‘আন্দোলনের বাতাসে চুল উড়ে যাবে’
‘সংবিধান থেকে এক চুলও নড়বো না’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ বক্তব্যের জবাব দিয়েছেন বিরোধী দলের নেতা বেগম
খালেদা জিয়া। তিনি বলেছেন, বাতাস এলে সব চুল উড়ে যাবে।
জনগণের
আন্দোলনের বাতাসে শুধু চুল না নিজেদের অস্থিত্ব থাকবে না। তিনি বলেন,
আওয়ামী লীগ সত্য কথা বলে না। তাই তাদের প্রতি জনগণের আস্থা নেই। বিকালে
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত জনসভায় তিনি এসব কথা
বলেন।
খালেদা জিয়া বলেন, একদলীয় সরকার কেউ মেনে নেবে না। করতে দেয়া হবে না। তাই শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য নির্দলীয় সরকারের বিল আনুন। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড দিতে ভয় কোথায়?
তিনি বলেন, আমরা বলেছি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার। এখনও সময় আছে, নির্দলীয় সরকারের বিল এনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন দিন। ৯০ ভাগ মানুষ নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চায়। এখন হয়তো এ সংখ্যা আরও বেশি হবে। আমরা আন্দোলন করতে চাই না। আমরা চাই আলোচনার মাধমে সমস্যার সমাধান।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার সময় অনেক সুন্দর সুন্দর কথা বলেছে। জনগণকে যে ওয়াদা দিয়েছিল তা কি পূরণ করতে পেরেছে? যে কারণে জনগণ আওয়ামী লীগের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। আওয়ামী লীগ কখনও সত্য কথা বলেনি। তারা দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করেছে। তাদের চরিত্র হলো, লুটপাট করা, মানুষ খুন করা এবং জবরদস্তি করে ক্ষমতায় ঠিকে থাকা। আর নির্বাচনে জোর করে জয়ী হওয়া। আওয়ামী লীগের সময়ের কোন নির্বাচন সুষ্টু হয়নি দাবি করে তিনি বলেন, নির্বাচনে তারা মাস্তান ও অর্থ ব্যবহার করেছে। পুরো প্রশাসনকে ব্যবহার করেছে। তবে সিটি করপোরেশনে টাকা, মাস্তান এবং প্রশাসন কোন কিছু দিয়েই আর রক্ষা হয়নি।
আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বিএনপি’র উন্নয়ন চুরি করে আপনাদের উন্নয়ন দেখান। ঢাকা শহরের কি অবস্তা। রাস্তাঘাটের খারাপ অবস্থা। মানুষ চলাচল করতে পারে না। সারা দেশের রাস্তাঘাটের একই অবস্থা।
তিনি বলেন, বড় বড় সেতু যতো করা হয়েছে সব বিএনপি’র সময়ে করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের সামনে পদ্মা সেতু করার সুযোগ ছিল। সেই সুযোগটিও হারালেন তারা। সেতু হওয়ার আগে কাকে কাজ দেবেন তার জন্য কমিশন নেয়ায় কাজ বন্ধ হয়ে গেলো। বিদেশীরা টাকা দিতে চেয়েছিল। দুর্নীতি দেখে তারা তা বন্ধ করে দেয়। বিদেশীরা দুর্নীত খুঁজে পেলো, আওয়ামী লীগ এবং দুর্নীতি দমন কমিশন খোঁজে পেলো না। প্রধানমন্ত্রীর পরিবারসহ এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত তা পত্রিকায় এসেছে।
তিনি বলেন, দুর্নীতি সব তথ্য উপাত্ত আমাদের কাছে আছে। দুর্নীতির বিচার হলে আপনাদের হবে। ক্ষমতা ছাড়লে জনগণ তাদের ছাড়বে কিনা সেটাই এখন তাদের কাছে চিন্তার বিষয়। আওয়ামী লীগ সাড়ে চার বছরে দেশের সব নষ্ট করেছে। সুনাম নষ্ট করেছে। এখন যারাই ক্ষমতায় আসবে তাদের জন্য কঠিন হবে দেশ পরিচালনা করা।
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, আওয়ামী লীগের চরিত্র হলো মানুষ খুন এবং মানুষ গুম। কিন্তু আমরা নতুন ধারার রাজনীতি করবো। সরকারও নতুন ধারার হবে। আমরা ঐক্যের রাজনীতি করবো। বিভক্তির রাজনীতি নয়।
খালেদা জিয়া বলেন, একদলীয় সরকার কেউ মেনে নেবে না। করতে দেয়া হবে না। তাই শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য নির্দলীয় সরকারের বিল আনুন। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড দিতে ভয় কোথায়?
