মেসিদের স্বাগত জানাল বিশ্বকাপ ক্রিকেট!
বিশ্বকাপ ক্রিকেট কি তাহলে এখনো শেষ হয়নি! নাকি আর্জেন্টিনা-নাইজেরিয়া ম্যাচটাই গেল পিছিয়ে!
কাল সকালে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি গেটে গিয়ে ধাক্কাই খেতে হলো। আর্জেন্টিনা আর নাইজেরিয়া দল আজই (গতকাল) আসছে তো? ভিআইপি গেটের ওপর এখনো লাগানো ২০১১ বিশ্বকাপ ক্রিকেটের বিশাল বিলবোর্ড। মেসিদের ঢাকায় আসার দিনও ফুটবলের মোড়কে সেটা ঢাকা গেল না? ঐতিহাসিক এই ম্যাচ কোথায় পুরো ঢাকাতেই ফুটবলের আমেজ ছড়াবে তা নয়, বিমানবন্দরেই কোনো চিহ্ন নেই! না একটা পতাকা, না মেসি বা আর কারও প্রতিকৃতি, পোস্টার বা অন্যকিছু। তা-ও ভালো, উৎ সাহী আর্জেন্টিনা-ভক্তরা কিছু আকাশি-সাদা পতাকা ওড়ালেন। মেসি-মেসি বলে চেঁচালেন। হাত নাড়লেন। তাঁদের সৌজন্যেই ঢাকায় পা দিয়ে মেসি-হিগুইনরা জানলেন, এ দেশের মানুষ তাঁদের চেনে। আর্জেন্টিনা দলের সমর্থক আছে বাংলাদেশেও।
সৌজন্য দেখিয়ে দুপুরের সংবাদ সম্মেলনে আর্জেন্টাইন কোচ বাংলাদেশের আতিথেয়তার প্রশংসা করলেও আজকের প্রীতি ম্যাচ নিয়ে নিরুত্তাপ আর বর্ণহীন ঢাকা বোধহয় বিস্মিতই করেছে আর্জেন্টিনার সাংবাদিকদের। তাঁরা যে ঢাকায় এসেছেন কলকাতা হয়ে! ‘কলকাতার মানুষ তো পাগল হয়ে গিয়েছিল। এয়ারপোর্টে ছিল হাজার হাজার মানুষ। হোটেলের সামনে ভিড় লেগেই ছিল। মেসি-মেসি বলে চিৎ কার, মোটরসাইকেল মিছিল—কি হয়নি!’—রূপসী বাংলা হোটেলে দাঁড়িয়ে বলছিলেন এক আর্জেন্টাইন সাংবাদিক।
আর্জেন্টিনা আসছে। সকাল সকালই তাই বিমানবন্দরে সাংবাদিক-সমর্থকদের ভিড় জমে গেল। কিন্তু কখন আসছে আর্জেন্টিনা, সেটা রহস্য হয়ে থাকল বেলা ১১টা ৫ মিনিটে মেসিদের উড়িয়ে আনা বিমানটি রানওয়েতে নামা পর্যন্ত। সকাল থেকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কেউ বলছেন, আর্জেন্টিনা আসবে ১০টায়। কেউ বলছেন সাড়ে ১০টায়। এলোমেলো খবর উড়ল নাইজেরিয়া দলের আসার সময় নিয়েও। শেষ পর্যন্ত তারা এল বেলা ৩টা ১০ মিনিটে। তবে স্বপ্নের আর্জেন্টিনা দলের জন্য এমন অপেক্ষায় ক্লান্তি আসেনি কারও। ভিআইপি গেটের দিকে যাওয়া রাস্তার পাশে দাঁড়ানো সমর্থকদের মধ্যে তখন কত না কল্পনা! পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় সবার মুখে শোনা গেল একটা নামই—মেসি! বয়সে তরুণ এক ভক্ত কল্পনা করতে চাইলেন মেসির আসার সময়টা কেমন হবে, ‘মেসি যেসুমকালা আইবো...।’ একটু দূরে আরেকজনকে দেখা গেল দাঁড়ানোর জায়গাটা নিয়ে চিন্তিত, ‘এখান থেকে দেখা যাবে তো মেসিকে!’ ঢাকায় নেমে আর্জেন্টিনা দল কঠোর নিরাপত্তার আড়ালে ঢেকে গেলেও বিফলে যায়নি ভক্তদের অপেক্ষা। মেসিকে স্বচক্ষে দেখার স্বপ্নসাধ কালই পূরণ হয়ে গেল অনেকের।
যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে বিমানবন্দর থেকে রূপসী বাংলা হোটেলে আসার পুরো রাস্তাটাই যানশূন্য করে দেওয়া হয়েছিল। সেই সঙ্গে প্রীতি ম্যাচের প্রচারশূন্যও হয়ে থাকল পথটা। কোথাও কোথাও ছিটে-ফোঁটা কিছু ব্যানার-পোস্টার দেখা গেলেও সেসব মেসিদের দৃষ্টি কেড়েছে বলে মনে হয় না। তার চেয়ে বরং আরেকবার প্রমাণিত হলো, বাংলাদেশের আসল শক্তি এ দেশের মানুষ। নিরাপত্তাবেষ্টনীর মধ্যে থেকেই রাস্তার দুই ধার থেকে আর্জেন্টিনা দলকে হাত নেড়ে স্বাগত জানিয়েছে তারা। হয়েছে ‘মেসি মেসি’ খণ্ড মিছিল। মেসি বসেছিলেন বাসের পেছনের দিকের একটি আসনে। পর্দা সরিয়ে কাচের জানালার ভেতর থেকেই হাত নেড়ে, হেসে ভক্ত-সমর্থকদের অভিনন্দনের জবাব দিচ্ছিলেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। মেসিকে এত কাছ থেকে দেখে আবেগ ধরে রাখতে পারেনি অনেকেই। হোটেলের সামনে আসার পর তো তরুণদের একটা দল দৌড়ে বাসের পিছুই নিতে চাইল!
আসলে এত বড় আসর আয়োজনের অভিজ্ঞতা নেই বাফুফের। ত্রুটি-বিচ্যুতি তাই থাকতেই পারে। সবচেয়ে বড় কথা তো এটাই—স্বপ্নের আর্জেন্টিনা দল এখন ঢাকায়! বাংলাদেশে নিঃশ্বাস নিচ্ছেন লিওনেল মেসি!
কাল সকালে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি গেটে গিয়ে ধাক্কাই খেতে হলো। আর্জেন্টিনা আর নাইজেরিয়া দল আজই (গতকাল) আসছে তো? ভিআইপি গেটের ওপর এখনো লাগানো ২০১১ বিশ্বকাপ ক্রিকেটের বিশাল বিলবোর্ড। মেসিদের ঢাকায় আসার দিনও ফুটবলের মোড়কে সেটা ঢাকা গেল না? ঐতিহাসিক এই ম্যাচ কোথায় পুরো ঢাকাতেই ফুটবলের আমেজ ছড়াবে তা নয়, বিমানবন্দরেই কোনো চিহ্ন নেই! না একটা পতাকা, না মেসি বা আর কারও প্রতিকৃতি, পোস্টার বা অন্যকিছু। তা-ও ভালো, উৎ সাহী আর্জেন্টিনা-ভক্তরা কিছু আকাশি-সাদা পতাকা ওড়ালেন। মেসি-মেসি বলে চেঁচালেন। হাত নাড়লেন। তাঁদের সৌজন্যেই ঢাকায় পা দিয়ে মেসি-হিগুইনরা জানলেন, এ দেশের মানুষ তাঁদের চেনে। আর্জেন্টিনা দলের সমর্থক আছে বাংলাদেশেও।
সৌজন্য দেখিয়ে দুপুরের সংবাদ সম্মেলনে আর্জেন্টাইন কোচ বাংলাদেশের আতিথেয়তার প্রশংসা করলেও আজকের প্রীতি ম্যাচ নিয়ে নিরুত্তাপ আর বর্ণহীন ঢাকা বোধহয় বিস্মিতই করেছে আর্জেন্টিনার সাংবাদিকদের। তাঁরা যে ঢাকায় এসেছেন কলকাতা হয়ে! ‘কলকাতার মানুষ তো পাগল হয়ে গিয়েছিল। এয়ারপোর্টে ছিল হাজার হাজার মানুষ। হোটেলের সামনে ভিড় লেগেই ছিল। মেসি-মেসি বলে চিৎ কার, মোটরসাইকেল মিছিল—কি হয়নি!’—রূপসী বাংলা হোটেলে দাঁড়িয়ে বলছিলেন এক আর্জেন্টাইন সাংবাদিক।
