অনলাইন থেকে-রাজপরিবারে নবজাতক
রাজপরিবারে সোমবার এলো নতুন রাজকীয় শিশু।
শত শত বছরের ঐতিহ্যবাহী পরিবারে প্রিন্স উইলিয়াম ও কেট মিডলটনকে দেখা হয়
রাজপরিবারের নতুন মুখ হিসেবে। সময়ের সঙ্গে তাঁরা সর্বোচ্চ ঐতিহ্যের তাল
মিলিয়ে চলেছেন।
রাজপরিবারের নতুন সন্তান আসার অতীতের কয়েকটি বিষয় খতিয়ে দেখা যাক।
গৃহে জন্ম : এখন বেশির ভাগ মানুষ শিশু জন্মের জন্য হাসপাতালে গিয়ে থাকেন। কিন্তু মাত্র কয়েক দশক আগে রাজপরিবারের প্রথা ছিল ঘরেই শিশুর জন্ম দেওয়া। অবশ্য সাধারণ মানুষও তাই করত। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের জন্ম হয়েছিল লন্ডনের ব্রুটন স্ট্রিটে পরিবারের নিজেদের বাড়িতে। তিনি রাজপুত্র চার্লস, এন্ড্রু ও এডওয়ার্ডের জন্ম দিয়েছেন বাকিংহাম রাজপ্রাসাদে। রানির একমাত্র মেয়ে রাজকুমারী আনের জন্ম হয়েছে রাজপরিবারের আরেক সম্পত্তি ক্লারেন্স হাউসে। এ ধারা পরিবর্তন হয়েছে আশির দশকে। প্রিন্স উইলিয়াম ও হ্যারির জন্ম হয় সেন্ট মেরি হাসপাতালে। উইলিয়াম ও কেট মিডলটনের শিশুও সোমবার জন্ম নিল একই হাসপাতালে।
শিক্ষা : দীর্ঘকাল ধরে রাজপরিবারে প্রাইভেট শিক্ষা দেওয়া হতো। রানি শিক্ষা পেয়েছেন তাঁর বাবা, গৃহশিক্ষক ও গভর্ন্যাসের কাছে। সাধারণের সঙ্গে স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাননি। প্রিন্স চার্লসই প্রথম স্কুলে যান। উইলিয়াম ও কেট- দুজনই রাজকীয় বাধ্যবাধকতার বাইরের স্কুলে পাঠ নিয়েছেন। নিঃসন্দেহে নবজাতকও তাই করবে।
আঁতুড়ঘরে বাবা : উইলিয়াম বলেছিলেন, কেট সন্তান প্রসবের সময় তিনি পাশে থাকবেন। আধুনিক বাবাদের প্রায় প্রত্যেকেই তাই চান। উইলিয়ামও তা-ই করেছেন। তাঁর বাবা চার্লসও একই কাজ করেছেন। প্রিন্স চার্লস তাঁর প্রথম সন্তান উইলিয়ামের জন্মের কিছুক্ষণ পর প্যাট্রিসিয়া ব্র্যাবোর্নের কাছে লিখেছিলেন, 'আমি খুবই কৃতজ্ঞ যে সারাক্ষণ ডায়ানার পাশে থাকতে পেরেছি। কারণ দিনের শেষে আমি অনুভব করলাম, পুরো জন্মদান প্রক্রিয়ার সঙ্গে আমি গভীরভাবে একাকার হয়েছিলাম।'
কিন্তু চার্লেসর জন্মের সময়ের চিত্র ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। মা রানি এলিজাবেথ যখন সন্তান প্রসব করতে যান, তখন বাবা প্রিন্স ফিলিপ গলফ খেলতে বেরিয়েছেন।
কর্মকর্তাদের উপস্থিতি : বিংশ শতাব্দীতে অথবা তার আগে প্রথা ছিল রাজপরিবারের সন্তান হওয়ার সময় সরকারি কর্মকর্তাকে উপস্থিত থাকতে হবে। যেমন ১৯২৬ সালে যখন রানি জন্মগ্রহণ করেন, তখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চিকিৎসকদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন। বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, শত বছরের পুরনো নিয়মটি ছিল এ কারণে যে রাজকীয় শিশু যেন চুরি হয়ে না যায়। কেটের ভাগ্য ভালো, নিয়মটি ষষ্ঠ জর্জ পরিবর্তন করেছিলেন।
কত নাম : এখন শিশুটি পুরুষ না নারী জানা গেছে। রাজকীয় শিশুর নাম নিয়ে চলছে নানা অনুমান, জল্পনা-কল্পনা। বেশির ভাগ রাজপরিবারের সন্তানদের পূর্বের রাজার নামের সঙ্গে মিলিয়ে তিন-চারটি প্রথম নাম রাখা হয়। রানির নাম এলিজাবেথ আলেকজান্দ্রা মেরি, তাঁর মা, নানি ও নানির মায়ের নাম মিলিয়ে। উইলিয়ামের নাম উইলিয়াম আর্থার ফিলিপ লুই।
