সন্ত্রাসবাদ দমনে যৌথভাবে লড়বে আফগানিস্তান, ইরান ও পাকিস্তান
আফগানিস্তান, ইরান ও পাকিস্তান যৌথভাবে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করবে। গতকাল শনিবার এই তিন দেশের প্রেসিডেন্ট এক যৌথ বিবৃতিতে এ ঘোষণা দিয়েছেন।
ইরানের রাজধানী তেহরানে সন্ত্রাসবাদবিরোধী দুই দিনব্যাপী এক আন্তর্জাতিক সম্মেলন গতকাল শুরু হয়েছে। এই সম্মেলন সামনে রেখে শুক্রবার আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই, ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ ও পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি নিজেদের মধ্যে আলাদা বৈঠক করেন। এই বৈঠকের পর গতকাল তাঁরা যৌথ বিবৃতি দেন।
ইরানের বার্তা সংস্থা ইরনা এই যৌথ বিবৃতির উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, ইসলামের চেতনা এবং এ অঞ্চলের শান্তিপূর্ণ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও এখানকার লোকজনের স্বার্থবিরোধী জঙ্গিবাদ, চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদ দমন এবং বিদেশি হস্তক্ষেপ এড়াতে সব পক্ষ অঙ্গীকার করেছে। এতে বলা হয়েছে, ২০১১ সালের শেষ নাগাদ ইসলামাবাদে অনুষ্ঠেয় পরবর্তী সম্মেলনের রূপরেখা তৈরি করতে পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র, নিরাপত্তা ও অর্থমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক চালিয়ে নিতে সব পক্ষ সম্মত হয়েছে।
এদিকে সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে আফগান প্রেসিডেন্ট কারজাই গতকাল বলেছেন, তাঁর সরকারের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও আফগানিস্তানসহ এ অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদ বেড়ে চলেছে। তিনি বলেন, শিক্ষা, অবকাঠামো ও পুনর্গঠন খাতে সার্বিক অর্জন সত্ত্বেও দুর্ভাগ্যবশত আফগানিস্তানে এখনো শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠিত হয়নি। উপরন্তু আফগানিস্তানসহ এই অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদ আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা সত্যিই হুমকির মুখে। আঞ্চলিক সন্ত্রাসবাদ দমনে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। কেননা, সন্ত্রাসবাদ এমন এক শক্তি, যা থেকে কোনো দেশই মুক্ত নয়।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় কারজাই বলেন, নিরাপত্তা বজায় রাখতে তাঁর সরকার জোরালো পদক্ষেপ নেবে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের ঘোষণাকে তিনি ‘যুক্তরাষ্ট্র ও আফগানিস্তানের জন্য ভালো দিক’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
আফগান প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আফগানিস্তানকে সহযোগিতা দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আমরা ধন্যবাদ জানাই।’ তিনি আরও বলেন, এই ভূখণ্ড তাঁর নিজের সন্তানেরাই পুনর্গঠন করতে পারবে এবং সেটাই হওয়া উচিত।
সম্মেলনে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জারদারি বলেন, ‘মানুষ হত্যা ও তাঁদের মালামাল ধ্বংস করে সন্ত্রাসীরা মানবিক ও পবিত্র মূল্যবোধের অমর্যাদা করেছে। তাদের কোনো ধর্ম নেই।’ তিনি বলেন, পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলায় এ পর্যন্ত ৩৫ হাজার লোক মারা গেছে। তাদের মধ্যে পাঁচ হাজার হলো নিরাপত্তাকর্মী। তা ছাড়া সন্ত্রাসীদের তাণ্ডবে পাকিস্তানের ছয় হাজার ৭০০ কোটি ডলারের ক্ষতি হয়েছে।
ইরানের প্রেসিডেন্ট আহমাদিনেজাদ তাঁর ভাষণে এ অঞ্চলে সেনা পাঠানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকার ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের ঘটনাকে ‘অজুহাত’ হিসেবে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, যেভাবে এ ঘটনাকে ব্যবহার করা হয়েছে, তাতে ১১ সেপ্টেম্বর হলো বড় ধরনের একটি ধ্বংসযজ্ঞের নাম। যুক্তরাষ্ট্র সরকার এ হামলাকে ছুতা হিসেবে ব্যবহার করে দুটি দেশ দখল করেছে এবং এ অঞ্চলের মানুষকে হত্যা, আহত ও ঘরছাড়া করছে।
