কম্পানিতে প্রশাসক নিয়োগ-এ ধরনের আইন ব্যক্তি খাতে ধস নামাবে
যেকোনো কম্পানিতে প্রশাসক নিয়োগের ক্ষমতা রেখে সরকার ১৯৯৪ সালের কম্পানি আইন সংস্কারের যে উদ্যোগ নিয়েছে, ব্যবসায়ী নেতারা তার বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাঁরা সরকারের এই উদ্যোগকে 'অগণতান্ত্রিক এবং নিয়ন্ত্রণমূলক' বলে আখ্যায়িত করেছেন।
অন্যদিকে দেশের বিশিষ্ট আইনজীবীরাও সরকারের এই উদ্যোগকে অপ্রয়োজনীয় বলে মনে করছেন। এটি আইনে পরিণত হলে তার অপপ্রয়োগেরও আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। অবশ্য এসব আশঙ্কা ও সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে আইনমন্ত্রী ও বাণিজ্যসচিব আলাদাভাবে বলেছেন, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা না করে কোনো আইন পাস করা হবে না এবং ভবিষ্যতে আইনটির কোনো ধরনের অপপ্রয়োগ যাতে না হতে পারে, সে ব্যাপারে যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করা হবে।
মূলত মাল্টিলেভেল মার্কেটিং কম্পানি ডেসটিনির অনিয়ম-দুর্নীতির পরিপ্রেক্ষিতে এবং কম্পানির পদস্থ কর্মকর্তারা গ্রেপ্তার হওয়ার কারণে সেখানে দ্রুত প্রশাসক নিয়োগের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। প্রায় একই রকম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে হলমার্ক গ্রুপেও। এসব কম্পানির হাজার হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী চরম অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছেন। সেখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষার প্রয়োজনেই প্রশাসক নিয়োগের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলোকে চালু রাখতে হবে। কিন্তু সে জন্য যেকোনো কম্পানিতে প্রশাসক নিয়োগের সুযোগ রেখে আইন সংশোধনের কোনো প্রয়োজন আছে কি? ভবিষ্যতে এর অপব্যবহারের ব্যাপারে ব্যবসায়ী নেতাদের আশঙ্কার সঙ্গে একমত পোষণ করে দেশের বিশিষ্ট আইনজীবীরা বলেছেন, কোনো কম্পানির ব্যাপক অনিয়মের ক্ষেত্রে বিদ্যমান আইনের মাধ্যমেই প্রশাসক নিয়োগ করা সম্ভব এবং ডেসটিনিতেও প্রশাসক নিয়োগ করা যেতে পারে। তার জন্য যেকোনো কম্পানিতে প্রশাসক নিয়োগের সুযোগ রেখে আইন সংশোধনের কোনো প্রয়োজন নেই। ব্যবসায়ী নেতারা আশঙ্কা করছেন, কখনো না কখনো এর অপব্যবহার হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যাবে। তা ছাড়া দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে ও বিনিয়োগের ওপর এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে। বিদেশি বিনিয়োগও নিরুৎসাহী হবে। আইনের খসড়া সংশোধনীটি গত সোমবার মন্ত্রিসভায় নীতিগত অনুমোদন লাভ করার পর পরই এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। যদিও এর পরিপ্রেক্ষিতে আইনমন্ত্রী ও বাণিজ্যসচিব ব্যবসায়ীদের আশ্বস্ত করে বলেছেন, তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করেই সংশোধনী চূড়ান্ত করা হবে। মন্ত্রিসভায় নীতিগত অনুমোদনের আগেই এ কাজটি করলে আরো ভালো হতো নাকি?
