হেফাজত কর্মীদের নিরাপদে সরিয়ে দিতেই অভিযান: প্রেস নোট
নৈরাজ্য প্রতিরোধ, গণতন্ত্র রক্ষা, আইনের
শাসন সুরক্ষা, গণনিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে উচ্ছৃঙ্খল ও উন্মত্ত ধ্বংসযজ্ঞে
লিপ্ত হেফাজত কর্মীদের শাপলা চত্বর থেকে নিরাপদে সরিয়ে দেবার জন্য এই
অভিযান অপরিহার্য হয়ে ওঠে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
শুক্রবার
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস নোটে গত ৫ মে ঢাকা অবরোধে অংশ নিয়ে
মতিঝিলের শাপলা চত্বরে অবস্থান নেওয়া হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের সরিয়ে
দেওয়ার ব্যাখ্যা দেওয়া হয়।
মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাইন উদ্দিন খন্দকার স্বাক্ষরিত প্রেস নোটে বিভিন্ন মহল কর্তৃক কতিপয় মিডিয়ায় প্রচারিত/প্রকাশিত কথিত গণহত্যা/লাশ গুম ইত্যাদি ধরনের গুজবকে সম্পূর্ণ অসত্য, মনগড়া ও অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উল্লেখ করা হয়।
এতে বলা হয়, অনিবন্ধিত সংগঠন হেফাজতে ইসলাম পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত করার কথা বলে ৫ মে বেলা ২টা থেকে শাপলা চত্বরে তাদের নেতা হাটহাজারী মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আহমদ শফির নেতৃত্বে দোয়া কর্মসূচি পালনের অনুমতি চায়। পূর্ব ঘোষিত এ কর্মসূচিতে ঢাকা শহরের ভেতর কোনো সভা-সমাবেশ করার কার্যক্রম না থাকলেও সরকার গণতান্ত্রিক উদারতার পরিচয় দিয়ে হেফাজতকে শর্ত সাপেক্ষে সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত দোয়া কর্মসূচি পালনের অনুমতি দেয়।
আরও বলা হয়, কর্মসূচির প্রথম থেকেই তারা ঢাকার চারপাশে ৬টি পয়েন্টে অবরোধ স্থাপন করে শহরে ঢুকে ও শাপলা চত্বরে অবস্থান নিতে থাকে। সেই সঙ্গে বায়তুল মোকাররম এলাকায় জমায়েত হয়ে কর্তব্যরত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে জড়ায়। এক পর্যায়ে পুরানা পল্টনে কমিউনিস্ট পার্টির অফিস, মুক্তি ভবন লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। পবিত্র কোরআন শরিফের স্টলে আগুন দিয়ে জায়নামাজ, তসবি ও টুপির দোকান এবং অন্যান্য ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী দোকান পুড়িয়ে দিয়ে শত শত নিরীহ কর্মজীবী মানুষকে সর্বশান্ত করে। হাউস বিল্ডিং ফাইনান্স করপোরেশন কার্যালয়ের ১১টি গাড়ি ও ডিসি (ট্রাফিক) পূর্ব জোন অফিসে আগুন দেয়। তারা আওয়ামী লীগ অফিসে হামলা চালাতে উদ্যত হয় এবং গোলাপ শাহ মাজারে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। জনতা ব্যাংকের করপোরেট শাখা, ইস্টার্ন ব্যাংক ও ব্যাংক এশিয়ায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। মতিঝিলে সরকারি কর্মচারি কল্যাণ বোর্ডের বাস ডিপোতে কয়েক ডজন বাস পুড়িয়ে দেয়।
প্রেস নোটে আরও বলা হয়, নজিরবিহীন লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের সময়ই আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে হেফাজতে ইসলামকে নৈরাজ্য বন্ধ করে সন্ধ্যার আগেই প্রতিশ্রুতি মতো শান্তিপূর্ণভাবে সরে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু হেফাজতের নেতারা তাতে কর্ণপাত না করে বেআইনী অবস্থান কার্যক্রম বেপরোয়াভাবে চালিয়ে যেতে থাকে। শেষ বিকেলে হেফাজতের নেতা আহমদ শফি তার লালবাগ মাদ্রাসা থেকে শাপলা চত্বরের