দ্বিতীয় মেয়াদে এখনই নিষ্প্রভ ভারতের ইউপিএ জোট
২০০৪ সালে ভারতে আট বছর পর ক্ষমতায় ফিরে আসে কংগ্রেস। এর পেছনে তিনটি বিষয় কাজ করেছিল। মনমোহন সিংয়ের সততা, কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সর্বজনীন কল্যাণ স্কিম ও তরুণদের আইকন রাহুল গান্ধী। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সংযুক্ত প্রগতিশীল মোর্চার (ইউপিএ) প্রথম সরকার ছিল অনেক বেশি দক্ষ।
এ কারণেই ২০০৯ সালে ইউপিএ জোট পুনর্নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় আসে। শুধু তা-ই নয়, লোকসভায় কংগ্রেস আগেরবারের চেয়ে ৫০টি আসন বেশি পায়। অন্য দিকে কংগ্রেসের প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি ও বামপন্থী দলগুলো পায় প্রত্যাশার চেয়ে কম আসন।
সফলতার প্রতিমূর্তি সেই ইউপিএ জোট দুই বছরের মধ্যেই উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফেলেছে অনেকটা। দুর্নীতি ও অপশাসনের অভিযোগ এবং জনগণের আস্থাহীনতায় দ্বিতীয় ইউপিএ জোট সরকার এখন জেরবার।
বর্তমান অবস্থার জন্য দায়ী করা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার সদস্যদের। সরকারের আশঙ্কা, এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে ২০১৪ সালে অনুষ্ঠেয় লোকসভা নির্বাচনে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। কংগ্রেস নেতাদের আশঙ্কা, মনমোহন এখনো চুপ করে থাকলে এবং তাঁর ‘রাজনীতিবিমুখ’ অবস্থান অব্যাহত রাখলে দল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধী কখনো প্রধানমন্ত্রী মনমোহনের সমালোচনা করেননি। ‘শতভাগ’ ব্যক্তিগত সততার জন্য দল মনমোহনকে ধন্যবাদ দেয়। তবে দলের কিছু জ্যেষ্ঠ নেতা তাঁর মন্ত্রিসভার কিছু সদস্য এবং কর্মকর্তার সক্ষমতা ও নিজ নিজ পদে উপযুক্ততা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কংগ্রেস নেতারা মনে করেন, টেলিকমমন্ত্রী এ রাজা জোট রাজনীতির বাধ্যবাধকতায় মন্ত্রিত্ব পেয়েছিলেন। দলে বড় ধরনের প্রভাবের কারণে কমনওয়েলথ গেমস আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছিলেন সুরেশ কালমাদি। দুজনই দুর্নীতির কালিমায় কলঙ্কিত হয়েছেন। কিন্তু এঁরা ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে অনেক জায়গায় অনেককে নিয়োগ দেওয়া হয়, যাঁরা দলের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন।
পরিসংখ্যানমন্ত্রী এম এস গিল, বি এস লালি (রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন দূরদর্শনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদ থেকে সম্প্রতি পদত্যাগ করেন), প্রধান ভিজিল্যান্স কমিশনার পি জে থমাস, পদুচেরির রাজ্যপাল ইকবাল সিং, অরুণাচলের রাজ্যপাল জে জে সিং ও পরিকল্পনা কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান মোনটেক সিং আহলুওয়ালিয়া প্রধানমন্ত্রী মনমোহনের লোক বলেই পরিচিত।
কংগ্রেসের নেতারা মন্ত্রিসভার কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্যের ‘রাজনীতি-জ্ঞানের ঘাটতি’তেও হতাশ। একজন নেতা বলেন, এ রাজার টুজি টেলিকম কেলেঙ্কারিতে কোনো ক্ষতি হয়নি—মন্ত্রীদের এমন মন্তব্য তাঁদের রাজনৈতিক অপরিপক্বতার পরিচয় বহন করে। কংগ্রেসের আরও একটি দুর্বলতা রয়েছে এখন। ইউপিএ জোটের প্রথম সরকার বামপন্থীদের নিরন্তর নজরদারিতে লাভবানই হয়েছে। কিন্তু বর্তমান সরকারের ক্ষেত্রে ওই ধরনের কিছু ঘটেনি।
