এবার আসল লড়াই
কথার লড়াই অনেক হয়েছে। এবার আসল লড়াইয়ের পালা। আজ জার্মানির হামবুর্গে বক্সিং রিংয়ে নেমে পড়ছেন ডাবল চ্যাম্পিয়ন (আইবিএফ ও ডব্লুবিও) ভ্লাদিমির ক্লিচকো আর ডব্লুবিএ চ্যাম্পিয়ন ডেভিড হায়ে। ইউক্রেনের ক্লিচকো ভাইদের ছোটজনের কাছে থাকা দুটি বেল্টই কেড়ে নিতে চান ব্রিটিশ বক্সার হায়ে। আর ক্লিচকো বেল্টের সংখ্যা বাড়িয়ে নিতে চান তিনে। যিনিই জিতুন, তিনি হবেন হেভিওয়েট বক্সিংয়ের অবিসংবাদিত চ্যাম্পিয়ন।
বক্সিংয়ে বিশ্ব শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইটা অনেক দিনই চার ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে—ওয়ার্ল্ড বক্সিং অ্যাসোসিয়েশন (ডব্লুবিএ), ওয়ার্ল্ড বক্সিং কাউন্সিল (ডব্লুবিসি), ইন্টারন্যাশনাল বক্সিং ফেডারেশন (আইবিএফ) ও ওয়ার্ল্ড বক্সিং অর্গানাইজেশন (ডব্লুবিও)। চার সংস্থার তিনটি শিরোপাই আবার ক্লিচকো ভাইদের দখলে। অনেকে অবশ্য এই বলে সমালোচনা করেন, প্রতিপক্ষ হিসেবে তুলনামূলক দুর্বলদেরই নাকি বেছে নেন ক্লিচকো ভাইয়েরা।
ক্লিচকো ভাইদের কাছে তিনটি বেল্টই থাকা ঠিকমতো হজম করতে পারছেন না হায়েও। ২০০৮-এ হেভিওয়েটে পা রাখার দিন থেকেই রিংয়ে ক্লিচকো ভাইদের রক্তাক্ত দেখার জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন। ২০০৯ সালেই প্রথমবার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন। সে সময় তাঁর পরনের টি-শার্টটি আলোচনায় এসেছিল। যে টি-শার্টে আঁকা ছবিতে দেখা গিয়েছিল বক্সিং রিংয়ে উন্মত্ত বিজয়োল্লাসে মেতে ওঠা হায়ের দুই হাতে ধরা দুই ক্লিচকো ভাইয়ের দুটো কাটা মুণ্ডু, দুই ভাইয়ের রক্তাক্ত দেহ পড়ে আছে ক্যানভাসে।
বক্সিং বরাবরই বড় বড় কথার খেলা। সর্বকালের সেরা বক্সার মোহাম্মদ আলীর কোচ অ্যাঞ্জেলো ডান্ডি সেই কবেই অমৃতবচনের জন্ম দিয়েছেন—বক্সিংয়ে চুপ করে থাকাই অপরাধ। তবে হায়ে ব্যাপারটাকে একটু বেশিই কদর্য পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। নিজেকে হেভিওয়েট বক্সিংয়ের স্বঘোষিত ত্রাতা ঘোষণা করা হায়ের মুখে কথার খই ফুটছে অনেক দিন থেকেই। ক্লিচকোকে ‘বিচকো’, ‘প্রতারক’, ‘ইউক্রেনের রোবট’—কী বলে গাল দেননি! সংবাদ সম্মেলনে ক্লিসকোর সঙ্গে করমর্দন করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেছেন, লড়াইয়ের পরদিন হাসপাতালে যাবেন ক্লিচকোর সঙ্গে হাত মেলাতে!