সমাবেশ স্থলে রওয়ানা হন। কিন্তু কিছুদূর এসেই তিনি বিএনপির উচ্চ পর্যায় থেকে ফোন পেয়ে শাপলা চত্বরে না এসে ফিরে যান। রাতে বিএনপির নীতি নির্ধারকদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করে খালেদা জিয়া তাদের নেতাকর্মীদের হেফাজতে ইসলামের কর্মসূচিতে সক্রিয় অংশগ্রহণের আনুষ্ঠানিক নির্দেশ দেন এবং ঢাকা নগরবাসীকে হেফাজত কর্মীদের সাহায্য করার আহ্বান জানান। যদিও ঘটনার শুরু থেকেই বিএনপি ও জামায়াত শিবির কর্মীরা নৈরাজ্যকর কার্যক্রমের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিল বলে জানা যায়।
প্রেস নোটে উল্লেখ করা হয়, অনন্যোপায় হয়ে রাত প্রায় ২টায় ঢাকা মহানগর পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি যৌথ অভিযান শুরু করে। অভিযানে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার না করে জলকামান, সাউন্ড গ্রেনেড ও রাবার বুলেট ব্যবহার করা হয়। অভিযানের শুরুতেই মাইকে একাধিকবার সতর্ক করে সকলকে চলে যাবার জন্য আহ্বান জানানো হয়। আরামবাগ ও দৈনিক বাংলা মোড় থেকে শাপলা চত্বরমুখী সড়ক দিয়ে নিরাপত্তা বাহিনী এগুতে থাকে এবং ইত্তেফাক মোড়ের সামনের রাস্তা খোলা রেখে জনতাকে নিরাপদে সরে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়। অভিযান শুরুর ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে অবস্থানরত জনতা শাপলা চত্বর ছেড়ে সায়দাবাদ-যাত্রাবাড়ীর পথে সরে যায়। অভিযানকালে মঞ্চের পাশে কাফনের কাপড়ে মোড়ানো ৪টি মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সারাদিন বিভিন্ন পর্যায়ের সংঘাতে ৩ জন পথচারি, একজন পুলিশ সদস্যসহ মোট ১১ জন নিহত হন।
অভিযানে হাজার হাজার লোক প্রাণ হারিয়েছে বলে যে গুজব ছড়ানো হয়েছে তাকে সম্পূর্ণ অসত্য, মনগড়া ও অসৎউদ্দেশ্য প্রণোদিত উল্লেখ করে প্রেস নোটে বলা হয়, অবাধ তথ্য প্রবাহ ও ব্যাপক তথ্যপ্রযুক্তির যুগে হাজার হাজার লোক হত্যা করে লাশ গুম করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। এতো প্রাণহানি হয়ে থাকলে নিশ্চয়ই নিহতদের পরিবার পরিজন, আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব প্রিয়জনদের সন্ধানে তৎপরতা চালাতেন এবং গণমাধ্যমে তা প্রকাশ পেত। কিন্তু এ ক্ষেত্রে একটি উদাহরণও কোনো মহল থেকে হাজির করা হয়নি।
এতে বলা হয়, অভিযান কার্যক্রম পরিচালনার সময় টিভি ও স্টিল ক্যামেরাসহ বিপুল সংখ্যক সংবাদকর্মী উপস্থিত ছিলেন, উঁচু ভবন থেকে বহুলোক ঘটনা দেখেছেন ও ছবি তুলেছেন। কিন্তু কোথাও মারাত্মক আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের দৃশ্য দেখা যায়নি। বরং বাস্তবতা হলো, সুশৃঙ্খল আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সুচিন্তিত পরিকল্পনা অনুযায়ী অপরিসীম ধৈর্য ও কঠোর সংযমের সঙ্গে পুরো অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন গলিতে ও ভবনের ফাঁকে যারা আশ্রয় নিয়েছিল, তাদের অভয় দিয়ে যত্নের সঙ্গে উদ্ধার করে নিরাপদে সরে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেয়।
