ফিরে এল দিল-স্কুপ!
শটটার নাম হতে পারত ‘অ্যাশ-স্কুপ’। ২০০৭ বিশ্বকাপের সুপার এইটে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে স্কুপ খেলে এনটিনি-নেল-ল্যাঙ্গেভেল্টদের দিশেহারা করে ফেলেছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। স্কুপ খেলেই পরে ২০০৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মাতালেন তিলকরত্নে দিলশান। আশরাফুলকে ভুলে গিয়ে ধারাভাষ্যকারেরা শটের নাম দিয়ে দিলেন ‘দিল-স্কুপ!’
সে যা-ই হোক, দিল-স্কুপের ‘জন্মদাতা’র ব্যাট থেকেই যেন শটটি উধাও হয়ে গিয়েছিল। ঝুঁকিপূর্ণ বলে অনেক দিন ধরে শটটি খেলছিলেন না দিলশান। দিলশানের ব্যাটে আবার দিল-স্কুপ দেখা গেল পরশু, পাল্লেকেলেতে ৫৭ বলে ১০৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংসটার পথে।
প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি ছুঁয়েছেন মিচেল জনসনের বলে দিল-স্কুপ খেলেই। অধিনায়কের বিধ্বংসী ইনিংসেই প্রথম টি-টোয়েন্টি ৩৫ রানে জিতেছে শ্রীলঙ্কা। ম্যাচ শেষে দিলশান জানালেন, নতুন কোচ রুমেশ রত্নায়েকের উৎসাহেই ফিরে এসেছে দিল-স্কুপ!
গত মাসের মাঝামাঝি শ্রীলঙ্কার ভারপ্রাপ্ত কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয় রত্নায়েককে। নতুন কোচের সঙ্গে আলোচনাই আত্মবিশ্বাসী করেছিল দিলশানকে, ‘গত দেড় বছর আমি দিল-স্কুপ খেলিনি, কিন্তু কাল (ম্যাচের আগের দিন) রুমেশের সঙ্গে এ নিয়ে কথা হলো। রুমেশ জিজ্ঞেস করল, আমি কেন শটটি খেলা বন্ধ করেছি। আমি ওকে বলেছিলাম, ‘‘ঠিক আছে, আগামীকাল হয়তো আবার আমাকে শটটি খেলতে দেখা যাবে।’’ বেশ কিছুক্ষণ উইকেটে কাটানোর পর আমি আত্মবিশ্বাস পেয়ে গিয়েছিলাম। দিল-স্কুপ খেলার পর ওরা ফিল্ডিং পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে এবং আমি অন্য জায়গাগুলো থেকে রান পেয়েছি।’
দিল-স্কুপে দিশেহারা হওয়ার কথা উঠে এল অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক ক্যামেরন হোয়াইটের কণ্ঠেও, ‘কেউ যখন উইকেটকিপারের ঠিক মাথার ওপর দিয়ে বল পাঠিয়ে দেয়, তখন কাজটা কঠিন হয়ে যায়। ওই শটের জন্য ফিল্ডিং সাজাতে গেলে অন্য কিছু জায়গা ফাঁকা হয়ে যায়। সেই জায়গাগুলোতে মারার সামর্থ্যও আবার দিলশানের ভালোই আছে।’
রান পাওয়াটা খুব জরুরি ছিল দিলশানের জন্য। ইংল্যান্ডে ৫ ওয়ানডেতে করেছিলেন মাত্র ২৩। অধিনায়কত্ব চাপ হয়ে গেল কি না, ফিসফাস শুরু হয়ে গিয়েছিল। উদ্যাপনটাই বলে দিচ্ছিল, সেঞ্চুরিটা কত বড় স্বস্তি হয়ে এসেছে। সেই উচ্ছ্বাস উঠে এল কণ্ঠেও, ‘এই ইনিংসে দারুণ খুশি আমি। শুরুতে একটু দেখেশুনে খেলেছি, ছয়-সাত ওভারের পর চালিয়ে খেলেছি। সব মিলিয়ে দলের পারফরম্যান্সেও আমি খুশি।’
