বাড়ি ফেরার বিড়ম্বনা-তবু আনন্দ যেন সবার হয়
মা-বাবা কিংবা আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে একত্রে পবিত্র ঈদ উদ্যাপনের জন্য গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ছে মানুষ। লঞ্চ, ট্রেন কিংবা গাড়ি- কোথাও তিলধারণের জায়গা নেই। তার চেয়ে লক্ষণীয় ঘরমুখো মানুষের পথের ভোগান্তি।
উত্তরবঙ্গের কুড়িগ্রাম, নীলফামারী কিংবা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে- যেখানে ছয় থেকে আট ঘণ্টায় যাওয়া যায়, সেখানে ১৮ ঘণ্টা পর্যন্ত লেগে যাচ্ছে পৌঁছাতে। এ বছর বাস ও ট্রেনের অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করতে যাত্রীদের ভোগান্তি অন্য বছরের তুলনায় কিছু কম হলেও পথের ভোগান্তি বেড়েছে আগের তুলনায় অনেক বেশি। গাবতলী বাস টার্মিনালে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থেকেও যাত্রীরা জানতে পারছেন না, কখন আসবে তাঁদের বাস। কিংবা ট্রেনের জন্য কমলাপুর রেলওয়ে জংশনে বসে থেকেও বলতে পারছেন না, কখন একজন যাত্রী পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে মিলতে পারবেন। তার পরও রয়েছে ভিড়ের যন্ত্রণা। অধিক যাত্রী বহনের জন্য লঞ্চগুলো ঠাসাঠাসি করে যাত্রী তুলছে। যাত্রীদের সুবিধার কথা বলে রেলওয়ে দাঁড়ানোর টিকিট বিক্রি করছে হিসাব ছাড়া। তারপর আছে বিনা টিকিটের যাত্রী।
এমন পরিস্থিতিতেও যোগাযোগমন্ত্রীর মুখ থেকে শোনা যাচ্ছে আশ্বাসবাণী। বলছেন, আগের চেয়ে রাস্তার অবস্থা অনেক ভালো। যাত্রীদের নিরাপদে বাড়ি যাওয়ার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছে রেলওয়ে- এমন কথাও বলছেন রেলমন্ত্রী। নৌ-পরিবহন মন্ত্রীও বলছেন একই রকম কথা। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্নতর। দূরপাল্লার গাড়িগুলো ঢাকা ছেড়ে যেতেই কাটিয়ে দিচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। পথের বিলম্বকেও কিভাবে মেনে নেওয়া যায়?
ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে যাত্রীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় রাস্তা সরু হওয়ার কারণে। এ অবস্থা চট্টগ্রাম প্রান্ত কিংবা ঢাকা প্রান্ত- সবখানেই এক। অথচ এই সরকার ক্ষমতায় আসার আগে ঘোষণা দিয়েছিল, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ককে চার লেনবিশিষ্ট করা হবে। সেই অনুযায়ী তারা কাজও শুরু করেছিল। কিন্তু এই কাজের গতিকে মন্থর বললেও কম বলা হবে। এখন পর্যন্ত এই কাজের এক-তৃতীয়াংশও সমাপ্ত হয়নি। ফলে কখনো কখনো এই পথে যানজট ৫০ কিলোমিটারেরও বেশি দীর্ঘ হয়ে যায়। এই দুর্ভোগ লাঘবের কোনো উপায় নেই এই ঈদে।
মহাসড়কে এবার গরুর বাজার বসবে না বলে আগেই ঘোষণা করেছিল সরকার। কিন্তু শত ভাগ সফল নয় এ ক্ষেত্রেও। তবে অন্য বছরের তুলনায় কিছুটা উন্নতি লক্ষণীয়। কিন্তু রাস্তা সরু ও চালকদের অদক্ষতার কারণে অধিকাংশ পথে দীর্ঘ যানজট দুর্দশা বাড়িয়ে দিয়েছে। মহাসড়কে যানজট নিয়ন্ত্রণের জন্য হাইওয়ে পুলিশ থাকলেও ঈদের চাপ সামাল দেওয়ার মতো কোনো ক্ষমতা তাদের নেই। এমনও দেখা যায়, হাইওয়ে পুলিশের গাড়িই জ্যামে পড়ে নাকানিচুবানি খাচ্ছে। সুতরাং কে সামলাবে যানজট, তা-ই প্রশ্ন আকারে দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থায় এই দুর্ভোগ নির্মূল করা সম্ভব না হলেও কর্তৃপক্ষীয় সজাগ দৃষ্টির মাধ্যমে কিছুটা কমিয়ে আনা সম্ভব।
এমন পরিস্থিতিতেও যোগাযোগমন্ত্রীর মুখ থেকে শোনা যাচ্ছে আশ্বাসবাণী। বলছেন, আগের চেয়ে রাস্তার অবস্থা অনেক ভালো। যাত্রীদের নিরাপদে বাড়ি যাওয়ার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছে রেলওয়ে- এমন কথাও বলছেন রেলমন্ত্রী। নৌ-পরিবহন মন্ত্রীও বলছেন একই রকম কথা। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্নতর। দূরপাল্লার গাড়িগুলো ঢাকা ছেড়ে যেতেই কাটিয়ে দিচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। পথের বিলম্বকেও কিভাবে মেনে নেওয়া যায়?
ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে যাত্রীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় রাস্তা সরু হওয়ার কারণে। এ অবস্থা চট্টগ্রাম প্রান্ত কিংবা ঢাকা প্রান্ত- সবখানেই এক। অথচ এই সরকার ক্ষমতায় আসার আগে ঘোষণা দিয়েছিল, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ককে চার লেনবিশিষ্ট করা হবে। সেই অনুযায়ী তারা কাজও শুরু করেছিল। কিন্তু এই কাজের গতিকে মন্থর বললেও কম বলা হবে। এখন পর্যন্ত এই কাজের এক-তৃতীয়াংশও সমাপ্ত হয়নি। ফলে কখনো কখনো এই পথে যানজট ৫০ কিলোমিটারেরও বেশি দীর্ঘ হয়ে যায়। এই দুর্ভোগ লাঘবের কোনো উপায় নেই এই ঈদে।
মহাসড়কে এবার গরুর বাজার বসবে না বলে আগেই ঘোষণা করেছিল সরকার। কিন্তু শত ভাগ সফল নয় এ ক্ষেত্রেও। তবে অন্য বছরের তুলনায় কিছুটা উন্নতি লক্ষণীয়। কিন্তু রাস্তা সরু ও চালকদের অদক্ষতার কারণে অধিকাংশ পথে দীর্ঘ যানজট দুর্দশা বাড়িয়ে দিয়েছে। মহাসড়কে যানজট নিয়ন্ত্রণের জন্য হাইওয়ে পুলিশ থাকলেও ঈদের চাপ সামাল দেওয়ার মতো কোনো ক্ষমতা তাদের নেই। এমনও দেখা যায়, হাইওয়ে পুলিশের গাড়িই জ্যামে পড়ে নাকানিচুবানি খাচ্ছে। সুতরাং কে সামলাবে যানজট, তা-ই প্রশ্ন আকারে দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থায় এই দুর্ভোগ নির্মূল করা সম্ভব না হলেও কর্তৃপক্ষীয় সজাগ দৃষ্টির মাধ্যমে কিছুটা কমিয়ে আনা সম্ভব।
No comments