পাকিস্তানের ভরসা এখন চীন-সৌদি আরব?
জঙ্গিদের নিয়ে পাকিস্তান দ্বৈত খেলা খেলছে বলে যুক্তরাষ্ট্র যে দোষারোপ করে আসছে, তা বন্ধ করতে হবে। গত মঙ্গলবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি রয়টার্সের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
গিলানি চীনকে ‘সব সময়ের বন্ধু’ অভিহিত করে বলেন, বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে লড়াইয়ে এই প্রতিবেশী দেশকে সর্বোচ্চ সহায়তা দেবে তারা। সম্পর্কের অবনতির জের ধরে যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের ওপর অর্থনৈতিক ও সামরিক সহায়তা বন্ধ করে দিতে পারে—এই আশঙ্কায় এখন পাকিস্তান কেবল চীন নয়, সৌদি আরবের সঙ্গেও সম্পর্ক জোরদারে তৎপর।
সাক্ষাৎকারে গিলানি বলেন, হাক্কানি নেটওয়ার্কের জঙ্গিদের দমনে পাকিস্তানের ভেতর যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা সেনা অভিযান হবে তাঁর দেশের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের বিদায়ী চেয়ারম্যান অ্যাডমিরাল মাইক মুলেন বলেন, হাক্কানি নেটওয়ার্ক পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের ‘সত্যিকারের শাখা’।
এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ ধরনের নেতিবাচক বার্তা আমাদের জনগণের শান্তি নষ্ট করছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘যদি এমন কোনো বার্তা পাঠানো হয়, যা আমাদের বন্ধুত্বের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়, তাহলে এ ব্যাপারে আমার জনগণকে মানানো খুব কঠিন। কাজেই বন্ধুত্বের স্বার্থে তাদের ইতিবাচক বার্তা পাঠাতে হবে।’
যুক্তরাষ্ট্র হঠাৎ করে পাকিস্তানের সমালোচনায় এমন মুখর হলো কেন, সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে গিলানি বলেন, এটি হচ্ছে আফগানযুদ্ধ নিয়ে ওয়াশিংটনের হতাশার বহিঃপ্রকাশ। ২০১৪ সালে এ দেশ থেকে মার্কিন সেনা সরিয়ে নিতে হবে। কাজেই তারা আরও বেশি সাফল্য আশা করছে সেখানে। কিন্তু বাস্তবে তা আসছে না।
মুলেনের মন্তব্যের পর মুখ খোলেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রাব্বানি খার। শুরু হয় কূটনৈতিক পর্যায়ে পাল্টা আক্রমণ। পাকিস্তানের কর্মকর্তারা প্রকাশ্যে চীনের ব্যাপক প্রশংসা শুরু করেন। এর মধ্যে ইসলামাবাদে আসেন চীনের নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রী মেং জিয়ানঝু।
পাকিস্তানের প্রতি চীনের ‘দ্বিধাহীন সমর্থনের’ জন্য চীনা মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান সেনাপ্রধান জেনারেল আশফাক কায়ানি।
পাকিস্তানের নিরাপত্তা বিশ্লেষক হাসান আসকারি রিজভি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের চাপ প্রশমনের জন্য পাকিস্তান কূটনৈতিক প্রয়াস চালাচ্ছে। পাকিস্তান আশা করছে, এ সংকট মোকাবিলায় চীন তাঁদের সাহায্য করবে।
জঙ্গিদের ব্যাপারে পাকিস্তানের নীতিকে প্রভাবিত করতে না পারায় যুক্তরাষ্ট্র খুব হতাশ। তাই চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়াং জিচাইয়ের সঙ্গে বৈঠকের সময় হিলারি ক্লিনটন পাকিস্তান নিয়ে আলোচনার জন্য অনুরোধ করেন।
বর্তমান পরিস্থিতিতে পাকিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে চীনের জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। যেখানে পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হচ্ছে, সেখানে পাকিস্তানের শাসকদের মুখে চীনের প্রশংসা ঝরে পড়ছে।
প্রধানমন্ত্রী গিলানি বলেন, ‘পাকিস্তান তীব্র বিদ্যুৎ-সংকটে ভুগছে। এ জন্য সহিংস ঘটনা ঘটছে। বিরোধীরা পার্লামেন্ট গরম করে ফেলছে। অথচ যুক্তরাষ্ট্র বেসামরিক পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য পাকিস্তানের সঙ্গে চুক্তিতে রাজি হচ্ছে না। এদিকে ঠিকই ভারতের সঙ্গে একই চুক্তি করছে। তাহলে আমি কীভাবে দেশের মানুষকে বোঝাব, ওরা আমাদের বন্ধু, ভারতের নয়। বিবেচনা বলে একটা কথা তো আছে।’
আন্তর্জাতিক উদ্বেগ উপেক্ষা করে চীন ঠিকই বেসামরিক পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য দ্বিতীয় পারমাণবিক চুল্লি বসাচ্ছে পাকিস্তানে। গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণেও বন্ধু পাকিস্তানকে সব ধরনের সাহায্য করছে চীন।
গিলানি বলেন, পাকিস্তান ও চীন প্রকৃত বন্ধু। কাজেই চীনের শত্রু মানে পাকিস্তানের শত্রু। নিরাপত্তার বিষয়ে চীনকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন তাঁরা। এদিকে পাকিস্তানের দীর্ঘদিনের মিত্র সৌদি আরব সে দেশের শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের ইসলামাবাদে পাঠিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমে বাড়তে থাকা উত্তেজনা নিয়ে পাকিস্তানের গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তাঁরা।