পাল্লেকেলেতেই আজ সিরিজের শেষটি-টোয়েন্টি।
সে যা-ই হোক, দিল-স্কুপের ‘জন্মদাতা’র ব্যাট থেকেই যেন শটটি উধাও হয়ে গিয়েছিল। ঝুঁকিপূর্ণ বলে অনেক দিন ধরে শটটি খেলছিলেন না দিলশান। দিলশানের ব্যাটে আবার দিল-স্কুপ দেখা গেল পরশু, পাল্লেকেলেতে ৫৭ বলে ১০৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংসটার পথে।
প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি ছুঁয়েছেন মিচেল জনসনের বলে দিল-স্কুপ খেলেই। অধিনায়কের বিধ্বংসী ইনিংসেই প্রথম টি-টোয়েন্টি ৩৫ রানে জিতেছে শ্রীলঙ্কা। ম্যাচ শেষে দিলশান জানালেন, নতুন কোচ রুমেশ রত্নায়েকের উৎসাহেই ফিরে এসেছে দিল-স্কুপ!
গত মাসের মাঝামাঝি শ্রীলঙ্কার ভারপ্রাপ্ত কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয় রত্নায়েককে। নতুন কোচের সঙ্গে আলোচনাই আত্মবিশ্বাসী করেছিল দিলশানকে, ‘গত দেড় বছর আমি দিল-স্কুপ খেলিনি, কিন্তু কাল (ম্যাচের আগের দিন) রুমেশের সঙ্গে এ নিয়ে কথা হলো। রুমেশ জিজ্ঞেস করল, আমি কেন শটটি খেলা বন্ধ করেছি। আমি ওকে বলেছিলাম, ‘‘ঠিক আছে, আগামীকাল হয়তো আবার আমাকে শটটি খেলতে দেখা যাবে।’’ বেশ কিছুক্ষণ উইকেটে কাটানোর পর আমি আত্মবিশ্বাস পেয়ে গিয়েছিলাম। দিল-স্কুপ খেলার পর ওরা ফিল্ডিং পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে এবং আমি অন্য জায়গাগুলো থেকে রান পেয়েছি।’
দিল-স্কুপে দিশেহারা হওয়ার কথা উঠে এল অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক ক্যামেরন হোয়াইটের কণ্ঠেও, ‘কেউ যখন উইকেটকিপারের ঠিক মাথার ওপর দিয়ে বল পাঠিয়ে দেয়, তখন কাজটা কঠিন হয়ে যায়। ওই শটের জন্য ফিল্ডিং সাজাতে গেলে অন্য কিছু জায়গা ফাঁকা হয়ে যায়। সেই জায়গাগুলোতে মারার সামর্থ্যও আবার দিলশানের ভালোই আছে।’
রান পাওয়াটা খুব জরুরি ছিল দিলশানের জন্য। ইংল্যান্ডে ৫ ওয়ানডেতে করেছিলেন মাত্র ২৩। অধিনায়কত্ব চাপ হয়ে গেল কি না, ফিসফাস শুরু হয়ে গিয়েছিল। উদ্যাপনটাই বলে দিচ্ছিল, সেঞ্চুরিটা কত বড় স্বস্তি হয়ে এসেছে। সেই উচ্ছ্বাস উঠে এল কণ্ঠেও, ‘এই ইনিংসে দারুণ খুশি আমি। শুরুতে একটু দেখেশুনে খেলেছি, ছয়-সাত ওভারের পর চালিয়ে খেলেছি। সব মিলিয়ে দলের পারফরম্যান্সেও আমি খুশি।’
পাল্লেকেলেতেই আজ সিরিজের শেষটি-টোয়েন্টি।
No comments