আর্জেন্টিনা আসছে। সকাল সকালই তাই বিমানবন্দরে সাংবাদিক-সমর্থকদের ভিড় জমে গেল। কিন্তু কখন আসছে আর্জেন্টিনা, সেটা রহস্য হয়ে থাকল বেলা ১১টা ৫ মিনিটে মেসিদের উড়িয়ে আনা বিমানটি রানওয়েতে নামা পর্যন্ত। সকাল থেকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কেউ বলছেন, আর্জেন্টিনা আসবে ১০টায়। কেউ বলছেন সাড়ে ১০টায়। এলোমেলো খবর উড়ল নাইজেরিয়া দলের আসার সময় নিয়েও। শেষ পর্যন্ত তারা এল বেলা ৩টা ১০ মিনিটে। তবে স্বপ্নের আর্জেন্টিনা দলের জন্য এমন অপেক্ষায় ক্লান্তি আসেনি কারও। ভিআইপি গেটের দিকে যাওয়া রাস্তার পাশে দাঁড়ানো সমর্থকদের মধ্যে তখন কত না কল্পনা! পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় সবার মুখে শোনা গেল একটা নামই—মেসি! বয়সে তরুণ এক ভক্ত কল্পনা করতে চাইলেন মেসির আসার সময়টা কেমন হবে, ‘মেসি যেসুমকালা আইবো...।’ একটু দূরে আরেকজনকে দেখা গেল দাঁড়ানোর জায়গাটা নিয়ে চিন্তিত, ‘এখান থেকে দেখা যাবে তো মেসিকে!’ ঢাকায় নেমে আর্জেন্টিনা দল কঠোর নিরাপত্তার আড়ালে ঢেকে গেলেও বিফলে যায়নি ভক্তদের অপেক্ষা। মেসিকে স্বচক্ষে দেখার স্বপ্নসাধ কালই পূরণ হয়ে গেল অনেকের।
যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে বিমানবন্দর থেকে রূপসী বাংলা হোটেলে আসার পুরো রাস্তাটাই যানশূন্য করে দেওয়া হয়েছিল। সেই সঙ্গে প্রীতি ম্যাচের প্রচারশূন্যও হয়ে থাকল পথটা। কোথাও কোথাও ছিটে-ফোঁটা কিছু ব্যানার-পোস্টার দেখা গেলেও সেসব মেসিদের দৃষ্টি কেড়েছে বলে মনে হয় না। তার চেয়ে বরং আরেকবার প্রমাণিত হলো, বাংলাদেশের আসল শক্তি এ দেশের মানুষ। নিরাপত্তাবেষ্টনীর মধ্যে থেকেই রাস্তার দুই ধার থেকে আর্জেন্টিনা দলকে হাত নেড়ে স্বাগত জানিয়েছে তারা। হয়েছে ‘মেসি মেসি’ খণ্ড মিছিল। মেসি বসেছিলেন বাসের পেছনের দিকের একটি আসনে। পর্দা সরিয়ে কাচের জানালার ভেতর থেকেই হাত নেড়ে, হেসে ভক্ত-সমর্থকদের অভিনন্দনের জবাব দিচ্ছিলেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। মেসিকে এত কাছ থেকে দেখে আবেগ ধরে রাখতে পারেনি অনেকেই। হোটেলের সামনে আসার পর তো তরুণদের একটা দল দৌড়ে বাসের পিছুই নিতে চাইল!
আসলে এত বড় আসর আয়োজনের অভিজ্ঞতা নেই বাফুফের। ত্রুটি-বিচ্যুতি তাই থাকতেই পারে। সবচেয়ে বড় কথা তো এটাই—স্বপ্নের আর্জেন্টিনা দল এখন ঢাকায়! বাংলাদেশে নিঃশ্বাস নিচ্ছেন লিওনেল মেসি!
No comments