হেডলিকে হস্তান্তরের দাবি লোক দেখানো: নারায়ণন
পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল এবং ভারতের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এম কে নারায়ণন বলেছিলেন, ২০০৮ সালের মুম্বাই হামলায় জড়িত ডেভিড কোলম্যান হেডলিকে হস্তান্তরের ভারতীয় দাবি নেহাত লোক দেখানো। ভারত সরকারের নাকি যুক্তরাষ্ট্রে আটক হেডলির ব্যাপারে কোনো মাথাব্যথা নেই। নারায়ণন ২০০৯ সালে ভারতে নিযুক্ত তৎ কালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত টিমোথি রোয়েমারকে এ কথা বলেছিলেন। উইকিলিকস গত রোববার তথ্যটি ফাঁস করে।
নারায়ণন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার আগে ছিলেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা। ওই সময় ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে তৎ কালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত টিমোথির সঙ্গে টেলিফোনে কথা হয় তাঁর। সেই কথার ওপর ভিত্তি করে রাষ্ট্রদূত ওই বছরের ১৭ ডিসেম্বর ওয়াশিংটনের মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে একটি তারবার্তা পাঠান।
ওই বার্তায় বলা হয়, ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বরের মুম্বাই হামলায় জড়িত এবং যুক্তরাষ্ট্রে আটক হেডলিকে হস্তান্তরের ভারতীয় দাবি ছিল নেহাত লোক দেখানো।
বার্তায় টিমোথি বলেন, তিনি হেডলিকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য পীড়াপীড়ি না করার অঙ্গীকার আদায়ে নারায়ণনের সঙ্গে কথা বলেন।
ওই সময় নারায়ণন তাঁকে জানিয়েছিলেন, ২৬/১১ মামলায় অভিযুক্ত হেডলিকে ভারতে আনার ব্যাপারে সরকারকে প্রকাশ্যে আগ্রহ দেখাতেই হবে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার যদি তা না করে, তাহলে জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হবে। এতে বেকায়দায় পড়বে সরকার। নারায়ণন আরও জানান, হেডলির প্রত্যর্পণ নিয়ে কেন্দ্র তেমন আগ্রহী নয়। তাই যুক্তরাষ্ট্র যেন অযথা এ ব্যাপারে চিন্তা না করে।
তবে নারায়ণন হেডলির প্রত্যর্পণ নিয়ে উইকিলিকসের ফাঁস করা তথ্য খারিজ করে দিয়েছেন। আর কেন্দ্রীয় সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে, ‘নারায়ণন যদি এই ধরনের কোনো মন্তব্য করেও থাকেন, সেটা তাঁর একান্ত ব্যক্তিগত মতামত।’
উইকিলিকসের পাস করা আরেকটি বার্তায় বলা হয়, পশ্চিমবঙ্গের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ২০০৯ সালে তৎ কালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত টিমোথি রোয়েমারের সঙ্গে এক বৈঠকে বলেছিলেন, পুরোনো চিন্তাভাবনা বাদ না দিলে ভারতে কমিউনিস্টদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার।
নারায়ণন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার আগে ছিলেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা। ওই সময় ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে তৎ কালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত টিমোথির সঙ্গে টেলিফোনে কথা হয় তাঁর। সেই কথার ওপর ভিত্তি করে রাষ্ট্রদূত ওই বছরের ১৭ ডিসেম্বর ওয়াশিংটনের মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে একটি তারবার্তা পাঠান।
ওই বার্তায় বলা হয়, ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বরের মুম্বাই হামলায় জড়িত এবং যুক্তরাষ্ট্রে আটক হেডলিকে হস্তান্তরের ভারতীয় দাবি ছিল নেহাত লোক দেখানো।
বার্তায় টিমোথি বলেন, তিনি হেডলিকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য পীড়াপীড়ি না করার অঙ্গীকার আদায়ে নারায়ণনের সঙ্গে কথা বলেন।
ওই সময় নারায়ণন তাঁকে জানিয়েছিলেন, ২৬/১১ মামলায় অভিযুক্ত হেডলিকে ভারতে আনার ব্যাপারে সরকারকে প্রকাশ্যে আগ্রহ দেখাতেই হবে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার যদি তা না করে, তাহলে জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হবে। এতে বেকায়দায় পড়বে সরকার। নারায়ণন আরও জানান, হেডলির প্রত্যর্পণ নিয়ে কেন্দ্র তেমন আগ্রহী নয়। তাই যুক্তরাষ্ট্র যেন অযথা এ ব্যাপারে চিন্তা না করে।
তবে নারায়ণন হেডলির প্রত্যর্পণ নিয়ে উইকিলিকসের ফাঁস করা তথ্য খারিজ করে দিয়েছেন। আর কেন্দ্রীয় সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে, ‘নারায়ণন যদি এই ধরনের কোনো মন্তব্য করেও থাকেন, সেটা তাঁর একান্ত ব্যক্তিগত মতামত।’
উইকিলিকসের পাস করা আরেকটি বার্তায় বলা হয়, পশ্চিমবঙ্গের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ২০০৯ সালে তৎ কালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত টিমোথি রোয়েমারের সঙ্গে এক বৈঠকে বলেছিলেন, পুরোনো চিন্তাভাবনা বাদ না দিলে ভারতে কমিউনিস্টদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার।
No comments