প্রেস নোটে আরোও জানানো হয়, ৬ মে ভোর থেকেই তারা ও বিএনপি জামায়াত কর্মীরা ঢাকা চট্টগ্রাম রোডে ব্যারিকেড দিয়ে কাঁচপুর, সাইনবোর্ড, শিমরাইল, সানার পাড়, কোয়েত মার্কেট ও মাদানী নগর এলাকায় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করে। তারা মসজিদের মাইকে গুজব ছড়িয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপর আক্রমণ করে। এতে দু’জন পুলিশ ও দু’জন বিজিবি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ে সহিংসতায় ১৩ জন মারা যায়। ঘটনা আরও চরম আকার ধারণ করলে বেশি সংখ্যক ফোর্স সমাবেশ ঘটিয়ে আন্দোলনকারীদেরকে সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাইন উদ্দিন খন্দকার স্বাক্ষরিত প্রেস নোটে বিভিন্ন মহল কর্তৃক কতিপয় মিডিয়ায় প্রচারিত/প্রকাশিত কথিত গণহত্যা/লাশ গুম ইত্যাদি ধরনের গুজবকে সম্পূর্ণ অসত্য, মনগড়া ও অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উল্লেখ করা হয়।
এতে বলা হয়, অনিবন্ধিত সংগঠন হেফাজতে ইসলাম পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত করার কথা বলে ৫ মে বেলা ২টা থেকে শাপলা চত্বরে তাদের নেতা হাটহাজারী মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আহমদ শফির নেতৃত্বে দোয়া কর্মসূচি পালনের অনুমতি চায়। পূর্ব ঘোষিত এ কর্মসূচিতে ঢাকা শহরের ভেতর কোনো সভা-সমাবেশ করার কার্যক্রম না থাকলেও সরকার গণতান্ত্রিক উদারতার পরিচয় দিয়ে হেফাজতকে শর্ত সাপেক্ষে সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত দোয়া কর্মসূচি পালনের অনুমতি দেয়।
আরও বলা হয়, কর্মসূচির প্রথম থেকেই তারা ঢাকার চারপাশে ৬টি পয়েন্টে অবরোধ স্থাপন করে শহরে ঢুকে ও শাপলা চত্বরে অবস্থান নিতে থাকে। সেই সঙ্গে বায়তুল মোকাররম এলাকায় জমায়েত হয়ে কর্তব্যরত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে জড়ায়। এক পর্যায়ে পুরানা পল্টনে কমিউনিস্ট পার্টির অফিস, মুক্তি ভবন লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। পবিত্র কোরআন শরিফের স্টলে আগুন দিয়ে জায়নামাজ, তসবি ও টুপির দোকান এবং অন্যান্য ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী দোকান পুড়িয়ে দিয়ে শত শত নিরীহ কর্মজীবী মানুষকে সর্বশান্ত করে। হাউস বিল্ডিং ফাইনান্স করপোরেশন কার্যালয়ের ১১টি গাড়ি ও ডিসি (ট্রাফিক) পূর্ব জোন অফিসে আগুন দেয়। তারা আওয়ামী লীগ অফিসে হামলা চালাতে উদ্যত হয় এবং গোলাপ শাহ মাজারে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। জনতা ব্যাংকের করপোরেট শাখা, ইস্টার্ন ব্যাংক ও ব্যাংক এশিয়ায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। মতিঝিলে সরকারি কর্মচারি কল্যাণ বোর্ডের বাস ডিপোতে কয়েক ডজন বাস পুড়িয়ে দেয়।
প্রেস নোটে আরও বলা হয়, নজিরবিহীন লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের সময়ই আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে হেফাজতে ইসলামকে নৈরাজ্য বন্ধ করে সন্ধ্যার আগেই প্রতিশ্রুতি মতো শান্তিপূর্ণভাবে সরে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু হেফাজতের নেতারা তাতে কর্ণপাত না করে বেআইনী অবস্থান কার্যক্রম বেপরোয়াভাবে চালিয়ে যেতে থাকে। শেষ বিকেলে হেফাজতের নেতা আহমদ শফি তার লালবাগ মাদ্রাসা থেকে শাপলা চত্বরের সমাবেশ স্থলে রওয়ানা হন। কিন্তু কিছুদূর এসেই তিনি বিএনপির উচ্চ পর্যায় থেকে ফোন পেয়ে শাপলা চত্বরে না এসে ফিরে যান। রাতে বিএনপির নীতি নির্ধারকদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করে খালেদা জিয়া তাদের নেতাকর্মীদের হেফাজতে ইসলামের কর্মসূচিতে সক্রিয় অংশগ্রহণের আনুষ্ঠানিক নির্দেশ দেন এবং ঢাকা নগরবাসীকে হেফাজত কর্মীদের সাহায্য করার আহ্বান জানান। যদিও ঘটনার শুরু থেকেই বিএনপি ও জামায়াত শিবির কর্মীরা নৈরাজ্যকর কার্যক্রমের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিল বলে জানা যায়।
