দৈনন্দিন বিজ্ঞান-শব্দ দূষণ ক্ষতিকর
এ কথা সবারই জানা যে শব্দ দূষণ মানে
ক্ষতিকর। যেমন মানুষের শ্রবণশক্তির জন্য, তেমনি পরিবেশের জন্য। এখন কথা-
কোন ধরনের শব্দ হলে সেটাকে আমরা দূষণ বলব? খুবই সোজা উত্তর, যেসব শব্দ
আমাদের কানে শ্রুতিমধুর নয়, সেসব শব্দকে আমরা শব্দ দূষণ বলতে পারি।
যেমন অনেক জোরালো আওয়াজ মানে অবশ্যই শব্দ দূষণ। কিন্তু শব্দের উৎস যদি
অনেক দূরে হয়, তাহলে তা যখন আমাদের কানে এসে পৌঁছে তখন তার তীক্ষ্ণতা কমে
যায়, আর সে সময় কানে তেমন আঘাত না করলে শব্দ দূষণ। আবার কানের খুব কাছেই
যদি আস্তে আস্তে শব্দ হতে থাকে তা দূষণ হতে পারে। যেমন কানে হেডফোন লাগিয়ে
গান বা এফএম শোনার অভ্যাস আছে অনেকের। যখন গান শুনতে ভালো লাগে তখন এটা কম
ক্ষতিকর। কিন্তু যদি খারাপ লাগে তখন বেশি ক্ষতিকর। যত ভালোই লাগুক না কেন
কানে হেডফোন লাগিয়ে গান বা এফএম শোনা ক্ষতিকর। কারণ তখন শব্দ তরঙ্গ সরাসরি
কানের পর্দায় গিয়ে আঘাত করে। যখন বেতার, টেলিভিশন, কম্পিউটার বা মোবাইলে
ভালো লাগছে না এমন কোনো অনুষ্ঠান হয় তাহলে তার সাউন্ড অবশ্যই কমিয়ে ফেলুন।
যারা অত্যধিক উচ্চ শব্দের জায়গায় কাজ করেন, যেমন ওয়ার্কশপ, শিল্পকারখানা,
পাথর বা ইট ভাঙা ইত্যাদি, সেখানে সম্ভব হলে সাউন্ডপ্রুফ হেডফোন লাগান, যা
জোরালো শব্দ কমিয়ে দেবে। এই রকম হেডফোন এখন অনেক জায়গায় ব্যবহার করতে দেখা
যায়।
No comments