কে এই রেশমা by জাহাঙ্গীর সুমন ও ওমর ফারুক
তিন বছর আগে কাজের সন্ধানে দিনাজপুর থেকে
ঢাকায় আসেন রেশমা। জীবিকার তাগিদে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কারখানায় কাজ
করেছেন তিনি। স্বামী রাজ্জাকের সঙ্গে একসাথে সাভার বাজার রোডের নুর
মোহাম্মদের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
কিন্তু স্বামীর সঙ্গে
বনিবনা না হওয়ায় সাত মাস আগে আলাদা হয়ে যান তারা। অবশেষে এপ্রিল মাসের ২
তারিখে রানা প্লাজার তৃতীয় তলার নিউ ওয়েভ বটমস লিমিটেড কারখানায় অপারেটর
হিসেবে কাজে যোগ দেন রেশমা।
ঘটনার দিন ২৪ এপ্রিল ভবন ধসে পড়ার তিন মিনিট আগেও ফোনে কথা বলেন বাড়িওয়ালী হাজেরা বেগমের সাথে। তাকে রেশমা বলেন, “আজ কাজে না আসলে বেতন দিবে না, তাই কাজে আসছি।”
এর কিছুক্ষণ পরই ধসে পড়ে রানা প্লাজা। বাড়িওয়ালী হাজেরা বেগম জানান, যে মোবাইল দিয়ে কল করেছিলেন রেশমা, সেই মোবাইলে কল করে তাকে আর পাওয়া যায়নি। ফোনটি ধরেছিল এনামুল নামের অপর এক শ্রমিক। পরবর্তীতে আরও কয়েকবার সেই নম্বরে ফোন দিলেও ওই শ্রমিক আর ফোন ধরেননি।
ভবন ধসের ১৭ দিন পর ৩য় তলার নিউ ওয়েভ বটমস লিমিটেড কারখানা থেকে তাকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
রেশমা দিনাজপুর জেলার ঘোরাঘাট থানার কুসিবাড়ী গ্রামের মৃত আনসার আলীর মেয়ে। দুই ভাই তিন বোনের মধ্যে সবার ছোট তিনি। তার বড় ভাই জাহিদুল গ্রামের বাড়িতে ভাঙ্গারির ব্যবসা করেন। আরেক ভাই সাদেকুল গ্রামে কৃষিকাজ করেন। বড় বোন আছমা সাভারের রাজাশন রোডে জিকে গার্মেন্টস কারখানায় কাজ করেন। আরেক বোন ফাতেমা থাকেন গ্রামের বাড়িতে।
রেশমার বড় ভাই জাহিদুল বাংলানিউজকে বলেন, “১৭ দিন ধরে বোনের সন্ধানে সাভার রানা প্লাজার সামনে অধর চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ, সাভার সিএমএইচসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ঘুরে বেড়িয়েছি, কিন্তু কোথাও আমার বোনের সন্ধান পাইনি। সবশেষে সিদ্ধান্ত নিই, বোনের মৃতদেহ না পেলে অন্তত দুয়েকটি হাড় হলেও গ্রামে নিয়ে কবর দিবো। এজন্যই মাকে নিয়ে সাভার অধর চন্দ্র স্কুল মাঠে অপেক্ষা করছিলাম।”
তিনি বলেন, “দুপুর তিনটার দিকে আমার মা বলল একটু পান খাবে। আমি পান আনার জন্য দোকানে গেলে টিভিতে শুনতে পাই রেশমা নামে জীবিত একজনের সন্ধান পেয়েছে উদ্ধারকারীরা। সঙ্গে সঙ্গে আমি দৌড়ে রানা প্লাজার সামনে ছুটে আসি। কিভাবে আসি, নিজেও বলতে পারবো না। দৌড়ানোর সময় আমার জুতাজোড়াও পড়ে হারিয়ে গেছে।”
বোনকে জীবিত ফিরে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন জাহিদুল। কথা বলার ভাষাও হারিয়ে ফেলেন।
