‘৫ মিনিটে বাকশাল হলে, ৩ মিনিটে তত্ত্বাবধায়ক সম্ভব’
প্রবীণ সাংবাদিক এবিএম মূসা বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনীতির আকাশে সুনামির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। সুনামির পর প্রচণ্ড ঝড় হবে।
এরপর
দেশ শান্ত হবে। আমি অপেক্ষায় আছি কখন বাংলার জনগণ জেগে উঠবে। গতকাল জাতীয়
প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সাপ্তাহিক আজকাল
‘আসন্ন জাতীয় নির্বাচন: সমঝোতা না সংঘাত’ শীর্ষক এ গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন
করে।
এবিএম মূসা বৈঠকের আলোচনার বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, নির্বাচন আসন্ন এটা কে বললো? আগামীতে নির্বাচন হবে কিনা তারও কোন নিশ্চয়তা নেই। সমঝোতা, সংঘাত পরের বিষয়। তিনি বলেন, বর্তমানে চলমান রাজনৈতিক সঙ্কটের জন্য আওয়ামী লীগ দায়ী। কারণ তারা সংবিধান সংশোধন করার আগে বলেছিল সংবিধানে কিছু পরিবর্তন আনা হলেও তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকবে। পরে এটি বাদ দেয়া হয়। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ পাঁচ মিনিটে বাকশাল করতে পারলে তারা তিন মিনিটে সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক ফিরিয়ে আনতে পারে। রাজনীতিবিদরা ১/১১কে ভয় পান। কিন্তু সাধারণ জনগণ ভয় পায় না। কারণ যারা চুরি করে তাদের ভয় পাওয়ার কারণ রয়েছে। প্রবীণ এই সাংবাদিক বলেন, এই পৃথিবীতে কেউ ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে পারেনি। যুগে যুগে এর বহু প্রমাণ রয়েছে। স্বৈরাচারী কায়দায় কখনও ক্ষমতা চিরস্থায়ী করা যায় না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। জাতিসংঘের দেয়া সংলাপের প্রস্তাবকে তিনি লজ্জাজনক উল্লেখ করে বলেন, জাতিসংঘ নয়, আমাদের নিজেদের সমস্যা সমাধানে সচেষ্ট হতে হবে।
সাপ্তাহিক আজকাল পত্রিকার প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক জাকারিয়া মাসুদ জিকুর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, সাংবাদিক মনির হায়দার বক্তব্য রাখেন। সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক গোলাম মোর্তোজা।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, সঙ্কট উত্তরণের জন্য দু’টি পথ রয়েছে। একটি হলো- সকলের অংশগ্রহণে একটি নির্বাচন এবং অন্যটি হলো নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্য ও সুষ্ঠু করা। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে এই দেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষা মনে করে সঙ্কট নিরসনে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। যদি তা না হয় তাহলে দেশের নাগরিক সমাজকে উদ্যোগ নিতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেন, সংবিধান পরিবর্তন করার দাবি না জানিয়ে সংবিধানের ভেতর থেকে সংশোধনের উপায় খুঁজে বের করতে হবে। তিনি এক্ষেত্রে একটি নতুন ধরনের ফর্মুলার কথা বলেন। তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধানকে নিরপেক্ষ হতে হবে। তিনি এক্ষেত্রে সংসদের একমাত্র স্বতন্ত্র সদস্য ফজলুল আজিম বা ব্যারিস্টার রফিকুল হক, সাবেক প্রধান বিচারপতি হাবিবুর রহমান, ফজলে হাসান আবেদের মতো একজনকে নির্বাচনকালীন সরকার প্রধান করার কথা বলেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দেশে সঙ্কট তৈরি করেছে। গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় কে এম হাসানকে বিএনপি সরকার প্রধান করতে চাইলেও আওয়ামী লীগ এর বিরোধিতা করে। কারণ ৩০ বছর আগে তিনি বিএনপি করতেন। অন্যদিকে আওয়ামী সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে বিএনপি মানবে কেন? জাতিসংঘের সংলাপের প্রস্তাব সম্পর্কে আসিফ নজরুল বলেন, এটি উচিত নয়।
