ভিডিও বার্তা প্রকাশ আল-কায়েদার
যুক্তরাষ্ট্রে ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর সন্ত্রাসী হামলার ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন আল-কায়েদা। ওই ভিডিও বার্তায় আল-কায়েদার নিহত প্রধান ওসামা বিন লাদেনের অপ্রকাশিত ভিডিও ফুটেজ সংযুক্ত করা হয়েছে।
প্রায় ৬২ মিনিটের ওই ভিডিও বার্তায় আল-কায়েদার মিসরীয় নতুন প্রধান আইমান আল-জাওয়াহিরির ভাষণ রয়েছে। ‘সমাগত বিজয়ের ঊষালগ্ন’ শিরোনামের ওই ভিডিও বার্তাটি গত সোমবার ইসলামি জিহাদিদের একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা পর্যবেক্ষক সংস্থা এসআইটিই গতকাল মঙ্গলবার এ তথ্য জানায়।
এসআইটিইর ভাষ্যমতে, লাদেনের ওই ভিডিও ফুটেজের সঙ্গে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে তাঁর গোপন আস্তানা থেকে উদ্ধার করা ভিডিও ফুটেজের মিল রয়েছে। এর আগেই ওয়াশিংটন ওই ভিডিও ফুটেজটি প্রকাশ করেছিল। কিন্তু ওই ভিডিও ফুটেজে কোনো শব্দ ছিল না। প্রসঙ্গত, গত মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের নেভি সিলের কমান্ডোরা অ্যাবোটাবাদের ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করে। এ সময় লাদেনের ব্যবহূত কম্পিউটারসহ নানা তথ্য-উপাত্ত জব্দ করে ওয়াশিংটনে নেওয়া হয়।
ভিডিও ফুটেজে ওসামা বিন লাদেন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেন, ‘আপনারা পুঁজিবাদী ইহুদি ও বড় বড় করপোরেশনের...ক্রীতদাসে পরিণত হবেন না।’
এ ছাড়া বব উডওয়ার্ডের লেখা ‘ওবামাস ওয়ার’ বইটির উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের প্রতি ওসামা বিন লাদেন বলেন, ‘আপনারা এ বইটি পড়ে মার্কিন সেনাদের নীতিনির্ধারণের বিষয়ে বিস্তারিত জেনে গেছেন। আপনাদের এ-ও অজানা নয় যে “হ্যাঁ, আমরা পারি” যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার এ স্লোগান মিথ্যা।’
প্রকাশিত ভিডিও বার্তাটির বেশির ভাগ অংশ জুড়ে রয়েছে আল-কায়েদার নতুন প্রধান জাওয়াহিরির ভাষণ। আরব বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চলমান আন্দোলনের ভূয়সী প্রশংসা করে জাওয়াহিরি বলেন, ‘আরব বিশ্বে চলমান বিপ্লব আল-কায়েদার সমর্থনপুষ্ট। আমরা আশা করি দেশগুলোতে এই বিপ্লবের মধ্য দিয়ে সত্যিকারের ইসলামি ও শরিয়াহভিত্তিক সরকার প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে।’
জাওয়াহিরি বলেন, ‘এ জনপ্রিয় বিপ্লব যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এক ধরনের পরাজয়। এটি দেশটির নাইন-ইলেভেন হামলা প্রতিহত করতে ব্যর্থ হওয়ার মতো কিংবা আফগান ও ইরাকে যুদ্ধে অসফল হওয়ার আরেক নজির।’
জাওয়াহিরি বলেন, ওসামা শহীদ হওয়ার পর গোটা মুসলিম উম্মাহর বিপ্লবের মুখ উদ্ভাসিত হয়। যদিও যুক্তরাষ্ট্র এ সত্য অস্বীকার করে আসছে। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ঔদ্ধত্যপূর্ণ স্বভাবের কারণে বরাবরই বাস্তবতাকে অস্বীকার করে। কিন্তু এটাই সত্য যে দেশটি মুসলিম উম্মাহর উত্থানের মুখে পড়েছে। আর এই ঔদ্ধত্যপূর্ণ স্বভাবের কারণেই আল্লাহর নির্দেশে যুক্তরাষ্ট্রের পতন হবে।’