সিবিএস ও এপিতে প্রকাশিত।
ঈষৎ সংক্ষেপিত ভাষান্তর : মহসীন হাবিব
গৃহে জন্ম : এখন বেশির ভাগ মানুষ শিশু জন্মের জন্য হাসপাতালে গিয়ে থাকেন। কিন্তু মাত্র কয়েক দশক আগে রাজপরিবারের প্রথা ছিল ঘরেই শিশুর জন্ম দেওয়া। অবশ্য সাধারণ মানুষও তাই করত। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের জন্ম হয়েছিল লন্ডনের ব্রুটন স্ট্রিটে পরিবারের নিজেদের বাড়িতে। তিনি রাজপুত্র চার্লস, এন্ড্রু ও এডওয়ার্ডের জন্ম দিয়েছেন বাকিংহাম রাজপ্রাসাদে। রানির একমাত্র মেয়ে রাজকুমারী আনের জন্ম হয়েছে রাজপরিবারের আরেক সম্পত্তি ক্লারেন্স হাউসে। এ ধারা পরিবর্তন হয়েছে আশির দশকে। প্রিন্স উইলিয়াম ও হ্যারির জন্ম হয় সেন্ট মেরি হাসপাতালে। উইলিয়াম ও কেট মিডলটনের শিশুও সোমবার জন্ম নিল একই হাসপাতালে।
শিক্ষা : দীর্ঘকাল ধরে রাজপরিবারে প্রাইভেট শিক্ষা দেওয়া হতো। রানি শিক্ষা পেয়েছেন তাঁর বাবা, গৃহশিক্ষক ও গভর্ন্যাসের কাছে। সাধারণের সঙ্গে স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাননি। প্রিন্স চার্লসই প্রথম স্কুলে যান। উইলিয়াম ও কেট- দুজনই রাজকীয় বাধ্যবাধকতার বাইরের স্কুলে পাঠ নিয়েছেন। নিঃসন্দেহে নবজাতকও তাই করবে।
আঁতুড়ঘরে বাবা : উইলিয়াম বলেছিলেন, কেট সন্তান প্রসবের সময় তিনি পাশে থাকবেন। আধুনিক বাবাদের প্রায় প্রত্যেকেই তাই চান। উইলিয়ামও তা-ই করেছেন। তাঁর বাবা চার্লসও একই কাজ করেছেন। প্রিন্স চার্লস তাঁর প্রথম সন্তান উইলিয়ামের জন্মের কিছুক্ষণ পর প্যাট্রিসিয়া ব্র্যাবোর্নের কাছে লিখেছিলেন, 'আমি খুবই কৃতজ্ঞ যে সারাক্ষণ ডায়ানার পাশে থাকতে পেরেছি। কারণ দিনের শেষে আমি অনুভব করলাম, পুরো জন্মদান প্রক্রিয়ার সঙ্গে আমি গভীরভাবে একাকার হয়েছিলাম।'
কিন্তু চার্লেসর জন্মের সময়ের চিত্র ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। মা রানি এলিজাবেথ যখন সন্তান প্রসব করতে যান, তখন বাবা প্রিন্স ফিলিপ গলফ খেলতে বেরিয়েছেন।
কর্মকর্তাদের উপস্থিতি : বিংশ শতাব্দীতে অথবা তার আগে প্রথা ছিল রাজপরিবারের সন্তান হওয়ার সময় সরকারি কর্মকর্তাকে উপস্থিত থাকতে হবে। যেমন ১৯২৬ সালে যখন রানি জন্মগ্রহণ করেন, তখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চিকিৎসকদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন। বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, শত বছরের পুরনো নিয়মটি ছিল এ কারণে যে রাজকীয় শিশু যেন চুরি হয়ে না যায়। কেটের ভাগ্য ভালো, নিয়মটি ষষ্ঠ জর্জ পরিবর্তন করেছিলেন।
কত নাম : এখন শিশুটি পুরুষ না নারী জানা গেছে। রাজকীয় শিশুর নাম নিয়ে চলছে নানা অনুমান, জল্পনা-কল্পনা। বেশির ভাগ রাজপরিবারের সন্তানদের পূর্বের রাজার নামের সঙ্গে মিলিয়ে তিন-চারটি প্রথম নাম রাখা হয়। রানির নাম এলিজাবেথ আলেকজান্দ্রা মেরি, তাঁর মা, নানি ও নানির মায়ের নাম মিলিয়ে। উইলিয়ামের নাম উইলিয়াম আর্থার ফিলিপ লুই।
সিবিএস ও এপিতে প্রকাশিত।
ঈষৎ সংক্ষেপিত ভাষান্তর : মহসীন হাবিব
No comments