'এসব করে ইসি তাদের ঘাড়ে অনেক কিছু নিয়েছে'
বর্তমান সরকারের আমলে নির্বাচন কমিশন যে
কয়টি স্থানীয় সরকার নির্বাচন পরিচালনা করেছে সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা
করতে গিয়ে সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন
বলেছেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন সব নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করার চেষ্টা করেছে।
তবে সর্বশেষ গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে যে
অভিযোগগুলো এসেছে তার তাৎক্ষণিক কোনো সমাধান করেনি বলে অনেক প্রশ্ন এসেছে।
তিনি বলেন, 'আমরা যখন নির্বাচন কমিশনে ছিলাম তখন অনেক অভিযোগ সমাধান করতে
না পারলেও অভিযোগকারীদের তাৎক্ষণিক বলে দিয়েছি, এ রকম কোনো ঘটনা ঘটেনি। তাই
আমি মনে করি, নিরপেক্ষতা ও দক্ষতা বজায় রাখতে তাৎক্ষণিক অনেক সিদ্ধান্ত
নেওয়ার আছে নির্বাচন কমিশনের।'
সোমবার রাতে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল সময় টিভির সমসাময়িক বিষয়ভিত্তিক টক শো সম্পাদকীয় অনুষ্ঠানে আলোচনা করতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
আহমেদ যোবায়েরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো আলোচনা করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নূহ-উল-আলম লেনিন ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হান্নান শাহ।
আলোচনার শুরুতে সঞ্চালক বলেন, বিএনপি তো পাঁচটি সিটি করপোরেশনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে এবং সব কটিতে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেছে। আমরা দেখেছি নির্বাচনকালে বিরোধীদলীয় নেতা দুজন নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে কথাও বলেছেন। কিন্তু পরক্ষণেই আমরা দেখলাম, বিএনপি নির্বাচন কমিশনের ফলাফল মেনে নিয়েও তাদের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। বিশেষ করে গতকাল (সোমবার) বিরোধীদলীয় নেতা একটি ইফতার মাহফিলে নির্বাচন কমিশনকে অদক্ষ বলেছেন। বলেছেন, তাদের পক্ষে অর্থাৎ এ নির্বাচন কমিশনের পক্ষে নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব নয়। বিষয়টি কিভাবে দেখছেন?
জবাবে বিএনপি নেতা আ স ম হান্নান শাহ বলেন, দেখেন, খেলায় জয়লাভ করা তো অনেকভাবে করা যায়। কিন্তু খেলতে গিয়ে যদি বারবার ফাউলের মুখোমুখি হতে হয় তাহলে তো অভিযোগ আসতেই পারে। তিনি বলেন, সর্বশেষ গাজীপুর নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন, বিশেষ করে সরকার অনেকভাবে জেতার জন্য চেষ্টা করেছে কিন্তু আমাদের ভোটারদের ভোট পাহারার কারণে পারেনি। তিনি বলেন, আমরা গাজীপুর নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের কাছে অনেক অভিযোগ করেছি। কিন্তু নির্বাচন কমিশন আমাদের কোনো অভিযোগই আমলে নেয়নি। তিনি বলেন, একটি উদাহরণ দিই। আর তা হলো টঙ্গীর একটি বুথের ব্যালট বাক্স পুলিশ নিয়ে যাচ্ছিল। কোনো কারণ ছাড়াই। কিন্তু আমাদের ভোটাররা তা নিতে দেয়নি। মাননীয় বিরোধীদলীয় নেতা বলেছেন, ভোট পাহারা দিতে হবে। সে মতে আমাদের নেতা-কর্মী ও ভোটাররা তাই করেছে। ব্যালট বাক্স নিতে দেয়নি। তিনি বলেন, ইলেকশন কমিশন আরো নিরপেক্ষ হলে আমরা আরো বেশি ভোটের ব্যবধানে জিততাম।
আলোচনার এ পর্যায়ে সঞ্চালক জানতে চান, আপনারা তো ক্ষমতায় আছেন, আসলে নির্বাচন কমিশন নিয়ে বিরোধী দলের অভিযোগ কিভাবে দেখছেন?