আইন প্রণয়নে আমাদের দক্ষতা এবং বাস্তবায়নে চরম অদক্ষতা সারা পৃথিবীতেই একটি ব্যাপক আলোচিত বিষয়। বিদ্যমান আইন অনুযায়ী কোনো কম্পানি রিটার্ন দাখিল না করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের এবং জেল-জরিমানার বিধান রয়েছে। কিন্তু গত ৪০ বছরেও তার কোনো বাস্তবায়ন দেখা যায়নি। ডেসটিনির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু কম্পানিটি ১২ বছর ধরেই অভিযুক্ত ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। এত দিন বিদ্যমান আইনে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে আমাদের জানা নেই। অনেক কম্পানি আছে, যারা নিয়মিত তাদের রিটার্ন জমা দিচ্ছে না। তাদের বিরুদ্ধেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। আইনের যথার্থ প্রয়োগ না করে ব্যক্তিমালিকানাধীন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হঠাৎ করে প্রশাসক বসানোর বিধান করা হচ্ছে কেন? তদুপরি প্রশাসকদের কাজকর্মের দায়মুক্তি দেওয়া হলে তার পরিণাম কতটা ভয়াবহ হবে, যাঁরা আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছেন তাঁরা সে বিষয়টি ভেবে দেখেছেন কি? এটি নিশ্চিতভাবে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে ধস নামাবে। বিনিয়োগকে নিরুৎসাহ করবে। দেশের বিকাশমান অর্থনীতিকে পশ্চাতে ঠেলে দেবে। এমন আইন আমাদের কাম্য নয়। আমরা আশা করি, এ ব্যাপারে সরকারের শীর্ষ ব্যক্তিরা যথার্থ বিচক্ষণতার পরিচয় দেবেন।
মূলত মাল্টিলেভেল মার্কেটিং কম্পানি ডেসটিনির অনিয়ম-দুর্নীতির পরিপ্রেক্ষিতে এবং কম্পানির পদস্থ কর্মকর্তারা গ্রেপ্তার হওয়ার কারণে সেখানে দ্রুত প্রশাসক নিয়োগের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। প্রায় একই রকম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে হলমার্ক গ্রুপেও। এসব কম্পানির হাজার হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী চরম অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছেন। সেখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষার প্রয়োজনেই প্রশাসক নিয়োগের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলোকে চালু রাখতে হবে। কিন্তু সে জন্য যেকোনো কম্পানিতে প্রশাসক নিয়োগের সুযোগ রেখে আইন সংশোধনের কোনো প্রয়োজন আছে কি? ভবিষ্যতে এর অপব্যবহারের ব্যাপারে ব্যবসায়ী নেতাদের আশঙ্কার সঙ্গে একমত পোষণ করে দেশের বিশিষ্ট আইনজীবীরা বলেছেন, কোনো কম্পানির ব্যাপক অনিয়মের ক্ষেত্রে বিদ্যমান আইনের মাধ্যমেই প্রশাসক নিয়োগ করা সম্ভব এবং ডেসটিনিতেও প্রশাসক নিয়োগ করা যেতে পারে। তার জন্য যেকোনো কম্পানিতে প্রশাসক নিয়োগের সুযোগ রেখে আইন সংশোধনের কোনো প্রয়োজন নেই। ব্যবসায়ী নেতারা আশঙ্কা করছেন, কখনো না কখনো এর অপব্যবহার হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যাবে। তা ছাড়া দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে ও বিনিয়োগের ওপর এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে। বিদেশি বিনিয়োগও নিরুৎসাহী হবে। আইনের খসড়া সংশোধনীটি গত সোমবার মন্ত্রিসভায় নীতিগত অনুমোদন লাভ করার পর পরই এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। যদিও এর পরিপ্রেক্ষিতে আইনমন্ত্রী ও বাণিজ্যসচিব ব্যবসায়ীদের আশ্বস্ত করে বলেছেন, তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করেই সংশোধনী চূড়ান্ত করা হবে। মন্ত্রিসভায় নীতিগত অনুমোদনের আগেই এ কাজটি করলে আরো ভালো হতো নাকি?
আইন প্রণয়নে আমাদের দক্ষতা এবং বাস্তবায়নে চরম অদক্ষতা সারা পৃথিবীতেই একটি ব্যাপক আলোচিত বিষয়। বিদ্যমান আইন অনুযায়ী কোনো কম্পানি রিটার্ন দাখিল না করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের এবং জেল-জরিমানার বিধান রয়েছে। কিন্তু গত ৪০ বছরেও তার কোনো বাস্তবায়ন দেখা যায়নি। ডেসটিনির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু কম্পানিটি ১২ বছর ধরেই অভিযুক্ত ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। এত দিন বিদ্যমান আইনে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে আমাদের জানা নেই। অনেক কম্পানি আছে, যারা নিয়মিত তাদের রিটার্ন জমা দিচ্ছে না। তাদের বিরুদ্ধেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। আইনের যথার্থ প্রয়োগ না করে ব্যক্তিমালিকানাধীন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হঠাৎ করে প্রশাসক বসানোর বিধান করা হচ্ছে কেন? তদুপরি প্রশাসকদের কাজকর্মের দায়মুক্তি দেওয়া হলে তার পরিণাম কতটা ভয়াবহ হবে, যাঁরা আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছেন তাঁরা সে বিষয়টি ভেবে দেখেছেন কি? এটি নিশ্চিতভাবে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে ধস নামাবে। বিনিয়োগকে নিরুৎসাহ করবে। দেশের বিকাশমান অর্থনীতিকে পশ্চাতে ঠেলে দেবে। এমন আইন আমাদের কাম্য নয়। আমরা আশা করি, এ ব্যাপারে সরকারের শীর্ষ ব্যক্তিরা যথার্থ বিচক্ষণতার পরিচয় দেবেন।
No comments