বিএনপির একটি দাবি মানলেই কি সন্ত্রাস বন্ধ হবে? by আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী



আমরা লন্ডনের কয়েকজন বন্ধু ঢাকার টেলিভিশনে সম্প্রচারিত খবর শুনছিলাম। সঙ্গে খবরের ছবি, তাও দেখছিলাম। বিএনপির সাম্প্রতিক হরতালে বাসে অগ্নিসংযোগ করায় কয়েক ব্যক্তি মারাত্মকভাবে পুড়েছে, তাদের কেউ কেউ মারা গেছে। সেই অগ্নিসংযোগে এক তরুণের মৃত্যুতে তার স্বজনদের আহাজারির দৃশ্য টেলিভিশনের পর্দায় দেখছিলাম। হৃদয়বিদারক দৃশ্য। আমার বন্ধুদের মধ্যে একজন এ দৃশ্য দেখে নিজেকে সামলাতে পারলেন না, বলে উঠলেন, এটা তো পৈশাচিক কোনো রাজনৈতিক আন্দোলন নয়, সরকার কেন এ সম্পর্কে কিছু করছে না? আরেক বন্ধু বললেন, সরকার এ সম্পর্কে কী করতে পারে? প্রথম বন্ধু বললেন, হয় এই দুষ্কৃতদের কঠোর হাতে দমন করা হোক, নয় বিরোধী দলের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি সরকার মেনে নিক। এই নিত্য মর্মন্তুদ মৃত্যু চোখে দেখা যায় না। বলেই তিনি আমার দিকে তাকালেন। বললেন, এ সম্পর্কে আপনি কী বলেন? বিপদে পড়লাম, একটা কিছু জবাব দিতে হয়। বাকি বন্ধুও আমার দিকে চেয়ে আছেন জবাবের প্রতীক্ষায়।
সেদিন বিএনপির ডাকা হরতালের নিত্য হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে লন্ডনের বন্ধুদের যা বলেছি, আজ তৃতীয় মতে সেই কথাগুলোই পাঠকদের কাছে তুলে ধরছি। আমার সেদিনের কথায় বর্তমানের মানুষ মারা হরতালের অবসান সম্পর্কে কোনো পথের দিশা দিতে পারিনি, কেবল পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করেছি, আজ তৃতীয় মত লিখতে বসেও তাই করছি।
প্রথম, সরকারের কঠোর হওয়ার কথা। বিএনপির বর্তমান কর্মকাণ্ড যদি রাজনৈতিক সংজ্ঞাসম্মত হরতাল বা আন্দোলন হতো, তাহলে সরকার হয় তা কঠোর হাতে দমন করতে পারত অথবা আন্দোলনের দাবি মেনে নিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করতে পারত। কিন্তু হরতালের নামে চোরাগোপ্তা হামলা, বিক্ষিপ্তভাবে অগ্নিসংযোগ, নিরীহ মানুষ হত্যা- এককথায় সন্ত্রাস দমন কোনো গণতান্ত্রিক সরকারের পক্ষেই সহসা সম্ভব হয় না।
রাজনৈতিক আন্দোলনে জনতা রাস্তায় নামে, পুলিশ বা শান্তিরক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়, কিন্তু বর্তমানে বিএনপি ও জামায়াত যা করছে, তা জনতার সমর্থনপুষ্ট আন্দোলন নয়, পুলিশের দৃষ্টির বাইরে পালিয়ে থেকে সময় ও সুযোগ মতো হঠাৎ বেরিয়ে এসে বাস, প্রাইভেট কার, দোকানপাট, নিরীহ পথচারী বা বাসের চালক ও আরোহীদের ওপর অতর্কিত হামলা, অগ্নিসংযোগ এবং তারপর পালিয়ে যাওয়া। অতর্কিত পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েও তারা পুলিশ হত্যা করেছে। ঘুমন্ত বাসযাত্রীকেও আগুনে পুড়িয়ে মারায় তাদের বিবেকে বাধেনি।
এই দুর্বৃত্তরা রাজনৈতিক দলের ক্যাডার হিসেবে পরিচিত, কিন্তু আসলে তারা ট্রেনিংপ্রাপ্ত সন্ত্রাসী। তাদের সঙ্গে একদল ভাড়াটে গুণ্ডাও আছে। পয়সা পেলে যে কোনো ধরনের মানবতাবিরোধী কাজে তাদের দ্বিধা নেই। বর্তমান বাংলাদেশে এদের সংগ্রহ করাও সহজ। দেশে বিরাটভাবে শিক্ষিত ও অশিক্ষিত বেকার-যুবকদের সংখ্যা বাড়ছে। পয়সা দিলেই বিভিন্ন অপরাধে তাদের অনেককে ব্যবহার করা যায়। বিএনপি ও জামায়াত এখন তা-ই করছে।
