বড় দরপতনের পরদিনই বাজারে উল্লম্ফন
বড় দরপতনের পরদিনই ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশের পুঁজিবাজার। এভাবে ২০১১-১২ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণার পরবর্তী দুই কার্যদিবসে বাজার বিপরীতমুখী আচরণ করল। প্রথম কার্যদিবসে বাজারে বড় ধরনের দরপতন ঘটে। আর দ্বিতীয় কার্যদিবসে তার উল্টো চিত্র ছিল দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে।
হরতালের কারণে গতকালও ব্রোকারেজ হাউসগুলোতে বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতি ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে কম। তবে হরতালের প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিনেও লেনদেন শুরুর নির্ধারিত সময়ের আগেই দুই বাজারে ব্রোকারেজ হাউসগুলোর কোরাম পূর্ণ হয়। গতকাল লেনদেন চলাকালে ঢাকার বাজারে কিছু গুজব ছড়িয়ে পড়ে। তবে দিনশেষে কোনোটিরই সত্যতা পাওয়া যায়নি।
প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল সোমবার দিনশেষে শেয়ারের সাধারণ মূল্যসূচক আগের দিনের চেয়ে ২২৮ পয়েন্ট বা প্রায় ৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ৯০৫ পয়েন্টে। গত রোববার সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক কমেছিল ৩১৩ পয়েন্ট। রোববার ঢাকার বাজারে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে মাত্র পাঁচটি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছিল। আর গতকাল ছিল ঠিক এর উল্টো চিত্র। এদিন লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম কমার তালিকায় ছিল মাত্র সাতটি কোম্পানি।
বাজারের এই উল্টো চিত্রের কারণে ডিএসইর দাম কমার শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকা পূর্ণ হয়নি। একইভাবে আগের দিন অপূর্ণাঙ্গ ছিল দাম বাড়ার শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকাটি।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) গতকাল শেয়ার লেনদেনে অভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। লেনদেন হওয়া বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ায় সার্বিক মূল্যসূচকও বেড়েছে। এদিন সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক ৫৬৬ পয়েন্ট বেড়ে হয়েছে প্রায় ১৬ হাজার ৩৭৫ পয়েন্ট। আগের দিন সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক কমেছিল ৭৬৫ পয়েন্ট।
পর পর দুই দিনে বাজারের বিপরীত চিত্রের কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে সিএসইর সভাপতি ফখরউদ্দিন আলী আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাজেট ঘোষণার আগেই বিনিয়োগকারীদের বড় একটি অংশ শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছিল। আরেকটি অংশ বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য নতুন প্রণোদনা থাকবে—এমন আশায় শেয়ার কিনেছিল। যারা বাজেটে ভালো কিছু থাকবে, এই আশায় বাজারে বিনিয়োগ করেছিল, বাজেট ঘোষণার পর তারা হতাশ হয়। সেই হতাশারই নেতিবাচক প্রভাব আমরা গত রোববারের বাজারে দেখেছি। আরেকটি অংশ যারা আগেই বাজার থেকে বিনিয়োগ তুলে নিয়েছিল, বড় পতন তাদের সামনে বিনিয়োগের ক্ষেত্র তৈরি করে দেয়। নতুন করে তারা আবার বাজারে বিনিয়োগ শুরু করে। এরই প্রতিফলন দেখা গেছে গতকালের বাজারে।’
মূল্যসূচকের পতন দিয়েই ডিএসইতে গতকাল লেনদেন শুরু হয়। প্রথম পাঁচ মিনিটের মধ্যেই সূচক আগের দিনের চেয়ে প্রায় ৬৮ পয়েন্ট কমে যায়। এর পরই ঘুরে দাঁড়ায় বাজার। বাড়তে থাকে ডিএসইর সাধারণ সূচক, যা দিনের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। তবে সোমবার ঢাকার বাজারে সাধারণ মূল্যসূচকের সর্বোচ্চ আর সর্বনিম্ন অবস্থানের মধ্যকার ব্যবধান ছিল ৩১৬ পয়েন্ট। এদিন ডিএসইতে ২৫৪ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়। এর মধ্যে ২৪৭টিরই দাম বেড়েছে, আর কমেছে মাত্র সাতটির।
শেয়ারের দাম ও সূচক বাড়লেও লেনদেন কমেছে। সোমবার দিনশেষে ডিএসইতে প্রায় ৫৬৮ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়, যা আগের দিনের চেয়ে ২৯ কোটি টাকা কম।