গিলানি চীনকে ‘সব সময়ের বন্ধু’ অভিহিত করে বলেন, বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে লড়াইয়ে এই প্রতিবেশী দেশকে সর্বোচ্চ সহায়তা দেবে তারা। সম্পর্কের অবনতির জের ধরে যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের ওপর অর্থনৈতিক ও সামরিক সহায়তা বন্ধ করে দিতে পারে—এই আশঙ্কায় এখন পাকিস্তান কেবল চীন নয়, সৌদি আরবের সঙ্গেও সম্পর্ক জোরদারে তৎপর।
সাক্ষাৎকারে গিলানি বলেন, হাক্কানি নেটওয়ার্কের জঙ্গিদের দমনে পাকিস্তানের ভেতর যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা সেনা অভিযান হবে তাঁর দেশের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের বিদায়ী চেয়ারম্যান অ্যাডমিরাল মাইক মুলেন বলেন, হাক্কানি নেটওয়ার্ক পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের ‘সত্যিকারের শাখা’।
এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ ধরনের নেতিবাচক বার্তা আমাদের জনগণের শান্তি নষ্ট করছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘যদি এমন কোনো বার্তা পাঠানো হয়, যা আমাদের বন্ধুত্বের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়, তাহলে এ ব্যাপারে আমার জনগণকে মানানো খুব কঠিন। কাজেই বন্ধুত্বের স্বার্থে তাদের ইতিবাচক বার্তা পাঠাতে হবে।’
যুক্তরাষ্ট্র হঠাৎ করে পাকিস্তানের সমালোচনায় এমন মুখর হলো কেন, সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে গিলানি বলেন, এটি হচ্ছে আফগানযুদ্ধ নিয়ে ওয়াশিংটনের হতাশার বহিঃপ্রকাশ। ২০১৪ সালে এ দেশ থেকে মার্কিন সেনা সরিয়ে নিতে হবে। কাজেই তারা আরও বেশি সাফল্য আশা করছে সেখানে। কিন্তু বাস্তবে তা আসছে না।
মুলেনের মন্তব্যের পর মুখ খোলেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রাব্বানি খার। শুরু হয় কূটনৈতিক পর্যায়ে পাল্টা আক্রমণ। পাকিস্তানের কর্মকর্তারা প্রকাশ্যে চীনের ব্যাপক প্রশংসা শুরু করেন। এর মধ্যে ইসলামাবাদে আসেন চীনের নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রী মেং জিয়ানঝু।
পাকিস্তানের প্রতি চীনের ‘দ্বিধাহীন সমর্থনের’ জন্য চীনা মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান সেনাপ্রধান জেনারেল আশফাক কায়ানি।
পাকিস্তানের নিরাপত্তা বিশ্লেষক হাসান আসকারি রিজভি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের চাপ প্রশমনের জন্য পাকিস্তান কূটনৈতিক প্রয়াস চালাচ্ছে। পাকিস্তান আশা করছে, এ সংকট মোকাবিলায় চীন তাঁদের সাহায্য করবে।
জঙ্গিদের ব্যাপারে পাকিস্তানের নীতিকে প্রভাবিত করতে না পারায় যুক্তরাষ্ট্র খুব হতাশ। তাই চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়াং জিচাইয়ের সঙ্গে বৈঠকের সময় হিলারি ক্লিনটন পাকিস্তান নিয়ে আলোচনার জন্য অনুরোধ করেন।
বর্তমান পরিস্থিতিতে পাকিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে চীনের জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। যেখানে পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হচ্ছে, সেখানে পাকিস্তানের শাসকদের মুখে চীনের প্রশংসা ঝরে পড়ছে।
প্রধানমন্ত্রী গিলানি বলেন, ‘পাকিস্তান তীব্র বিদ্যুৎ-সংকটে ভুগছে। এ জন্য সহিংস ঘটনা ঘটছে। বিরোধীরা পার্লামেন্ট গরম করে ফেলছে। অথচ যুক্তরাষ্ট্র বেসামরিক পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য পাকিস্তানের সঙ্গে চুক্তিতে রাজি হচ্ছে না। এদিকে ঠিকই ভারতের সঙ্গে একই চুক্তি করছে। তাহলে আমি কীভাবে দেশের মানুষকে বোঝাব, ওরা আমাদের বন্ধু, ভারতের নয়। বিবেচনা বলে একটা কথা তো আছে।’
আন্তর্জাতিক উদ্বেগ উপেক্ষা করে চীন ঠিকই বেসামরিক পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য দ্বিতীয় পারমাণবিক চুল্লি বসাচ্ছে পাকিস্তানে। গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণেও বন্ধু পাকিস্তানকে সব ধরনের সাহায্য করছে চীন।
গিলানি বলেন, পাকিস্তান ও চীন প্রকৃত বন্ধু। কাজেই চীনের শত্রু মানে পাকিস্তানের শত্রু। নিরাপত্তার বিষয়ে চীনকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন তাঁরা। এদিকে পাকিস্তানের দীর্ঘদিনের মিত্র সৌদি আরব সে দেশের শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের ইসলামাবাদে পাঠিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমে বাড়তে থাকা উত্তেজনা নিয়ে পাকিস্তানের গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তাঁরা।
No comments