চারুশিল্প- অদেখা জীবনের গল্প by মোবাশ্বির আলম মজুমদার
গতি কি মানুষের জীবন পাল্টে দেয়? অনেকেই
বলবেন, অবশ্যই। শিল্পী তৌফিকুর রহমান এবার গতির সহযাত্রী হয়েছেন
প্রাণীকুলের শরীরের গতির আবহ দেখে—
তাঁর প্রদর্শনী ঘুরে
এসে এমনটি হয়তো বলাই যায়। থোবড়ানো লোহার শিটে মানুষের মুখের আকৃতি, আরও
নানা অবয়ব, যার মধ্যে আছে তুমুল গতির বিস্তার। পাঠক, লোহার পাত কেটে জোড়া
দিয়ে ‘শিল্পকর্ম’ গড়েছেন তৌফিকুর রহমান। জীবনযাপনের বিভিন্ন বাঁকে দেখা
মানুষ, প্রকৃতি ও পশুপাখির অবয়বকে ‘কানেকটিং আর্ট, লাইফ অ্যান্ড লিভিং’
শিরোনামে তাঁর এবারের প্রদর্শনীর বিষয় করেছেন তিনি। গ্যালারির কক্ষজুড়ে
বিভিন্ন আকৃতির বেইসের ওপর রাখা লোহার ভাস্কর্যের সঙ্গে দেয়ালে ঝোলানো
হয়েছে ২৭টি কাগজের ওপর বলপেনে আঁকা স্কেচ।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর শিল্পাঙ্গনে শুরু হওয়া এ প্রদর্শনীতে কাজের সংখ্যা ৬২টি। দৈনন্দিন জীবনঘনিষ্ঠ মুহূর্তকে কীভাবে পার করে মানুষ, এর মধ্যেই নিজের শিল্পকর্মে সে জিজ্ঞাসার জবাব দিয়েছেন তৌফিকুর রহমান।
শিল্পীর এবারের প্রদর্শনীতে স্থান পাওয়া পেন স্কেচ, ওয়েল্ডেড লোহার তৈরি ভাস্কর্য ও ইন্টাগলিও প্রিন্ট বা ছাপচিত্রের মধ্যে আছে আমাদের অদেখা জীবনের গল্প। পেন স্কেচের কাজে মাছ, মানুষ, পাখির অবয়ব—জড়িয়ে আছে একটির সঙ্গে আরেকটি। আবার ‘ফিশিং’ শিরোনামে কাজে দেখা যায়, মানুষের দেহাবয়বের উল্টো দিকে একটি মাছ ছুটে যাচ্ছে চিত্রতলের বাইরে—ব্যাপারটি বেশ অনন্য।
তৌফিক ছবিতে গল্প বলেন না, জীবনের নানা মুহূর্তকে নিজস্ব ভঙ্গিতে উপস্থাপন করেন। যেমন ‘ফ্যামিলি’ ছবিতে পাওয়া যায়, মায়ের দেহের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আছে দুটি প্রাণীর অবয়ব। এর সঙ্গে ফিগারের বাইরে এঁকেছেন দুটি ক্যাকটাস। ক্যাকটাসের কাঁটার পাশে মানুষের অবয়ব উপস্থাপনের মাধ্যমে শিল্পী আমাদের রোজকার দিনযাপনের ক্লান্তিকে তুলে ধরেছেন।
জীবন চলার মুহূর্তকে আঁকতে গিয়ে তৌফিক যেমন দ্বিমাত্রিক তল রচনা করেন রেখার গতি দিয়ে, তেমনি লোহার তৈরি ভাস্কর্যে মানুষের দেহ এবং মুখাবয়বেও একরকম গতির দেখা মেলে। ‘গ্রোথ’ শিরোনামের ভাস্কর্যে বীজের অঙ্কুরোদগমের মুহূর্ত তুলে ধরেছেন তিনি। বীজ তৈরি করেছেন লোহার পাতের মোড়ানো আকৃতির মাধ্যমে। এ বীজাকৃতি থেকে সরু লোহার একটি রেখা ঊর্ধ্বমুখে ছুটছে। ওই রেখার শেষে দুটি পাতা নির্মাণের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়েছে ভাস্কর্যটি—পুরো বিষয়ের মধ্যে আছে গতির কারুকাজ।
অন্যদিকে, ঘোড়ার আকৃতি তৈরি করতে গিয়েও গতি নির্মাণে মনোযোগী হন শিল্পী। টুকরো লোহা জোড়া দিয়ে নির্মাণ করেন ঘোড়ার টানটান গতি।
তৌফিকের এবারের কাজ বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, সেখানে আছে বাস্তবধর্মী মুখ নির্মাণের প্রয়াস। চীনের শিল্পশিক্ষা শেষে ঢাকায় ফিরে মানুষের দেহের অনুশীলনে মনোযোগী হয়েছেন তিনি। আর তাঁর এই মানুষ ও পশুপাখির আকৃতিতে রয়েছে জ্যামিতিনির্ভরতা—জ্যামিতি ও বাস্তবের মিশেলে ভাস্কর্য গড়েছেন শিল্পী।
