সিরিয়ায় সামরিক অভিযান নিয়ে পেন্টাগনের রূপরেখা
সিরিয়ার সামরিক অভিযানে কত অর্থ ব্যয় হতে
পারে, কী পরিমাণ ঝুঁকি রয়েছে অভিযানে এবং এতে কতটা সুফল পাওয়া যেতে পারে,
তার একটি রূপরেখা মার্কিন পার্লামেন্টে পেশ করেছে পেন্টাগন।
বিস্তারিত এ রূপরেখায় সামরিক অভিযানের সম্ভাব্য পাঁচটি বিকল্পের কথা বলা
হয়েছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সদর দপ্তর পেন্টাগনের পক্ষ থেকে এ ধরনের
রূপরেখা তুলে ধরার ঘটনা এটিই প্রথম।
নিউ ইয়র্ক টাইমস গত সোমবার জানায়, পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটের আর্মড সার্ভিস কমিটির চেয়ারম্যান কার্ল লেভিনের কাছে রূপরেখাটি পেশ করেছেন সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জেনারেল মার্টিন ডেম্পসি। এতে সীমিত আকারে বিমান হামলা এবং উড্ডয়ন নিষিদ্ধ অঞ্চল (নো-ফ্লাই জোন) বলবৎ করার কথা বলা হয়েছে। এ দুটি ছাড়া বাকি তিনটি বিকল্প হলো, প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বিরোধীদের প্রশিক্ষণ, দিকনির্দেশনা ও সহযোগিতা দেওয়া; সিরিয়ার অভ্যন্তরে বাফার অঞ্চল প্রতিষ্ঠা এবং দামেস্কের রাসায়নিক অস্ত্রের নিয়ন্ত্রণ হাতে নেওয়া।
তবে ডেম্পসি সতর্ক করে বলেছেন, সিরিয়ায় সামরিক শক্তি প্রয়োগের অর্থ 'যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া থেকে কোনো অংশে কম কিছু নয়' এবং এতে যুক্তরাষ্ট্রের শত শত কোটি ডলার গচ্চা যেতে পারে। ডেম্পসি স্বীকার করেন, এ রূপরেখা বাস্তবায়নে আসাদবিরোধীদের হাত শক্তিশালী হবে ঠিকই, তবে যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের অতীত অভিজ্ঞতা (যেমন আফগানিস্তান ও ইরাক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া) থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত। ডেম্পসি বলেছেন, কেবল বিদ্রোহীদের প্রশিক্ষণবাবদ বছরে খরচ হবে ৫০ কোটি ডলার। বাকি সব কয়টি বিকল্পের জন্য প্রতি মাসে দরকার হবে কম-বেশি প্রায় ১০০ কোটি ডলার।
তিন বছরে গড়ানো সিরিয়া সংঘাতে সামরিক হস্তক্ষেপের ব্যাপারটি ওয়াশিংটন যতদূর সম্ভব বিবেচনার বাইরে রেখে আসছে। সিরীয় শরণার্থীদের মানবিক সাহায্যসহ বিদ্রোহীদের প্রাণঘাতী নয়- এমন অস্ত্র সহায়তা দেওয়ার মধ্যে সীমিত রেখে আসছিল তাদের সিরিয়া সংঘাতে অংশগ্রহণের ব্যাপারটি। গত জুনে হোয়াইট হাউস ঘোষণা দেয়, আসাদবিরোধীদের সামরিক সহায়তা দেওয়া হবে। তবে কবে থেকে তা কার্যকর করা হবে, সে ব্যাপারে তখন কিছু জানানো হয়নি। বিদ্রোহীরা অবশ্য আশা করছে, আগামী আগস্ট থেকেই তারা যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে অস্ত্র পাবে।
এদিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন স্বীকার করেছেন, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে আসাদ অনেকটা শক্ত অবস্থানে চলে গেছেন। গত রবিবার বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আসাদবিরোধীদের সাহায্য করতে তিনি এখনো প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে তাদের মধ্যে 'অনেক মন্দ মানুষ' রয়েছে। তাই 'বিদ্রোহীদের অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করবে না ব্রিটেন।' যদিও দেশটির ওপর বলবৎ ইউরোপীয় ইউনিয়নের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পেছনে জোরালো ভূমিকা রেখেছিলেন ক্যামেরন।