জবাবে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নূহ-উল-আলম লেনিন বলেন, বিএনপি নির্বাচনে না জিতলেও যে অভিযোগ করত, এখন সব নির্বাচনে জিতেও সে একই অভিযোগ করছে। আসলে তাদের উদ্দেশ্য স্থানীয় সরকার নির্বাচনে জেতা নয়, আগামী জাতীয় নির্বাচনে জয়লাভ করা। যার ফলে তারা একেক সময় নির্বাচন কমিশনের নামে একেক অভিযোগ দায়ের করছে। তিনি বলেন, আমরা যদি প্রভাব বিস্তার করতাম তাহলে এক লাখের চেয়ে বেশি ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হতে পারতাম। কিন্তু আমাদের দলীয় সর্বোচ্চ ফোরামের একটি সিদ্ধান্ত ছিল আর তা হলো, নির্বাচনের ফল যাই হোক আমরা তা মেনে নেব। তিনি বলেন, সব সিটি নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীদের জেতার মানে এই যে এখন একটি বিষয় স্পষ্ট হয়ে গেছে, আর তা হলো এ সরকার আমলে নিরপেক্ষ, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব। দেশের মানুষও এ বিষয়ে একটি স্বচ্ছ ধারণা পেয়েছে।
আলোচনার এ পর্যায়ে সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, গাজীপুর সিটি নির্বাচনের সময় আমি বিদেশে বসে যতটুকু দেখেছি, তাতে মনে হয়েছে নির্বাচন কমিশন এ নির্বাচনে কয়েকটি বিষয়ে তখন না হলেও এখন তা খতিয়ে দেখতে পারে। আর তা হলো- এক. কেন টঙ্গীর মতো এত জনবহুল এলাকায় মাত্র ৩০ থেকে ৩৫ পার্সেন্ট ভোট কাস্ট হলো। যদি বলা হয় যে এখানে ফ্লোটিং ভোটার বেশি তবে কয়েক মাস আগে এখানে যে ভোটার লিস্ট কারেকশন করা হলো নিশ্চয়ই তা ঠিক ছিল না। আরেকটি হলো ভোট দেওয়ার সময় দীর্ঘ লাইন ছিল। এটা কেন হলো তা নির্বাচন কমিশনের খতিয়ে দেখা উচিত ছিল। কারণ এমন পরিস্থিতিতে অনেক ভোটার বিরক্ত হয়ে ভোট না দিয়ে চলে যায়। আরেকটি হলো মোট ১০ লাখ ভোটারের মধ্যে কেন সাড়ে চার লাখ ভোটার ভোট দিতে পারেনি। তাদের কি কেউ বাধা দিয়েছে বা হুমকি দিয়েছে, নাকি ভোটার লিস্ট ঠিকমতো ছিল না।
সোমবার রাতে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল সময় টিভির সমসাময়িক বিষয়ভিত্তিক টক শো সম্পাদকীয় অনুষ্ঠানে আলোচনা করতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
আহমেদ যোবায়েরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো আলোচনা করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নূহ-উল-আলম লেনিন ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হান্নান শাহ।
আলোচনার শুরুতে সঞ্চালক বলেন, বিএনপি তো পাঁচটি সিটি করপোরেশনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে এবং সব কটিতে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেছে। আমরা দেখেছি নির্বাচনকালে বিরোধীদলীয় নেতা দুজন নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে কথাও বলেছেন। কিন্তু পরক্ষণেই আমরা দেখলাম, বিএনপি নির্বাচন কমিশনের ফলাফল মেনে নিয়েও তাদের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। বিশেষ করে গতকাল (সোমবার) বিরোধীদলীয় নেতা একটি ইফতার মাহফিলে নির্বাচন কমিশনকে অদক্ষ বলেছেন। বলেছেন, তাদের পক্ষে অর্থাৎ এ নির্বাচন কমিশনের পক্ষে নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব নয়। বিষয়টি কিভাবে দেখছেন?
