না নড়িলে কি হবে?
দেশি পাটের জীবন রহস্য উন্মোচন সতিক্যর
অর্থেই সুখবর। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কেন এক জরুরি সংবাদ
সম্মেলনে সে খবর জাতিকে জানালেন তা স্পষ্ট নয়।
যদিও
গণভবনের সংবাদ সম্মেলনের পর কথা বেশি হচ্ছে রাজনীতি নিয়েই। প্রধানমন্ত্রীর
অবস্থান একেবারেই স্পষ্ট। তার অধীনেই আগামি সংসদ নির্বাচন হবে। সাংবিধানিক এ
অবস্থান থেকে এক চুলও নড়বেন না তিনি। বিএনপির অবস্থানও স্পষ্ট। অন্তত
প্রকাশ্য অবস্থান। দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
বলেছেন, দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত কোন নির্বাচনে বিএনপি যাবে না। একই
কথা খালেদা জিয়াও বলবেন।
তবে বিএনপির একাধিক সূত্রে জানা গেছে, দলটির একটি অংশ শেখ হাসিনার অধীনে হলেও নির্বাচনে যাওয়ার পক্ষে। তাদের যুক্তি বর্তমান সরকারের জনপ্রিয়তার যে পরিমান ধবস হয়েছে তাতে যে কোন ধরনের নির্বাচনেই বিএনপি জয়ী হবে। অন্য অংশটির মত অবশ্য ভিন্ন। তারা মনে করেন, দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন দলের পরাজয়ের কোন রেকর্ড নেই। যেকোন মূল্যেই ক্ষমতাসীনরা জয়ী হওয়ার চেষ্টা করবে। তবে নানা মত সত্বেও বিএনপি আপাতত নির্বাচনমুখি হওয়ার সিদ্ধান্তই নিয়েছে। অন্তত অক্টোবর পর্যন্ত অপেক্ষা করবে দলটি। এসময় পর্যন্ত চলবে নরম কর্মসূচি। এরপরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবে দলটি।
অন্যদিকে, সরকারের নীতি নির্ধারকদের একটি বড় অংশ বিএনপিকে বাইরে রেখে নির্বাচনের পক্ষে। এক্ষেত্রে এক ধরনের ছকও আঁকা হয়েছে। জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ এরই মধ্যে মাঠে নেমে পড়েছেন। ইসলামি দলগুলোকে নিয়ে জোট গঠন করতে চাচ্ছেন তিনি। এরমধ্যেই তার প্রধান বিরোধীদল হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন কেউকেউ। সাংবাদিক রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ যেমন গতকাল বলেছেন, মিডফিল্ডের খেঁলোয়াড় এরইমধ্যে মাঠে নেমে পড়েছেন। এরশাদ জমানায় আসম রবের জোটের কথাও আমাদের মনে আছে।
কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনেও যদি বিএনপি অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সেক্ষেত্রে কি হবে? একটি সূত্রের দাবি, আগে ২৪শে অক্টোবর সংসদ ভেঙ্গে দেয়ার ব্যাপারে আওয়ামী নীতিগত ভাবে সিদ্ধান্ত নিলেও এখন দলটি সে সিদ্ধান্ত থেকে অনেকটাই সরে এসেছে। এজন্য জানুয়ারি মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে। জানুয়ারিতে সংসদ ভেঙ্গে দেয়ার পর নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবে। এরপর অপেক্ষা করা হবে বিএনপির সিদ্ধান্তের জন্য। বিএনপি যদি নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তখন অন্য কোন কারণে নির্বাচন ভুডুল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। যে কারণেই ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের মত মানুষও বলেছেন, নির্বাচন হবে না। হারার সম্ভাবনা আছে এমন কোন নির্বাচন আওয়ামী লীগ করবে না। আর নির্বাচন না হলেতো আওয়ামী লীগই ক্ষমতায় থাকবে।
দুই নেত্রীর অনড় অবস্থান অবশ্য নতুন কিছু নয়। ’৯৬ সালেও তারা অনড় ছিলেন। একদলীয় নির্বাচনের আয়োজন করেছিলেন খালেদা জিয়া। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। দ্রুতই যেতে হয়েছে শেরে বাংলানগরের অপারেশন থিয়েটারে। ২০০৬ সালেও তারা অনড় ছিলেন। শেষ পর্যন্ত দুই জনের ঠিকানা একই হয়েছে। যদিও পরে সমঝোতা শেখ হাসিনার সঙ্গেই হয়েছে।
এবারও তারা অনড়। কি হবে এবার। অন্তহীন গুজব আবার ছড়াচ্ছে। কেউ বলছেন সিদ্ধান্ত হবে রাজপথে। কেউ বলছেন হস্তক্ষেপ করবে জাতিসংঘ। কেউ বলছেন, অন্তবর্তী সরকার আসবে। যে সরকারের মেয়াদ হবে দীর্ঘ।