সম্মেলনে আফগানিস্তান, ইরান ও পাকিস্তান ছাড়াও এই অঞ্চলের আরও তিনটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানেরা যোগ দিয়েছেন।
ইরানের রাজধানী তেহরানে সন্ত্রাসবাদবিরোধী দুই দিনব্যাপী এক আন্তর্জাতিক সম্মেলন গতকাল শুরু হয়েছে। এই সম্মেলন সামনে রেখে শুক্রবার আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই, ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ ও পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি নিজেদের মধ্যে আলাদা বৈঠক করেন। এই বৈঠকের পর গতকাল তাঁরা যৌথ বিবৃতি দেন।
ইরানের বার্তা সংস্থা ইরনা এই যৌথ বিবৃতির উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, ইসলামের চেতনা এবং এ অঞ্চলের শান্তিপূর্ণ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও এখানকার লোকজনের স্বার্থবিরোধী জঙ্গিবাদ, চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদ দমন এবং বিদেশি হস্তক্ষেপ এড়াতে সব পক্ষ অঙ্গীকার করেছে। এতে বলা হয়েছে, ২০১১ সালের শেষ নাগাদ ইসলামাবাদে অনুষ্ঠেয় পরবর্তী সম্মেলনের রূপরেখা তৈরি করতে পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র, নিরাপত্তা ও অর্থমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক চালিয়ে নিতে সব পক্ষ সম্মত হয়েছে।
এদিকে সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে আফগান প্রেসিডেন্ট কারজাই গতকাল বলেছেন, তাঁর সরকারের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও আফগানিস্তানসহ এ অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদ বেড়ে চলেছে। তিনি বলেন, শিক্ষা, অবকাঠামো ও পুনর্গঠন খাতে সার্বিক অর্জন সত্ত্বেও দুর্ভাগ্যবশত আফগানিস্তানে এখনো শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠিত হয়নি। উপরন্তু আফগানিস্তানসহ এই অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদ আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা সত্যিই হুমকির মুখে। আঞ্চলিক সন্ত্রাসবাদ দমনে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। কেননা, সন্ত্রাসবাদ এমন এক শক্তি, যা থেকে কোনো দেশই মুক্ত নয়।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় কারজাই বলেন, নিরাপত্তা বজায় রাখতে তাঁর সরকার জোরালো পদক্ষেপ নেবে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের ঘোষণাকে তিনি ‘যুক্তরাষ্ট্র ও আফগানিস্তানের জন্য ভালো দিক’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
আফগান প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আফগানিস্তানকে সহযোগিতা দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আমরা ধন্যবাদ জানাই।’ তিনি আরও বলেন, এই ভূখণ্ড তাঁর নিজের সন্তানেরাই পুনর্গঠন করতে পারবে এবং সেটাই হওয়া উচিত।
সম্মেলনে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জারদারি বলেন, ‘মানুষ হত্যা ও তাঁদের মালামাল ধ্বংস করে সন্ত্রাসীরা মানবিক ও পবিত্র মূল্যবোধের অমর্যাদা করেছে। তাদের কোনো ধর্ম নেই।’ তিনি বলেন, পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলায় এ পর্যন্ত ৩৫ হাজার লোক মারা গেছে। তাদের মধ্যে পাঁচ হাজার হলো নিরাপত্তাকর্মী। তা ছাড়া সন্ত্রাসীদের তাণ্ডবে পাকিস্তানের ছয় হাজার ৭০০ কোটি ডলারের ক্ষতি হয়েছে।
ইরানের প্রেসিডেন্ট আহমাদিনেজাদ তাঁর ভাষণে এ অঞ্চলে সেনা পাঠানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকার ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের ঘটনাকে ‘অজুহাত’ হিসেবে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, যেভাবে এ ঘটনাকে ব্যবহার করা হয়েছে, তাতে ১১ সেপ্টেম্বর হলো বড় ধরনের একটি ধ্বংসযজ্ঞের নাম। যুক্তরাষ্ট্র সরকার এ হামলাকে ছুতা হিসেবে ব্যবহার করে দুটি দেশ দখল করেছে এবং এ অঞ্চলের মানুষকে হত্যা, আহত ও ঘরছাড়া করছে।
সম্মেলনে আফগানিস্তান, ইরান ও পাকিস্তান ছাড়াও এই অঞ্চলের আরও তিনটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানেরা যোগ দিয়েছেন।
No comments