ঢাকার বাজারে কমলেও চট্টগ্রামের বাজারে লেনদেন সামান্য বেড়েছে। দিনশেষে সিএসইতে প্রায় ৯৫ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়, আগের দিনের চেয়ে যা ৬ কোটি টাকা বেশি। সিএসইতে এদিন মোট ১৮৭ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়। এর মধ্যে ১৭৫টিরই দাম বেড়েছে। কমেছে ১১টির আর অপরিবর্তিত ছিল একটির দাম।
হরতালের কারণে গতকালও ব্রোকারেজ হাউসগুলোতে বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতি ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে কম। তবে হরতালের প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিনেও লেনদেন শুরুর নির্ধারিত সময়ের আগেই দুই বাজারে ব্রোকারেজ হাউসগুলোর কোরাম পূর্ণ হয়। গতকাল লেনদেন চলাকালে ঢাকার বাজারে কিছু গুজব ছড়িয়ে পড়ে। তবে দিনশেষে কোনোটিরই সত্যতা পাওয়া যায়নি।
প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল সোমবার দিনশেষে শেয়ারের সাধারণ মূল্যসূচক আগের দিনের চেয়ে ২২৮ পয়েন্ট বা প্রায় ৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ৯০৫ পয়েন্টে। গত রোববার সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক কমেছিল ৩১৩ পয়েন্ট। রোববার ঢাকার বাজারে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে মাত্র পাঁচটি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছিল। আর গতকাল ছিল ঠিক এর উল্টো চিত্র। এদিন লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম কমার তালিকায় ছিল মাত্র সাতটি কোম্পানি।
বাজারের এই উল্টো চিত্রের কারণে ডিএসইর দাম কমার শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকা পূর্ণ হয়নি। একইভাবে আগের দিন অপূর্ণাঙ্গ ছিল দাম বাড়ার শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকাটি।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) গতকাল শেয়ার লেনদেনে অভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। লেনদেন হওয়া বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ায় সার্বিক মূল্যসূচকও বেড়েছে। এদিন সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক ৫৬৬ পয়েন্ট বেড়ে হয়েছে প্রায় ১৬ হাজার ৩৭৫ পয়েন্ট। আগের দিন সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক কমেছিল ৭৬৫ পয়েন্ট।
পর পর দুই দিনে বাজারের বিপরীত চিত্রের কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে সিএসইর সভাপতি ফখরউদ্দিন আলী আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাজেট ঘোষণার আগেই বিনিয়োগকারীদের বড় একটি অংশ শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছিল। আরেকটি অংশ বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য নতুন প্রণোদনা থাকবে—এমন আশায় শেয়ার কিনেছিল। যারা বাজেটে ভালো কিছু থাকবে, এই আশায় বাজারে বিনিয়োগ করেছিল, বাজেট ঘোষণার পর তারা হতাশ হয়। সেই হতাশারই নেতিবাচক প্রভাব আমরা গত রোববারের বাজারে দেখেছি। আরেকটি অংশ যারা আগেই বাজার থেকে বিনিয়োগ তুলে নিয়েছিল, বড় পতন তাদের সামনে বিনিয়োগের ক্ষেত্র তৈরি করে দেয়। নতুন করে তারা আবার বাজারে বিনিয়োগ শুরু করে। এরই প্রতিফলন দেখা গেছে গতকালের বাজারে।’
মূল্যসূচকের পতন দিয়েই ডিএসইতে গতকাল লেনদেন শুরু হয়। প্রথম পাঁচ মিনিটের মধ্যেই সূচক আগের দিনের চেয়ে প্রায় ৬৮ পয়েন্ট কমে যায়। এর পরই ঘুরে দাঁড়ায় বাজার। বাড়তে থাকে ডিএসইর সাধারণ সূচক, যা দিনের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। তবে সোমবার ঢাকার বাজারে সাধারণ মূল্যসূচকের সর্বোচ্চ আর সর্বনিম্ন অবস্থানের মধ্যকার ব্যবধান ছিল ৩১৬ পয়েন্ট। এদিন ডিএসইতে ২৫৪ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়। এর মধ্যে ২৪৭টিরই দাম বেড়েছে, আর কমেছে মাত্র সাতটির।
শেয়ারের দাম ও সূচক বাড়লেও লেনদেন কমেছে। সোমবার দিনশেষে ডিএসইতে প্রায় ৫৬৮ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়, যা আগের দিনের চেয়ে ২৯ কোটি টাকা কম।
ঢাকার বাজারে কমলেও চট্টগ্রামের বাজারে লেনদেন সামান্য বেড়েছে। দিনশেষে সিএসইতে প্রায় ৯৫ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়, আগের দিনের চেয়ে যা ৬ কোটি টাকা বেশি। সিএসইতে এদিন মোট ১৮৭ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়। এর মধ্যে ১৭৫টিরই দাম বেড়েছে। কমেছে ১১টির আর অপরিবর্তিত ছিল একটির দাম।
No comments