গাদ্দাফি বাহিনীর কাছে অস্ত্র বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছিল চীনা প্রতিষ্ঠান
লিবিয়ার পলাতক নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির অনুগত বাহিনীর কাছে ২০ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছিল চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত কয়েকটি অস্ত্র সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
কানাডাভিত্তিক গ্লোব অ্যান্ড মেইল পত্রিকায় গত রোববার এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, গত জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো গাদ্দাফি বাহিনীর কাছে অস্ত্র বিক্রির ওই প্রস্তাব দেয়। ওই প্রতিবেদনের সূত্র ধরে গতকাল সোমবার নিউইয়র্কভিত্তিক নিউইয়র্ক টাইমস-এর খবরে বলা হয়, জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও চীনের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান গাদ্দাফি বাহিনীকে রকেট লঞ্চার, ট্যাংকবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র, গোলাবারুদ ও অন্যান্য সামরিক অস্ত্র বিক্রির যে প্রস্তাব দিয়েছিল, এ-সংক্রান্ত প্রচুর নথিপত্র ত্রিপোলিতে পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো আলজেরিয়া বা দক্ষিণ আফ্রিকার মতো তৃতীয় একটি দেশের মাধ্যমে লিবিয়াকে ওই অস্ত্রগুলো সরবরাহ করার প্রস্তাব দিয়েছিল। প্রসঙ্গত, চীনসহ ওই সব দেশ লিবিয়ায় জাতিসংঘের অনুমোদিত ন্যাটোর সামরিক অভিযানের বিরোধিতা করেছিল। তবে এর আগে তারা লিবিয়ার ওপর জাতিসংঘের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞাকে সমর্থন করেছিল।
গাদ্দাফি অনুগত বাহিনীর কাছে অস্ত্র বিক্রির প্রস্তাব দিলেও পরে এসব অস্ত্র লিবিয়ায় সরবরাহ করা হয়েছিল কি না, এ ব্যাপারে কোনো তথ্য উল্লেখ নেই নিউইয়র্ক টাইমস-এর ওই প্রতিবেদনে।
তবে লিবিয়ায় বিদ্রোহীদের মুখপাত্র আবদুল রহমান বাসিন নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেন, ‘গাদ্দাফির অনুগত বাহিনীর কাছে চীনা কোম্পানিগুলোর অস্ত্র বিক্রির প্রস্তাবসংক্রান্ত সব ধরনের নথি আমাদের হাতে রয়েছে।’
তবে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, নিউইয়র্ক টাইমস-এর প্রতিবেদন ও লিবিয়ার বিদ্রোহীদের মুখপাত্রের দাবি করা নথিপত্রের সত্যতা বিষয়ে তাদের পক্ষ থেকে অনুসন্ধান চালানো সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া জাতিসংঘের কয়েকজন কর্মকর্তা প্রতিবেদনের সত্যতা সম্পর্কে সংশয় প্রকাশ করেছেন। কর্মকর্তারা বলেছেন, তাঁরা এ বিষয়ে নিশ্চিত নন।
ব্রাসেলসে নিযুক্ত ন্যাটোর এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা প্রতিবেদন সম্পর্কে বলেন, এ রকমটি হতে পারে না। লিবিয়ার ওপর জাতিসংঘের আরোপিত অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা তদারকি দলের এক সদস্য বলেছেন, গাদ্দাফির সঙ্গে চীনের অস্ত্র বিক্রি কিংবা সরবরাহবিষয়ক প্রস্তাবের কোনো কিছু তাঁদের নজরে আসেনি।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, তারাও এ ধরনের কোনো প্রস্তাবের কথা জানে না।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চীনা সরকারকে না জানিয়েই গাদ্দাফি সরকারের কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তা গত মধ্য জুলাইয়ে চীন সফর করেছিলেন। তাঁরা সে সময় চীনের অস্ত্র সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠকও করেছিলেন। কিন্তু চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো কোনো ধরনের ‘সামরিক পণ্য’ লিবিয়ায় সরবরাহ করেনি।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জিয়াং য়ু গতকাল বেইজিংয়ে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের জানান, চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো লিবিয়ায় অস্ত্র বিক্রির কোনো চুক্তি করেনি। প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ উপায়ে লিবিয়ায় কোনো অস্ত্র সরবরাহ করেনি।
