প্রবাসে মানবেতর জীবনযাপন-সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ত্বরিত ব্যবস্থা নিন
জীবনের তাগিদে কিংবা জীবিকার অন্বেষণে
প্রবাসে, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে মানবেতর জীবনযাপনের গল্প প্রায়ই শোনা যায়।
কিন্তু আধুনিকতার ছোঁয়ায় গড়ে ওঠা হংকংয়ে বাংলাদেশের নাগরিকদের যে কাহিনী
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সিএনএন দিয়েছে, তা বিশ্বাস করা কঠিন।
এর সঙ্গে ইরাকের কারাগারে ১৫০ জন বাংলাদেশি নাগরিকের মানবেতর জীবনযাপনের তথ্যও প্রকাশ পেয়েছে।
প্রবাসে জনশক্তি রপ্তানির শুরু থেকেই দেশের একটি অসাধু ব্যবসায়ী চক্র মানবসম্পদ রপ্তানির নামে পাচার করতে শুরু করে। এখনো নৌপথে জনশক্তি পাচারের কথা শোনা যায়। কয়েক দিন আগেও এমন একটি ঘটনার কথা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। জনশক্তি রপ্তানির নামে মানবসম্পদ পাচারের ব্যবসা থেমে নেই। অন্যদিকে অনেককেই নানাভাবে প্রতারণার শিকার হতে হচ্ছে। প্রতিকারহীনভাবে এ প্রতারণার ঘটনা ঘটে চলেছে। আবার রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার উদ্দেশ্যে বিদেশে গিয়ে মানবেতর জীবনযাপনের ঘটনাও ঘটছে। সিএনএনের প্রতিবেদনে সে চিত্রই উঠে এসেছে। হংকংয়ে থাকা বাংলাদেশি নাগরিকদের মানবেতর জীবনযাপন নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে সংবাদমাধ্যমটির অনলাইন সংস্করণে। সেখানে বলা হয়েছে, হংকং কর্তৃপক্ষের অমানবিক পদক্ষেপ ও ইচ্ছাকৃত অবহেলায় বাংলাদেশি নাগরিকদের মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে। সেখানে বাংলাদেশি নাগরিকদের জীবনযাপন অনেকটা কারাবাসের মতো। সেখানকার প্রশাসনিক আইন অনুযায়ী চাকরি বা যেকোনো উপার্জনভিত্তিক কাজ নিষিদ্ধ। বাংলাদেশের নাগরিকদের সেখানে বস্তির মতো জরাজীর্ণ ঘরে বাস করতে হয়। শরণার্থী হিসেবে কর্তৃপক্ষের স্বীকৃতি পেতে দিনের পর দিন অপেক্ষায় থাকা এসব বাংলাদেশি নাগরিককে যে আবাসন ভাতা দেওয়া হয়, তা ওই বস্তির ভাড়া গুনতেই অনেকটা শেষ হয়ে যায়। জীবন বাঁচাতে হংকংয়ে যাওয়া এই বাংলাদেশি নাগরিকরা যে জীবনযাপন করছে, তা কোনো জীবন নয়।
এই বাংলাদেশি নাগরিকদের কেউ সেখানে গেছে রাজনৈতিক আশ্রয়ের খোঁজে, অনেকেই আবার প্রতারণার শিকার হয়ে হংকংয়ে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। অন্য কোনো দেশে নিয়ে যাওয়ার নাম করে দালালচক্র হংকংয়ে ফেলে রেখে চলে গেছে। ফলে শরণার্থীর জীবন বেছে নিতে বাধ্য হতে হচ্ছে। কিন্তু হংকং সরকারের নীতি সেখানকার বাংলাদেশি নাগরিকদের জীবন অসহনীয় করে তুলছে।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। আমরা আশা করি, হংকংয়ে মানবেতর জীবনযাপনকারী বাংলাদেশি নাগরিকদের ব্যাপারে পররাষ্ট্র ও প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় ত্বরিত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
প্রবাসে জনশক্তি রপ্তানির শুরু থেকেই দেশের একটি অসাধু ব্যবসায়ী চক্র মানবসম্পদ রপ্তানির নামে পাচার করতে শুরু করে। এখনো নৌপথে জনশক্তি পাচারের কথা শোনা যায়। কয়েক দিন আগেও এমন একটি ঘটনার কথা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। জনশক্তি রপ্তানির নামে মানবসম্পদ পাচারের ব্যবসা থেমে নেই। অন্যদিকে অনেককেই নানাভাবে প্রতারণার শিকার হতে হচ্ছে। প্রতিকারহীনভাবে এ প্রতারণার ঘটনা ঘটে চলেছে। আবার রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার উদ্দেশ্যে বিদেশে গিয়ে মানবেতর জীবনযাপনের ঘটনাও ঘটছে। সিএনএনের প্রতিবেদনে সে চিত্রই উঠে এসেছে। হংকংয়ে থাকা বাংলাদেশি নাগরিকদের মানবেতর জীবনযাপন নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে সংবাদমাধ্যমটির অনলাইন সংস্করণে। সেখানে বলা হয়েছে, হংকং কর্তৃপক্ষের অমানবিক পদক্ষেপ ও ইচ্ছাকৃত অবহেলায় বাংলাদেশি নাগরিকদের মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে। সেখানে বাংলাদেশি নাগরিকদের জীবনযাপন অনেকটা কারাবাসের মতো। সেখানকার প্রশাসনিক আইন অনুযায়ী চাকরি বা যেকোনো উপার্জনভিত্তিক কাজ নিষিদ্ধ। বাংলাদেশের নাগরিকদের সেখানে বস্তির মতো জরাজীর্ণ ঘরে বাস করতে হয়। শরণার্থী হিসেবে কর্তৃপক্ষের স্বীকৃতি পেতে দিনের পর দিন অপেক্ষায় থাকা এসব বাংলাদেশি নাগরিককে যে আবাসন ভাতা দেওয়া হয়, তা ওই বস্তির ভাড়া গুনতেই অনেকটা শেষ হয়ে যায়। জীবন বাঁচাতে হংকংয়ে যাওয়া এই বাংলাদেশি নাগরিকরা যে জীবনযাপন করছে, তা কোনো জীবন নয়।
এই বাংলাদেশি নাগরিকদের কেউ সেখানে গেছে রাজনৈতিক আশ্রয়ের খোঁজে, অনেকেই আবার প্রতারণার শিকার হয়ে হংকংয়ে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। অন্য কোনো দেশে নিয়ে যাওয়ার নাম করে দালালচক্র হংকংয়ে ফেলে রেখে চলে গেছে। ফলে শরণার্থীর জীবন বেছে নিতে বাধ্য হতে হচ্ছে। কিন্তু হংকং সরকারের নীতি সেখানকার বাংলাদেশি নাগরিকদের জীবন অসহনীয় করে তুলছে।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। আমরা আশা করি, হংকংয়ে মানবেতর জীবনযাপনকারী বাংলাদেশি নাগরিকদের ব্যাপারে পররাষ্ট্র ও প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় ত্বরিত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
No comments