হায়ের মতো এত ঝাঁজালো ভাষায় না হলেও পাল্টা জবাব ক্লিচকোও দিয়েছেন। ‘ডক্টর স্টিলহ্যামার’ নামে পরিচিত ৩৫ বছর বয়সী বলেছেন, ৫০তম নকআউট জয়টা তিনি হায়েকে দিয়েই সম্পন্ন করতে চান। ২০০৯ সালে শেষ পর্যন্ত যে পিঠের চোটের কারণে হায়ে চ্যালেঞ্জ থেকে সরে দাঁড়ালেন, সেটা নিয়েও কম খোঁচা দেননি।
এ জন্যই বলা হচ্ছে—কথার লড়াই অনেক হলো, এবার আসল লড়াই হোক। আর এই লড়াইয়ে জিততে পারলে লেনক্স লুইসের পর প্রথম ব্রিটিশ বক্সার হিসেবে একাধিক বেল্ট থাকবে হায়ের দখলে।
বক্সিংয়ে বিশ্ব শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইটা অনেক দিনই চার ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে—ওয়ার্ল্ড বক্সিং অ্যাসোসিয়েশন (ডব্লুবিএ), ওয়ার্ল্ড বক্সিং কাউন্সিল (ডব্লুবিসি), ইন্টারন্যাশনাল বক্সিং ফেডারেশন (আইবিএফ) ও ওয়ার্ল্ড বক্সিং অর্গানাইজেশন (ডব্লুবিও)। চার সংস্থার তিনটি শিরোপাই আবার ক্লিচকো ভাইদের দখলে। অনেকে অবশ্য এই বলে সমালোচনা করেন, প্রতিপক্ষ হিসেবে তুলনামূলক দুর্বলদেরই নাকি বেছে নেন ক্লিচকো ভাইয়েরা।
ক্লিচকো ভাইদের কাছে তিনটি বেল্টই থাকা ঠিকমতো হজম করতে পারছেন না হায়েও। ২০০৮-এ হেভিওয়েটে পা রাখার দিন থেকেই রিংয়ে ক্লিচকো ভাইদের রক্তাক্ত দেখার জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন। ২০০৯ সালেই প্রথমবার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন। সে সময় তাঁর পরনের টি-শার্টটি আলোচনায় এসেছিল। যে টি-শার্টে আঁকা ছবিতে দেখা গিয়েছিল বক্সিং রিংয়ে উন্মত্ত বিজয়োল্লাসে মেতে ওঠা হায়ের দুই হাতে ধরা দুই ক্লিচকো ভাইয়ের দুটো কাটা মুণ্ডু, দুই ভাইয়ের রক্তাক্ত দেহ পড়ে আছে ক্যানভাসে।
বক্সিং বরাবরই বড় বড় কথার খেলা। সর্বকালের সেরা বক্সার মোহাম্মদ আলীর কোচ অ্যাঞ্জেলো ডান্ডি সেই কবেই অমৃতবচনের জন্ম দিয়েছেন—বক্সিংয়ে চুপ করে থাকাই অপরাধ। তবে হায়ে ব্যাপারটাকে একটু বেশিই কদর্য পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। নিজেকে হেভিওয়েট বক্সিংয়ের স্বঘোষিত ত্রাতা ঘোষণা করা হায়ের মুখে কথার খই ফুটছে অনেক দিন থেকেই। ক্লিচকোকে ‘বিচকো’, ‘প্রতারক’, ‘ইউক্রেনের রোবট’—কী বলে গাল দেননি! সংবাদ সম্মেলনে ক্লিসকোর সঙ্গে করমর্দন করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেছেন, লড়াইয়ের পরদিন হাসপাতালে যাবেন ক্লিচকোর সঙ্গে হাত মেলাতে!
হায়ের মতো এত ঝাঁজালো ভাষায় না হলেও পাল্টা জবাব ক্লিচকোও দিয়েছেন। ‘ডক্টর স্টিলহ্যামার’ নামে পরিচিত ৩৫ বছর বয়সী বলেছেন, ৫০তম নকআউট জয়টা তিনি হায়েকে দিয়েই সম্পন্ন করতে চান। ২০০৯ সালে শেষ পর্যন্ত যে পিঠের চোটের কারণে হায়ে চ্যালেঞ্জ থেকে সরে দাঁড়ালেন, সেটা নিয়েও কম খোঁচা দেননি।
এ জন্যই বলা হচ্ছে—কথার লড়াই অনেক হলো, এবার আসল লড়াই হোক। আর এই লড়াইয়ে জিততে পারলে লেনক্স লুইসের পর প্রথম ব্রিটিশ বক্সার হিসেবে একাধিক বেল্ট থাকবে হায়ের দখলে।
No comments