মাঝে মাঝে টিভির নিউজে বা খবরের কাগজে এই সন্ত্রাসীদের ছবি দেখলেই বোঝা যায়, এরা রাজনৈতিকভাবে ক্ষুব্ধ জনতার অংশ নয়, এরা প্যান্ট-শার্ট পরা সশস্ত্র দলীয় ক্যাডার অথবা ভাড়াটে তরুণ। জামায়াতের ক্যাডাররাও এখন আর তাদের শরীরে দাড়ি-টুপির জামায়াতি ট্রেডমার্ক রাখে না, রীতিমতো প্যান্ট-শার্ট অথবা জার্সিপরা ক্রিকেট প্লেয়ার সাজে। যাত্রী সেজে বাসে-ট্রেনে ওঠে। তারপর গাড়িতে বোমা মেরে, আগুন লাগিয়ে পালিয়ে যায়। নিরীহ মানুষ মরে। তাতে বিএনপির নেতানেত্রীদের একবারও সামান্য দুঃখ প্রকাশ করতেও দেখা যায়নি।
অধুনা বিএনপি ও জামায়াত যে হরতাল ডাকে, তা অতীতের হরতালগুলোর মতো রাজনৈতিক চরিত্রমণ্ডিত নয়। জনতাও এর সঙ্গে যুক্ত নয়। এই হরতাল আসলে কেবল সরকারবিরোধী নয়, সমাজবিরোধী সন্ত্রাস। এর সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের রাজনৈতিক পরিচয় যাই হোক এরা সমাজবিরোধী, সমাজ-শত্র“ সন্ত্রাসী।
কোনো দেশে অগণতান্ত্রিক ও অনির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় থাকলে ‘ব্র“টাল ফোর্স’ প্রয়োগে তারা এ ধরনের সন্ত্রাস দমন করেন। এ জন্যই বাংলাদেশেও স্বৈরাচারী বা সামরিক সরকার ক্ষমতায় থাকলে তাদের বিরুদ্ধে জনগণের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন হয়। কিন্তু এই সমাজবিরোধী সন্ত্রাসীদের রাস্তায় দেখা যায় না। এরা তখন পার্বত্য মূষিকের মতো গর্তে পালায়।
যে কোনো দেশের নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকার যেহেতু সহিষ্ণু এবং জনগণের কাছে জবাবদিহির সরকার, সেহেতু যথেচ্ছ বল প্রয়োগ দ্বারা কোনো সমস্যার সমাধান তাদের পক্ষে সব সময় সম্ভব হয় না। এ জন্যই ব্রিটেনে আইআরএ বা আইরিশ সন্ত্রাসীদের সৃষ্ট ভয়াবহ সন্ত্রাস ব্রিটিশ জনগণকে বছরের পর বছর সহ্য করতে হয়েছে। এমনকি ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য লর্ড মাউন্ট ব্যাটেনকে তার প্রমোদতরীতে গ্রেনেড মেরে হত্যার পরও এই সন্ত্রাস দমন ব্রিটিশ সরকারের পক্ষে সহসা সম্ভব হয়নি। ভারতেও এক সময় নকশাল সন্ত্রাস বছরের পর বছর চলেছে। সহজে দমন করা যায়নি। বর্তমানে চলছে মাওবাদী সন্ত্রাস। তাও কত দিনে দমন করা যাবে, ভারত সরকার নিজেরাও তা জানে না।
এই সমাজবিরোধী, গণবিরোধী সন্ত্রাসের বড় প্রতিকার হচ্ছে, জনগণের ধৈর্য এবং গণতান্ত্রিক সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা। শুধু পুলিশ ও র‌্যাব দিয়ে এই সন্ত্রাস দমন করা যাবে না, তার সঙ্গে যদি সচেতন জনপ্রতিরোধ গড়ে না ওঠে। গণপ্রতিরোধে এই সন্ত্রাস নিরুৎসাহিত হবে, এমনকি বন্ধও হবে। প্রকৃত রাজনৈতিক আন্দোলনে যারা নামেন, তারা সাহসী। দাবি আদায়ে পুলিশ, এমনকি সেনাবাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ে নেমে তারা নিজেরা প্রাণ দেন। নিরীহ স্বদেশবাসীর প্রাণ হরণ করেন না।
সন্ত্রাসীরা সাহসী নয়, তারা কাপুরুষ। চোরাগোপ্তা হামলা, ককটেল ছোড়া, গ্রেনেড ছুড়ে পালিয়ে যাওয়া ছাড়া তারা সম্মুখ লড়াই করতে ভীত। জনপ্রতিরোধ দেখলে তাদের অবস্থা হয় ভীত মূষিকের মতো। সন্ত্রাসকে রাজনীতির লেবাস পরিয়ে যেসব দল লালন করে, সরকারের উচিত কালবিলম্ব না করে সেসব দলকে নিষিদ্ধ করা এবং দলের শীর্ষ নেতা, যারা এই সন্ত্রাসের পেট্রন, তাদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা। জনগণের জানমাল নিয়ে যারা দায়িত্বহীন খেলা চালায়, তারা রাষ্ট্রের বা জনগণের মিত্র নয়, বরং শত্র“। এদের প্রতি নমনীয়ভাব দেখানো অন্যায়।
