ফল নিয়ে আগাম কিছু বলাকঠিন
পাকিস্তানে আগের যেকোনো নির্বাচনের চেয়ে এবারের নির্বাচন ভিন্ন। দেশটির ইতিহাসে এই প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত কোনো সরকার মেয়াদ শেষে নির্বাচিত কোনো দলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে—শুধু এ কারণে নয়, কয়েক দশক ধরে প্রধান দুই দলের সঙ্গে সেনাবাহিনী শাসনব্যবস্থায় যে প্রভাব বিস্তার করত, এবার সেটা অনেকটা কমে এসেছে। এবারের নির্বাচনে পাঁচটি নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। ইমরান খান: সাবেক ক্রিকেট তারকা থেকে রাজনীতিবিদ বনে যাওয়া ইমরান খান নির্বাচনে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন। সমাবেশের মঞ্চে ওঠার সময় লিফট থেকে পড়ে আহত হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি ব্যাপক আলোড়ন সষ্টি করেন। এমনকি এক দিনে সাতটি সমাবেশও করেন তিনি। সরকারি কর্মকর্তারাও বলছেন, দেশের জনমত জরিপ সংস্থার তথ্য অনুসারে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) বেশ কিছু আসনে জয়ী হবে। নতুন ভোটার: বর্তমানে পাকিস্তানে ভোটারের সংখ্যা সাড়ে আট কোটির মতো। এর মধ্যে গত নির্বাচনের পর নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা থেকে তিন কোটি ৭০ লাখ ভুয়া ভোটার বাদ দিয়েছে এবং নতুন করে তিন কোটি ৬০ লাখ মানুষকে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। তালেবানের হুমকি: পাকিস্তানে নির্বাচনী প্রচারণার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তালেবানের হামলার ঘটনা বাড়ছে। এসব ঘটনায় শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে। নির্বাচনের দিন তারা হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে। শক্তিশালী বিচার বিভাগ: অতীতে পাকিস্তানে ক্ষমতাসীন দলের প্রতি বিচারকদের অনুগত থাকার একটা ঝোঁক ছিল। তবে এখন আর সেই অবস্থা নেই। বিচার বিভাগ সরাসরি রাজনীতিবিদ এমনকি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধেও শক্ত অবস্থান নিয়েছে। শক্তিশালী গণমাধ্যম: পাকিস্তানে যেকোনো সময়ের চেয়ে গণমাধ্যম এখন অনেক শক্তিশালী। কোনো কিছু আড়াল করা এখন খুবই কঠিন।
No comments