ভারতের, না ভারতীয় বোর্ডের কণ্ঠস্বর?
ভারতীয় ক্রিকেটের কণ্ঠস্বর তাঁরা। ক্রিকেটের যেখানেই ভারত, সেখানেই সুনীল গাভাস্কার-রবি শাস্ত্রী। তবে সাম্প্রতিক বিতর্কে এই দুই সাবেক অধিনায়ক একটু বিব্রতকর অবস্থায়ই পড়েছেন ধারাভাষ্য নিয়ে। অভিযোগ উঠেছে, ভারতের ক্রিকেট এবং ক্রিকেট বোর্ডের হয়ে কথা বলার বিনিময়ে গাভাস্কার-শাস্ত্রী মোটা অঙ্কের টাকা নিচ্ছেন বিসিসিআই থেকে। ক্রিকেটারদের ‘চোট-ব্যবস্থাপনা’সহ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে আরও অনেক ব্যাপারেই বিসিসিআইয়ের সমালোচনায় সোচ্চার অনেকে। কিন্তু বোর্ডের ‘অফিসিয়াল মুখপাত্র’ বলেই নাকি মুখ খুলছেন না গাভাস্কার ও শাস্ত্রী!
ঘটনার সূত্রপাত আসলে আইপিএল থেকে। টুর্নামেন্টটি প্রচারের স্বত্ব পায় সনি টেলিভিশন, কিন্তু গাভাস্কার ও শাস্ত্রী আগে থেকেই অন্য একটি টিভির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ছিলেন। আইপিএলের ধারাভাষ্য দলে তাই এঁরা ছিলেন না। এ সময়ই এগিয়ে আসেন আইপিএলের সাবেক ‘সর্বেসর্বা’ লোলিত মোদি। গাভাস্কার ও শাস্ত্রী দুজনকেই আইপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য করেন, প্রতি মৌসুমে প্রত্যেকের সম্মানী ১ কোটি রুপি। শেষ নয় এখানেই, বোর্ডের ধারাভাষ্যকার হিসেবে বিসিসিআইও দুজনের সঙ্গে বার্ষিক ৩ কোটি ৬০ লাখ রুপির চুক্তি করে! লোভনীয় এমন সব প্রস্তাবের পর আগের টিভির সঙ্গে চুক্তি ছিন্ন করতে বিন্দুমাত্র ভাবতে হয়নি গাভাস্কার-শাস্ত্রীকে।
বিসিসিআইয়ের সঙ্গে সাবেক দুই অধিনায়কের এমন চুক্তিতে সমালোচনামুখর দেশটির সাবেক ক্রিকেটাররা। অনেকে কথার তীর ছুড়ে শাস্ত্রী-গাভাস্কারকে পরোক্ষে ‘চোর’ বলতেও ছাড়েননি। সাবেক অধিনায়ক বিষেন সিং বেদি বলেছেন, ‘আমরা বিস্মিত নই। এই বোর্ড সম্পর্কে যাদের ধারণা আছে, সবাই জানে তাদের নীতি বলতে কিছু নেই। সবখানেই স্বার্থের সংঘাত। ভিন্নমতাবলম্বীদের এখানে সহ্য করা হয় না।’
সাবেক বাঁ হাতি স্পিনার মনিন্দর সিং হাতটা ঘোরালেন একটু অন্যভাবে। গাভাস্কার-শাস্ত্রীকে কোনো অপবাদ দিতে রাজি নন তিনি, ‘দেশটার মধ্যে কী হচ্ছে, এটা তারই একটা প্রতিচ্ছবি। দুর্নীতি জীবনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে গেছে এবং ক্রিকেটও এর বাইরে নয়।’ ক্রিকেটের ভাবমূর্তি বাড়াতে বোর্ড সাবেক ক্রিকেটারদের টাকা দেবে, বিষয়টা মানলেও মনিন্দর বলছেন, ‘বোর্ড যদি সত্যিই ক্রিকেটের উন্নতি চায়, এ রকম অভিজ্ঞ সাবেক ক্রিকেটারদের তারা টাকা দিয়ে ক্রিকেট-সংক্রান্ত কমিটিতে রাখতে পারে বা অন্য কোনো কাজেও লাগাতে পারে। কিন্তু ধারাভাষ্যে কেন?’
