অস্ট্রেলীয় পার্লামেন্টে বিতর্কিত কার্বন কর বিল উত্থাপন
অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টে গতকাল মঙ্গলবার কার্বন করবিষয়ক নতুন বিল উত্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ড। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় এই বিল আইন হিসেবে অনুমোদনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আগামী ১২ অক্টোবর বিলটির ওপর পার্লামেন্টে ভোটাভুটি হবে। বিলটির প্রতিবাদে গতকাল দেশজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে।
বিরোধী দল বলছে, এই আইন চালু হলে অনেক লোক চাকরি হারাবে, পাশাপাশি জীবনযাত্রার ব্যয়ও বেড়ে যাবে।
বিলটি উত্থাপনের সময় গ্যালারিতে বসা দর্শকদের এক পক্ষ বিপুল হর্ষধ্বনির মাধ্যমে জুলিয়াকে সমর্থন করে। আরেক পক্ষ চি ৎ কার করে এর প্রতিবাদ জানায়। এ ছাড়া দেশব্যাপী হাজার হাজার লোক এই বিলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে।
বিতর্কিত বিলটি আইনে পরিণত হলে ২০১২ সালের ১ জুলাই থেকে অস্ট্রেলিয়ার বড় বড় কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমনকারী প্রতিষ্ঠানকে প্রতি টন গ্যাসের জন্য উচ্চহারে কর দিতে হবে। সে দেশে জলবায়ু পরিবর্তনে ভূমিকা রাখা দূষিত গ্যাস নির্গমনকারী এমন শিল্পপ্রতিষ্ঠান রয়েছে প্রায় ৫০০টি।
অস্ট্রেলিয়ার হাজার হাজার মানুষ এর মধ্যে বিলটির প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে বলেছে, প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগ তাঁর প্রতিশ্রুতির বরখেলাপ। গত বছর নির্বাচনের আগে জুলিয়া গিলার্ড এই বিল উত্থাপন না করার ব্যাপারে অঙ্গীকার করেছিলেন।
গতকাল পার্লামেন্টের প্রতিনিধি পরিষদে বিলটি উত্থাপনের সময় গিলার্ড বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ব্যাপারে যে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন, সে সময়টা এখনই। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন রোধে ও কার্বনজনিত দূষণ রোধে এ ব্যবস্থা নিতে হবে।
কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমনের মাধ্যমে পরিবেশদূষণে যেসব দেশ সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখছে, এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়া একটি। কার্বন ডাই-অক্সাইডের মূল উ ৎ স কয়লার অন্যতম বড় রপ্তানিকারক দেশও তারা। জলবায়ু পরিবর্তন হ্রাসে ব্যবস্থা নিতে অনেক দিন ধরে চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। এর আগে কার্বন নির্গমন রোধে আইন প্রবর্তনের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।
‘ক্লিন এনার্জি বিল-২০১১’ শীর্ষক বিলটি পার্লামেন্টে পাস করার মতো সমর্থন জুলিয়া গিলার্ডের রয়েছে। তবে রক্ষণশীল বিরোধী দল বিলটির ব্যাপারে কট্টর অবস্থান নিয়েছে। তাদের মতে, এই আইন আসলে কোনো কাজে লাগবে না। বরং এতে চাকরি ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব পড়বে, বেড়ে যাবে জীবনযাত্রার ব্যয়।
এই বিলের প্রতিবাদে অস্ট্রেলিয়ায় গতকাল হাজার হাজার লোক বিক্ষোভ করে। ২০১০ সালের আগস্টে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে অল্প ভোটে জয়ী হন গিলার্ড। বিক্ষোভকারীরা বলছে, গিলার্ডের অন্যতম নির্বাচনী অঙ্গীকার ছিল ক্ষমতায় গেলে পার্লামেন্টে কার্বন করবিষয়ক বিল তুলবেন না। কিন্তু পরের বছরই বিলটি পার্লামেন্টে উত্থাপন করে তিনি অঙ্গীকার ভেঙেছেন।