তিনি বলেন, আমরা বলেছি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার। এখনও সময় আছে, নির্দলীয় সরকারের বিল এনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন দিন। ৯০ ভাগ মানুষ নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চায়। এখন হয়তো এ সংখ্যা আরও বেশি হবে। আমরা আন্দোলন করতে চাই না। আমরা চাই আলোচনার মাধমে সমস্যার সমাধান।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার সময় অনেক সুন্দর সুন্দর কথা বলেছে। জনগণকে যে ওয়াদা দিয়েছিল তা কি পূরণ করতে পেরেছে? যে কারণে জনগণ আওয়ামী লীগের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। আওয়ামী লীগ কখনও সত্য কথা বলেনি। তারা দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করেছে। তাদের চরিত্র হলো, লুটপাট করা, মানুষ খুন করা এবং জবরদস্তি করে ক্ষমতায় ঠিকে থাকা। আর নির্বাচনে জোর করে জয়ী হওয়া। আওয়ামী লীগের সময়ের কোন নির্বাচন সুষ্টু হয়নি দাবি করে তিনি বলেন, নির্বাচনে তারা মাস্তান ও অর্থ ব্যবহার করেছে। পুরো প্রশাসনকে ব্যবহার করেছে। তবে সিটি করপোরেশনে টাকা, মাস্তান এবং প্রশাসন কোন কিছু দিয়েই আর রক্ষা হয়নি।
আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বিএনপি’র উন্নয়ন চুরি করে আপনাদের উন্নয়ন দেখান। ঢাকা শহরের কি অবস্তা। রাস্তাঘাটের খারাপ অবস্থা। মানুষ চলাচল করতে পারে না। সারা দেশের রাস্তাঘাটের একই অবস্থা।
তিনি বলেন, বড় বড় সেতু যতো করা হয়েছে সব বিএনপি’র সময়ে করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের সামনে পদ্মা সেতু করার সুযোগ ছিল। সেই সুযোগটিও হারালেন তারা। সেতু হওয়ার আগে কাকে কাজ দেবেন তার জন্য কমিশন নেয়ায় কাজ বন্ধ হয়ে গেলো। বিদেশীরা টাকা দিতে চেয়েছিল। দুর্নীতি দেখে তারা তা বন্ধ করে দেয়। বিদেশীরা দুর্নীত খুঁজে পেলো, আওয়ামী লীগ এবং দুর্নীতি দমন কমিশন খোঁজে পেলো না। প্রধানমন্ত্রীর পরিবারসহ এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত তা পত্রিকায় এসেছে।
তিনি বলেন, দুর্নীতি সব তথ্য উপাত্ত আমাদের কাছে আছে। দুর্নীতির বিচার হলে আপনাদের হবে। ক্ষমতা ছাড়লে জনগণ তাদের ছাড়বে কিনা সেটাই এখন তাদের কাছে চিন্তার বিষয়। আওয়ামী লীগ সাড়ে চার বছরে দেশের সব নষ্ট করেছে। সুনাম নষ্ট করেছে। এখন যারাই ক্ষমতায় আসবে তাদের জন্য কঠিন হবে দেশ পরিচালনা করা।
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, আওয়ামী লীগের চরিত্র হলো মানুষ খুন এবং মানুষ গুম। কিন্তু আমরা নতুন ধারার রাজনীতি করবো। সরকারও নতুন ধারার হবে। আমরা ঐক্যের রাজনীতি করবো। বিভক্তির রাজনীতি নয়।
No comments