প্রতীকার বিশ্বাসই হয়নি তাঁর স্বামী আর নেই
হাসপাতালের কর্মীদের কথা বিশ্বাসই করতে চাননি প্রতীকা শাহ। খববটি তাঁকে বাকরুদ্ধ করে ফেলে। সময় লাগে ধাতস্থ হতে। তারপর তাঁর দুই চোখ বেয়ে গড়াতে থাকে অশ্রু।
হাসপাতালের কর্মীরা প্রতীকা শাহকে জানান, বোমা হামলায় নিহতের মধ্যে তাঁর স্বামীও আছেন। গত বুধবার সন্ধ্যায় ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাইয়ে পরপর তিনটি বোমার বিস্ফোরণে নিহত হন ১৭ জন। আহত হয় শতাধিক মানুষ। হতাহতদের নেওয়া হয় দক্ষিণ মুম্বাইয়ের সাইফি হাসপাতালে। সেখানে হতাহতদের স্বজনদের বিলাপ আর আহাজারিতে শোকাবহ অবস্থার তৈরি হয়।
প্রতীকার স্বামী ছিলেন আবাসন ব্যবসার এজেন্ট। কয়েকজন গ্রাহকের সঙ্গে দেখা করার কথা বলে বুধবার সন্ধ্যার আগে তিনি বাসা থেকে বের হন। স্বামীর সঙ্গে প্রতীকার সেটাই শেষ দেখা।
প্রতীকা বলেন, ‘এলাকায় দুটি দোকান ভাড়ার ব্যাপারে গ্রাহকদের সঙ্গে ওর কথাবার্তা চলছিল। বেরিয়ে যাওয়ার আগে আমাকে ও বলেছিল, বড় গ্রাহক পাওয়া গেছে। ঠিকঠাকমতো কাজটা হলে বন্ধুদের নিয়ে বড় পার্টি দেব।’
প্রতীকা জানান, অপেরা হাউস এলাকায় বোমা বিস্ফোরণের খবর শুনেই তিনি বাসা থেকে ছুটে বেরিয়ে যান। পায়ে জুতা গলানোর কথাও মনে ছিল না। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন এক বীভৎস দৃশ্য। রাস্তার ওপর সারি বেঁধে নিহতদের লাশ রাখা হয়েছে। পাশের দোকানের মালামালের সঙ্গে মানুষের শরীরের ছিন্নভিন্ন অংশ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে। ভিড়ের মধ্য থেকে একজন জানান, তাঁর স্বামীকে নেওয়া হয়েছে সাইফি হাসপাতালে। প্রতীকার মনে যে আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল, হাসপাতালে ছুটে গিয়ে দেখেন সেটাই সত্যি। তাঁকে জানানো হলো, তাঁর স্বামী জীবিত নেই।
‘আমার এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না ও মারা গেছে। না, এটা হতেই পারে ন।’ কাঁদতে কাঁদতে বলেন প্রতীকা শাহ।
হাসপাতালের কর্মীরা প্রতীকা শাহকে জানান, বোমা হামলায় নিহতের মধ্যে তাঁর স্বামীও আছেন। গত বুধবার সন্ধ্যায় ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাইয়ে পরপর তিনটি বোমার বিস্ফোরণে নিহত হন ১৭ জন। আহত হয় শতাধিক মানুষ। হতাহতদের নেওয়া হয় দক্ষিণ মুম্বাইয়ের সাইফি হাসপাতালে। সেখানে হতাহতদের স্বজনদের বিলাপ আর আহাজারিতে শোকাবহ অবস্থার তৈরি হয়।
প্রতীকার স্বামী ছিলেন আবাসন ব্যবসার এজেন্ট। কয়েকজন গ্রাহকের সঙ্গে দেখা করার কথা বলে বুধবার সন্ধ্যার আগে তিনি বাসা থেকে বের হন। স্বামীর সঙ্গে প্রতীকার সেটাই শেষ দেখা।
প্রতীকা বলেন, ‘এলাকায় দুটি দোকান ভাড়ার ব্যাপারে গ্রাহকদের সঙ্গে ওর কথাবার্তা চলছিল। বেরিয়ে যাওয়ার আগে আমাকে ও বলেছিল, বড় গ্রাহক পাওয়া গেছে। ঠিকঠাকমতো কাজটা হলে বন্ধুদের নিয়ে বড় পার্টি দেব।’
প্রতীকা জানান, অপেরা হাউস এলাকায় বোমা বিস্ফোরণের খবর শুনেই তিনি বাসা থেকে ছুটে বেরিয়ে যান। পায়ে জুতা গলানোর কথাও মনে ছিল না। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন এক বীভৎস দৃশ্য। রাস্তার ওপর সারি বেঁধে নিহতদের লাশ রাখা হয়েছে। পাশের দোকানের মালামালের সঙ্গে মানুষের শরীরের ছিন্নভিন্ন অংশ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে। ভিড়ের মধ্য থেকে একজন জানান, তাঁর স্বামীকে নেওয়া হয়েছে সাইফি হাসপাতালে। প্রতীকার মনে যে আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল, হাসপাতালে ছুটে গিয়ে দেখেন সেটাই সত্যি। তাঁকে জানানো হলো, তাঁর স্বামী জীবিত নেই।
‘আমার এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না ও মারা গেছে। না, এটা হতেই পারে ন।’ কাঁদতে কাঁদতে বলেন প্রতীকা শাহ।
No comments