এ কারণেই ২০০৯ সালে ইউপিএ জোট পুনর্নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় আসে। শুধু তা-ই নয়, লোকসভায় কংগ্রেস আগেরবারের চেয়ে ৫০টি আসন বেশি পায়। অন্য দিকে কংগ্রেসের প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি ও বামপন্থী দলগুলো পায় প্রত্যাশার চেয়ে কম আসন।
সফলতার প্রতিমূর্তি সেই ইউপিএ জোট দুই বছরের মধ্যেই উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফেলেছে অনেকটা। দুর্নীতি ও অপশাসনের অভিযোগ এবং জনগণের আস্থাহীনতায় দ্বিতীয় ইউপিএ জোট সরকার এখন জেরবার।
বর্তমান অবস্থার জন্য দায়ী করা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার সদস্যদের। সরকারের আশঙ্কা, এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে ২০১৪ সালে অনুষ্ঠেয় লোকসভা নির্বাচনে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। কংগ্রেস নেতাদের আশঙ্কা, মনমোহন এখনো চুপ করে থাকলে এবং তাঁর ‘রাজনীতিবিমুখ’ অবস্থান অব্যাহত রাখলে দল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধী কখনো প্রধানমন্ত্রী মনমোহনের সমালোচনা করেননি। ‘শতভাগ’ ব্যক্তিগত সততার জন্য দল মনমোহনকে ধন্যবাদ দেয়। তবে দলের কিছু জ্যেষ্ঠ নেতা তাঁর মন্ত্রিসভার কিছু সদস্য এবং কর্মকর্তার সক্ষমতা ও নিজ নিজ পদে উপযুক্ততা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কংগ্রেস নেতারা মনে করেন, টেলিকমমন্ত্রী এ রাজা জোট রাজনীতির বাধ্যবাধকতায় মন্ত্রিত্ব পেয়েছিলেন। দলে বড় ধরনের প্রভাবের কারণে কমনওয়েলথ গেমস আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছিলেন সুরেশ কালমাদি। দুজনই দুর্নীতির কালিমায় কলঙ্কিত হয়েছেন। কিন্তু এঁরা ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে অনেক জায়গায় অনেককে নিয়োগ দেওয়া হয়, যাঁরা দলের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন।
পরিসংখ্যানমন্ত্রী এম এস গিল, বি এস লালি (রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন দূরদর্শনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদ থেকে সম্প্রতি পদত্যাগ করেন), প্রধান ভিজিল্যান্স কমিশনার পি জে থমাস, পদুচেরির রাজ্যপাল ইকবাল সিং, অরুণাচলের রাজ্যপাল জে জে সিং ও পরিকল্পনা কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান মোনটেক সিং আহলুওয়ালিয়া প্রধানমন্ত্রী মনমোহনের লোক বলেই পরিচিত।
কংগ্রেসের নেতারা মন্ত্রিসভার কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্যের ‘রাজনীতি-জ্ঞানের ঘাটতি’তেও হতাশ। একজন নেতা বলেন, এ রাজার টুজি টেলিকম কেলেঙ্কারিতে কোনো ক্ষতি হয়নি—মন্ত্রীদের এমন মন্তব্য তাঁদের রাজনৈতিক অপরিপক্বতার পরিচয় বহন করে। কংগ্রেসের আরও একটি দুর্বলতা রয়েছে এখন। ইউপিএ জোটের প্রথম সরকার বামপন্থীদের নিরন্তর নজরদারিতে লাভবানই হয়েছে। কিন্তু বর্তমান সরকারের ক্ষেত্রে ওই ধরনের কিছু ঘটেনি।
No comments