জবাবে বিএনপি নেতা আ স ম হান্নান শাহ বলেন, দেখেন, খেলায় জয়লাভ করা তো অনেকভাবে করা যায়। কিন্তু খেলতে গিয়ে যদি বারবার ফাউলের মুখোমুখি হতে হয় তাহলে তো অভিযোগ আসতেই পারে। তিনি বলেন, সর্বশেষ গাজীপুর নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন, বিশেষ করে সরকার অনেকভাবে জেতার জন্য চেষ্টা করেছে কিন্তু আমাদের ভোটারদের ভোট পাহারার কারণে পারেনি। তিনি বলেন, আমরা গাজীপুর নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের কাছে অনেক অভিযোগ করেছি। কিন্তু নির্বাচন কমিশন আমাদের কোনো অভিযোগই আমলে নেয়নি। তিনি বলেন, একটি উদাহরণ দিই। আর তা হলো টঙ্গীর একটি বুথের ব্যালট বাক্স পুলিশ নিয়ে যাচ্ছিল। কোনো কারণ ছাড়াই। কিন্তু আমাদের ভোটাররা তা নিতে দেয়নি। মাননীয় বিরোধীদলীয় নেতা বলেছেন, ভোট পাহারা দিতে হবে। সে মতে আমাদের নেতা-কর্মী ও ভোটাররা তাই করেছে। ব্যালট বাক্স নিতে দেয়নি। তিনি বলেন, ইলেকশন কমিশন আরো নিরপেক্ষ হলে আমরা আরো বেশি ভোটের ব্যবধানে জিততাম।
আলোচনার এ পর্যায়ে সঞ্চালক জানতে চান, আপনারা তো ক্ষমতায় আছেন, আসলে নির্বাচন কমিশন নিয়ে বিরোধী দলের অভিযোগ কিভাবে দেখছেন?
জবাবে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নূহ-উল-আলম লেনিন বলেন, বিএনপি নির্বাচনে না জিতলেও যে অভিযোগ করত, এখন সব নির্বাচনে জিতেও সে একই অভিযোগ করছে। আসলে তাদের উদ্দেশ্য স্থানীয় সরকার নির্বাচনে জেতা নয়, আগামী জাতীয় নির্বাচনে জয়লাভ করা। যার ফলে তারা একেক সময় নির্বাচন কমিশনের নামে একেক অভিযোগ দায়ের করছে। তিনি বলেন, আমরা যদি প্রভাব বিস্তার করতাম তাহলে এক লাখের চেয়ে বেশি ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হতে পারতাম। কিন্তু আমাদের দলীয় সর্বোচ্চ ফোরামের একটি সিদ্ধান্ত ছিল আর তা হলো, নির্বাচনের ফল যাই হোক আমরা তা মেনে নেব। তিনি বলেন, সব সিটি নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীদের জেতার মানে এই যে এখন একটি বিষয় স্পষ্ট হয়ে গেছে, আর তা হলো এ সরকার আমলে নিরপেক্ষ, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব। দেশের মানুষও এ বিষয়ে একটি স্বচ্ছ ধারণা পেয়েছে।
আলোচনার এ পর্যায়ে সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, গাজীপুর সিটি নির্বাচনের সময় আমি বিদেশে বসে যতটুকু দেখেছি, তাতে মনে হয়েছে নির্বাচন কমিশন এ নির্বাচনে কয়েকটি বিষয়ে তখন না হলেও এখন তা খতিয়ে দেখতে পারে। আর তা হলো- এক. কেন টঙ্গীর মতো এত জনবহুল এলাকায় মাত্র ৩০ থেকে ৩৫ পার্সেন্ট ভোট কাস্ট হলো। যদি বলা হয় যে এখানে ফ্লোটিং ভোটার বেশি তবে কয়েক মাস আগে এখানে যে ভোটার লিস্ট কারেকশন করা হলো নিশ্চয়ই তা ঠিক ছিল না। আরেকটি হলো ভোট দেওয়ার সময় দীর্ঘ লাইন ছিল। এটা কেন হলো তা নির্বাচন কমিশনের খতিয়ে দেখা উচিত ছিল। কারণ এমন পরিস্থিতিতে অনেক ভোটার বিরক্ত হয়ে ভোট না দিয়ে চলে যায়। আরেকটি হলো মোট ১০ লাখ ভোটারের মধ্যে কেন সাড়ে চার লাখ ভোটার ভোট দিতে পারেনি। তাদের কি কেউ বাধা দিয়েছে বা হুমকি দিয়েছে, নাকি ভোটার লিস্ট ঠিকমতো ছিল না।
No comments