গাদ্দাফি বাহিনীকে অস্ত্র সরবরাহের এই প্রস্তাব সত্য হলে তা হবে লিবিয়ার ওপর জাতিসংঘের আরোপ করা অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
কানাডাভিত্তিক গ্লোব অ্যান্ড মেইল পত্রিকায় গত রোববার এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, গত জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো গাদ্দাফি বাহিনীর কাছে অস্ত্র বিক্রির ওই প্রস্তাব দেয়। ওই প্রতিবেদনের সূত্র ধরে গতকাল সোমবার নিউইয়র্কভিত্তিক নিউইয়র্ক টাইমস-এর খবরে বলা হয়, জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও চীনের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান গাদ্দাফি বাহিনীকে রকেট লঞ্চার, ট্যাংকবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র, গোলাবারুদ ও অন্যান্য সামরিক অস্ত্র বিক্রির যে প্রস্তাব দিয়েছিল, এ-সংক্রান্ত প্রচুর নথিপত্র ত্রিপোলিতে পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো আলজেরিয়া বা দক্ষিণ আফ্রিকার মতো তৃতীয় একটি দেশের মাধ্যমে লিবিয়াকে ওই অস্ত্রগুলো সরবরাহ করার প্রস্তাব দিয়েছিল। প্রসঙ্গত, চীনসহ ওই সব দেশ লিবিয়ায় জাতিসংঘের অনুমোদিত ন্যাটোর সামরিক অভিযানের বিরোধিতা করেছিল। তবে এর আগে তারা লিবিয়ার ওপর জাতিসংঘের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞাকে সমর্থন করেছিল।
গাদ্দাফি অনুগত বাহিনীর কাছে অস্ত্র বিক্রির প্রস্তাব দিলেও পরে এসব অস্ত্র লিবিয়ায় সরবরাহ করা হয়েছিল কি না, এ ব্যাপারে কোনো তথ্য উল্লেখ নেই নিউইয়র্ক টাইমস-এর ওই প্রতিবেদনে।
তবে লিবিয়ায় বিদ্রোহীদের মুখপাত্র আবদুল রহমান বাসিন নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেন, ‘গাদ্দাফির অনুগত বাহিনীর কাছে চীনা কোম্পানিগুলোর অস্ত্র বিক্রির প্রস্তাবসংক্রান্ত সব ধরনের নথি আমাদের হাতে রয়েছে।’
তবে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, নিউইয়র্ক টাইমস-এর প্রতিবেদন ও লিবিয়ার বিদ্রোহীদের মুখপাত্রের দাবি করা নথিপত্রের সত্যতা বিষয়ে তাদের পক্ষ থেকে অনুসন্ধান চালানো সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া জাতিসংঘের কয়েকজন কর্মকর্তা প্রতিবেদনের সত্যতা সম্পর্কে সংশয় প্রকাশ করেছেন। কর্মকর্তারা বলেছেন, তাঁরা এ বিষয়ে নিশ্চিত নন।
ব্রাসেলসে নিযুক্ত ন্যাটোর এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা প্রতিবেদন সম্পর্কে বলেন, এ রকমটি হতে পারে না। লিবিয়ার ওপর জাতিসংঘের আরোপিত অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা তদারকি দলের এক সদস্য বলেছেন, গাদ্দাফির সঙ্গে চীনের অস্ত্র বিক্রি কিংবা সরবরাহবিষয়ক প্রস্তাবের কোনো কিছু তাঁদের নজরে আসেনি।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, তারাও এ ধরনের কোনো প্রস্তাবের কথা জানে না।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চীনা সরকারকে না জানিয়েই গাদ্দাফি সরকারের কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তা গত মধ্য জুলাইয়ে চীন সফর করেছিলেন। তাঁরা সে সময় চীনের অস্ত্র সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠকও করেছিলেন। কিন্তু চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো কোনো ধরনের ‘সামরিক পণ্য’ লিবিয়ায় সরবরাহ করেনি।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জিয়াং য়ু গতকাল বেইজিংয়ে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের জানান, চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো লিবিয়ায় অস্ত্র বিক্রির কোনো চুক্তি করেনি। প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ উপায়ে লিবিয়ায় কোনো অস্ত্র সরবরাহ করেনি।
গাদ্দাফি বাহিনীকে অস্ত্র সরবরাহের এই প্রস্তাব সত্য হলে তা হবে লিবিয়ার ওপর জাতিসংঘের আরোপ করা অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
No comments