অন্তহীন গুজবের মধ্যে কোনটি গুজব আর কোনটি খবর বুঝা দায়। তবে সমঝোতার কোন বিকল্প নেই। না হয় ইতিহাসের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে সবাইকেই। যে বিচার বড় নির্মম হওয়ার আশঙ্কাই বেশি।
তবে বিএনপির একাধিক সূত্রে জানা গেছে, দলটির একটি অংশ শেখ হাসিনার অধীনে হলেও নির্বাচনে যাওয়ার পক্ষে। তাদের যুক্তি বর্তমান সরকারের জনপ্রিয়তার যে পরিমান ধবস হয়েছে তাতে যে কোন ধরনের নির্বাচনেই বিএনপি জয়ী হবে। অন্য অংশটির মত অবশ্য ভিন্ন। তারা মনে করেন, দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন দলের পরাজয়ের কোন রেকর্ড নেই। যেকোন মূল্যেই ক্ষমতাসীনরা জয়ী হওয়ার চেষ্টা করবে। তবে নানা মত সত্বেও বিএনপি আপাতত নির্বাচনমুখি হওয়ার সিদ্ধান্তই নিয়েছে। অন্তত অক্টোবর পর্যন্ত অপেক্ষা করবে দলটি। এসময় পর্যন্ত চলবে নরম কর্মসূচি। এরপরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবে দলটি।
অন্যদিকে, সরকারের নীতি নির্ধারকদের একটি বড় অংশ বিএনপিকে বাইরে রেখে নির্বাচনের পক্ষে। এক্ষেত্রে এক ধরনের ছকও আঁকা হয়েছে। জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ এরই মধ্যে মাঠে নেমে পড়েছেন। ইসলামি দলগুলোকে নিয়ে জোট গঠন করতে চাচ্ছেন তিনি। এরমধ্যেই তার প্রধান বিরোধীদল হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন কেউকেউ। সাংবাদিক রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ যেমন গতকাল বলেছেন, মিডফিল্ডের খেঁলোয়াড় এরইমধ্যে মাঠে নেমে পড়েছেন। এরশাদ জমানায় আসম রবের জোটের কথাও আমাদের মনে আছে।
কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনেও যদি বিএনপি অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সেক্ষেত্রে কি হবে? একটি সূত্রের দাবি, আগে ২৪শে অক্টোবর সংসদ ভেঙ্গে দেয়ার ব্যাপারে আওয়ামী নীতিগত ভাবে সিদ্ধান্ত নিলেও এখন দলটি সে সিদ্ধান্ত থেকে অনেকটাই সরে এসেছে। এজন্য জানুয়ারি মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে। জানুয়ারিতে সংসদ ভেঙ্গে দেয়ার পর নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবে। এরপর অপেক্ষা করা হবে বিএনপির সিদ্ধান্তের জন্য। বিএনপি যদি নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তখন অন্য কোন কারণে নির্বাচন ভুডুল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। যে কারণেই ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের মত মানুষও বলেছেন, নির্বাচন হবে না। হারার সম্ভাবনা আছে এমন কোন নির্বাচন আওয়ামী লীগ করবে না। আর নির্বাচন না হলেতো আওয়ামী লীগই ক্ষমতায় থাকবে।
দুই নেত্রীর অনড় অবস্থান অবশ্য নতুন কিছু নয়। ’৯৬ সালেও তারা অনড় ছিলেন। একদলীয় নির্বাচনের আয়োজন করেছিলেন খালেদা জিয়া। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। দ্রুতই যেতে হয়েছে শেরে বাংলানগরের অপারেশন থিয়েটারে। ২০০৬ সালেও তারা অনড় ছিলেন। শেষ পর্যন্ত দুই জনের ঠিকানা একই হয়েছে। যদিও পরে সমঝোতা শেখ হাসিনার সঙ্গেই হয়েছে।
এবারও তারা অনড়। কি হবে এবার। অন্তহীন গুজব আবার ছড়াচ্ছে। কেউ বলছেন সিদ্ধান্ত হবে রাজপথে। কেউ বলছেন হস্তক্ষেপ করবে জাতিসংঘ। কেউ বলছেন, অন্তবর্তী সরকার আসবে। যে সরকারের মেয়াদ হবে দীর্ঘ।
অন্তহীন গুজবের মধ্যে কোনটি গুজব আর কোনটি খবর বুঝা দায়। তবে সমঝোতার কোন বিকল্প নেই। না হয় ইতিহাসের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে সবাইকেই। যে বিচার বড় নির্মম হওয়ার আশঙ্কাই বেশি।
No comments