অনেকের মতে, শিল্প হচ্ছে প্রতিদিনের দিনযাপনের সঙ্গে মিশে থাকা একটি বিষয়। অনেক সময় সাধারণ চোখে এটি দেখতে পাই না আমরা। তবে জীবনবোধ প্রবল বলেই অদেখা জীবন—যাপিত জীবনের শিল্পকে তৌফিক আমাদের দেখান স্পষ্ট করে। প্রদর্শনী শেষ হবে ১২ অক্টোবর।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর শিল্পাঙ্গনে শুরু হওয়া এ প্রদর্শনীতে কাজের সংখ্যা ৬২টি। দৈনন্দিন জীবনঘনিষ্ঠ মুহূর্তকে কীভাবে পার করে মানুষ, এর মধ্যেই নিজের শিল্পকর্মে সে জিজ্ঞাসার জবাব দিয়েছেন তৌফিকুর রহমান।
শিল্পীর এবারের প্রদর্শনীতে স্থান পাওয়া পেন স্কেচ, ওয়েল্ডেড লোহার তৈরি ভাস্কর্য ও ইন্টাগলিও প্রিন্ট বা ছাপচিত্রের মধ্যে আছে আমাদের অদেখা জীবনের গল্প। পেন স্কেচের কাজে মাছ, মানুষ, পাখির অবয়ব—জড়িয়ে আছে একটির সঙ্গে আরেকটি। আবার ‘ফিশিং’ শিরোনামে কাজে দেখা যায়, মানুষের দেহাবয়বের উল্টো দিকে একটি মাছ ছুটে যাচ্ছে চিত্রতলের বাইরে—ব্যাপারটি বেশ অনন্য।
তৌফিক ছবিতে গল্প বলেন না, জীবনের নানা মুহূর্তকে নিজস্ব ভঙ্গিতে উপস্থাপন করেন। যেমন ‘ফ্যামিলি’ ছবিতে পাওয়া যায়, মায়ের দেহের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আছে দুটি প্রাণীর অবয়ব। এর সঙ্গে ফিগারের বাইরে এঁকেছেন দুটি ক্যাকটাস। ক্যাকটাসের কাঁটার পাশে মানুষের অবয়ব উপস্থাপনের মাধ্যমে শিল্পী আমাদের রোজকার দিনযাপনের ক্লান্তিকে তুলে ধরেছেন।
জীবন চলার মুহূর্তকে আঁকতে গিয়ে তৌফিক যেমন দ্বিমাত্রিক তল রচনা করেন রেখার গতি দিয়ে, তেমনি লোহার তৈরি ভাস্কর্যে মানুষের দেহ এবং মুখাবয়বেও একরকম গতির দেখা মেলে। ‘গ্রোথ’ শিরোনামের ভাস্কর্যে বীজের অঙ্কুরোদগমের মুহূর্ত তুলে ধরেছেন তিনি। বীজ তৈরি করেছেন লোহার পাতের মোড়ানো আকৃতির মাধ্যমে। এ বীজাকৃতি থেকে সরু লোহার একটি রেখা ঊর্ধ্বমুখে ছুটছে। ওই রেখার শেষে দুটি পাতা নির্মাণের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়েছে ভাস্কর্যটি—পুরো বিষয়ের মধ্যে আছে গতির কারুকাজ।
অন্যদিকে, ঘোড়ার আকৃতি তৈরি করতে গিয়েও গতি নির্মাণে মনোযোগী হন শিল্পী। টুকরো লোহা জোড়া দিয়ে নির্মাণ করেন ঘোড়ার টানটান গতি।
তৌফিকের এবারের কাজ বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, সেখানে আছে বাস্তবধর্মী মুখ নির্মাণের প্রয়াস। চীনের শিল্পশিক্ষা শেষে ঢাকায় ফিরে মানুষের দেহের অনুশীলনে মনোযোগী হয়েছেন তিনি। আর তাঁর এই মানুষ ও পশুপাখির আকৃতিতে রয়েছে জ্যামিতিনির্ভরতা—জ্যামিতি ও বাস্তবের মিশেলে ভাস্কর্য গড়েছেন শিল্পী।
অনেকের মতে, শিল্প হচ্ছে প্রতিদিনের দিনযাপনের সঙ্গে মিশে থাকা একটি বিষয়। অনেক সময় সাধারণ চোখে এটি দেখতে পাই না আমরা। তবে জীবনবোধ প্রবল বলেই অদেখা জীবন—যাপিত জীবনের শিল্পকে তৌফিক আমাদের দেখান স্পষ্ট করে। প্রদর্শনী শেষ হবে ১২ অক্টোবর।
No comments