সরকারের কঠোর ব্যবস্থার সঙ্গে জনগণের প্রতিরোধ যদি যুক্ত হয়- অর্থাৎ সাধারণ মানুষ এই সন্ত্রাসের মুখে ঘরে পালিয়ে বসে না থেকে যদি পাড়ায় পাড়ায় ভিজিলেন্ট কমিটি গঠন করে সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে তাদের প্রতিরোধে আগায়, তাহলে বাংলাদেশের বর্তমান সন্ত্রাস খুব শিগগিরই অতীতের দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে। শেখ হাসিনা সম্প্রতি সেই ডাক দিয়েছেন।
এর অনেক উদাহরণ আছে। একটি উদাহরণ এখানে উল্লেখ করছি। ভারতের ছত্রিশগড় রাজ্যে এক সময় মাওবাদী সন্ত্রাস চরমে পৌঁছেছিল। কেন্দ্রীয় সরকার সেনাবাহিনী নামিয়েও পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছিল না। ছত্রিশগড়ে এই সন্ত্রাস অবশ্য এখনও আছে, কিন্তু তাদের হামলা এখন পুলিশ, সেনাঘাঁটি ইত্যাদিতে চলে। সাধারণ মানুষের ওপর হামলা প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। তার কারণ, ছত্রিশগড়ের কয়েকটি এলাকায় সাধারণ নাগরিকরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভিজিলেন্ট কমিটি গঠন করে মাওবাদীদের চোরাগোপ্তা হামলা প্রতিরোধ করতে শুরু করেন। এমনকি মাওবাদীদের পুলিশের কাছে ধরিয়ে দিতে শুরু করেন। ফলে মাওবাদী উৎপাত বন্ধ হয়।
বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ যদি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হন, মসজিদ-মাদ্রাসাগুলো সন্ত্রাসের ঘাঁটি করার কাজে বাধা দেন (দুই দিন আগেও খবর পেয়েছি, যশোরে এক মসজিদের ছাদে লুকানো বোমা-বারুদ উদ্ধার করা হয়েছে) এবং পাড়ার যে মাস্তানরা সন্ত্রাসের কাজে ভাড়া খাটে, তাদের খোঁজ পুলিশকে দিতে শুরু করেন, তাহলে এই সন্ত্রাস উচ্ছেদে খুব বেশি দিন যে লাগবে না তা বিনাদ্বিধায় বলতে পারি।
যারা আমার এ কথার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন, তাদের ঢাকার অতীত ইতিহাসের দিকে তাকাতে বলি। ব্রিটিশ আমলে ১৯২৬ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত এই দীর্ঘ একুশ বছর ঢাকা ছিল একটি জেলা শহর এবং এই শহরে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস ছিল একটি নিত্যদিনের ঘটনা। ঢাকা শহরের শাঁখারীবাজার বা রায়েরবাজারে যদি দু’জন মুসলমান ছুরিকাঘাতে নিহত হন, কিংবা তাদের গাড়িতে আগুন দেয়া হয়, তাহলে পরের দিনই ইসলামপুরে বা নবাবপুরে তিনজন হিন্দু ছোরার আঘাতে মরত। তাদের গাড়ি, দোকান পুড়ত।
১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্ত এবং স্বাধীন হল। ঢাকা হল সদ্যগঠিত পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী। সাম্প্রদায়িক দলের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর হল, হিন্দু-মুসলমানের মিলিত প্রতিরোধ কমিটি গঠিত হল। ফলে এক বছরের মধ্যে ঢাকার ‘দুঃস্বপ্নের শহর’ (City of nightmare) এই দুর্নামটি ঘুচে যায়। বর্তমানেও সরকার সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর আহ্বানে আছে। তার সঙ্গে গণপ্রতিরোধ যুক্ত হওয়া দরকার। তা না হলে কেবল সরকার কঠোর ব্যবস্থা নিলে একশ্রেণীর মিডিয়া ও সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষক রাজনৈতিক দলগুলো- বিশেষ করে বিএনপি ও জামায়াত মায়াকান্না শুরু করবে- ‘আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করা হচ্ছে।’ অর্থাৎ গুণ্ডামি ও সন্ত্রাস দমনকেও বলা হবে গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ।