গিলার্ড বলেন, বহু বছর ধরে বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক চলে আসছে। এখন বেশির ভাগ অস্ট্রেলীয় স্বীকার করে, কার্বনদূষণ জলবায়ু পরিবর্তনে ভূমিকা রাখছে।’
সরকারের প্রত্যাশা, এই আইন চালু হলে ২০৫০ সালের মধ্যে দুই হাজার স্তরের কার্বন নির্গমনের হার ৮০ শতাংশ কমে যাবে।
বিরোধী দল বলছে, এই আইন চালু হলে অনেক লোক চাকরি হারাবে, পাশাপাশি জীবনযাত্রার ব্যয়ও বেড়ে যাবে।
বিলটি উত্থাপনের সময় গ্যালারিতে বসা দর্শকদের এক পক্ষ বিপুল হর্ষধ্বনির মাধ্যমে জুলিয়াকে সমর্থন করে। আরেক পক্ষ চি ৎ কার করে এর প্রতিবাদ জানায়। এ ছাড়া দেশব্যাপী হাজার হাজার লোক এই বিলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে।
বিতর্কিত বিলটি আইনে পরিণত হলে ২০১২ সালের ১ জুলাই থেকে অস্ট্রেলিয়ার বড় বড় কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমনকারী প্রতিষ্ঠানকে প্রতি টন গ্যাসের জন্য উচ্চহারে কর দিতে হবে। সে দেশে জলবায়ু পরিবর্তনে ভূমিকা রাখা দূষিত গ্যাস নির্গমনকারী এমন শিল্পপ্রতিষ্ঠান রয়েছে প্রায় ৫০০টি।
অস্ট্রেলিয়ার হাজার হাজার মানুষ এর মধ্যে বিলটির প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে বলেছে, প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগ তাঁর প্রতিশ্রুতির বরখেলাপ। গত বছর নির্বাচনের আগে জুলিয়া গিলার্ড এই বিল উত্থাপন না করার ব্যাপারে অঙ্গীকার করেছিলেন।
গতকাল পার্লামেন্টের প্রতিনিধি পরিষদে বিলটি উত্থাপনের সময় গিলার্ড বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ব্যাপারে যে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন, সে সময়টা এখনই। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন রোধে ও কার্বনজনিত দূষণ রোধে এ ব্যবস্থা নিতে হবে।
কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমনের মাধ্যমে পরিবেশদূষণে যেসব দেশ সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখছে, এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়া একটি। কার্বন ডাই-অক্সাইডের মূল উ ৎ স কয়লার অন্যতম বড় রপ্তানিকারক দেশও তারা। জলবায়ু পরিবর্তন হ্রাসে ব্যবস্থা নিতে অনেক দিন ধরে চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। এর আগে কার্বন নির্গমন রোধে আইন প্রবর্তনের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।
‘ক্লিন এনার্জি বিল-২০১১’ শীর্ষক বিলটি পার্লামেন্টে পাস করার মতো সমর্থন জুলিয়া গিলার্ডের রয়েছে। তবে রক্ষণশীল বিরোধী দল বিলটির ব্যাপারে কট্টর অবস্থান নিয়েছে। তাদের মতে, এই আইন আসলে কোনো কাজে লাগবে না। বরং এতে চাকরি ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব পড়বে, বেড়ে যাবে জীবনযাত্রার ব্যয়।
এই বিলের প্রতিবাদে অস্ট্রেলিয়ায় গতকাল হাজার হাজার লোক বিক্ষোভ করে। ২০১০ সালের আগস্টে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে অল্প ভোটে জয়ী হন গিলার্ড। বিক্ষোভকারীরা বলছে, গিলার্ডের অন্যতম নির্বাচনী অঙ্গীকার ছিল ক্ষমতায় গেলে পার্লামেন্টে কার্বন করবিষয়ক বিল তুলবেন না। কিন্তু পরের বছরই বিলটি পার্লামেন্টে উত্থাপন করে তিনি অঙ্গীকার ভেঙেছেন।
গিলার্ড বলেন, বহু বছর ধরে বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক চলে আসছে। এখন বেশির ভাগ অস্ট্রেলীয় স্বীকার করে, কার্বনদূষণ জলবায়ু পরিবর্তনে ভূমিকা রাখছে।’
সরকারের প্রত্যাশা, এই আইন চালু হলে ২০৫০ সালের মধ্যে দুই হাজার স্তরের কার্বন নির্গমনের হার ৮০ শতাংশ কমে যাবে।
No comments