নিউইয়র্কে সমকামীদের মধ্যে বিয়ের আইন পাস
দীর্ঘ রাজনৈতিক বিতর্কের পর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে সমকামীদের মধ্যে বিয়ের আইন পাস হয়েছে। গত শুক্রবার অঙ্গরাজ্যের রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত সিনেটে ৩৩-২৯ ভোটে সমকামীদের মধ্যে বিয়ের আইনটি অনুমোদিত হয়। পরে এতে স্বাক্ষর করেন নিউইয়র্কের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো।
গভর্নরের স্বাক্ষরের ৩০ দিন পর আইনটি কার্যকর হবে। সমকামীদের মধ্যে বিয়ের আইন প্রণীত হওয়ায় নিউইয়র্কে পুরুষ পুরুষকে এবং নারী নারীকে বিয়ে করে ঘরসংসার করতে পারবে। এ ধরনের দম্পতিরা দাম্পত্য আইন, উত্তরাধিকার আইনের সব অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা সমানভাবে ভোগ করতে পারবে।
সমকামীদের মধ্যে বিয়ের স্বীকৃতির জন্য পশ্চিমা বিশ্বে অর্ধশতাব্দী ধরে আন্দোলন চলছে। যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্ক ষষ্ঠ অঙ্গরাজ্য, যেখানে সমকামীদের মধ্যে বিয়েকে আইনগতভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হলো। এর আগে কানেটিকাট, আইওয়া, ম্যাসাচুসেটস, নিউ হ্যাম্পশায়ার, ভারমন্ট ও ওয়াশিংটন ডিসিতে সমকামীদের মধ্যে বিয়ের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
নিউইয়র্কে উদারনৈতিক মহল দীর্ঘদিন ধরে সমকামীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সোচ্চার। ওই অঙ্গরাজ্যের গত রাজ্য গভর্নর নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুমো সমকামীদের মধ্যে বিয়েকে আইনসিদ্ধ করার অঙ্গীকার করেন। এখানকার সিনেটে রিপাবলিকান সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় আইনটি তুমুল বিতর্কের মধ্যে পড়ে। সম্প্রতি নিউইয়র্কের হাজার হাজার সমকামী নারী-পুরুষ ও নাগরিক অধিকারবিষয়ক সংগঠনগুলো আইন প্রণয়নের পক্ষে সোচ্চার হয়। এমনকি মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা গত বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কের এক সভায় সমকামীদের অধিকার ও দাবির প্রতি তাঁর সমর্থন ঘোষণা করেন।
জোরালো দাবির মুখে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের সিনেটের চারজন রিপাবলিকান সিনেটর দলের বিপক্ষে অবস্থান নেন। ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ২৯ জন আইনপ্রণেতার সঙ্গে চারজন বিপাবলিকান আইনপ্রণেতাও যোগ দেন। শুক্রবার রাতে সমকামীদের মধ্যে বিয়ের আইনের বিষয়ে ভোটাভুটিতে অধিকার লাভের বিষয়টি সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে।
নিউইয়র্কের রাজধানী আলবেনি থেকে সমকামীদের বিয়ের আইন পাস হওয়ার সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে সমকামীরা আনন্দে মেতে ওঠে। নাগরিক অধিকার সংগঠন এবং উদারনৈতিক মহলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এ আইন প্রণয়ন মানবাধিকার, সাম্যতা ও নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠার মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।
রক্ষণশীল ও খ্রিষ্টান ধর্মযাজকেরা এ আইনের তীব্র বিরোধিতা করছেন। নিউইয়র্কের আর্চবিশপ টিমোথি ওলান বলেন, সমকামীদের প্রতি সব ধরনের সহানুভূতি থাকা সত্ত্বেও আমরা মনে করি, বিয়ে হবে নারী ও পুরুষের মধ্যে। এর কোনো ভিন্নতার স্থান ধর্মে নেই। প্রকৃতিও সমলিঙ্গের মধ্যে বিয়ে বা দাম্পত্যকে সমর্থন করে না বলে বিভিন্ন ধর্মগোষ্ঠী ও রক্ষণশালীরা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেছে।
গভর্নরের স্বাক্ষরের ৩০ দিন পর আইনটি কার্যকর হবে। সমকামীদের মধ্যে বিয়ের আইন প্রণীত হওয়ায় নিউইয়র্কে পুরুষ পুরুষকে এবং নারী নারীকে বিয়ে করে ঘরসংসার করতে পারবে। এ ধরনের দম্পতিরা দাম্পত্য আইন, উত্তরাধিকার আইনের সব অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা সমানভাবে ভোগ করতে পারবে।
সমকামীদের মধ্যে বিয়ের স্বীকৃতির জন্য পশ্চিমা বিশ্বে অর্ধশতাব্দী ধরে আন্দোলন চলছে। যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্ক ষষ্ঠ অঙ্গরাজ্য, যেখানে সমকামীদের মধ্যে বিয়েকে আইনগতভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হলো। এর আগে কানেটিকাট, আইওয়া, ম্যাসাচুসেটস, নিউ হ্যাম্পশায়ার, ভারমন্ট ও ওয়াশিংটন ডিসিতে সমকামীদের মধ্যে বিয়ের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
নিউইয়র্কে উদারনৈতিক মহল দীর্ঘদিন ধরে সমকামীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সোচ্চার। ওই অঙ্গরাজ্যের গত রাজ্য গভর্নর নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুমো সমকামীদের মধ্যে বিয়েকে আইনসিদ্ধ করার অঙ্গীকার করেন। এখানকার সিনেটে রিপাবলিকান সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় আইনটি তুমুল বিতর্কের মধ্যে পড়ে। সম্প্রতি নিউইয়র্কের হাজার হাজার সমকামী নারী-পুরুষ ও নাগরিক অধিকারবিষয়ক সংগঠনগুলো আইন প্রণয়নের পক্ষে সোচ্চার হয়। এমনকি মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা গত বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কের এক সভায় সমকামীদের অধিকার ও দাবির প্রতি তাঁর সমর্থন ঘোষণা করেন।
জোরালো দাবির মুখে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের সিনেটের চারজন রিপাবলিকান সিনেটর দলের বিপক্ষে অবস্থান নেন। ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ২৯ জন আইনপ্রণেতার সঙ্গে চারজন বিপাবলিকান আইনপ্রণেতাও যোগ দেন। শুক্রবার রাতে সমকামীদের মধ্যে বিয়ের আইনের বিষয়ে ভোটাভুটিতে অধিকার লাভের বিষয়টি সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে।
নিউইয়র্কের রাজধানী আলবেনি থেকে সমকামীদের বিয়ের আইন পাস হওয়ার সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে সমকামীরা আনন্দে মেতে ওঠে। নাগরিক অধিকার সংগঠন এবং উদারনৈতিক মহলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এ আইন প্রণয়ন মানবাধিকার, সাম্যতা ও নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠার মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।
রক্ষণশীল ও খ্রিষ্টান ধর্মযাজকেরা এ আইনের তীব্র বিরোধিতা করছেন। নিউইয়র্কের আর্চবিশপ টিমোথি ওলান বলেন, সমকামীদের প্রতি সব ধরনের সহানুভূতি থাকা সত্ত্বেও আমরা মনে করি, বিয়ে হবে নারী ও পুরুষের মধ্যে। এর কোনো ভিন্নতার স্থান ধর্মে নেই। প্রকৃতিও সমলিঙ্গের মধ্যে বিয়ে বা দাম্পত্যকে সমর্থন করে না বলে বিভিন্ন ধর্মগোষ্ঠী ও রক্ষণশালীরা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেছে।
No comments