লেখক কলামনিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিবের ফোনালাপ আমাদের জন্য লজ্জাজনক। জাতিসংঘের মহাসচিবের অবস্থান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর নিচে। বাংলাদেশের দুই দলকে দেখে মনে হয় তারা সঙ্কট সমাধানে উদ্যোগী নয়। তারা বিভিন্ন সভাকক্ষে অগ্নিবাণী বর্ষণ করেন। দুই দলই ব্যক্তিকেন্দ্রিক আন্দোলনে সক্রিয়। দলের ভেতর গণতন্ত্র নেই। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গণতন্ত্র ফিরে এলে সব ঠিক হয়ে যাবে।
এবিএম মূসা বৈঠকের আলোচনার বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, নির্বাচন আসন্ন এটা কে বললো? আগামীতে নির্বাচন হবে কিনা তারও কোন নিশ্চয়তা নেই। সমঝোতা, সংঘাত পরের বিষয়। তিনি বলেন, বর্তমানে চলমান রাজনৈতিক সঙ্কটের জন্য আওয়ামী লীগ দায়ী। কারণ তারা সংবিধান সংশোধন করার আগে বলেছিল সংবিধানে কিছু পরিবর্তন আনা হলেও তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকবে। পরে এটি বাদ দেয়া হয়। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ পাঁচ মিনিটে বাকশাল করতে পারলে তারা তিন মিনিটে সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক ফিরিয়ে আনতে পারে। রাজনীতিবিদরা ১/১১কে ভয় পান। কিন্তু সাধারণ জনগণ ভয় পায় না। কারণ যারা চুরি করে তাদের ভয় পাওয়ার কারণ রয়েছে। প্রবীণ এই সাংবাদিক বলেন, এই পৃথিবীতে কেউ ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে পারেনি। যুগে যুগে এর বহু প্রমাণ রয়েছে। স্বৈরাচারী কায়দায় কখনও ক্ষমতা চিরস্থায়ী করা যায় না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। জাতিসংঘের দেয়া সংলাপের প্রস্তাবকে তিনি লজ্জাজনক উল্লেখ করে বলেন, জাতিসংঘ নয়, আমাদের নিজেদের সমস্যা সমাধানে সচেষ্ট হতে হবে।
সাপ্তাহিক আজকাল পত্রিকার প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক জাকারিয়া মাসুদ জিকুর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, সাংবাদিক মনির হায়দার বক্তব্য রাখেন। সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক গোলাম মোর্তোজা।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, সঙ্কট উত্তরণের জন্য দু’টি পথ রয়েছে। একটি হলো- সকলের অংশগ্রহণে একটি নির্বাচন এবং অন্যটি হলো নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্য ও সুষ্ঠু করা। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে এই দেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষা মনে করে সঙ্কট নিরসনে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। যদি তা না হয় তাহলে দেশের নাগরিক সমাজকে উদ্যোগ নিতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেন, সংবিধান পরিবর্তন করার দাবি না জানিয়ে সংবিধানের ভেতর থেকে সংশোধনের উপায় খুঁজে বের করতে হবে। তিনি এক্ষেত্রে একটি নতুন ধরনের ফর্মুলার কথা বলেন। তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধানকে নিরপেক্ষ হতে হবে। তিনি এক্ষেত্রে সংসদের একমাত্র স্বতন্ত্র সদস্য ফজলুল আজিম বা ব্যারিস্টার রফিকুল হক, সাবেক প্রধান বিচারপতি হাবিবুর রহমান, ফজলে হাসান আবেদের মতো একজনকে নির্বাচনকালীন সরকার প্রধান করার কথা বলেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দেশে সঙ্কট তৈরি করেছে। গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় কে এম হাসানকে বিএনপি সরকার প্রধান করতে চাইলেও আওয়ামী লীগ এর বিরোধিতা করে। কারণ ৩০ বছর আগে তিনি বিএনপি করতেন। অন্যদিকে আওয়ামী সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে বিএনপি মানবে কেন? জাতিসংঘের সংলাপের প্রস্তাব সম্পর্কে আসিফ নজরুল বলেন, এটি উচিত নয়।
লেখক কলামনিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিবের ফোনালাপ আমাদের জন্য লজ্জাজনক। জাতিসংঘের মহাসচিবের অবস্থান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর নিচে। বাংলাদেশের দুই দলকে দেখে মনে হয় তারা সঙ্কট সমাধানে উদ্যোগী নয়। তারা বিভিন্ন সভাকক্ষে অগ্নিবাণী বর্ষণ করেন। দুই দলই ব্যক্তিকেন্দ্রিক আন্দোলনে সক্রিয়। দলের ভেতর গণতন্ত্র নেই। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গণতন্ত্র ফিরে এলে সব ঠিক হয়ে যাবে।
No comments