এক সাময়িকীতে সাবেক অধিনায়ক কপিল দেব বলেছেন, ‘এটা যদি সত্যি হয় যে শাস্ত্রী ও গাভাস্কারের বোর্ডের সঙ্গে চুক্তি আছে, বোর্ডের স্বার্থ দেখাটাই তাদের দায়িত্ব। তারা কেন বোর্ডের বিরুদ্ধে যাবে? কোনো কংগ্রেস নেতা কি সংসদে গিয়ে তার দলের বিপক্ষে কথা বলে?’ ভারতীয় দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়ায় অনেক সাবেক ক্রিকেটার নাম প্রকাশ না করার শর্তে শাস্ত্রী-গাভাস্কারের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্তও দাবি করেছেন।
গাভাস্কার অবশ্য এসব অভিযোগ অস্বীকারই করেছেন। টাইমস অব ইন্ডিয়াকে তিনি বলেছেন, ‘এটা একদমই অনাকাঙ্ক্ষিত। কেউই আমাকে বলে দিতে পারে না, ধারাভাষ্যে আমি কী বলব। কোনো কিছু আমার পছন্দ না হলে আমি সেটার বিরুদ্ধে বলি। আমার মনে হয়, এই অধিকারটা আমি অর্জন করেছি।’ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে বিসিসিআইও। ‘এখানে স্বার্থের কোনো দ্বন্দ্ব নেই। তারা কি বলবে, সে ব্যাপারে বিসিসিআই কোনো নির্দেশনা দেয় না। তারা স্বাধীন ধারাভাষ্যকার এবং তারা যা বলে, সেটা সম্পূর্ণই তাদের নিজস্ব মতামত’—সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন বিসিসিআই সহসভাপতি রাজীব শুক্লা।
ঘটনার সূত্রপাত আসলে আইপিএল থেকে। টুর্নামেন্টটি প্রচারের স্বত্ব পায় সনি টেলিভিশন, কিন্তু গাভাস্কার ও শাস্ত্রী আগে থেকেই অন্য একটি টিভির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ছিলেন। আইপিএলের ধারাভাষ্য দলে তাই এঁরা ছিলেন না। এ সময়ই এগিয়ে আসেন আইপিএলের সাবেক ‘সর্বেসর্বা’ লোলিত মোদি। গাভাস্কার ও শাস্ত্রী দুজনকেই আইপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য করেন, প্রতি মৌসুমে প্রত্যেকের সম্মানী ১ কোটি রুপি। শেষ নয় এখানেই, বোর্ডের ধারাভাষ্যকার হিসেবে বিসিসিআইও দুজনের সঙ্গে বার্ষিক ৩ কোটি ৬০ লাখ রুপির চুক্তি করে! লোভনীয় এমন সব প্রস্তাবের পর আগের টিভির সঙ্গে চুক্তি ছিন্ন করতে বিন্দুমাত্র ভাবতে হয়নি গাভাস্কার-শাস্ত্রীকে।
বিসিসিআইয়ের সঙ্গে সাবেক দুই অধিনায়কের এমন চুক্তিতে সমালোচনামুখর দেশটির সাবেক ক্রিকেটাররা। অনেকে কথার তীর ছুড়ে শাস্ত্রী-গাভাস্কারকে পরোক্ষে ‘চোর’ বলতেও ছাড়েননি। সাবেক অধিনায়ক বিষেন সিং বেদি বলেছেন, ‘আমরা বিস্মিত নই। এই বোর্ড সম্পর্কে যাদের ধারণা আছে, সবাই জানে তাদের নীতি বলতে কিছু নেই। সবখানেই স্বার্থের সংঘাত। ভিন্নমতাবলম্বীদের এখানে সহ্য করা হয় না।’
সাবেক বাঁ হাতি স্পিনার মনিন্দর সিং হাতটা ঘোরালেন একটু অন্যভাবে। গাভাস্কার-শাস্ত্রীকে কোনো অপবাদ দিতে রাজি নন তিনি, ‘দেশটার মধ্যে কী হচ্ছে, এটা তারই একটা প্রতিচ্ছবি। দুর্নীতি জীবনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে গেছে এবং ক্রিকেটও এর বাইরে নয়।’ ক্রিকেটের ভাবমূর্তি বাড়াতে বোর্ড সাবেক ক্রিকেটারদের টাকা দেবে, বিষয়টা মানলেও মনিন্দর বলছেন, ‘বোর্ড যদি সত্যিই ক্রিকেটের উন্নতি চায়, এ রকম অভিজ্ঞ সাবেক ক্রিকেটারদের তারা টাকা দিয়ে ক্রিকেট-সংক্রান্ত কমিটিতে রাখতে পারে বা অন্য কোনো কাজেও লাগাতে পারে। কিন্তু ধারাভাষ্যে কেন?’
এক সাময়িকীতে সাবেক অধিনায়ক কপিল দেব বলেছেন, ‘এটা যদি সত্যি হয় যে শাস্ত্রী ও গাভাস্কারের বোর্ডের সঙ্গে চুক্তি আছে, বোর্ডের স্বার্থ দেখাটাই তাদের দায়িত্ব। তারা কেন বোর্ডের বিরুদ্ধে যাবে? কোনো কংগ্রেস নেতা কি সংসদে গিয়ে তার দলের বিপক্ষে কথা বলে?’ ভারতীয় দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়ায় অনেক সাবেক ক্রিকেটার নাম প্রকাশ না করার শর্তে শাস্ত্রী-গাভাস্কারের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্তও দাবি করেছেন।
গাভাস্কার অবশ্য এসব অভিযোগ অস্বীকারই করেছেন। টাইমস অব ইন্ডিয়াকে তিনি বলেছেন, ‘এটা একদমই অনাকাঙ্ক্ষিত। কেউই আমাকে বলে দিতে পারে না, ধারাভাষ্যে আমি কী বলব। কোনো কিছু আমার পছন্দ না হলে আমি সেটার বিরুদ্ধে বলি। আমার মনে হয়, এই অধিকারটা আমি অর্জন করেছি।’ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে বিসিসিআইও। ‘এখানে স্বার্থের কোনো দ্বন্দ্ব নেই। তারা কি বলবে, সে ব্যাপারে বিসিসিআই কোনো নির্দেশনা দেয় না। তারা স্বাধীন ধারাভাষ্যকার এবং তারা যা বলে, সেটা সম্পূর্ণই তাদের নিজস্ব মতামত’—সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন বিসিসিআই সহসভাপতি রাজীব শুক্লা।
No comments