জাতিসংঘের হিসাবে, সিরিয়া সংঘাতে এ পর্যন্ত ৯০ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। প্রায় ১৭ লাখ মানুষ সীমানা পেরিয়ে আশপাশের দেশে আশ্রয় নিয়েছে। সূত্র : এএফপি।
নিউ ইয়র্ক টাইমস গত সোমবার জানায়, পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটের আর্মড সার্ভিস কমিটির চেয়ারম্যান কার্ল লেভিনের কাছে রূপরেখাটি পেশ করেছেন সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জেনারেল মার্টিন ডেম্পসি। এতে সীমিত আকারে বিমান হামলা এবং উড্ডয়ন নিষিদ্ধ অঞ্চল (নো-ফ্লাই জোন) বলবৎ করার কথা বলা হয়েছে। এ দুটি ছাড়া বাকি তিনটি বিকল্প হলো, প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বিরোধীদের প্রশিক্ষণ, দিকনির্দেশনা ও সহযোগিতা দেওয়া; সিরিয়ার অভ্যন্তরে বাফার অঞ্চল প্রতিষ্ঠা এবং দামেস্কের রাসায়নিক অস্ত্রের নিয়ন্ত্রণ হাতে নেওয়া।
তবে ডেম্পসি সতর্ক করে বলেছেন, সিরিয়ায় সামরিক শক্তি প্রয়োগের অর্থ 'যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া থেকে কোনো অংশে কম কিছু নয়' এবং এতে যুক্তরাষ্ট্রের শত শত কোটি ডলার গচ্চা যেতে পারে। ডেম্পসি স্বীকার করেন, এ রূপরেখা বাস্তবায়নে আসাদবিরোধীদের হাত শক্তিশালী হবে ঠিকই, তবে যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের অতীত অভিজ্ঞতা (যেমন আফগানিস্তান ও ইরাক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া) থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত। ডেম্পসি বলেছেন, কেবল বিদ্রোহীদের প্রশিক্ষণবাবদ বছরে খরচ হবে ৫০ কোটি ডলার। বাকি সব কয়টি বিকল্পের জন্য প্রতি মাসে দরকার হবে কম-বেশি প্রায় ১০০ কোটি ডলার।
তিন বছরে গড়ানো সিরিয়া সংঘাতে সামরিক হস্তক্ষেপের ব্যাপারটি ওয়াশিংটন যতদূর সম্ভব বিবেচনার বাইরে রেখে আসছে। সিরীয় শরণার্থীদের মানবিক সাহায্যসহ বিদ্রোহীদের প্রাণঘাতী নয়- এমন অস্ত্র সহায়তা দেওয়ার মধ্যে সীমিত রেখে আসছিল তাদের সিরিয়া সংঘাতে অংশগ্রহণের ব্যাপারটি। গত জুনে হোয়াইট হাউস ঘোষণা দেয়, আসাদবিরোধীদের সামরিক সহায়তা দেওয়া হবে। তবে কবে থেকে তা কার্যকর করা হবে, সে ব্যাপারে তখন কিছু জানানো হয়নি। বিদ্রোহীরা অবশ্য আশা করছে, আগামী আগস্ট থেকেই তারা যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে অস্ত্র পাবে।
এদিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন স্বীকার করেছেন, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে আসাদ অনেকটা শক্ত অবস্থানে চলে গেছেন। গত রবিবার বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আসাদবিরোধীদের সাহায্য করতে তিনি এখনো প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে তাদের মধ্যে 'অনেক মন্দ মানুষ' রয়েছে। তাই 'বিদ্রোহীদের অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করবে না ব্রিটেন।' যদিও দেশটির ওপর বলবৎ ইউরোপীয় ইউনিয়নের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পেছনে জোরালো ভূমিকা রেখেছিলেন ক্যামেরন।
জাতিসংঘের হিসাবে, সিরিয়া সংঘাতে এ পর্যন্ত ৯০ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। প্রায় ১৭ লাখ মানুষ সীমানা পেরিয়ে আশপাশের দেশে আশ্রয় নিয়েছে। সূত্র : এএফপি।
No comments