সৌদিতে প্রস্তাবিত সন্ত্রাসবিরোধী আইন মানবাধিকার খর্ব করবে
সৌদি আরব সরকারের প্রস্তাবিত সন্ত্রাসবিরোধী আইন পাস হলে তা দেশটিতে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবহার হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। প্রস্তাবিত ওই আইনে অনেকগুলো ধারা রয়েছে, যা মানবাধিকার খর্ব করবে বলে অ্যামনেস্টি মনে করছে।
প্রস্তাবিত আইনে দীর্ঘমেয়াদি আটকাদেশ, আইনি সহায়তা পাওয়ার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ এবং মৃত্যুদণ্ডের ব্যবহার আরও বাড়ানোর বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
নতুন এ আইনের বিষয়ে রক্ষণশীল এ মুসলিম দেশের সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলতে না চাইলেও এক কর্মকর্তা বলেছেন, এটি সন্ত্রাসীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। রাজনৈতিক কারণে এর ব্যবহার হবে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা আইনের বিতর্কিত ধারাগুলো নিয়ে কথা বলতে অনীহা প্রকাশ করেন। প্রস্তাবিত আইনে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সংজ্ঞার পরিসর আরও বাড়ানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রের ভাবমূর্তির জন্য ক্ষতিকর’ কিংবা ‘জাতীয় ঐক্যে ঝুঁকি’ সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে যেকোনো ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ বৈধ বলে গণ্য হবে।
এই আইনে সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে বাইরের কারও সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় সর্বোচ্চ ১২০ দিন আটক রাখা যাবে। আদালতের অনুমোদন নিয়ে আটক রাখার মেয়াদ বাড়ানো যাবে। আটক ব্যক্তির আইনি সহায়তা পাওয়ার বিষয়েও থাকবে কড়াকড়ি।
আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির প্রস্তাব করা হয়েছে। এমনকি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরলে কিংবা যেকোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের লক্ষ্যে অস্ত্র ব্যবহার করলে তাকে নিশ্চিত মৃত্যুদণ্ডের মুখোমুখি হতে হবে।
অ্যামনেস্টি বলছে, এ আইনের অনেক ধারাই জাতিসংঘের নির্যাতনবিরোধী কনভেনশনের পরিপন্থী। এমনকি সৌদি আরবের মূল আইনের সঙ্গেও সাংঘর্ষিক।
চলতি বছরের শুরু থেকে আরব বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রাজনৈতিক সংস্কারের দাবিতে গণ-আন্দোলন শুরু হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গণবিক্ষোভের মুখে তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট বেন আলী ও মিসরের প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারক ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন।
বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে ইয়েমেন ও সিরিয়াতেও। সেখানে এখনো ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালাচ্ছে জনগণ।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সৌদি আরবেও গণবিক্ষোভ শুরু হওয়ার আশঙ্কা করছে সরকার। নতুন এ আইন সৌদি আরবে মত প্রকাশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে বড় হুমকি বলে বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন।
প্রস্তাবিত আইনে দীর্ঘমেয়াদি আটকাদেশ, আইনি সহায়তা পাওয়ার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ এবং মৃত্যুদণ্ডের ব্যবহার আরও বাড়ানোর বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
নতুন এ আইনের বিষয়ে রক্ষণশীল এ মুসলিম দেশের সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলতে না চাইলেও এক কর্মকর্তা বলেছেন, এটি সন্ত্রাসীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। রাজনৈতিক কারণে এর ব্যবহার হবে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা আইনের বিতর্কিত ধারাগুলো নিয়ে কথা বলতে অনীহা প্রকাশ করেন। প্রস্তাবিত আইনে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সংজ্ঞার পরিসর আরও বাড়ানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রের ভাবমূর্তির জন্য ক্ষতিকর’ কিংবা ‘জাতীয় ঐক্যে ঝুঁকি’ সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে যেকোনো ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ বৈধ বলে গণ্য হবে।
এই আইনে সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে বাইরের কারও সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় সর্বোচ্চ ১২০ দিন আটক রাখা যাবে। আদালতের অনুমোদন নিয়ে আটক রাখার মেয়াদ বাড়ানো যাবে। আটক ব্যক্তির আইনি সহায়তা পাওয়ার বিষয়েও থাকবে কড়াকড়ি।
আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির প্রস্তাব করা হয়েছে। এমনকি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরলে কিংবা যেকোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের লক্ষ্যে অস্ত্র ব্যবহার করলে তাকে নিশ্চিত মৃত্যুদণ্ডের মুখোমুখি হতে হবে।
অ্যামনেস্টি বলছে, এ আইনের অনেক ধারাই জাতিসংঘের নির্যাতনবিরোধী কনভেনশনের পরিপন্থী। এমনকি সৌদি আরবের মূল আইনের সঙ্গেও সাংঘর্ষিক।
চলতি বছরের শুরু থেকে আরব বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রাজনৈতিক সংস্কারের দাবিতে গণ-আন্দোলন শুরু হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গণবিক্ষোভের মুখে তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট বেন আলী ও মিসরের প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারক ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন।
বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে ইয়েমেন ও সিরিয়াতেও। সেখানে এখনো ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালাচ্ছে জনগণ।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সৌদি আরবেও গণবিক্ষোভ শুরু হওয়ার আশঙ্কা করছে সরকার। নতুন এ আইন সৌদি আরবে মত প্রকাশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে বড় হুমকি বলে বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন।
No comments