‘নির্বাচন নিয়ে গোলমাল লাগলে কপালে দুর্ভোগ আছে’
যারা শান্তি দিতে পারবে তাদেরকেই
নির্বাচিত করার পক্ষে মত দিয়ে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন,
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হতে হবে।
নির্বাচন
সুষ্ঠু না হলে অশান্তি সৃষ্টি হবে। যে শান্তি দিতে পারবে, তাকেই নির্বাচিত
করতে হবে। আমরা শান্তি চাই। শান্তির শুরু হয় নির্বাচন দিয়ে। নির্বাচন নিয়ে
গোলমাল লাগলে কপালে দুর্ভোগ আছে। গতকাল মিরপুরের ইউনূস সেন্টারে
মুক্তিযোদ্ধা গণপরিষদের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।
ড. ইউনূস বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হতে হবে।
নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে অশান্তি হবে। সুষ্ঠু নির্বাচন যদি না হয়, পরবর্তী
সময়ে আরও অশান্তি দেখা দেবে। তিনি বলেন, ‘আমরা একটা চক্রের মধ্যে আটকে
গেছি। এই চক্র দেশে অশান্তি সৃষ্টি করতে চায়।’ মুক্তিযোদ্ধা গণপরিষদের
প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বেসরকারি সংগঠন
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। বাংলাদেশের
মানবাধিকার পরিস্থিতি সুরক্ষিত কিনা- এ সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি
সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগে কিছুটা মানা হতো। এখন মানা হচ্ছে না।’
গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, আগামী নির্বাচন নিয়ে সবাই আতঙ্কে আছে। আমরা শান্তির দেশ চাই। সে জন্য একটি স্থায়ী শান্তি প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। এখন সময় এসেছে সেই শান্তি প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠিত করার। কারও ধমকে কোন চক্রের মধ্যে আবদ্ধ হবো না। সব চক্র ভেঙে শান্তির পথে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছেন। কিন্তু যুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি। যে স্বপ্ন নিয়ে আমরা দেশ স্বাধীন করেছিলাম, সে স্বপ্নের দেশ আমরা গড়তে পারিনি। স্বপ্ন এখনও শেষ হয়ে যায়নি, এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমরা সম্মানের সঙ্গে বাঁচতে চাই এবং পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি আদর্শ রাষ্ট্র রেখে যেতে চাই। আমাদের দেশ যে অপার সম্ভাবনার দেশ তা ৪২ বছরে আমরা প্রমাণ করেছি। ড. ইউনূস বলেন, আমাদের দেশের মাটির নিচে সোনা বা তেলের খনি নেই ঠিক, কিন্তু মনের ভেতরে আছে অপার সম্ভাবনা। সেই সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে একটি সমৃদ্ধশালী দেশ গঠন করতে সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে। গ্র্রামীণ ব্যাংকের বিষয়ে ড. ইউনূস বলেন, বিনা কারণে গ্রামীণ ব্যাংকের ওপর আক্রমণ হচ্ছে। এ আক্রমণ প্রতিহত করতে হবে। গ্রামীণ ব্যাংকের ওপর সরকারের কেন এত আক্রোশ তা দেশ-বিদেশের কেউই বুঝতে পারছে না। মতবিনিময় সভায় মুক্তিযোদ্ধা গণপরিষদের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাৎ, সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান, সহ-সভাপতি রেজাউল করিম, সদস্য কাজী নাসির আহম্মেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখার জন্য ড. ইউনূসকে বেস্ট সিটিজেন অব বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ড-২০১৩ দিয়েছে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন। তাকে স্মারকলিপিও দেয়া হয়। এ সময় বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি একেএম সাদেক, সভাপতি প্রকৌশলী কাজী রেজাউল মোস্তফা, মহাসচিব ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, আগামী নির্বাচন নিয়ে সবাই আতঙ্কে আছে। আমরা শান্তির দেশ চাই। সে জন্য একটি স্থায়ী শান্তি প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। এখন সময় এসেছে সেই শান্তি প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠিত করার। কারও ধমকে কোন চক্রের মধ্যে আবদ্ধ হবো না। সব চক্র ভেঙে শান্তির পথে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছেন। কিন্তু যুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি। যে স্বপ্ন নিয়ে আমরা দেশ স্বাধীন করেছিলাম, সে স্বপ্নের দেশ আমরা গড়তে পারিনি। স্বপ্ন এখনও শেষ হয়ে যায়নি, এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমরা সম্মানের সঙ্গে বাঁচতে চাই এবং পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি আদর্শ রাষ্ট্র রেখে যেতে চাই। আমাদের দেশ যে অপার সম্ভাবনার দেশ তা ৪২ বছরে আমরা প্রমাণ করেছি। ড. ইউনূস বলেন, আমাদের দেশের মাটির নিচে সোনা বা তেলের খনি নেই ঠিক, কিন্তু মনের ভেতরে আছে অপার সম্ভাবনা। সেই সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে একটি সমৃদ্ধশালী দেশ গঠন করতে সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে। গ্র্রামীণ ব্যাংকের বিষয়ে ড. ইউনূস বলেন, বিনা কারণে গ্রামীণ ব্যাংকের ওপর আক্রমণ হচ্ছে। এ আক্রমণ প্রতিহত করতে হবে। গ্রামীণ ব্যাংকের ওপর সরকারের কেন এত আক্রোশ তা দেশ-বিদেশের কেউই বুঝতে পারছে না। মতবিনিময় সভায় মুক্তিযোদ্ধা গণপরিষদের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাৎ, সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান, সহ-সভাপতি রেজাউল করিম, সদস্য কাজী নাসির আহম্মেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখার জন্য ড. ইউনূসকে বেস্ট সিটিজেন অব বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ড-২০১৩ দিয়েছে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন। তাকে স্মারকলিপিও দেয়া হয়। এ সময় বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি একেএম সাদেক, সভাপতি প্রকৌশলী কাজী রেজাউল মোস্তফা, মহাসচিব ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
No comments