এদিকে রেশমার উদ্ধারকারী ফায়ার সার্ভিসের ভলান্টিয়ার ফেরদৌস বাংলানিউজকে জানান, উদ্ধারের সময় রেশমার পায়ের চামড়া নরম হয়ে গিয়েছিল। রেশমা যে জায়গাটায় ছিল, তার আশেপাশে অনেক মেশিন ও যন্ত্রপাতি ছিল বলে সে জানিয়েছে। এছাড়া অনেক মৃতদেহও পড়ে ছিল। পরে প্রায় ৩০ মিনিট চেষ্টার পর তাকে উদ্ধার করে সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও অন্যান্য উদ্ধার কর্মীরা।
ঘটনার দিন ২৪ এপ্রিল ভবন ধসে পড়ার তিন মিনিট আগেও ফোনে কথা বলেন বাড়িওয়ালী হাজেরা বেগমের সাথে। তাকে রেশমা বলেন, “আজ কাজে না আসলে বেতন দিবে না, তাই কাজে আসছি।”
এর কিছুক্ষণ পরই ধসে পড়ে রানা প্লাজা। বাড়িওয়ালী হাজেরা বেগম জানান, যে মোবাইল দিয়ে কল করেছিলেন রেশমা, সেই মোবাইলে কল করে তাকে আর পাওয়া যায়নি। ফোনটি ধরেছিল এনামুল নামের অপর এক শ্রমিক। পরবর্তীতে আরও কয়েকবার সেই নম্বরে ফোন দিলেও ওই শ্রমিক আর ফোন ধরেননি।
ভবন ধসের ১৭ দিন পর ৩য় তলার নিউ ওয়েভ বটমস লিমিটেড কারখানা থেকে তাকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
রেশমা দিনাজপুর জেলার ঘোরাঘাট থানার কুসিবাড়ী গ্রামের মৃত আনসার আলীর মেয়ে। দুই ভাই তিন বোনের মধ্যে সবার ছোট তিনি। তার বড় ভাই জাহিদুল গ্রামের বাড়িতে ভাঙ্গারির ব্যবসা করেন। আরেক ভাই সাদেকুল গ্রামে কৃষিকাজ করেন। বড় বোন আছমা সাভারের রাজাশন রোডে জিকে গার্মেন্টস কারখানায় কাজ করেন। আরেক বোন ফাতেমা থাকেন গ্রামের বাড়িতে।
রেশমার বড় ভাই জাহিদুল বাংলানিউজকে বলেন, “১৭ দিন ধরে বোনের সন্ধানে সাভার রানা প্লাজার সামনে অধর চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ, সাভার সিএমএইচসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ঘুরে বেড়িয়েছি, কিন্তু কোথাও আমার বোনের সন্ধান পাইনি। সবশেষে সিদ্ধান্ত নিই, বোনের মৃতদেহ না পেলে অন্তত দুয়েকটি হাড় হলেও গ্রামে নিয়ে কবর দিবো। এজন্যই মাকে নিয়ে সাভার অধর চন্দ্র স্কুল মাঠে অপেক্ষা করছিলাম।”
তিনি বলেন, “দুপুর তিনটার দিকে আমার মা বলল একটু পান খাবে। আমি পান আনার জন্য দোকানে গেলে টিভিতে শুনতে পাই রেশমা নামে জীবিত একজনের সন্ধান পেয়েছে উদ্ধারকারীরা। সঙ্গে সঙ্গে আমি দৌড়ে রানা প্লাজার সামনে ছুটে আসি। কিভাবে আসি, নিজেও বলতে পারবো না। দৌড়ানোর সময় আমার জুতাজোড়াও পড়ে হারিয়ে গেছে।”
বোনকে জীবিত ফিরে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন জাহিদুল। কথা বলার ভাষাও হারিয়ে ফেলেন।
এদিকে রেশমার উদ্ধারকারী ফায়ার সার্ভিসের ভলান্টিয়ার ফেরদৌস বাংলানিউজকে জানান, উদ্ধারের সময় রেশমার পায়ের চামড়া নরম হয়ে গিয়েছিল। রেশমা যে জায়গাটায় ছিল, তার আশেপাশে অনেক মেশিন ও যন্ত্রপাতি ছিল বলে সে জানিয়েছে। এছাড়া অনেক মৃতদেহও পড়ে ছিল। পরে প্রায় ৩০ মিনিট চেষ্টার পর তাকে উদ্ধার করে সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও অন্যান্য উদ্ধার কর্মীরা।
No comments