চিকিত্সক) যেন অংশ না নেন।’
গত বছরের এপ্রিলে ‘ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ: নারীর জন্য এ কেমন ব্যবস্থা!’ শিরোনামে প্রথম আলোয় একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। ওই প্রতিবেদনটি ১৬ এপ্রিল আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বি এম ইলিয়াস ও জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
প্রতিবেদনটি বিবেচনায় নিয়ে আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুল দেন। গত বছরের জুনে দেশের সব সরকারি হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট বিভাগে নারী চিকিত্সক, নার্স ও এমএলএসএস নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।
এ আদেশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি প্রতিবেদন আদালতকে জানাতে বলা হয়। কিন্তু কোনো জবাব না আসায় ২ এপ্রিল আদালত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে তলবের আদেশ দেন।
No comments