এবার আসি আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক বিএনপি জোটের দাবি মানার ব্যাপারে। বিএনপি রাজনীতির চরিত্র ও ভাঁওতাবাজি যারা জানেন, তারা কী করে বিশ্বাস করেন, তাদের একটি দাবি- অর্থাৎ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মানা হলেই তারা সুবোধ বালকের মতো নির্বাচনে অংশ নেবেন? এখন তারা বলছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মানা হলেই তারা আলোচনায় বসবেন। নির্বাচনে যাবেন সে কথা বলছেন না। আলোচনায় বসে তারা আবার নতুন নতুন দাবি তুলবেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান কে হবেন, নির্বাচন কমিশনে সম্পূর্ণ রদবদল, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে হবেন ইত্যাদি নানা ইস্যু নিয়ে আবার বিতর্কের জট তৈরি করা হবে। আলোচনা-বৈঠক ভেঙে দেয়া হবে অথবা ভেঙে দেয়ার হুমকি দেয়া হবে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ও নির্বাচন কমিশনের প্রধান পদে বিএনপির পছন্দসই ব্যক্তি ছাড়া দ্বিতীয় কোনো নিরপেক্ষ লোক পাওয়া যাবে না, অথবা তার নিরপেক্ষতা স্বীকার করা হবে না। বিএনপির অতি উচ্চ মহলের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে জানতে পেরেছি, তা হল- তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মানা হলেই যে বিএনপি নির্বাচনে যাবে তা নয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় বসার সঙ্গে সঙ্গেই তারা নতুন সরকারের কাছে দাবি তুলবেন, নির্বাচন শেষ না হওয়া এবং নির্বাচিত নতুন সরকার ক্ষমতায় না বসা পর্যন্ত ’৭১-এর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং যাদের দণ্ড ঘোষিত হয়েছে, তাদের দণ্ড কার্যকর করা ইত্যাদি সব কিছু মুলতবি রাখতে হবে।
শেখ হাসিনা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান থাকলে এই শেষের দাবিটি সরকারকে দিয়ে মানানো যাবে না এই ভয়ে শেখ হাসিনাকে সরকারপ্রধান পদে না রাখার জন্য বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপি জোটের এত জেদ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমার একান্ত অনুরোধ, তিনি দেশের ও গণতন্ত্রের বৃহত্তর স্বার্থে বিএনপির সব দাবি যদি মেনেও নেন, নির্বাচনকালীন সরকারপ্রধানের পদ থেকে তিনি যেন কোনো কারণেই সরে না যান।
গত শনিবার (১৬ নভেম্বর) এই লেখাটি শেষ করে এনেছি, এমন সময় ঢাকা থেকে খবর পেয়েছি, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের কাছে বলেছেন, নির্বাচনকালীন সরকার গঠন নিয়ে তারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপে বসতে প্রস্তুত। তার বক্তব্যে অদলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার এই কথাটির বদলে ‘নির্বাচনকালীন সরকার’ এ কথাটি এই প্রথমবারের মতো ব্যবহৃত হওয়ায় একটু বিস্মিত হয়েছি। তাহলে কি তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে? তারা অদলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি থেকে সরে এসে শেখ হাসিনার প্রস্তাব অনুযায়ী ‘নির্বাচনকালীন সরকার’ গঠনের ব্যাপারে আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছেন? নাকি আমেরিকার দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য শনিবারই ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন, তার কাছে নিজেদের আপসবাদী চেহারা দেখানোর জন্য এটা আবার চতুর কোনো চাল?

No comments

Powered by Blogger.