ভিডিও ফুটেজটিতে জাওয়াহিরির স্থিরচিত্র সংযুক্ত করা ছিল। ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে আল-কায়েদার ত ৎ কালীন প্রধান ওসামা বিন লাদেন আত্মগোপনে ছিলেন। সংগঠনটির ত ৎ কালীন দ্বিতীয় প্রধান জাওয়াহিরিও সেই সময় থেকে এখন পর্যন্ত আত্মগোপনে রয়েছেন।
প্রায় ৬২ মিনিটের ওই ভিডিও বার্তায় আল-কায়েদার মিসরীয় নতুন প্রধান আইমান আল-জাওয়াহিরির ভাষণ রয়েছে। ‘সমাগত বিজয়ের ঊষালগ্ন’ শিরোনামের ওই ভিডিও বার্তাটি গত সোমবার ইসলামি জিহাদিদের একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা পর্যবেক্ষক সংস্থা এসআইটিই গতকাল মঙ্গলবার এ তথ্য জানায়।
এসআইটিইর ভাষ্যমতে, লাদেনের ওই ভিডিও ফুটেজের সঙ্গে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে তাঁর গোপন আস্তানা থেকে উদ্ধার করা ভিডিও ফুটেজের মিল রয়েছে। এর আগেই ওয়াশিংটন ওই ভিডিও ফুটেজটি প্রকাশ করেছিল। কিন্তু ওই ভিডিও ফুটেজে কোনো শব্দ ছিল না। প্রসঙ্গত, গত মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের নেভি সিলের কমান্ডোরা অ্যাবোটাবাদের ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করে। এ সময় লাদেনের ব্যবহূত কম্পিউটারসহ নানা তথ্য-উপাত্ত জব্দ করে ওয়াশিংটনে নেওয়া হয়।
ভিডিও ফুটেজে ওসামা বিন লাদেন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেন, ‘আপনারা পুঁজিবাদী ইহুদি ও বড় বড় করপোরেশনের...ক্রীতদাসে পরিণত হবেন না।’
এ ছাড়া বব উডওয়ার্ডের লেখা ‘ওবামাস ওয়ার’ বইটির উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের প্রতি ওসামা বিন লাদেন বলেন, ‘আপনারা এ বইটি পড়ে মার্কিন সেনাদের নীতিনির্ধারণের বিষয়ে বিস্তারিত জেনে গেছেন। আপনাদের এ-ও অজানা নয় যে “হ্যাঁ, আমরা পারি” যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার এ স্লোগান মিথ্যা।’
প্রকাশিত ভিডিও বার্তাটির বেশির ভাগ অংশ জুড়ে রয়েছে আল-কায়েদার নতুন প্রধান জাওয়াহিরির ভাষণ। আরব বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চলমান আন্দোলনের ভূয়সী প্রশংসা করে জাওয়াহিরি বলেন, ‘আরব বিশ্বে চলমান বিপ্লব আল-কায়েদার সমর্থনপুষ্ট। আমরা আশা করি দেশগুলোতে এই বিপ্লবের মধ্য দিয়ে সত্যিকারের ইসলামি ও শরিয়াহভিত্তিক সরকার প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে।’
জাওয়াহিরি বলেন, ‘এ জনপ্রিয় বিপ্লব যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এক ধরনের পরাজয়। এটি দেশটির নাইন-ইলেভেন হামলা প্রতিহত করতে ব্যর্থ হওয়ার মতো কিংবা আফগান ও ইরাকে যুদ্ধে অসফল হওয়ার আরেক নজির।’
জাওয়াহিরি বলেন, ওসামা শহীদ হওয়ার পর গোটা মুসলিম উম্মাহর বিপ্লবের মুখ উদ্ভাসিত হয়। যদিও যুক্তরাষ্ট্র এ সত্য অস্বীকার করে আসছে। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ঔদ্ধত্যপূর্ণ স্বভাবের কারণে বরাবরই বাস্তবতাকে অস্বীকার করে। কিন্তু এটাই সত্য যে দেশটি মুসলিম উম্মাহর উত্থানের মুখে পড়েছে। আর এই ঔদ্ধত্যপূর্ণ স্বভাবের কারণেই আল্লাহর নির্দেশে যুক্তরাষ্ট্রের পতন হবে।’
ভিডিও ফুটেজটিতে জাওয়াহিরির স্থিরচিত্র সংযুক্ত করা ছিল। ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে আল-কায়েদার ত ৎ কালীন প্রধান ওসামা বিন লাদেন আত্মগোপনে ছিলেন। সংগঠনটির ত ৎ কালীন দ্বিতীয় প্রধান জাওয়াহিরিও সেই সময় থেকে এখন পর্যন্ত আত্মগোপনে রয়েছেন।
No comments