প্রেস নোটে উল্লেখ করা হয়, অনন্যোপায় হয়ে রাত প্রায় ২টায় ঢাকা মহানগর পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি যৌথ অভিযান শুরু করে। অভিযানে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার না করে জলকামান, সাউন্ড গ্রেনেড ও রাবার বুলেট ব্যবহার করা হয়। অভিযানের শুরুতেই মাইকে একাধিকবার সতর্ক করে সকলকে চলে যাবার জন্য আহ্বান জানানো হয়। আরামবাগ ও দৈনিক বাংলা মোড় থেকে শাপলা চত্বরমুখী সড়ক দিয়ে নিরাপত্তা বাহিনী এগুতে থাকে এবং ইত্তেফাক মোড়ের সামনের রাস্তা খোলা রেখে জনতাকে নিরাপদে সরে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়। অভিযান শুরুর ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে অবস্থানরত জনতা শাপলা চত্বর ছেড়ে সায়দাবাদ-যাত্রাবাড়ীর পথে সরে যায়। অভিযানকালে মঞ্চের পাশে কাফনের কাপড়ে মোড়ানো ৪টি মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সারাদিন বিভিন্ন পর্যায়ের সংঘাতে ৩ জন পথচারি, একজন পুলিশ সদস্যসহ মোট ১১ জন নিহত হন।
অভিযানে হাজার হাজার লোক প্রাণ হারিয়েছে বলে যে গুজব ছড়ানো হয়েছে তাকে সম্পূর্ণ অসত্য, মনগড়া ও অসৎউদ্দেশ্য প্রণোদিত উল্লেখ করে প্রেস নোটে বলা হয়, অবাধ তথ্য প্রবাহ ও ব্যাপক তথ্যপ্রযুক্তির যুগে হাজার হাজার লোক হত্যা করে লাশ গুম করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। এতো প্রাণহানি হয়ে থাকলে নিশ্চয়ই নিহতদের পরিবার পরিজন, আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব প্রিয়জনদের সন্ধানে তৎপরতা চালাতেন এবং গণমাধ্যমে তা প্রকাশ পেত। কিন্তু এ ক্ষেত্রে একটি উদাহরণও কোনো মহল থেকে হাজির করা হয়নি।
এতে বলা হয়, অভিযান কার্যক্রম পরিচালনার সময় টিভি ও স্টিল ক্যামেরাসহ বিপুল সংখ্যক সংবাদকর্মী উপস্থিত ছিলেন, উঁচু ভবন থেকে বহুলোক ঘটনা দেখেছেন ও ছবি তুলেছেন। কিন্তু কোথাও মারাত্মক আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের দৃশ্য দেখা যায়নি। বরং বাস্তবতা হলো, সুশৃঙ্খল আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সুচিন্তিত পরিকল্পনা অনুযায়ী অপরিসীম ধৈর্য ও কঠোর সংযমের সঙ্গে পুরো অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন গলিতে ও ভবনের ফাঁকে যারা আশ্রয় নিয়েছিল, তাদের অভয় দিয়ে যত্নের সঙ্গে উদ্ধার করে নিরাপদে সরে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেয়।
প্রেস নোটে আরোও জানানো হয়, ৬ মে ভোর থেকেই তারা ও বিএনপি জামায়াত কর্মীরা ঢাকা চট্টগ্রাম রোডে ব্যারিকেড দিয়ে কাঁচপুর, সাইনবোর্ড, শিমরাইল, সানার পাড়, কোয়েত মার্কেট ও মাদানী নগর এলাকায় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করে। তারা মসজিদের মাইকে গুজব ছড়িয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপর আক্রমণ করে। এতে দু’জন পুলিশ ও দু’জন বিজিবি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ে সহিংসতায় ১৩ জন মারা যায়। ঘটনা আরও চরম আকার ধারণ করলে বেশি সংখ্যক ফোর্স সমাবেশ ঘটিয়ে আন্দোলনকারীদেরকে সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
No comments